ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরের রাস্তায় মাইলের পর মাইল ট্রাফিক জ্যামে দেখে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যেতে চান না। আমার নিজের কথা বললেই বলবো কোন ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে বেড়াতে যেতে চাই না, একটাই মাত্র কারন তা হলো রাস্তার ভোগান্তি, যদিও সারা বছর ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যামের ভোগান্তি থাকে, লং রোডের ভোগান্তি দুঃসহ হয়ে উঠে।
যখন আপনি হাইওয়ে ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন এবং হঠাৎ দেখলেন বড় সড় একটা জ্যামে আটকে গেছেন। এটা প্রায় সময়ই আপনারা জানতে পারেন না যে কিভাবে এই ট্রাফিক জ্যাম ঘটে এবং এর শুরুটাই বা কোথায়। হয়তো কোন দুর্ঘটনাও ঘটেনি, কিন্তু রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা মাইলের পর মেইল এভাবে জ্যামে আটকে আছেন। সদা সন্ত্রস্ত ইউটিউবের CGP Grey চ্যানেলটি একটা উদাহরণ তৈরি করে কিভাবে ট্রাফিম জ্যাম ঘটে, আমাদের প্রত্যেককে কি করণীয় আছে এই জ্যাম হতে মুক্ত হওয়ার জন্য সেটা বলে দিয়েছে এবং স্ব-চালিত গাড়ি গুলো এই ট্রাফিক জ্যামের এই দুর্দশা হতে বাচতে পারে তা দেখিয়েছে।
এই সব বিভ্রান্তকর অবস্থা আসলে সকলে মিলে একটু সুন্দর সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে। আসল কথা হচ্ছে অস্থির-মানুষগুলো এ বিষয় বিশেষভাবে দক্ষ সহযোগী হয় না।
যদি প্রত্যেক চালক সোজা রাস্তায় যেমন হাইওয়ে গুলোয় সহযোগিতা করতে সক্ষম হয় তাদের গতির এবং সময়ের সাথে আগে এবং পিছনের গাড়ি লক্ষ্য করে , তাহলেই এই সমস্যা হয় না। কোন চালক যদি তার গাড়ির গতি একটু কমিয়ে দেয় তাহলেই পিছনের গাড়িগুলো ট্রাফিকে পড়বে। কারন প্রাকৃতিকভাবেই মানুষের প্রতিক্রিয়ার কারনেই এটা হয় তারা সামনের গাড়ির সাথে সুসংগত বজায় রাখতে পারে না, তাই তারা সামনের গাড়ি যতটা না ব্রেক কষবে পিছনের গাড়ি আরেকটু জোড়েই ব্রেক কষবে এবং এভাবে চলতেই থাকবে।
অবশেষে যে ঘটনাটা ঘটে তাকে ‘একর্ডিয়ন ইফেক্ট’ বলে। বলা যায় যদি গোল বা শেষ না হওয়া রাউন্ড কোন রাস্তা হয়, শুধু একটা গাড়ি স্লো করার কারনে নরকীয় ট্রাফিক জ্যামের অসীম চক্রে রুপান্তরিত হবে।
আরেকদিকে, স্ব-চালিত বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি গুলো তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করতে সক্ষম, সেগুলো তাদের নিজেদের মধ্যে কোওরডিনেশন বা সমন্বয় করে তথ্য প্রসেস করে দ্রুত সিস্টেমকে ফিডব্যাক দেয়, এর ফলে স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে এমন ট্রাফিক জ্যাম ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। দেখুন ভিডিও টা।
তথ্যসূত্র:
Leave a Reply