Table of Contents
আজকের সংবাদগুলো
- শুল্কযুদ্ধের সূচনা করলেন ট্রাম্প
- যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের দ্বারা ইউএসএইড (USAID) বন্ধের সম্ভাবনা?
- ইইউর প্রতিরক্ষা বৈঠক ও সম্ভাব্য খরচ বৃদ্ধি
- বেলজিয়ামে নতুন সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীর রদবদল
শুল্কযুদ্ধের সূচনা করলেন ট্রাম্প
উত্তর আমেরিকা ও চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণা: সপ্তাহান্তে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি কানাডা (Canada), মেক্সিকো (Mexico) ও চীনের (China) ওপর নতুন বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করছেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) পণ্য আমদানিতেও শুল্ক বসানো “অবশ্যম্ভাবী” (Definitely Happen)।
- কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক: আগামী মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি (অর্থাৎ ঘোষণার দুদিন পর) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া কানাডা ও মেক্সিকোর সব পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
- চীনের ওপর শুল্ক: একইসঙ্গে চীনা পণ্যে ১০% শুল্ক আরোপ করা হবে।
কবে থেকে ইইউর ওপর এই শুল্ক কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রবিবার ট্রাম্প বলেছেন, সেটিও “খুব শিগগির” (Pretty Soon) ঘটবে।
পাল্টা ব্যবস্থা (Retaliatory Measures):
- কানাডা: ইতিমধ্যে ১০৬.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের আমেরিকান পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
- মেক্সিকো: মেক্সিকোও জানিয়েছে, তারা আমেরিকান পণ্যে ২৫% শুল্ক আরোপ করবে।
- চীন: চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে “বিবেচনা করছে” বলে জানা গেছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের (Biden Administration) সময় থেকেই চীনের ওপর এক সেট মার্কিন শুল্ক বহাল ছিল এবং ট্রাম্প তার ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় বারবার চীনা পণ্যে গুরুতর শুল্ক বসানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। ফলে ব্যবসায়ীরা এই ঘোষণায় ততটা হতবাক হয়নি।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (EU) ঘিরে ট্রাম্পের পরিকল্পনা: ট্রাম্প বলেছেন, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ভারসাম্য (Trade Deficit) যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে—গত বছর ইইউর সঙ্গে ২১৩ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি মার্কিন অর্থনীতির জন্য “বিশাল ক্ষতি” (Atrocity) বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি ইইউর ফার্মাসিউটিক্যালস (Pharmaceuticals), গাড়ি (Cars) ও নানা ধরনের যন্ত্রপাতির (Machinery) ওপর শুল্ক বসাতে চান, যাতে শুল্কের মাধ্যমে এই ঘাটতি বা ভারসাম্য সমন্বয় করা যায়। ইইউ বলছে, তারা সম্মিলিতভাবে (Act as a Collective) এই শুল্কের জবাব দেবে। যদি ট্রাম্প বাস্তবেই শুল্ক বসান, ইইউ সম্ভাব্য পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে কঠোর জবাব দেবে।
যুক্তরাজ্য (UK) কি শুল্ক এড়াতে পারবে?: অনেকে মনে করছেন, যুক্তরাজ্য হয়তো এই যুদ্ধ থেকে অল্প স্বস্তি পেতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের হিসেবে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের “১৫ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত” (Trade Surplus) আছে। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যকে কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হতে পারে। যদিও যুক্তরাজ্যের নিজস্ব তথ্য এ হিসাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবু, ট্রাম্প জানিয়েছেন, “যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য পরিস্থিতি সমাধানযোগ্য” (Can be Worked Out)।
আরও পড়ুন –
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের তার প্রথম আক্রমণাত্মক শুল্ক হুমকি বাস্তবায়ন: কলম্বিয়া-যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কবিরোধ ও অন্যান্য (সংক্ষিপ্ত) (২৭ জানুয়ারি, ২০২৫)
- কেন ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রেগুলেটরি যুদ্ধ শুরু করতে চলেছেন? (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫)
- ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক ও যুক্তরাজ্যের যুক্তরাষ্ট্র বনাম ইইউ দোটানা (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫)
- যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধ কি চীনের অর্থনীতির উপকারে আসতে পারে? (২২ জানুয়ারি, ২০২৫)
- ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে চীনের দুশ্চিন্তা ও নতুন বাস্তবতা (সংক্ষিপ্ত) (২২ জানুয়ারি, ২০২৫)
- ২০২৫ সালে ট্রাম্প অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কী কী করতে যাচ্ছেন? (৩ জানুয়ারি, ২০২৫)
সূত্র
- https://www.bbc.co.uk/news/live/cqjvg82lg4yt
- https://www.euronews.com/2025/02/03/trump-takes-aim-at-eu-and-uk-in-latest-tariff-threat
- https://www.ft.com/content/628f137c-f950-4731-8764-ba1fed2e4a9e
যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের দ্বারা ইউএসএইড (USAID) বন্ধের সম্ভাবনা?
যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি আলোচিত বিষয় হলো, ইলন মাস্ক (Elon Musk)—যিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে “ডিপার্টমেন্ট ফর গভার্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি” (Department for Government Efficiency) বা সংক্ষেপে DOGE-এর প্রধান হিসাবে নিয়োজিত—ইউএসএইড (USAID) বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
- ইউএসএইড (USAID): এটির মূল কাজ হলো বেসামরিক বিদেশি সাহায্য (Civilian Foreign Aid) ও উন্নয়ন সহায়তা (Development Assistance) প্রদান করা। ২০২৪ অর্থবছরে (Fiscal Year) সংস্থাটি প্রায় ৫২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ পেয়েছে, যা সারা বিশ্বজুড়ে নারীস্বাস্থ্য (Women’s Health), বিশুদ্ধ জল (Clean Water), এইচআইভি/এইডস (HIV/AIDS) চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা (Energy Security), দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম (Anti-Corruption) ইত্যাদি খাতে ব্যয় হয়েছে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের (United Nations) আওতায় পরিচালিত সব মানবিক সাহায্যের ৪২%-ই ইউএসএইড দিয়েছে।
কেন বন্ধের প্রস্তাব?:
- ইলন মাস্কের মন্তব্য: সম্প্রতি এক্স স্পেসেস (X Spaces)-এর লাইভ সেশনে মাস্ক বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইউএসএইড বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন, এবং ট্রাম্প এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন যে “এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত” (Shut it Down)। মাস্কের ভাষায়, এটি “একটি আপেলের মধ্যে পোকা” নয়, বরং “কেবল পোকায় পূর্ণ একটি বল (Ball of Worms)”—মতোই বিগড়ে গেছে।
- নিরাপত্তা বিশ্লেষণ ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব: মাস্ক USAID-এর দুইজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে (Security Chiefs) সাময়িক বরখাস্ত (On Leave) করেছেন, কারণ তারা মাস্কের সরকারি পরিদর্শন দলের (Government Inspection Teams) কাছে গোপন নথি (Classified Material) দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাদের প্রবেশাধিকার (Access) দেওয়া হয়।
- সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ: সংবাদ প্রকাশের পর, মাস্ক টুইট (X) করে লেখেন, “ইউএসএইড একটি অপরাধী সংগঠন (Criminal Organization)। এখন একে শেষ করার সময় (Time for it to die)।”
ইউএসএআইডি বিশ্বব্যাপী মানবিক (humanitarian), স্বাস্থ্য (health), এবং উন্নয়নমূলক (development) কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউক্রেন (Ukraine) এ মানবিক সহায়তা, সাব-সাহারান (sub-Saharan) আফ্রিকা (Africa) তে স্বাস্থ্য উদ্যোগ, এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। সমালোচকরা দাবি করেন যে, ট্রাম্পের যুক্তি অনুযায়ী তিনি সাংবিধানিক (Constitutional) ক্ষমতার অভাবের কারণে একতরফা ইউএসএআইডি বন্ধ করতে পারবেন না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “প্রতারণা (fraud) বিষয়ক ক্ষেত্রে তাকে সম্মতির প্রয়োজন নেই।” এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক সহায়তার অনেক প্রকল্প এবং বিদেশী উন্নয়ন কর্মসূচি স্থবির হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে, অনেক দেশ যেখানে ইউএসএআইডি-র অর্থনৈতিক সহায়তা সামগ্রিক জাতীয় জিডিপির (GDP) উল্লেখযোগ্য অংশ, সেখানে এর অভাব ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিন সুদান (South Sudan) এর জিডিপির প্রায় ৭% এবং সোমালিয়া (Somalia) এর ৯% ইউএস সহায়তার উপর নির্ভরশীল।
- কেনিয়ায় (Kenya) ইউএস সহায়তা প্রায় ৩০,০০০ স্বাস্থ্যকর্মী (health workers) কে সমর্থন করে।
এই অবস্থায়, ইউএসএআইডি বন্ধ হয়ে গেলে তা কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক (geopolitical) ক্ষেত্রে আমেরিকার সফট পাওয়ার বা নরম ক্ষমতাকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ইউএসএআইডি বন্ধের ফলে চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব আরও প্রসারিত হতে পারে, যা ইতিমধ্যেই আফ্রিকা (Africa) ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তার করেছে।
সূত্র
- https://www.ft.com/content/27ba0a6a-0d9b-4e08-8329-730b581c0481
- https://apnews.com/article/doge-musk-trump-classified-information-usaid-security-35101dee28a766e0d9705e0d47958611
ইইউর প্রতিরক্ষা বৈঠক ও সম্ভাব্য খরচ বৃদ্ধি
এদিকে ৩ ফেব্রুয়ারি-তে ইউরোপীয় নেতারা ব্রাসেলসে জড়ো হয়েছেন। উদ্দেশ্য হলো, একত্রে প্রতিরক্ষা কৌশল (Common Strategy) তৈরি করা এবং এর অর্থায়ন (Financing) কীভাবে হবে, সেটি ঠিক করা।
