Table of Contents
ভূমিকা
গত মঙ্গলবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ (Israel Katz) ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ (IDF) দক্ষিণ সিরিয়ায় একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটিকে “শান্ত” (pacify) করার উদ্দেশ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে এবং ইসরায়েল কোনোভাবেই চায় না যে দক্ষিণ সিরিয়া দক্ষিণ লেবাননের (Lebanon) মতো হয়ে উঠুক। এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেওয়া হলো যখন মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) দাবি করেছিলেন যে, দক্ষিণ সিরিয়া অবশ্যই নিরস্ত্রীকরণ (demilitarisation) করতে হবে। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, সিরিয়ার ড্রুজ (Druze) সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেওয়ার স্বার্থেই এমনটি করতে হবে।
তবে এই প্রস্তাবকে সিরিয়ার নতুন সরকার সরাসরি “অগ্রহণযোগ্য এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের (sovereignty) লঙ্ঘন” হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর ফলে প্রকৃতপক্ষে উত্তেজনা বেড়ে গিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আকাশ ও স্থলপথে একযোগে হামলা শুরু করে। এতে বোঝা যায় যে ইসরায়েল-সিরিয়া দ্বন্দ্বের ইতিহাসে সম্ভবত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হলো।
এই লেখায় ইসরায়েল-সিরিয়া সম্পর্কের ইতিহাস, সাম্প্রতিক এই সংঘাতের প্রেক্ষাপট এবং পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে পারে তা বিশদভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ইসরায়েল-সিরিয়া সম্পর্ক
ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের অবনতির ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধ (Six Day War) ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। সেই যুদ্ধে ইসরায়েল মূলত আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোটকে পরাজিত করে। সেই সময়ে সিরিয়ার গোলান হাইটস (Golan Heights) এলাকাটি ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। এই গোলান হাইটস হচ্ছে সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি উঁচু মালভূমি। আর এটি বিবেচিত হয়ে আসছে ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে সিরীয় বাহিনী গোলান হাইটস এলাকা ব্যবহার করে হুলা ভ্যালি (Hula Valley) অঞ্চলে ইসরায়েলি গ্রামগুলোতে গোলাবর্ষণ করে। ইসরায়েলি ভাষ্য অনুযায়ী, যদি তারা গোলান হাইটস দখলে না রাখত, তবে পরবর্তীতে আবারও আর্টিলারি হামলার ঝুঁকি থেকে যেত। গোলান হাইটস উচ্চ মালভূমি হওয়ায় সেখানে অবস্থানরত যে কেউ নিচু এলাকায় অবস্থানকারীকে সহজেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। তাছাড়া এর উত্তরে রয়েছে মাউন্ট হারমোন, যা মূলত অ্যান্টি-লেবানন (anti-Lebanon) পর্বতমালার শেষাংশ। এই পর্বতমালাটি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক (Damascus) শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
ইসরায়েল গোলান হাইটস দখল রাখে এবং ১৯৭৩ সালের ইয়ম কিপুর যুদ্ধ (Yom Kippur War) পর্যন্ত সেখানে তাদের অবস্থান অটুট থাকে। ওই যুদ্ধে সিরিয়া ও মিশর সমন্বিতভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল। যুদ্ধের শুরুতে সিরিয়া গোলান হাইটসে কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করলেও পরবর্তীতে ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং আগের চাইতেও বেশি এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। অবশেষে জাতিসংঘের (UN) মধ্যস্থতায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ১৯৭৪ সালে একটি ডিসেঙ্গেজমেন্ট চুক্তি (Agreement on Disengagement)” স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল গোলান হাইটসের কিছু অংশ থেকে সরে আসে, আর ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলের সঙ্গে সিরিয়ার মূল ভূখণ্ডের মাঝে সৃষ্টি করা হয় একটি ক্ষুদ্র নিরস্ত্র বাফার জোন (buffer zone)। এই বাফার জোন বেশিরভাগ জায়গায় ১ কিলোমিটারের কম প্রশস্ত, আর এটি থাকে জাতিসংঘের অধীনে “আনডোফ (UNDOF)” নামে পরিচিত শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
