Table of Contents
ভূমিকা
গত সপ্তাহে ফাইন্যানশিয়াল টাইমস (Financial Times) একটি সংবাদ প্রকাশ করে, যেখানে জানানো হয় স্টারমার (Starmer) সরকারের দুই মন্ত্রী—যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Foreign Minister) ডেভিড ল্যামি (David Lammy) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Secretary) ইভেট কুপার (Yvette Cooper)—উত্তর লন্ডনে (North London) চীনের পরিকল্পিত নতুন সুবিশাল দূতাবাসের (Embassy) পক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছেন। অনেকে একে ‘চাইনিজ সুপার এম্বাসি (Chinese Super Embassy)’ বলে অভিহিত করছেন।
এই ভবনটি লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বোরোর (Tower Hamlets Borough) সাবেক রয়্যাল মিন্টের (Royal Mint) জমিতে গড়ে উঠতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ হলে ইউরোপের মধ্যে চীনের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক স্থাপনা (Diplomatic Mission) হতে পারে, প্রায় ৬,২০,০০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে।
এই খবরটি এমন সময়ে এলো, যখন বেশ কিছুদিন ধরেই লেবার সরকার (Labour Government) যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্কে (UK-China Relations) নতুন করে গতি আনতে চাইছে। এরই অংশ হিসেবে, বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী (Chancellor) রেচেল রিভস (Rachel Reeves) ১০ জন ব্যবসায়িক নির্বাহীর (Business Executives) একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বেইজিং সফরে যান, যেখানে তিনি চীনা উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন।
এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব কীভাবে লেবার সরকার যুক্তরাজ্যের চীনের সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্গঠন (Reset) করছে, লন্ডনে চীনের আসন্ন সুপার এম্বাসির পরিকল্পনা কী এবং এর ফলে ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক ইতিহাস: যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্ক
‘সোনালী দশক (Golden Decade)’ থেকে ঘনিষ্ঠতা হ্রাস: ২১ শতকের শুরু থেকে ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত যুক্তরাজ্য (UK) ও চীনের (China) মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (Trade Agreements) ও সামরিক সমঝোতা (Military Agreements) এর সাক্ষী ছিল এ সময়। ডেভিড ক্যামেরন (David Cameron) ও জর্জ ওসবোর্ন (George Osborne) ছিলেন সেই সময়ের সবচেয়ে ‘প্রো-চায়না (Pro-China)’ নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২০১৫ সালে ওসবোর্ন বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্ককে তিনি “একটি স্বর্ণালি দশক (Golden Decade)” হিসেবে দেখতে চান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) লন্ডন সফরে এলে ক্যামেরন এমনকি তার সঙ্গে পাব (Pub)-এ গিয়ে এক গ্লাস করে বিয়ারও উপভোগ করেন। ওই সময়ে যুক্তরাজ্য প্রথম জি৭ (G7) সদস্য দেশ হিসেবে চীনের এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকে (Asian Infrastructure Investment Bank) যোগ দেয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের (US) বিরাগভাজন হয়। কেননা যুক্তরাষ্ট্র তখন থেকেই চীনের সঙ্গে ক্রমশ শীতল সম্পর্কের দিকে যাচ্ছিল।
মানবাধিকার উদ্বেগ ও সম্পর্কের অবনতি: কিন্তু ২০১০-এর দশকের শেষভাগে যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্কের মোড় ঘুরতে থাকে। শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশে মুসলিম উইঘুর (Uyghur) জনসাধারণের ওপর চীনা কর্তৃপক্ষের নিপীড়ন, কথিত ‘নতুন শিক্ষাকেন্দ্র’ বা বন্দিশিবির (Detainment Camps), ধর্মান্তরন (Religious Conversions) ও বাধ্যতামূলক শ্রম (Forced Labour) ইত্যাদি খবরে পশ্চিমা সমাজে চীনবিরোধী মনোভাব তীব্র হয়। একই সময়ে, হংকংয়ে (Hong Kong) গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে (Pro-Democracy Movement) চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party, সংক্ষেপে CCP) দমন-পীড়ন আরও মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। বহু হংকংবাসী (Hong Kongers) বিদেশে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে, অভিবাসী হিসেবে চলে আসেন। বরিস জনসন (Boris Johnson) প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছিল। তিনি নিজেকে “ফারভেন্টলি সিনোফাইল (Fervently Sinophile)” বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) সময়ে যুক্তরাজ্য চীনের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়। বিশেষ করে ম্যানচেস্টার কনসুলেটের (Manchester Consulate) সামনে শান্তিপূর্ণ হংকং-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলার পর সেই ছয় চীনা কূটনীতিককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ২০২৩ সালে সুনাক বলেন, ক্যামেরন আমলের মতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আর ফিরে আসবে না।
