জার্মান গ্রিন পার্টির সমর্থন কেন সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে?

ভূমিকা

জার্মানির সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচন (German Federal Election)-এ গ্রিন (Green) পার্টি তাদের ইতিহাসের সর্বোত্তম ফলাফল অর্জন করেছিল। তারা ভোটের ১৫% পেয়েছিল এবং ওলাফ শল্‌ৎস (Olaf Scholz)-এর ট্র্যাফিক লাইট কোয়ালিশনে (Traffic Light Coalition) দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। তবে আজ, তাদের সেই ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে বিপরীতদিকে মোড় নিয়েছে। বর্তমানে তারা জনমত জরিপে মাত্র প্রায় ১০% সমর্থন পাচ্ছে, যেখানে ২০২২ সালের মাঝামাঝি তারা শীর্ষে ছিল প্রায় ২৩%। এর চেয়েও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এক তৃতীয়াংশেরও বেশি জার্মান নাগরিক চায় গ্রিন (Green) পার্টি আগামী সরকারের কোনো ভূমিকাই না রাখুক। এই প্রেক্ষাপটে, এই লেখায় আলোচনা করা হবে কীভাবে গ্রিন পার্টি দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর আবার কীভাবে তাদের পতন ঘটল।

পটভূমি: গ্রিন (Green) পার্টির উত্থানের সূচনা

গ্রিন পার্টি জার্মানিতে “ডি গ্রুইনেন” (Die Grünen) নামে পরিচিত। ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকের ছাত্রবিদ্রোহের ফলস্বরূপ একটি প্রান্তিক আন্দোলন হিসেবে উদ্ভূত হয়। শীতল যুদ্ধ (Cold War)-এর তীব্রতার সময়ে একটি “এন্টি-পার্টি” হিসেবে আবির্ভূত হয়ে এই দল পরমাণু শক্তি (Nuclear Power) পরিহার, নারীবাদ (Feminism) ও শান্তিবাদ (Pacifism) প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আশির দশকে তারা প্রথমবারের মতো নির্বাচনে সাফল্য পায় এবং ১৯৮৩ সালের ফেডারেল নির্বাচনে ৫.৬% ভোট পেয়ে রাজ্য সংসদে তাদের প্রথম প্রতিনিধিদের পাঠায়।

দশ বছর পর, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনরায় একীকরণের (Reunification) পর গ্রিন পার্টি তাদের পূর্বাঞ্চলীয় সহযোগী অ্যালায়েন্স ’৯০ (Alliance 90)-এর সাথে একীভূত হয়। এরপর, ১৯৯৮ সালে তারা প্রথমবারের মতো ফেডারেল সরকারে যোগ দেয়, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (SPD)-র নেতৃত্বাধীন একটি রেড-গ্রিন (Red-Green) কোয়ালিশনের অংশ হয়ে ওঠে। সে সময় গ্রিন পার্টি ফেডারেল সরকারে তিনজন মন্ত্রী নিয়ে ক্ষমতা দখল করলেও দলটি অভ্যন্তরীণ বিভাজনের মুখে পড়ে। এই বিভাজন ছিল ফুন্ডিস (Fundis) ও রেয়ালোস (Realos) নামে পরিচিত দুই ধারা নিয়ে। ফুন্ডিসরা এমন কোন দলের সাথে জোট করতে চায়নি যা তাদের সবুজ আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অন্যদিকে রেয়ালোসরা বিশ্বাস করত যে তাদের ধারণা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক জোট অপরিহার্য।

