কেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি দেশটিতে একটি ‘সিলিকন ভ্যালি’ গড়তে চায়?

ভূমিকা

বুধবার, যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর র‍্যাচেল রিভস (Rachel Reeves) অক্সফোর্ডশায়ার (Oxfordshire)-এ এক সংবাদ সম্মেলনে একগুচ্ছ নতুন অবকাঠামো পরিকল্পনার (Infrastructure Plans) কথা ঘোষণা করেন। এতে প্রধান যে প্রকল্পটির কথা উঠে আসে, তা হলো অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ আর্ক (Oxford Cambridge Arc) তৈরি করা—মধ্য ইংল্যান্ড বা মিডল্যান্ডসে এমন একটি উদ্ভাবন ও উৎপাদন কেন্দ্র (Hub of Innovation and Manufacturing) গড়ে তোলা, যা অক্সফোর্ড থেকে কেমব্রিজ পর্যন্ত মিল্টন কেইনস (Milton Keynes) হয়ে বেঁকে গিয়ে লন্ডন (London) থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার পথ। রিভসের ভাষ্য অনুসারে, এ অঞ্চলটি হতে পারে ইউরোপের “সিলিকন ভ্যালি”।

এ ছাড়া তিনি জাতীয় সম্পদ তহবিল (National Wealth Fund) থেকে দুইটি সবুজ জ্বালানি প্রকল্পে (Green Energy Projects) বিনিয়োগ, নয়টি নতুন জলাধার (Reservoirs) নির্মাণ, লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে (Heathrow Airport) তৃতীয় রানওয়ে (Runway) তৈরির প্রতিশ্রুতি, এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়াম (Old Trafford Stadium) ও এর আশপাশের এলাকাকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনার কথাও জানান। তবে এই প্রতিবেদনে মূলত লেবারের যুক্তরাজ্যের সিলিকন ভ্যালি গড়ার পরিকল্পনাতেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে, আর দেখা হবে কেন তারা এটা করতে চাইছে, এবং সত্যিই কি এটি কার্যকর হতে পারে।

অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ আর্ক কী: যুক্তরাজ্যের সিলিকন ভ্যালি?

অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ আর্ক বা ইউকের সিলিকন ভ্যালির ধারণাটি প্রথম আসে ২০১৬ সালের মার্চে। কনজারভেটিভ (Conservative) সরকার তখন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কমিশন (National Infrastructure Commission) কে অনুরোধ করে, কীভাবে ক্যামব্রিজ-মিল্টন কেইনস-অক্সফোর্ড করিডোর (Cambridge-Milton Keynes-Oxford Corridor) গড়ে তুললে এ অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান, বসতি ও শহর তৈরি করা সম্ভব, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য।

এরপর থেকে ধারাবাহিক কনজারভেটিভ সরকারগুলো এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছিল, বিশেষ করে বরিস জনসন (Boris Johnson) প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় এটি “লেভেলিং আপ” (Levelling Up) এজেন্ডার সঙ্গে যুক্ত থেকে সমর্থন পায়। কিন্তু বর্তমান লেবার সরকার (Labour Government) এখন এই পরিকল্পনাকে আবার এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। র‍্যাচেল রিভস বুধবার বলেছেন, অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ বেল্টের (Oxford Cambridge Belt) রয়েছে যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির (Growth Prospects) বিশাল সুযোগ—কারণ এখানে রয়েছে দুটি বিশ্ব-মানের বিশ্ববিদ্যালয় (World Class Universities), শক্তিশালী উৎপাদনখাত (Manufacturing Bases), এবং উন্নয়নযোগ্য ব্রাউনফিল্ড (Brownfield Land) এলাকা যা নতুন শহরে রূপ দেওয়া সম্ভব।

তবে রিভসের মতে, এখানে সরবরাহ-পক্ষীয় (Supply Side) বেশকিছু বাধা রয়ে গেছে। প্রধান দু’টি সমস্যা হলো—
১. দ্রুত রেল যোগাযোগের (Fast Rail Transport) অভাব
২. সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের (Affordable Housing) অভাব