লেবার সরকারের অধীনে সম্পর্কের উষ্ণতা: বর্তমানে লেবার পার্টি সরকার গঠনের পর চীনের সঙ্গে সম্পর্ক (UK-China Relations) আবারও উষ্ণ হতে শুরু করেছে। এর পেছনে বড় কারণ অর্থনৈতিক—যুক্তরাজ্য এখন আর যুক্তরাষ্ট্র (বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসন) বা ইউরোপের (Post-Brexit) ওপর বাণিজ্যিকভাবে খুব বেশি নির্ভর করতে পারছে না। তাছাড়া ঐতিহাসিকভাবে লেবার পার্টিকে (Labour Party) চীনবিরোধী অবস্থানে খুব কঠোর মনে করা হয়নি। এই মাসের শুরুতে অর্থমন্ত্রী (Chancellor) রেচেল রিভস (Rachel Reeves) আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে চীনে যান। এদের মধ্যে ছিলেন HSBC ব্যাংকের চেয়ার মার্ক টাকার (Mark Tucker), ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (Bank of England) প্রধান অ্যান্ড্রু বেইলি (Andrew Bailey) এবং ফাইন্যানশিয়াল কনডাক্ট অথরিটির (Financial Conduct Authority) প্রধান নির্বাহী নিখিল রাথি (Nikhil Rathi)। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তা হে লিফেং (He Lifeng)-এর সঙ্গে তাদের বৈঠকে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ (Financial Regulation) ও পুঁজি বাজারে (Capital Markets) ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে শোনা গেছে। যদিও বিরোধী দলের কনজারভেটিভ ও লিব ডেমরা (Lib Dems) সমালোচনা করে যে, রিভস দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময় বিদেশ সফরে গেলেন।
বিতর্কের কেন্দ্রে চীনের ‘সুপার এম্বাসি’
প্রকল্পের সূচনা ও পরিত্যক্ত পরিকল্পনা: উত্তর লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বোরোতে (Borough of Tower Hamlets) চীনের পরিকল্পিত সুবিশাল দূতাবাস প্রকল্পটি প্রথম শিরোনামে আসে ২০১৮ সালে, যখন চীন প্রায় ২.৩ একর পরিমাণ জমি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (৩১৮ মিলিয়ন ডলার) দিয়ে কিনে নেয়। এই স্থানটি ছিল রয়্যাল মিন্টের (Royal Mint) পুরোনো সাইট। এটি শুরু থেকেই ব্যাপক বিতর্কের সম্মুখীন হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো (যারা CCP দ্বারা নিপীড়িত, বিশেষত উইঘুর মুসলিমরা) এর বিরোধিতা করে। কারণ টাওয়ার হ্যামলেটসে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মধ্যে মুসলিমদের অনুপাত সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল পরিকল্পনাটিকে একমত হয়ে (Unanimously) প্রত্যাখ্যান করে। তখন বেশ কিছু যুক্তি দেওয়া হয়—স্থানীয় সুরক্ষা (Local Safety), নিরাপত্তা ইস্যু (Security Issues) ইত্যাদি নিয়ে উদ্বেগ।
পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত ও লেবার সরকারের ভূমিকা: টাওয়ার হ্যামলেটসের নেতিবাচক রায়ের পর চীন বিষয়টিকে একরকম “ঝুলিয়ে” রাখে। কিন্তু লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে (সাধারণ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর) চীনা কর্তৃপক্ষ নতুন করে একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব জমা দেয়। ওই পরিকল্পনার বিস্তারিত দলিলপত্রে বলা হয়েছে, কাউন্সিলের আগের সিদ্ধান্তের কোনো পরিকল্পনা-নীতিগত ভিত্তি নেই এবং এটি ‘অযৌক্তিক’। রয়টার্স (Reuters) ২০২৪ সালের আগস্টে এক প্রতিবেদনে জানায়, চীন তাদের আপিলের সময়সীমা মিস করবে, বরং তারা চায় যুক্তরাজ্য সরকার যেনো (যদি তারা আবার পরিকল্পনা জমা দেয়) সরকারি হস্তক্ষেপ করে এই প্রকল্পটিকে বাস্তবায়ন করাতে সাহায্য করে। ধারণা করা হচ্ছে, যদি যুক্তরাজ্য অনুমোদন না দেয়, তবে বেইজিং ‘টিট ফর ট্যাট (Tit for Tat)’ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। লেবার সরকার যেনো এই প্রস্তাবে একপ্রকার সম্মত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সম্প্রতি এর প্রতিফলন দেখা গেছে—ল্যামি (David Lammy) ও কুপার (Yvette Cooper) ইংল্যান্ডের প্ল্যানিং ইন্সপেক্টরেটকে (Planning Inspectorate) একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে প্রকল্পের পক্ষে অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
