সম্প্রতি একটা গবেষণা অনুসারে,এই গ্রহের সবচেয়ে জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ(যার তালিকা তৈরী করতে আরো কিছু শতাব্দী লেগে যাবে)এবং রহস্যময় জায়গা হিসেবে আমাজান রেইনফরেস্টকে গণ্য করা হয়েছে।প্রায় ১৬,০০০ উদ্ভিত প্রজাতি থাকার ফলে এটিকে পৃথিবীর ফুসফুসও বলা হয়ে থাকে।এখানকার উদ্ভিত প্রজাতি আবিষ্কার হতে শত শত বছর লেগে গেছে এবং এখান থেকে অনেক মূল্যবান ঔষুধি উদ্ভিতেরও সন্ধান মিলেছে যা হাজার-হাজার বছর ধরে ব্যবহ্রত হয়ে আসছে।
আধুনিক বিজ্ঞান, ইতিমধ্যে, রেইনফরেস্টের প্রতিটি উদ্ভিদ প্রজাতিকে তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করার এবং সেগুলোর আবিষ্কার করার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছে। সারা বিশ্বের মিউজিয়ামের তথ্য সংগ্রহের পর সাম্প্রতিক গবেষণার এক প্রতিবেদনে গবেষকেরা জানিয়েছেন যে, উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম 1707 সালে দক্ষিণ আমেরিকান জঙ্গল হতে 530,025 টি সংগ্রহের একটি নমুনা গ্রহণ করেন,যার মধ্যে 11,676 টি বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে 1,225টি গণ এবং 140টি পরিবার ছিল।
তারা বলেন,এর মধ্যে অধিকাংশই বিংশ শতাব্দীতে মূলত 1920 এবং 1980 সালে অনুষ্ঠিত মেজর ফ্লোরাল প্রজেক্টের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে।যাইহোক, গত দুই দশকে আবিষ্কৃত নতুন প্রজাতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে কারণ আমাজানের গাছের প্রজাতিগুলোর কম করে হলেও এক মিলিয়নের মত পৃথক প্রজাতি আছে যা দিন দিন আবিষ্কার করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
যদিও প্রস্তাবিত মোট ১৬,০০০ প্রজাতির পরিসংখ্যানের চিত্র শুধুমাত্র একটি অনুমান,তবুও গবেষকেরা যুক্তিসংগতভাবে আত্মবিশ্বাসী যে, জমির প্লট প্রতি আবিষ্কৃত উদ্ভিদের সংখ্যা গণনার উপর ভিত্তি করে, তারা এই পরিসংখ্যান করেছেন সুতরাং তাদের এই অনুমান মোটামুটিভাবে নির্ভুল।
তারা দাবী করেছেন,প্রায় ৪৫০০ প্রজাতির মত গাছ এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে এবং নিরুপন করেছেন এইসব প্রজাতি অনুসন্ধানের জন্য প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন অনন্য সংগ্রহের প্রয়োজন হবে। সম্প্রীতি বার্ষিকভাবে প্রায় ১৩,৫০০ নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো প্রায় ৩০০ বছর পরে নির্ভরযোগ্যভাবে দাবী করতে পারবেন আমাজানের সর্বশেষ প্রজাতি তারা অনুসন্ধান করতে পেরেছেন।
যাইহোক,সাইন্টেফিক রির্পোটের এই জার্নালে প্রকাশক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে,যেভাবে গণহারে বন উজাড় প্রক্রিয়া চলছে তাতে করে দেখা যাবে যে, গাছের এই প্রজাতির তালিকা তৈরীর আগেই হয়তো কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।তাই তিনি আমাজানের এই জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সবার প্রতি আহ্ববান জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
Leave a Reply