আদর্শিক বিবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতি

২০০০-এর দশকে রেয়ালোস (Realos) গোষ্ঠী ফুন্ডিস (Fundis)-দের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে। গ্রিন পার্টির প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Foreign Minister) যোশকা ফিশার (Joschka Fischer) ন্যাটো (NATO)-র যুগোস্লাভিয়া (Yugoslavia)-তে বোমাবর্ষণের অভিযানের সমর্থন করেন, পাশাপাশি আফগানিস্তানে (Afghanistan) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের দিকেও স্বীকৃতি দেন। দলটি দ্রুত তাদের আগের যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী ও কঠোর পুঁজিবাদ বিরোধী অবস্থান থেকে সরে এসে “পরিবেশগত ও সামাজিক বাজার অর্থনীতি” (Ecological and Social Market Economy)-র পক্ষে অবস্থান নেয় এবং এসপিডি (SPD)-র চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোডার (Gerhard Schröder)-এর অধীনে বিতর্কিত শ্রমবাজার সংস্কারকে সমর্থন করে।

এসব আদর্শিক সামঞ্জস্যতার ফলে দলের ভেতরে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই ঘটনাগুলোতে গ্রিন পার্টির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরবর্তী কয়েক বছর বিরোধী বেঞ্চে বসে তারা আবার জনপ্রিয়তা ও গুরুত্ব পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে, বিশেষ করে তখন, যখন অন্যান্য মূলধারার রাজনৈতিক দলও সবুজনীতি (Green Policies) গ্রহণ শুরু করে।

ফুকুশিমা (Fukushima) বিপর্যয়, নির্বাচনী সাফল্য ও অতঃপর উন্নতি

২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্ঘটনা (Fukushima Nuclear Power Plant Disaster)-র পর জার্মানিতে ব্যাপক গণআন্দোলন দেখা দেয়। এই ঘটনা গ্রিন পার্টির পক্ষে জনসমর্থন বৃদ্ধি করে। সে সময়ের জরিপে দেখা যায়, জার্মানদের এক-পঞ্চমাংশ গ্রিন পার্টিকে সমর্থন করে। দলটি তখন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে (State) নির্বাচনেও চমৎকার ফলাফল করে, বিশেষ করে সিডিইউ (CDU)-র ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটি বাদেন-ভুর্টেমবার্গে (Baden-Württemberg)।

২০১৬ সালের মধ্যে গ্রিন পার্টি বিভিন্ন ধরনের জোট সরকারের অংশ ছিল, কিন্তু ফেডারেল পর্যায়ে ক্ষমতার বাইরে ছিল এসপিডি (SPD) ও সিডিইউ (CDU)/সিএসইউ (CSU)-এর মহাজোট (Grand Coalition)-এর কারণে। তবুও, এই সময়ে এসে গ্রিন পার্টি জার্মানির অন্যতম বৃহৎ বিরোধী দলে পরিণত হয়। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দলটির সদস্যসংখ্যা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে দ্রুতহারে বৃদ্ধি পায়। ২০২১ সালের ফেডারেল নির্বাচনে গ্রিন পার্টি তাদের ইতিহাসের সেরা ফলাফল করে। তরুণ, শিক্ষিত ভোটারদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দলটি ২০২১ সালে ১৫% ভোট পায়, যা ২০১৭ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তারা ১৬টি আসনে জয়ী হয় এবং যেকোনো দলের মধ্যে সর্বাধিক অগ্রগতি অর্জন করে।

যদিও ২০২১ সালের ফলাফল তাদের ঐতিহাসিক সাফল্য ছিল, তবুও এটি কিছুটা হতাশাজনকও ছিল, কারণ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে তাদের জনসমর্থন ছিল প্রায় ৩০% এবং তারা একজন চ্যান্সেলর (Chancellor) প্রার্থীও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু দলের সহ-নেতাদের (Co-leaders) কিছু ভুল ও ব্যর্থতার কারণে তারা সেই উচ্চ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবুও, গ্রিন পার্টি ফেডারেল সরকারে ফিরে আসে ওলাফ শল্‌ৎস (SPD)-এর নেতৃত্বে গঠিত ট্র্যাফিক লাইট কোয়ালিশনে (Traffic Light Coalition), যেখানে তাদের সঙ্গী ছিল এসপিডি (SPD) এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (FDP) – একটি নবউদারবাদী (Neoliberal) দল যা তরুণ ও শিক্ষিত ভোটারদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