পরে ১৯৮১ সালে ইসরায়েল একতরফাভাবে গোলান হাইটসকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে (বিশেষ করে জাতিসংঘে) এটিকে অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। এখন পর্যন্ত কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত ছিল, যেখানে ইসরায়েল গোলান হাইটসের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে রেখেছে, মাঝে ক্ষুদ্র একটি বাফার জোন, আর বাকিটা সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি: নতুন সিরীয় সরকার ও ইসরায়েলি উদ্বেগ
গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের (Bashar al-Assad) সরকার পতনের পর থেকে সিরিয়ায় বড় ধরনের রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে। ঐ ঘটনার অব্যবহিত পরে, ইসরায়েল সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালায়, যেগুলোতে সিরিয়ার বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রায় সব সক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায় বলে জানা যায়। পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত বাফার জোন এবং মাউন্ট হারমোন এলাকায় অগ্রসর হয়। ইসরায়েলি সরকারের যুক্তি ছিল, ১৯৭৪ সালের ডিসেঙ্গেজমেন্ট চুক্তি কার্যত “ভয়েড” (void) হয়ে গেছে। কারণ সিরিয়ার পূর্ববর্তী সরকারই আর নেই। তবে জাতিসংঘ তাদের এই দাবিকে মেনে নেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নতুন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল শাররা (Ahmed Al Sharra) বেশ সংযত আচরণ করে আসছিলেন। অনেকেই আশঙ্কা করতেন যে, আল কায়েদা (Al Qaeda) সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাথে অতীত সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে তিনি হয়তো অত্যন্ত কট্টর ইসরায়েলবিরোধী হবেন। কেননা তার “নম দে গের” (nom de guerre) বা যুদ্ধে ব্যবহৃত ছদ্মনামটি এমনই ছিল, যা গোলান হাইটসের সাথে সম্পর্কিত এক পরিচয়ও বহন করত। কিন্তু ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে শাররা বরং ইসরায়েলকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে গেছেন। তিনি বারবার বলেছেন, সিরিয়া ১৯৭৪ সালের চুক্তি মেনে চলবে এবং ইরান-সমর্থিত হেজবোল্লাহ সহ অন্যান্য গোষ্ঠীকে সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তবুও ইসরায়েলি সরকারের আশঙ্কা যে পুরোপুরি দূর হয়নি, তা স্পষ্ট হয়েছে সম্প্রতি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষণা থেকে। সপ্তাহান্তে নেতানিয়াহু দাবি করেন, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল—কুনেইত্রা (Qunitra), দারাআ (Daraa) ও সুইদা (Suwayda)—এই তিনটি প্রদেশ থেকে সিরিয়ান সামরিক বাহিনীকে সরে যেতে হবে। তার যুক্তি, ড্রুজ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতেই এমন পদক্ষেপ জরুরি।
কিন্তু সিরিয়ার নবগঠিত সরকার এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। কারণ তাদের মতে, এটি সিরিয়ার আভ্যন্তরীণ ভূখণ্ডে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের স্পষ্ট প্রয়াস। নেতানিয়াহুর কথাকে তারা “সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত অস্থির হতে শুরু করে।
মঙ্গলবার আহমেদ আল শাররা (Ahmed Al Sharra) “জাতীয় সংলাপ সম্মেলন” (national dialogue conference) আয়োজন করেন। সেখানে সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ৬০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ড্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। এই সম্মেলনে সিরিয়ার অখণ্ডতা, ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর উসকানিমূলক বক্তব্যের কঠোর প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করে একটি বিবৃতি গৃহীত হয়।
কিছু বিশ্লেষকের মতে, এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থানই ইসরায়েলকে আরেক দফা আক্রমণ চালানোর প্ররোচনা দিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা ও মাউন্ট হারমোনের আশপাশের বিভিন্ন শহরে স্থল অভিযান চালায়। বুধবার সকালে আসা প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেশ কিছু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
ড্রুজ সম্প্রদায়ের ভূমিকা ও ইসরায়েলি যুক্তি
