কেডস বা স্নিকার পরলেন আর সেটি নিজে নিজেই তার লেস বা ফিতা বেঁধে নিল, শুধু তাই নয়, পায়ের মাপে কেডসটা এডজাস্ট হয়ে নিল স্বয়ক্রিয়ভাবে।
‘ব্যাক টু দ্যা ফিউচার পার্ট ২’ এর সম্ভবত এক বছর পর এর ভবিষদ্বাণী করা হয়েছিল আর নাইক অবশেষে তাদের শ্যু এর স্বয়ংক্রিয়-ফিতা ট্রেইনার তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছে। আর নাইক সেটা বানানোর ঘোষণা দিয়েছে ইতোমধ্যে। এক টুইটে নাইকের পিআর ম্যানেজার হেইডি বার্গেট ঘোষণা দেন যে ‘হাইপারএডাপ্ট ১.০’ ট্রেইনার নভেম্বর ২৮ তারিখে আমেরিকায় পাওয়া যাবে।
নাইক WIRED এর সাথে যুক্ত হয় এই নতুন শ্যু এর ঝলক দেখানোর জন্য, অবশ্য এর সাথে থাকবে এর ডিজাইন ও উন্নয়নের জন্য পিছনের চিন্তাভাবনাগুলো। ১৯৮৯ সালের একটি সায়েন্স ফিকশন ‘ব্যাক টু দ্যা ফিউচার পার্ট ২’ হতে মার্টি ম্যাকফ্লাই এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত শ্যু-ফিতা আপনাআপনি বেঁধে ফেলতে পারা। শ্যুটি একটি ডিটেকটর গোড়ালির মধ্যে থেকে নির্দেশ দিবে যে শ্যুটি পরা হয়েছে, তখন আপনা হতেই এর ফিতা গুলো নিজে নিজে পায়ের নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী টান টান না হওয়া পর্যন্ত বাঁধতে থাকবে।
এর ‘শ্যু-ফিতার ইঞ্জিন’টি শ্যু এর তলায় থাকবে অর্থাৎ পায়ের খিলানের নিচে, এবং কাজ করবে শ্যু এর পাশ বরাবর কেবল টানা থাকবে এবং এর সাথে ফিতা যুক্ত থাকবে শ্যু এর জিহ্বা পর্যন্ত। গোড়ালিতে একটি এলইডি আছে। শ্যু এর ইঞ্জিন, ফিতা-বাঁধা, এলইডি এগুলোর অর্থই হচ্ছে এখানে একটা রিচার্জেবল লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি আছে, ফলে আপনাকে অবসরে এই ট্রেইনার (শ্যু দুটোকে) চার্জ দিতে হবে।
এখনো অবশ্য এগুলোর দাম সম্পর্কে জানা যায়নি অথবা কবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড পাওয়া যাবে সেটাও বলা হয় নি।
নাইক ডিজাইনার টিংকার হ্যাটফিল্ড WIRED কে বলেন ‘আমরা এমন একটা প্রোজেক্ট সম্পর্কে কথা বলছি যেটা ফুটওয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন একটা প্রজেক্ট। আগে যত প্রোজেক্ট ছিল সেগুলোর চেয়ে এই প্রজেক্টের জন্য আপনি অবশ্যই অনেক বেশি উত্তেজিত হবেন’।
নিচের ভিডিও দেখে অবশ্য আপনি জোড়া জুতার উন্নয়নের বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
Leave a Reply