জনপ্রিয়তার পতন: সাম্প্রতিক সময়ের চ্যালেঞ্জ

কিন্তু সরকারে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গ্রিন পার্টির জনপ্রিয়তা কমতে থাকে এবং ২০২৩ সালটি তাদের জন্য বিশেষভাবে কঠিন প্রমাণিত হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে (European Parliament Elections) তারা ব্যাপক ভোটহ্রাসের শিকার হয়, সমস্ত ইইউ (EU) দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রিন এমপি (Green MP) হারায়। সাম্প্রতিক অঙ্গরাজ্য নির্বাচনে (State Elections) তারা থুরিঙ্গিয়া (Thuringia) ও ব্রান্ডেনবুর্গে (Brandenburg) প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, আর স্যাক্সোনিতে (Saxony) সামান্য ব্যবধানে টিকে থাকে।

এই পতনের মূল চালিকাশক্তি ছিল তরুণ ভোটারদের মধ্যে সমর্থনের ধস। ইউরোপীয় নির্বাচনে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে গ্রিন পার্টির সমর্থন মাত্র ১১% এ নেমে আসে, যেখানে আগে এটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। ব্রান্ডেনবুর্গের জনমত জরিপে একই বয়সী ভোটারদের মধ্যে সমর্থনে ২৪% পতন লক্ষ্য করা যায়। সামগ্রিকভাবে, দলটি এখন সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ের জনসমর্থনে আছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দলের সহ-নেতারা (Co-leaders) তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং দলের দিকনির্দেশনা নতুনভাবে পর্যালোচনার আহ্বান জানান।

কী কারণে এই পতন?

আমরা অন্তত তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করতে পারি:

১. জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জনস্বার্থের হ্রাস

প্রথম ও সহজ কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change) ইস্যুতে জনসাধারণের আগ্রহ হ্রাস পেয়েছে। ইউরোবারোমিটার (Eurobarometer) জরিপ অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জার্মানরা পরিবেশকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে দেখলেও পাঁচ বছর পর তা বদলে যায়। এখন জার্মানরা, ইইউর অন্যান্য দেশের মতোই, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধিকে (Cost of Living) সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা বলে বিবেচনা করছে।

২. ক্ষমতায় আসার পর এন্টি-এস্ট্যাবলিশমেন্ট ভাবমূর্তি ধরে রাখা কঠিন

দ্বিতীয়ত, সরকারে থাকাকালীন একসময়কার এন্টি-এস্ট্যাবলিশমেন্ট (Anti-Establishment) ভাবমূর্তি ও র‍্যাডিকাল পরিচয় ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কোয়ালিশন সঙ্গীদের খুশি করতে গিয়ে গ্রিন পার্টি বেশ কিছু অপছন্দনীয় সিদ্ধান্ত নেয়। তারা শরণার্থীদের (Refugees) ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে, সামরিক বাহিনীতে অতিরিক্ত সম্পদ বরাদ্দ দেয়, এবং লুৎসেরাথ (Lützerath) নামক একটি গ্রামের ধ্বংসকরণকে সমর্থন করে, যেখানে কয়লা উত্তোলনের উদ্দেশ্যে গ্রামটি উচ্ছেদ করা হয়।

এসব সিদ্ধান্ত দলটির যুব শাখার অনেক নেতাকর্মীকে (Green Youth) ক্ষুব্ধ করে তোলে, যারা সাধারণত দলের বামপন্থী ধারার অনুসারী। তারা দলীয় নেতৃত্বকে অতিরিক্ত ডানদিকে সরে যাওয়ার অভিযোগ এনে দল থেকে গণহারে পদত্যাগ করে।

