ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন মেডিসনের গবেষকগণ সম্প্রতি লৌহ দ্বারা শ্বাস নেয় এরকম মাইক্রোবদের জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন।
অক্সিজেন দ্বারা শ্বাস প্রশ্বাস প্রাণী এবং অনেক ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেতে এতটাই সাধারণ যে আমরা শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য অন্য কিছু যে গ্রহণ করা যেতে পারে এটা কল্পনাই করতে পারি না। অক্সিজেন আসলে ব্যবহৃত হয় ইলেক্ট্রনকে শোষণ করে নেয়ার জন্য আর এই ইলেক্ট্রন আদান প্রদানের প্রক্রিয়ার দ্বারাই আমাদের দেহের সকল শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াগুলো চালিত হয়। কিন্তু যেখানে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন নেই সেখানে মাইক্রোঅর্গানিজমগুলো অক্সিজেনের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহারের পথ করে নেয়। আর এখানেই উপযুক্ত পদার্থটি হল আয়রন বা লোহা। প্রফেসর এরিক রডেন বলেন, “আমরা বিভিন্ন জৈব পদার্থ থেকে ইলেক্ট্রন অক্সিজেনকে প্রেরণ করি। এইসব ব্যাকটেরিয়াগুলো ইলেক্ট্রনগ্রাহক হিসেবে অক্সিজেনকে ব্যবহার না করে আয়রন অক্সাইড ব্যবহার করে। আর অন্যদিকে এই মাইক্রোবরা ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে অন্যান্য আয়রন যৌগ থেকে। এই দুটো ক্ষেত্রেই ব্যাক্টেরিয়াগুলোর শক্তির জন্য ইলেক্ট্রন ট্রান্সফার প্রক্রিয়াটি জরুরি।”
যাই হোক, রডেনের প্রচেষ্টায় একটি আয়রন ব্রেথিং বা আয়রন দ্বারা শ্বাস গ্রহণকারী মাইক্রোব গণ Gallionellaceae এর প্রায় সম্পূর্ণ জিনোম প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায় আয়রন গ্রহণের ক্ষেত্রে দায়ী হল তাদের মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড তৈরি করা জিনের অনুপস্থিতি। রডেনের প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি আরও বলছে এই মাইক্রোবগুলো সম্পূর্ণ ডিনাইট্রিফিকেশনের জন্য পার্শ্ববর্তী ব্যাক্টেরিয়ার সাহায্যও গ্রহণ করে যাদের ছাড়া এই ব্যাক্টেরিয়া টিকে থাকতে পারে না। আর একারণেই কালচার করাও সম্ভব হয় না।
রডেন এই ব্যাক্টেরিয়াগুলোর প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করেন পৃথিবীর জিওলজিতে এদের ভূমিকার কারণে। তিনি বলেন, হয়তো মঙ্গল গ্রহের মত একটি গ্রহে যেখানে অক্সিজেনের অনেক অভাব কিন্তু আয়রনের কোন অভাব নেই সেখানে এরকম ব্যাক্টেরিয়ার মত কোন ইছু জীবন ধারণ করে আছে। হয়তো রডেনের ধারণাটি সত্যি, কেই বা বলতে পারে।
http://aem.asm.org/content/82/9/2656.abstract?sid=10b00e9c-dd80-4007-9ade-2292ac14414
– বুনোস্টেগস
Leave a Reply