পেনসিলভেনিয়ার স্টীল এর জন্য খ্যাত পিটার্সবার্গ শহরে উবার নামক একটি টেক্সি কোম্পানি চালকবিহীন টেক্সি যাত্রা শুরু করেছে।
গত বুধবার সকালে ৪ টি চালকবিহীন ফোর্ড ফিউশন টেক্সি রাস্তায় নামিয়েছে এবং ইতোমধ্যে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছে। যদিও এখনো টেক্সির মধ্যে একজন চালক থাকে ইমার্জেন্সি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বোর্ডের জন্য , টেক্সি গুলো কম-বেশী স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাস্তা নেভিগেট করতে সক্ষম ৭টা ট্রাফিক সনাক্তকারী ক্যামেরা, একটা রাডার সিস্টেম, একটা অত্যাধুনিক কম্পিউটার এবং ২০ টি চতুর্দিকের পরিবেশের অবস্থা ম্যাপিং করার জন্য লেজার এর সাহায্য।
এই মুহুর্তে, চালকবিহীন টেক্সি গুলো এভেইলেবল পিটার্সবার্গে লয়াল কাস্টমারদের জন্যই ট্রায়াল প্রজেক্ট হিসেবে। তথাপি, ভবিষতে চালকবিহীন উবার টেক্সি ২৪ ঘন্টা সেবা দেওয়ার জন্য তাদের সার্বিক পরিকল্পনা রয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় প্রকৌশলি নিয়ে উবার চালকবিহীন টেক্সির স্বপ্ন কয়েক মাস আগেই দেখেছে স্বয়ংক্রিয় ট্রাক যাত্রা শুরু ও Otto অর্জনের পর। অবশ্য উবারের সাথে অংশীদার হয়েছে পরবর্তী জেনারেশনের জন্য উন্নত স্বয়ংক্রিয় কার কোম্পানি ভলবো। পিটার্সবার্গ শহর বেছে নেওয়ার কারন হচ্ছে এই শহরের রাস্তা গুলো বেশ সরু এবং এখানে গাড়ি চালাতে হয় খুবই মনোযোগ দিয়ে। উবার এডাভান্স টেকনোলজি সেন্টারের পরিচালক Raffi Krikorian ফিন্যানসিয়াল টাইমস কে বলেন, তাদের ধারনা ‘যদি আমরা বাস্তবিকই পিটার্সবার্গে সফলভাবে চালাতে পারি, তাহলে আমরা মনে করবো পৃথিবীর অন্যান্য শহরেও আমরা ভালভাবে সফল হবো”।
আরো যোগ করা যায়, পিটার্সবার্গের Carnegie Mellon Universityতে উবার আরো অনেক গবেষণা চালিয়েছে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন নিয়ে।
উবারের ব্লগ পোস্টে Otto কোম্পানির অংশীদারি-ফাউন্ডার Anthony Levandowski বলেন “এই পাইল্ট প্রোগ্রাম অগ্রগতির একটা বড় পদক্ষেপ”। “এই প্রযুক্তিবিদ্যার বাস্তব-পৃথিবীতে সাফল্যের জন্য পরীক্ষা করা খুবই জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এবং ব্যক্তিগত গাড়ির সম্ভাবনা তৈরি করা শহরের ভবিষতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ”।
তিনি আরো বলেন, “অবশ্যই আমরা সঠিকভাবে বলতে পারি না ভবিষতে কি হবে, কিন্তু আমরা জানি আমাদের লক্ষ্য এবং সমাজকে আরো উন্নত করতে উবার স্বয়ংক্রিয় গাড়ির বিরাট সম্ভাবনা আছেঃ রাস্তায় দুর্ঘটনা কমানো, যা বছরে ১.৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়; শহরে বর্তমানে বিলিয়নের উপর গাড়ি পার্ক হয় ২০ শতাংশ জায়গা, তা খালি করতে হবে; জানজট কমাতে হবে। এতসব কিছুর জন্য প্রতিবছর ট্রিলিয়ন ঘন্টা আমাদের অযথা ব্যয় হয়।
এটাই প্রথম কোম্পানি নয় যে রাস্তায় চালকবিহীন টেক্সির যাত্রা করেছে। মাসখানেক আগে নূটনমি সিংগাপুরে ট্রায়াল প্রজেক্ট হিসেবে মিতশুবিশির i-MiEv মডেলের ইলেক্ট্রিক গাড়ির যাত্রা শুর করেছে।
সোর্সঃ এখানে
স্বয়ংক্রীয় গাড়ি নিয়ে আরও তথ্য:
সিংগাপুর হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রীয় গাড়ির শহর
দুর্ঘটনার পর অটোনোমাস গাড়ির উপর আস্থার প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে
একজন শঙ্কাপূর্ণ রোগীকে হাসপাতালে নিতে সাহায্য করল টেসলা অটোপাইলট কার
Leave a Reply