আমরা সবসময় শুনি যে, স্মার্টফোন, টেলিভিশন, স্ট্রিট লাইট ইত্যাদি আমাদের নেচারাল স্লিপ প্যাটার্ন চেঞ্জ করছে আর আমাদের ধীরে ধীরে স্লিপলেস বা ঘুমবিহীন করে তুলছে। এই ডেপ্রিভেশনের সাথে মেন্টাল ইলনেস, ওবিসিটি ও ইনসমনিয়ার সম্পর্ক আছে। কিন্তু নতুন এক স্টাডিতে দেখা গেছে, আমাদের হান্টার-গ্যাদার সোসাইটির পূর্বপুরুষেরা এই স্মার্টফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার না করলেও আমাদের তুলনায় কম ঘুমাত।
আমাদের প্রায়ই বলা হয়, হেলদি লাইফস্টাইলের জন্য আমাদের সাত থেকে নয় ঘণ্টা ডেইলি ঘুমানো উচিৎ। অনেক সাইন্টিস্টই মনে করেন এই ব্যাপারটা একটা মডার্ন ফেনোমেনন। এভিডেন্সগুলো সাজেস্ট করে যে, অতীতে মানুষ দুই শিফটে ঘুমাত। প্রথম ঘুম হত সানসেটের দুই ঘণ্টা পর আর এই ঘুম হত ৪ ঘণ্টার জন্য। এরপর মানুষেরা উঠে শিকার, যৌনকর্ম ইত্যাদি করত আর এরপর আবার ঘুমাতে চলে যেত আর আরও কয়েক ঘণ্টা ঘুমাত। এটা ছিল তাদের স্ট্যান্ডার্ড প্রেকটিস।
ভাবা হত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোল্যুশন আমাদের টানা ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর নর্মে আনতে বাধ্য করেছে। কিন্তু রিসার্চারদের একটা টিম আরও বেশি অতীতে চলে গেছেন। তারা বের করতে চেষ্টা করেছেন, আমাদের হান্টার গ্যাদারার এনসেস্টররা দিনে কতক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ পেত। এটার জন্য তারা বর্তমানে থাকা কয়েকটি হান্টার গ্যাদারার সোসাইতির ৩ টির মোট ৯৮ জন মানুষের স্লিপ প্যাটার্ন নিয়ে স্টাডি করেছেন। এরা হল the Hadza of Tanzania, the San of Namibia, and the Tsimane of Bolivia. আর তারা যেটা খুঁজে পেল সেটা তাদের যথেষ্ট অবাক করে দিয়েছে। এভারেজে প্রত্যেক কমিউনিটির মানুষই দিনে একবারেই গড়ে সাড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমায়। এই নতুন আবিষ্কারতি মডার্ন ওয়ার্ল্ডে ঘুম কমে গেছে এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে।
গবেষণাটি Current Biology জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এর কো-অথর Jerome Siegel বলেছেন, “The short sleep in these populations challenges the belief that sleep has been greatly reduced in the ‘modern world’. This has important implications for the idea that we need to take sleeping pills because sleep has been reduced from its ‘natural level’ by the widespread use of electricity, TV, the Internet, and so on”.
তারা আরও খুঁজে পেয়েছেন, এইসব সোসাইটিতে ঘুম লাইটের উপর নির্ভর করে না, এদের অনেকেই অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। গড়ে এই গ্রুপগুলোর মেম্বারেরা সানসেটের ৩.৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যায় কোন ধরণের আলো বা আগুন না থাকার পরও। কিন্তু টেম্পারেচারের উপর এদের স্লিপ প্যাটার্ন নির্ভর করে। দেখা গেছে, এরা সবাই রাতের সবচেয়ে শীতের সময় ঘুমিয়ে কাটায়।
ফ্যাক্ট হল, এই হান্টার গ্যাদার সোসাইটি আমাদের হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকে এবং তাদের জেনেটিক্স, হিস্টোরি ও এনভায়রনমেন্টও আমাদের থেকে ভিন্ন। আমাদের সাথে তবুও এদের স্লিপ প্যাটার্নে কিছু মিল পাওয়া গেছে, কিন্তু সম্ভবত সেগুলো আমাদের এনসেস্টরেরও বৈশিষ্ট্য ছিল। রিসার্চারগণ দেখেছেন, হান্টার গ্যাদারাররা টায়ার্ড ফিল করে এমন কোন রিপোর্ট পাওয়া যায় নি। এছাড়া এদের দুটো গ্রুপে ইনসমনিয়া বলে কোন ব্যাপারও নেই। এই গবেষণা সাজেস্ট করে, হয়তো এই কমিউনিটিগুলোর স্লিপ প্যাটার্নের বিভিন্ন এসপেক্ট মিমিকিং করে আমাদের স্লিপ ডিজর্ডারের সমাধান পাওয়া যাবে।
http://www.cell.com/current-biology/abstract/S0960-9822(15)01157-4
Leave a Reply