আপনার পাজামাটি পুড়িয়ে ফেলুন, ওভারসাইজড টিশার্টটিকে ছুড়ে ফেলে দিন। কারণ বিজ্ঞান বলছে, আমাদের জীবনে কিছুটা নগ্নতার দরকার রয়েছে, বিশেষ করে ঘুমানোর সময়!
জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ডিনিউজ (ডিসকভারি নিউজ) সবসময় বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করে। সম্প্রতি তারা নগ্ন হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা নিয়ে একটি শর্ট ভিডিও তৈরি করেছে। আর এই উপকারিতার পেছনে যুক্তি খুবই সরল। আমরা ভাল ঘুমাতে পারি যখন আমাদের বডি টেমপারেচার বা দেহের তাপমাত্রা কমে যায়। আর শরীরে যত কম কাপড় থাকবে শরীরের তাপমাত্রা তত কম থাকবে। শরীরের তাপমাত্রার খুব সামান্য বৃদ্ধি মস্তিষ্কের সেই সব এলাকার এক্টিভিটি বৃদ্ধি করতে পারে যে এলাকা স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর এর ফলে ঘুম হয়ে যায় ডিস্টার্বিং বা যন্ত্রণাদায়ক। গবেষণা দেখিয়েছে শরীরের মাত্র ০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধিতেই অনেক কিছু বদলে যায়।
পুরুষদের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নেমে গেলে তা স্পার্ম কাউন্ট (শুক্রাণুসংখ্যা) বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়, কারন স্পার্ম বা শুক্রাণু সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় কোর বডি টেম্পারেচারের চেয়ে একটু কম তাপমাত্রায়। নারীদের জন্য বাঁধাদানকারী পোশাক না পড়লে তা প্রাইভেট এরিয়াগুলোতে বাতাস চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে সেগুলোকে ঠাণ্ডা রাখতে পারে। এটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলো খুব সহজেই উষ্ণ এবং আর্দ্র এলাকায় আক্রমণ করে।
সঙ্গীর সাথে নগ্ন হয়ে ঘুমানোতেও কিছু বায়োকেমিকেল উপকারীতা আছে। গবেষণায় দেখা গেছে স্কিন টু স্কিন কনটাক্ট এর ফলে অক্সিটোসিন এর নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এই অক্সিটোসিনকে লাভ হরমোন বলা হয়ে থাকে যা আমাদের মুড বা মনোভাবের উন্নতিসাধন করে, আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে রক্ষা করে এবং ইমোশনাল ইন্টিমেসি বা আবেগীয় ঘনিষ্টতার অনুভূতিজে জাগিয়ে তোলে।
ডিনিউজের ভিডিওটি নিচে দেয়া হল। আগ্রহীগণ একবার দেখে নিতে পারেন।
Leave a Reply