কাজেই এই বাধাগুলো অতিক্রম করাই জরুরি।

পরিবহন (Transport) সমস্যা: সরাসরি রেল সংযোগের অভাব

অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ১০৬ কিলোমিটার, কিন্তু বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো সরাসরি রেল সংযোগ নেই। পুরোনো ভারসিটি লাইন (Varsity Line), যা আংশিকভাবে এই বছরে আবার চালু হওয়ার কথা, ১৯৬৭ সালেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন যদি আপনি ট্রেনে অক্সফোর্ড থেকে কেমব্রিজ যেতে চান, আপনাকে প্রথমে লন্ডনে ঢুকতে হবে, তারপর অন্য স্টেশনে যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে আরেকটি ট্রেন নিয়ে কেমব্রিজ পৌঁছাতে হবে।

সুতরাং, পরিস্থিতি বদলাতে লেবার নিশ্চিত করছে যে, এই বছর থেকেই নতুন সার্ভিসে অর্থায়ন শুরু হবে নির্মাণাধীন ইস্ট-ওয়েস্ট রেল লাইনে (East West Rail Line), পাশাপাশি মিল্টন কেইনস থেকে কেমব্রিজ পর্যন্ত এ-৪২৮ (A428) সড়ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন (Affordable Housing): বৃহত্তর সংকট

আরেকটি বড় বাধা হলো সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব। সেন্টার ফর সিটিজ (Centre for Cities) নামের থিঙ্ক ট্যাংক ২০২৫ সালের সিটিজ আউটলুক রিপোর্টে (2025 Cities Outlook Report) জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে লন্ডন বাদে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হলো অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ—যেখানে গড়ে বাড়ির মূল্য যথাক্রমে ৫৭১,৩০০ পাউন্ড ও ৫৬৪,৩০০ পাউন্ড।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আবাসনের ‘অবাধ প্রবেশযোগ্যতা বা অনুপাত (Housing Affordability Ratio – HAR)’ অক্সফোর্ডে সবচেয়ে খাড়া (Steepest) হারে পৌঁছেছে, কেমব্রিজ তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে। তবে উল্লেখযোগ্য হলো, গত এক দশকে কেমব্রিজে গৃহায়নের (Housing) সামান্য উন্নতি ঘটেছে, ফলে সেখানে আবাসন তুলনামূলকভাবে কিছুটা সাশ্রয়ী হয়েছে।

  • ২০১৪ সালে অক্সফোর্ডে HAR ছিল ১৭ (অর্থাৎ বাড়ির দাম, গড় আয় বা মজুরির তুলনায় ১৭ গুণ), যা ২০২৫ সালে সামান্য কমে ১৬ হয়েছে।
  • একই সময়ে কেমব্রিজের HAR ১৪ থেকে কমে ১০.৫-এ নেমে এসেছে, যা অনেক বড় পতন।

এর প্রধান কারণ, কেমব্রিজে নতুন বাড়ি বেশি তৈরি হয়েছে। সেন্টার ফর সিটিজের গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত অক্সফোর্ডে মাত্র ৩.২% আবাসন মজুত (Housing Stock) বেড়েছে, যেখানে কেমব্রিজে বেড়েছে ১১.৮%।

ফলে লেবার তাদের পরিকল্পনা (Planning Reforms) দিয়ে অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ বেল্টজুড়ে বাড়ি নির্মাণের গতিকে ত্বরান্বিত করে বাড়ির দাম কমাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কিছু “টাউন” (New Towns) তৈরি করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করা হবে শিগগিরই। আপাতত জানা গেছে, কেমব্রিজে ৪,৫০০টি নতুন বাড়ি, নতুন স্কুল ও একটি কেমব্রিজ ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতাল (Cambridge Cancer Research Hospital) তৈরি হবে। পাশাপাশি, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি ইনোভেশন হাব (Innovation Hub) খুলবে।

