একজন শঙ্কাপূর্ণ রোগীকে হাসপাতালে নিতে সাহায্য করল টেসলা অটোপাইলট কার

টেসলা মডেল এক্স

মিশৌরির স্প্রিংফিল্ডে অফিস হতে জশুয়া নিয়ালি একজন আইনজীবী। তিনি গাড়ি চালিয়ে বাসায় যাচ্ছেন। তিনি তার নতুন টেসলা মডেল এক্স যখন চালানো শুরু করেছিলেন তখন থেকেই বেশ ব্যথা অনুভব করছেন। ফলে তিনি গাড়ি ঠিকমতো চালাতে পারছেন না। চোখে অন্ধকার দেখছেন এবং সেই সাথে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। এমন যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা আগে কখনো হয়নি। নেইলি লোকাল KY3 news কে বলেন, “আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম, আমার স্ত্রীকে বললাম আমার কিছু একটা হচ্ছে, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল মনে হচ্ছে অক্সিজেন নিতে পারছি না।” তিনি আরো বলেছিলেন, তার শুধু মনে হয়েছিল তাকে হসপিটালে যেতে হবে।

তার আগের দিন নিয়েলি এই হাইটেক গাড়িটির গ্যাজেট গুলো চেক করে নিয়েছিল। সৌভাগ্যবশত তার দুই সপ্তাহ পুরানো গাড়িটিতে আধা-স্বয়ংক্রিয় স্বয়ংক্রিয়চালক বা অটোপাইলট ফিচারটি ছিল।

এখন প্রথম বিষয়টা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় বৈশিষ্ট্যের এই টেসলা মডেলগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় নয়, এর ভিতরে কোন ম্যাপ নেই যে গাড়িটি আপনাআপানি আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌছে দিতে পারবে। এটায় রাডার, ক্যামেরা, আল্টাসোনিক সেন্সর, এবং নেভিগেশন তথ্য এবং হাইওয়েতে স্পীড পরিবর্তন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো কোন ট্রাফিকে পড়লে প্রকৃত সময়েই নিয়ন্ত্রিত হয় বা সাড়া দেয়।

নিয়েলি অটো-পাইলট অপশনটা অন করে দিলেন এবং গাড়ি হাসপাতালের দিকে যেতে শুরু করল। গাড়ি হাইওয়ে ধরে যেতেই থাকল যতক্ষণ না পর্যন্ত গাড়ি হাইওয়ে থেকে নামলো এরপর নেইলি একটু ভাল বোধ হলো গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণ করলেন।

হাইওয়ে হতে নামার পর নিয়েলি নিজেই ড্রাইভ করে গাড়িটি নিয়ে গেলেন । তিনি গাড়িটিকে পার্ক করার নেভিগেটশন সামলাতে পেরেছেন। তার পরীক্ষানিক্ষার পর, ডাক্তার তাকে বললেন, তিনি পালমোনারি এমবলিজমে ভুগছেন। একটি একটি ব্লকেজ (রক্তের জমাট বাঁধা) যা ফুশফুশের রক্তপ্রবাহী নালীকে বন্ধ করে দেয়। এই ব্লকেজ গুলো সত্যি প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি করে, নিঃশ্বাসে দুর্বলতা ঘটায়, এবং সর্বোপরি বলা যায় এগুলো বেশ ঝুকিপূর্ণ।

অবশ্য ম্যাশাবল বলেছে, টেসলা অটোপাইলট কারে স্বয়ংক্রীয় ফিচার থাকলেও চালককে গাড়িটা চালাতে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে, যে অবস্থায় নিয়েলি ছিলেন না।

বলা যায়, এই গল্পটা টেসলা কারের অন্যান্য গল্পের তুলনায় ইতিবাচক। মে মাসে সেমি-অটোনোমাস Tesla S. চালাতে গিয়ে একজন মারা যান। তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে, দুর্ঘটনাটা ঘটেছিল কার কম্পিউটারটির ক্যামেরা ১৮ চাকার একটা সাদা ট্রাক ও আকাশের পার্থক্য বুঝতে ফেইল করার কারনে। অবশ্য এও বলা হয় যে চালকটি গাড়িটির ফিচারগুলো নিরাপদে ব্যবহার করেননি।

স্বয়ংক্রীয় বা অটোপাইলট কার আসার পরে অনেক নিত্য নতুন গল্প আসছে আমাদের সামনে। দেখা যাক, এই নতুন প্রযুক্তিটি আমাদের জনজীবনে কি ধরণের পরিবর্তন নিয়ে আসে আগামী দিনগুলোতে।

তথ্যসূত্র:

  1. https://www.tesla.com/en_GB/presskit/autopilot
  2. http://www.ky3.com/content/news/Self-driving-Tesla-SUV-saves-the-day-389392262.html
  3. http://mashable.com/2016/08/08/tesla-autopilot-hospital/#a9a8__5z2kqk
  4. http://www.iflscience.com/technology/the-first-death-involving-a-selfdriving-car-has-just-been-reported/
  5. https://www.theguardian.com/technology/2016/jul/01/tesla-driver-killed-autopilot-self-driving-car-harry-potter

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.