ইইউকে (EU) আগামী কয়েক দশকে ৫০০ বিলিয়ন ইউরো প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে—এমনটাই আভাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নানা মতবিরোধ রয়ে গেছে—কোন ধরনের সরঞ্জাম (Equipment) কোথা থেকে কেনা হবে, কিভাবে এত বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা হবে ইত্যাদি নিয়ে এখনো সুস্পষ্ট ঐকমত্য নেই।
বৈঠকের লক্ষ্য ও উপস্থিতি:
- এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো একটি প্রাথমিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখান থেকে ইউরোপের নেতা ও সরকারপ্রধানরা আলোচনার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন।
- বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ন্যাটো (NATO) প্রধান মার্ক রুটা (Mark Rutte) এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (Keir Starmer)।
- প্রস্তাবিত ৫০০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ ইউরোপের প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে এক দশকের মধ্যে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে। তুলনা করে বলা হয়, ২০২১-২০২৭ সালের ইইউ বাজেটে (EU Budget) প্রতিরক্ষা খাতে মাত্র ৮ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ ছিল।
ট্রাম্পের ৫% লক্ষ্য: এই আলোচনাকে আরও জরুরি করে তুলেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য যে, ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের তাদের জিডিপির (GDP) ৫% প্রতিরক্ষায় ব্যয় করতে হবে—যা বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের (US) তুলনায়ও বেশি। কিছু দেশ ট্রাম্পের এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে, অন্যরা একে অবাস্তব বা অত্যধিক উচ্চ বলে মনে করছে।
ইউরোপ আসলেই তাদের জিডিপির ৫% প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে পারবে কিনা সেই সংক্রান্ত বিশ্লেষণের জানতে এখানে যান – ইউরোপ কি আসলে জিডিপির ৫% প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে পারবে? (১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)
সূত্র
বেলজিয়ামে নতুন সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীর রদবদল
প্রায় আট মাস ধরে চলা দরকষাকষির পর, বেলজিয়ামের পাঁচটি দল এক হয়ে একটি নতুন জোট সরকার (Coalition Government) গঠনে সম্মত হয়েছে। এর ফলে ফ্লেমিশ ন্যাশনালিস্ট রাজনীতিক বার্ট ডে ওয়েভা (Bart De Weva) দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন।
আরিজোনা কোয়ালিশন (Arizona Coalition): এই জোটকে “আরিজোনা কোয়ালিশন” বলা হচ্ছে, কারণ এর শরিক দলগুলোর রং যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা রাজ্যের পতাকার রঙের সঙ্গে মিল রয়েছে। এই জোটে আছেন—
- বার্ট ডে ওয়েভার নিউ ফ্লেমিশ অ্যালায়েন্স (New Flemish Alliance – NVA), যা রক্ষণশীল ও ফ্লেমিশ জাতীয়তাবাদী (Flemish Nationalist)।
- ফ্লেমিশ ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস (Flemish Christian Democrats)
- বামমুখী বা মধ্য-বাম ওরিয়েন্টেড Verraut
- ফ্রাঙ্কোফোন দলগুলোর মধ্যে Centre Right Reformist Movement
- মধ্যপন্থী Les en Gage
সমঝোতা প্রক্রিয়াটি বারবার বাজেট বিষয়ক বিরোধে (Budget Disputes) আটকে গিয়েছিল। শেষমেশ বেলজিয়ামের রাজা (Belgian King) ডে ওয়েভাকে জানিয়ে দেন, জানুয়ারির শেষ নাগাদ সরকার না গড়তে পারলে নতুন নির্বাচন হবে।
ডে ওয়েভার প্রধানমন্ত্রিত্ব ও গুরুত্ব: আগে তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে তিনি আগ্রহী নন, বরং অ্যান্টওয়ার্প (Antwerp)-এর মেয়র (Mayor) হিসেবে থাকতে পছন্দ করেন। তিনি ফ্লেমিশ ন্যাশনালিস্ট দলের প্রথম নেতা, যিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী হবেন। অথচ তিনিই একসময় বলেছিলেন, “বেলজিয়ামের ভবিষ্যৎ নেই”। যদিও এনভিএ (NVA) ফ্ল্যান্ডার্সের (Flanders) স্বাধীনতার পক্ষে (বেলজিয়াম থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে), এই বহুদলীয় জোট সরকারে সেটি অগ্রাধিকার পাবে বলে মনে হয় না। ডে ওয়েভা প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU Council) পর্ষদে ইউরোপীয় কনজারভেটিভস অ্যান্ড রিফর্মিস্টস (ECR) দলের অবস্থান শক্ত হবে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি (Giorgia Meloni) এই দলকেই প্রতিনিধিত্ব করেন।
সূত্র
- https://www.brusselstimes.com/1310698/belgiums-next-prime-minister-who-is-bart-de-wever
- https://www.politico.eu/article/belgium-gets-new-government-with-flemish-separatist-bart-de-wever-as-pm/
- https://www.ft.com/content/31a870c8-4e5b-4d40-9a71-d25284426165
Leave a Reply