যুক্তরাজ্যের সিলিকন ভ্যালি গড়ার ভাবনার পেছনে যুক্তি

লেবার নেতৃত্ব, বিশেষ করে রিভস ও স্টারমার, বহুবার বলেছেন যে, অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ আর্ক যদি সঠিকভাবে উন্নয়ন করা যায়, তবে তা যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Economic Growth) ত্বরান্বিত করতে পারে। এই অঞ্চলের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একই সঙ্গে অঞ্চলটি বর্তমানে খুবই “উৎপাদনশীল” (Productive)।

অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ উভয়ই বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বরাবরই শীর্ষের দিকে থাকে, যেখানে উচ্চমানের গবেষণা পরিচালিত হয়। সেন্টার ফর সিটিজের ২০২৫ সিটিজ আউটলুক রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ভাবনী সক্ষমতার দিক দিয়েও এই দুটি শহর যুক্তরাজ্যের সেরা পাঁচে রয়েছে।

সুপারক্লাস্টার বোর্ড (Supercluster Board) নামের আরেকটি সূত্র বলছে, অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ অঞ্চল বা অর্ক (Arc)-এর পেটেন্ট (Patent) আবেদন প্রতি জনসংখ্যার হারে বিশ্বে সান ফ্রান্সিসকোর (San Francisco) পরেই দ্বিতীয় স্থান, এমনকি বৈজ্ঞানিক পেটেন্ট (Scientific Patents) সংখ্যার দিক দিয়ে অঞ্চলটি প্রথম।

এছাড়া, কর্মদক্ষতা বা উৎপাদনশীলতায়ও (Productivity) এই এলাকাটি বেশ এগিয়ে—২০২৫ সিটিজ আউটলুক অনুযায়ী, মিল্টন কেইনস ও কেমব্রিজ যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উৎপাদনশীল প্রথম দশটি শহরের মধ্যে রয়েছে।

অনেকেই জানেন না, এই বেল্টটি যুক্তরাজ্যের সেরা প্রকৌশল মেধার স্থান। উদাহরণ হিসেবে, দুটি ফর্মুলা ওয়ান (Formula One) টিম—উইলিয়ামস (Williams) ও হাস (Haas)—অক্সফোর্ডশায়ারে, আরেকটি টিম রেড বুল (Red Bull) মিল্টন কেইনসে অবস্থিত। অক্সফোর্ডে মিনিকুপার (Mini) ও সিমেন্স (Siemens)-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কারখানাও রয়েছে, যেখানে বুধবার র‍্যাচেল রিভস তার ভাষণ দেন। আর মিল্টন কেইনসে গড়ের চেয়ে বড় রপ্তানি ভিত্তি (Export Base) আছে।

সুতরাং অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজকে মিল্টন কেইনসের মাধ্যমে রেল নেটওয়ার্ক বা উন্নত সড়কসংযোগ দিয়ে যুক্ত করে দিলে এবং এ অঞ্চলে সাশ্রয়ী আবাসনের সুযোগ বাড়ালে, লেবার আশা করছে উক্ত অঞ্চলের উচ্চ উৎপাদনশীলতার সুযোগে যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক জিডিপি ও উৎপাদনশীলতা উভয়ই বাড়বে।

অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ সুপারক্লাস্টার বোর্ড (Oxford Cambridge Supercluster Board) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পরিকল্পনা ব্যবস্থায় (Planning System) সংস্কার করে এই অঞ্চলের বিকাশ ত্বরান্বিত করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৭৮ বিলিয়ন পাউন্ড জিডিপি যোগ করতে পারে। এ ধারণা একটি অর্থনৈতিক তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা হলো “এগ্লোমারেশন এফেক্ট” (Agglomeration Effect)—উন্নত গবেষণা ও উৎপাদন কার্যক্রমকে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত করার ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি আসে।

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, যদি লেবারের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সংস্কারগুলি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (Infrastructure) যথাযথভাবে গড়ে ওঠে, তাহলে এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ফল দিতে পারে।

রাজনৈতিক ঝুঁকি: লেভেলিং আপ (Levelling Up) বনাম আরও বৈষম্য?