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে, তারা ড্রুজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, ড্রুজদের সুরক্ষা দিতেই দক্ষিণ সিরিয়া থেকে সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার করা দরকার। তবে বাস্তবে ড্রুজ সম্প্রদায়ের ভেতরে এমন কোনো জোরালো আহ্বান বা আন্দোলন দেখা যায়নি যাতে তারা ইসরায়েলি সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা করে। বরং “সুইদা মিলিটারি কাউন্সিল” (Sweida Military Council) নামে ড্রুজ সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক গঠিত একটি জোট জানিয়েছে যে, তারা নতুন সিরীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সেনাবাহিনীতে (national army) যোগ দিতে প্রস্তুত।
সুতরাং ড্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার যুক্তি অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইসরায়েলের আসল লক্ষ্য হলো সিরিয়ার অভ্যন্তরে আরও এলাকা দখল করা বা অন্তত নতুন সিরীয় সরকারকে অস্থিতিশীল করে রাখা, যাতে ইসরায়েল গোলান হাইটসসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে পারে।
সিরিয়ার প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ
ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানের মুখে রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল শাররার জন্য সামনে এক জটিল দোদুল্যমান অবস্থা তৈরি হয়েছে। তার নতুন সরকার এখনও যুদ্ধের জন্য তেমন প্রস্তুত নয়, আর এই সেনাবাহিনী যথেষ্ট সুসংগঠিতও নয়। এখন যদি তিনি সরাসরি সামরিকভাবে জবাব দেন, তবে এই অবস্থাতেই তাকে শক্তিশালী আইডিএফের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। অন্যদিকে, যদি তিনি চুপ করে থাকেন, তাহলে দেশের অভ্যন্তরে তার নেতৃত্বের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি অগ্রযাত্রায় সিরিয়ার নানা স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে তাকে তুরস্কের দিকে ঝুঁকতে দেখা যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, ইদলিব (Idlib) প্রদেশে যখন আহমেদ আল শাররার নেতৃত্বে আল কায়েদা-সম্পৃক্ত গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় ছিল, তখন তুরস্কই ছিল তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। কিন্তু সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে শাররা যথাসম্ভব চেয়েছেন এই “তুর্কি-নির্ভরতাকে” কমিয়ে আনতে, যাতে সিরিয়ার জনগণ তাকে কোনো বাহ্যিক শক্তির দালাল বলে মনে না করে।
কিন্তু ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ যখন তাদের দ্বারা আরও বেশি সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখন শাররার সামনে বিকল্প কমই। দেশটির স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি তুরস্কের সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা নিতেই পারেন। এটি শাররার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঠিকই, যেহেতু এতে তিনি তুরস্কের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু তারপরও তাৎক্ষণিকভাবে সিরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি এই পথ বেছে নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন। অন্যদিকে, আঙ্কারা (Ankara) যদি সিরিয়াকে সরাসরি সাহায্য করতে এগিয়ে আসে, তবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ আরও জটিল হয়ে উঠবে। কেননা, এর ফলে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ সংঘাতের সম্ভাবনাও থেকে যায়, যদিও তা কেউই চাইবে না।
এছাড়া সিরিয়ার অন্যান্য আঞ্চলিক মিত্রদের দিকেও শাররা নজর দিতে পারেন। পূর্বে ইরান ও রাশিয়া বাশার আল-আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছিল। কিন্তু আল-আসাদের পতনের পর, তাদের অবস্থান কী হবে সেটি এখনো সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়। নতুন সিরীয় সরকার তাদের “জিহাদি” ইমেজ ঘোচাতে ও দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্য পুনর্গঠনে ব্যস্ত। এর ফলে হেজবোল্লাহ বা ইরানি মিলিশিয়ার মতো আগে যে সব বাহিনী সিরিয়ায় সক্রিয় ছিল তাদেরকে এখন আর সরকার সমর্থন দেবে না বলেই শোনা যাচ্ছে। তাই ইসরায়েলের হামলার ফলে যদি পরিস্থিতি আরো অবনতি দিকে যায়, সিরিয়া হয়তো আন্তর্জাতিক মহলকে এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানাতে পারে।
Leave a Reply