এই সমস্যা আরও প্রকট হয় ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (FDP)-র অনড় অবস্থানের কারণে। এফডিপি (FDP) সরকারী ব্যয় বৃদ্ধিতে কার্যত কোনো ধরনের সমঝোতা করতে চায়নি। অন্যদিকে গ্রিন পার্টি তাদের আদর্শিক বা পরিচয়মূলক ক্ষেত্র, যেমন পারমাণবিক শক্তি পরিহার (Denuclearization), নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে ছিল। ২০২৩ সালে জার্মানি হঠাৎ তাদের শেষ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়, তখনই রাশিয়ান গ্যাস (Russian Gas) সংকটের কারণে জার্মানির জ্বালানি মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল।

পরিষ্কার জ্বালানি (Clean Energy)-র কঠোর দাবি অনেকের কাছে জার্মান শিল্পখাতের ওপর চাপ ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ গত বছরের “হিট পাম্প কেলেঙ্কারি” (Heat Pump Scandal), যখন সরকারকে গৃহস্থালি পর্যায়ে গ্যাস বয়লারের বদলে হিট পাম্প বসানোর প্রস্তাব হালকাভাবে গ্রহণ করতে হয়েছিল। এই প্রস্তাব ব্যাপক জনঅসন্তোষের জন্ম দেয়। ফলে গ্রিন পার্টির ওপর “উচ্চবিত্তদের দল” বা “জনসাধারণের বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন” হওয়ার অভিযোগ উঠে, যা বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের অন্য এন্টি-এস্ট্যাবলিশমেন্ট দলগুলোর দিকে ঠেলে দেয়।

৩. গাফিলতি, কেলেঙ্কারি ও অদক্ষতার বদনাম

পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে একের পর এক গাফিলতি, কেলেঙ্কারি ও অদক্ষতার ছাপ ফুটে ওঠায়। একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে গ্রিন মন্ত্রীরা (Green Ministers) পারমাণবিক কেন্দ্র দ্রুত বন্ধ করতে গিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু তথ্য নিয়ে সত্য গোপন করেছেন। এছাড়াও অর্থনীতি মন্ত্রী (Economy Minister) রবার্ট হাবেক (Robert Habeck)-কে তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে (Aide) বরখাস্ত করতে হয় একটি স্বজনপ্রীতি (Cronyism) কেলেঙ্কারির কারণে।

এসব ঘটনা গ্রিন পার্টির নেতাদেরকে জনমানসে সাধারণ “রাজনীতিবিদ”-এর চেহারায় উপস্থাপন করেছে, যারা ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ খেলায় লিপ্ত, আদর্শ থেকে বিচ্যুত, এবং স্ক্যান্ডাল এড়াতে অক্ষম।

উপসংহার

একসময়কার জার্মানির সবুজ আন্দোলনের অগ্রপথিক গ্রিন পার্টি এখন জনপ্রিয়তা সংকটে ভুগছে। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জনমানসের অগ্রাধিকার হ্রাস, কোয়ালিশন সঙ্গীদের সাথে বিরোধ, আদর্শ থেকে বিচ্যুতি, এবং নানা কেলেঙ্কারির কারণে দলটি তার আগের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি হারিয়েছে। ফলাফলস্বরূপ, আজ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি জার্মান মনে করে গ্রিন পার্টি আগামী সরকারে কোনো ভূমিকা না রাখাই ভালো। দীর্ঘমেয়াদে এই দল কীভাবে তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করবে এবং তরুণ ভোটারদের আস্থা ফেরত পাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ইউরোপ জুড়ে গ্রিন পার্টির সংকট ও তাদের আদর্শের প্রতি জনসমর্থনের হ্রাসের ব্যাপারে জানতে দেখুন – ইউরোপ কি নেট জিরো (Net Zero) লক্ষ্য ত্যাগ করছে? (৪ ডিসেম্বর, ২০২৪)

জার্মানি সম্পর্কিত আরও সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পর্কে জানতে যান এখানে – জার্মানি সংবাদ

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.