বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব বেশ সক্রিয়। কারণ ক্ষতিটা তাদেরই বেশী। তাই বলে ক্ষতি যে আমাদের হবে না, এমনটা ভেবে লাভ নেই। কারন গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে একের ক্ষতি মানে সকলের ক্ষতি। তাই আমাদেরও উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসে গেছে। আর আমরা উদ্যোগ না নিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস করে উষ্ণায়ন বৃদ্ধিতে বরং সহায়তা করছি। যাই হোক ইইউ এর উদ্যোগের সামান্য এখানে আলোচনা করা হলো:
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছে যে প্রতিটা নতুন বাড়িতে ইলেক্ট্রিক গাড়ি চার্জিং পোর্ট থাকবে। যদিও বতর্মানে এটা একটি খসড়া, প্রকৃত পরিকল্পনা অনুসারে ২০১৯ সালের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন আশা করা হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোকে সাধারণের নিকট আরও বেশি সহজলভ্য করার জন্য ইইউ ক্লাইমেট লিডারগণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ইলেকট্রিক ভেহিকেল মারকেট বা বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজার আরও বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন যাতে আরও বেশি মানুষ জিরো এমিশন ভেহিকেল কিনে সেগুলো ব্যবহার করেন।
ইউরোপিয়ান ইলেক্ট্রিক কার ইনডাস্ট্রিকে আরো বেশি করে সুবিধা দেয়ার জন্য তারা আরও একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন বিল্ডিংগুলোর কার পার্ক স্পেসের ১০ শতাংশে চার্জিং ফ্যাসিলিটি বসানো হবে। চার্জিং পোর্ট যত বেশি হবে, ইলেকট্রিক কার বা বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো তত বেশি যাতায়াত করতে পারবে এবং এগুলো ব্যবহার করা তত বেশি সুবিধাজনক হবে।
শুধু তাই নয়, যখন সবাইক রিচার্জিং ফ্যাসিলিটিতে তাদের গাড়ি চার্জিং করবেন, তখন এই ইলেক্ট্রিসিটি গ্রিডে ফিরে যাবে। ব্যবহার বেশি হলে তা ইউরোপের পাওয়ার নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত এনার্জি দান করবে, এতে এটা অন্যান্য রিনিউয়েবল এনার্জি সোর্স যেমন সোলার ও উইন্ড পাওয়ারের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করবে।
After the historic Paris Climate Agreement, the world is taking a more serious view at attempting to stop climate change in its tracks. Consequently, more countries are taking proactive action in the fight to curb emissions, so the initiative’s plan to create an infrastructure that supports this sooner rather than later is a wise idea.
Currently, both Norway and the Netherlands have officially committed to phasing out fossil fuel engines by banning the sale of non-electric cars by 2025. And the UK has been testing out driverless electric vehicles on the streets this week.
One day the world may be rid of gas-guzzling cars completely, and as that timeframe seems to be constantly creeping closer, we need all the preparation we can get.
প্যারিস ঐতিহাসিক জলবায়ু চুক্তির পর জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ করা প্রয়াস নিতে বিশ্ব অনেক বেশী সক্রিয় হয়েছে। ফলে অনেক দেশেই জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়াস নেয়, অবশ্য এর জন্য প্রয়োজন অবকাঠামো তৈরি করে উদ্যোগ নেয়া ও যথাযত পরিকল্পনা করা।
বর্তমানে নরওয়ে এবং নেদারল্যান্ড উভয় দেশই ২০২৫ সালের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউকে গত সপ্তাহে চালকহীন ইলেক্ট্রিক গাড়ি পরীক্ষা করেছে।
একদিন অবশ্যই পৃথিবী হতে জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার বন্ধ হবে এবং সেটারই দ্রুত সময় চলে আসছে। এর জন্য আমাদেরই প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে আমরা সেইদিকেই ধাবিত হতে পারি।
তথ্যসূত্র:
http://www.iflscience.com/environment/all-eu-homes-to-have-electric-car-charging-ports-by-2019/
http://www.sciencealert.com/the-netherlands-is-making-moves-to-ban-all-non-electric-vehicles-by-2025
http://www.independent.co.uk/environment/climate-change/norway-to-ban-the-sale-of-all-fossil-fuel-based-cars-by-2025-and-replace-with-electric-vehicles-a7065616.html
http://www.bbc.co.uk/news/technology-37618574
Leave a Reply