নারীদের চোখে পুরুষ কিরকম এট্রাকটিভ বা আকর্ষণীয় হবে এটা কিসের উপর নির্ভর করে? দৈহিক উচ্চতা, শোল্ডার টু হিপ রেশিও? না কি এগুলো ছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যার উপর এট্রাকটিভনেস নির্ভর করে? পুরুষাঙ্গ কি কোন প্রভাব ফেলে? আর এর সাথে কি মানুশের পুরুষাঙ্গের অন্যান্য প্রাইমেটের তুলনায় বড় হওয়ার কোন সম্পর্ক আছে?
রিসার্চাররা দেখেন, নারীরা বড় পুরুষাঙ্গের পুরুষদের বেশি এট্রাকটিভ বলে মনে করে কিন্তু এই বড় জেনিটালের জন্য এট্রাকটিভনেস আবার পুরুষাঙ্গের ফ্লাসিট বা শিথিল দৈর্ঘ্য ২.৯৯ ইঞ্চি বা ৭.৬ সে.মি. থেকে কমতে থাকে। আরও যা পাওয়া গেছে তা হল বড় পুরুষাঙ্গ লম্বা পুরুষদের খাটোদের থেকে আরও বেশি এট্রাকটিভনেস বুস্ট দেয়। গবেষণাটি নির্দেশ করে, নারীর বড় পুরুষাঙ্গের পছন্দ করাটা অন্যান্য প্রাইমেটের তুলনায় মানুষের বড় জননাঙ্গ থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারে।
নারীদের পেনিস সাইজের প্রিফারেন্স নিয়ে যতগুলো স্টাডি হয়েছে তা অনেক রকম সাজেশনই করে। যেমন, যেসকল নারী ঘন ঘন ভাজাইনাল স্টিমুলেশন এর দ্বারা অরগাজম করেন তারা অধিক বড় পেনিস সাইজ বেশি পছন্দ করেন, কারণ হয়তো সেরকম স্টিমুলেশনের জন্য পেনিস সাইজ গুরুত্বপূর্ণ তাই। আবার আর একটা স্টাডি বলে পুরুষেরা নারীদের তুলনায় পেনিস সাইজ নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকে।
কিন্তু এক্ষেত্রে গবেষণাগুলো প্রশ্নোত্তরের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল যার উত্তর সবসময় সততার সাথে নাও দেয়া হয়ে থাকতে পারে। যাই হোক, Australian National University এর Michael Jennions এর নেতৃত্বে করা একটি গবেশণায় ১০৫ জন অস্ট্রেলিয়ান নারীকে লাইফ সাইজ কম্পিউটার জেনারেটেড নগ্ন পুরুষের ছবি দেখানো হয় এবং এদের এট্রাকটিভনেস বিচার করতে বলা হয়। এই সব কম্পিউটার জেনারেটেড বডিগুলো বিভিন্ন ফ্লাসিড পেনিস সাইজ, বিভিন্ন উচ্চতা ও বিভিন্ন শোল্ডার টু হিপ রেশিও (কাঁধ ও নিতম্বের অনুপাত) এর ছিল। কম্পিউটার সিমুলেশনগুলো এর পেনিসের প্রস্থ, তার দৈর্ঘ্যের সাথে মিলিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমানুপাতে রাখা হয়।
গবেষণাটির রেজাল্ট পাওয়া যায় যে, নারীরা লম্বা পুরুষ এবং অধিক শোল্ডার টু হিপ রেশিও (অর্থাৎ কাঁধের প্রস্থ নিতম্বের চেয়ে বেশি) এর পুরুষদের অধিক এট্রাকটিভ বলে মনে করে। ৭৯.৬ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রেই শোল্ডার টু হিপ রেশিও এট্রাকটিভনেস নির্ণয় করার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
খুব একটা এক্সট্রিম এফেক্ট না হলেও, নারীরা বড় পেনিস সাইজও পছন্দ করেছিল, অন্তত ফ্লাসিড ৫.১ ইঞ্চি পর্যন্ত যা কম্পিউটার সিমুলেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। এক্ষেত্রে ফ্লাসিড ২.৯৯ ইঞ্চির পর থেকে এক্সট্রা লেংথ এর জন্য অতিরিক্ত এট্রাক্টিভনেস এর পরিমাণ কমতে থাকে। এটা পুরুষদের জন্য একটি ভাল খবর অবশ্যই। কারণ ২০০১ সালের একটি স্টাডিতে বলে হয়েছিল ফ্লাসিড ২.৯৯ ইঞ্চি এভারেজের চেয়ে নিচে।
যখন রিসার্চারগণ শোল্ডার টু হিপ রেশিও কনট্রোল করলেন তারা দেখলেন লম্বা পুরুষের এট্রাক্টিভনেসের ক্ষেত্রে লার্জার পেনিস এর অনেক বড় এফেক্ট আছে। রিসার্চারগণ বলেন, এটা সম্ভব যে, লার্জার পেনিস তুলনামূলক লম্বা পুরুষের ক্ষেত্রে বেশি প্রোপরশনাল বলে মনে হয় অথবা এটা নারীরা খাটো পুরুষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতী ছিল যেকারণে খাটোদের বেলায় লার্জার পেনিস কোন সাহায্য করে নি।
এক্ষেত্রে নারীদের দৈহিক গঠনের ভূমিকাও আছে দেখা যায়। দেখা যায়, লম্বা নারীদের কাছে লম্বা পুরুষরা বেশি এট্রাকটিভ বা আকর্ষণীয় ছিল। যেসব নারীর বডি মাস পার হাইট বেশি ছিল তারা চিকন নারীদের তুলনায় এট্রাকটিভনেস বিচারে পেনিস সাইজকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
এই আবিষ্কারগুলো সম্ভবত মানুষের পুরুষাঙ্গ অন্যান্য ম্যামালের চেয়ে বডি সাইজের তুলনায় এত বেশি বড় কেন এর ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। মানুশের পুরুষাঙ্গ অন্য যেকোন প্রাইমেট স্পিসিজের পুরুষাঙ্গের তুলনায় বড়। যেমন একটা পুরুষ গোরিলার ওজন ৪০০ পাউন্ড কিন্তু তাদের ইরেক্ট বা উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য মাত্র ১.৫ ইঞ্চি। অন্যদিকে একটি মেল হিউম্যান এর ওজন গোরিলার অর্ধেক কিন্তু তার উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪.৭ ইঞ্চি থেকে ৬.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।
ইভোল্যুশনারি বায়োলজিস্টরা থিওরাইজ করেছেন যে, মানুষের লার্জ পেনিস সম্ভবত যৌনমিলনের সময় প্রতিযোগী পুরুষের স্পার্মকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু ক্লথিং বা পোশাক এর যুগের আগে নারীরা সম্ভবত তাদের সাথে যৌন মিলন করতে বেশি পছন্দ করত যাদের পুরুষাঙ্গ তাদের বেশি চোখে পড়ত। আর তাই বড় পেনিস এর মানুষের জিন আরও বেশি করে পরবর্তী প্রজন্মে পাস করেছে। যার ফলে আমরা অন্যান্য ম্যামালের তুলনায় অনেক বড় পেনিস পেয়েছি। সুতরাং পুরুষের উচিৎ তাদের গোরিলা সাইজ পেনিসের চেয়ে বড় পেনিস পাওয়ার জন্য নারীকে থ্যাংক্স দেয়া।
তথ্যসূত্র:
http://www.livescience.com/28537-ideal-penis-size-depends-on-height.html
Leave a Reply