তবে এখানেই লেবারের জন্য একটি রাজনৈতিক ঝুঁকি রয়েছে। কারণ ইউকেতে এমনিতেই আঞ্চলিক বৈষম্য (Regional Inequality) মারাত্মক, এবং অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ অঞ্চল আগে থেকেই ধনী ও উন্নত। গত কয়েক বছরে ব্রিটিশ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে “লেভেলিং আপ” কথাটি বহুল প্রচলিত। এটি বরিস জনসন চালু করেন, এবং লেবারও নীরবে তা সমর্থন করে। মূলত যুক্তরাজ্যের পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলো—বিশেষ করে ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল (North of England)—উন্নয়নের ওপর জোর দেয়াই ছিল লেভেলিং আপ-এর উদ্দেশ্য।

অনেকে যুক্তি দিতে পারেন যে, অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ আর্কে (Arc) বিনিয়োগের ফলে যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক জিডিপি (GDP) ও কর আদায় (Tax Receipts) বেড়ে যাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে সবার জন্য ভালো। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী অঞ্চলগুলিকে আরও উন্নয়নের সুযোগ দিলে হয়তো আঞ্চলিক বৈষম্য আরও তীব্র হবে, এবং রাজনৈতিকভাবে এটি লেবারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

অর্থাৎ, দক্ষিণাঞ্চলের (South) ধনী এলাকায় বিনিয়োগ বাড়ানো “লেভেলিং আপ” এজেন্ডার সাথে কতটা মানানসই, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

উপসংহার

লেবার সরকারের ঘোষিত অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ আর্ক প্রকল্প (Oxford Cambridge Arc) যুক্তরাজ্যে একটি “সিলিকন ভ্যালি” গড়ে তোলার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। এর লক্ষ্য হলো দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদন কেন্দ্রকে উন্নত পরিবহন ও পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধায় যুক্ত করে, উচ্চমেধা ও উচ্চপ্রযুক্তি-কেন্দ্রিক একটি সুপারক্লাস্টার (Supercluster) তৈরি করা।

এতে অর্থনৈতিক আয় অনেক বাড়তে পারে—গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রায় ৭৮ বিলিয়ন পাউন্ড যোগ হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু পাশাপাশি আছে চ্যালেঞ্জ:

  1. সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নিশ্চিত করা—যাতে কর্মী ও মধ্যবিত্তরা এখানে বসবাস করতে পারে।
  2. রেল ও সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন করা—অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের মধ্যে দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
  3. রাজনৈতিক ভাবে ভারসাম্য—দক্ষিণের ধনী অঞ্চলে বিনিয়োগ বনাম উত্তরাঞ্চল সহ পিছিয়ে থাকা এলাকায় “লেভেলিং আপ” উদ্যোগ।

শেষ পর্যন্ত, অর্থনৈতিক তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতাকে বাড়াবে, তবে সামাজিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য বৃদ্ধির ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে। লেবার নেতৃত্ব কীভাবে এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তথ্যসূত্র

Oxford-Cambridge Arc
https://www.ft.com/content/57286a31-9a56-4a1c-a253-2a3ea7178519
https://nic.org.uk/studies-reports/growth-arc/
https://www.supercluster.org.uk/oxford-cambridge
https://oxcamsupercluster.publicfirst.co.uk/

Reeves Press Conference
https://www.gov.uk/government/speeches/chancellor-vows-to-go-further-and-faster-to-kickstart-economic-growth
https://www.bbc.co.uk/news/articles/czxknwyxk09o
https://www.bbc.co.uk/news/articles/c62qel6x5xpo

Centre for Cities 2025 ‘Cities Outlook’ Report
https://www.centreforcities.org/wp-content/uploads/2025/01/Cities-Outlook-2025.pdf

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.