ল্যামি-কুপারের চিঠি ও পরবর্তী সম্ভাবনা: ফাইন্যানশিয়াল টাইমসের হাতে আসা সেই চিঠিতে উল্লেখ আছে, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ (Metropolitan Police) এখন আর আপত্তি করছে না, কারণ পরিকল্পিত ভবনের আশপাশে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে যেখানে সম্ভাব্য বিক্ষোভ (Protests) হলেও বড় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এছাড়া, তারা চীনের কাছে ভবনের ডিজাইনের (Design) একটি ছোটখাট পরিবর্তন চেয়েছে এবং লন্ডনে চীনের অন্য সাতটি কূটনৈতিক ভবন (Diplomatic Premises) ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে। তাই আপাতদৃষ্টিতে, এই ‘সুপার এম্বাসি’ প্রকল্পটির সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। তবুও এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি। কারণ শেষ কথা বলবেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার (Angela Rayner)–যিনি হাউজিং, কমিউনিটিজ অ্যান্ড লোকাল গভর্নমেন্ট বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট (Secretary of State for Housing, Communities and Local Government) পদেও আছেন। এছাড়া একটা সার্বজনীন শুনানি (Public Consultation) আয়োজন করতে হবে। তবে যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্ক যেভাবে উষ্ণতর হচ্ছে, আর ল্যামি-কুপার ইতোমধ্যেই এই প্রস্তাবকে সহায়তা দিচ্ছেন, তাতে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন ‘সুপার এম্বাসি’ প্রকল্প শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে।
সম্ভাব্য বিতর্ক ও নিরাপত্তা শঙ্কা
স্থানীয় ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিক্ষোভ: টাওয়ার হ্যামলেটসে এমনিতেই মুসলিম অধিবাসীর হার ইংল্যান্ড-ওয়েলসের মধ্যে সর্বোচ্চ। উইঘুর (Uyghur) মুসলিমরা চীনের দমন-পীড়নের শিকার হওয়ায় এই দূতাবাস স্থাপন নিয়ে তাদের বিরোধিতা স্পষ্ট। অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যারা চীনা সরকারের দ্বারা নিপীড়িত, তারাও প্রতিবাদ করতে পারেন।
গুপ্তচরবৃত্তির (Espionage) ঝুঁকি: গত বছরের এপ্রিল (২০২৪) মাসে ওয়েস্টমিনস্টারে (Westminster) দু’জন ব্যক্তি চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি (Spying) করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়। মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা আছে যে, চীনের বৃহৎ এই দূতাবাসটি শুধু কূটনৈতিক কাজ নয়, বরং গুপ্তচরবৃত্তি (Espionage) ও যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরে চীনা নাগরিকদের উপর ‘ট্রান্সন্যাশনাল রেপ্রেশন (Transnational Repression)’ বাড়ানোর প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে পারে। চীন যে বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের বা সরকারের সমালোচকদের ‘হুমকি-ধমকি’ দেয় বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, এ সংক্রান্ত রিপোর্ট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। লন্ডনের এই সুপার এম্বাসি হলে তার সুযোগ আরও বাড়তে পারে বলে অনেকের শঙ্কা।
শেষ কথা
যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকার ক্ষমতায় এসে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে—এমন ইঙ্গিত সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় স্পষ্ট। এরই অংশ হিসেবে চীনের পরিকল্পিত ‘সুপার এম্বাসি’ প্রকল্পটি আবার সামনে এসেছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এটিকে একদা বাধা দিলেও, ল্যামি ও কুপারের উদ্যোগে এখন মনে হচ্ছে এটি সবুজ সংকেত পেতে পারে।
অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অ্যাঞ্জেলা রেইনারের (Angela Rayner) হাতে; এছাড়া গণশুনানি (Public Consultation) এখনো বাকি। তবে ধীরে ধীরে যুক্তরাজ্য-চীন বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক উষ্ণতা যেহেতু বাড়ছে, অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা—প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
যদি প্রকল্প অনুমোদন পায়, লন্ডনে তৈরি হবে ইউরোপে চীনের সবচেয়ে বড় দূতাবাস (Embassy)। তবে এর ফলে স্থানীয়ভাবে উইঘুর মুসলিমসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যারা চীনের দমন-পীড়নের শিকার, তারা প্রতিবাদে সোচ্চার হতে পারেন। সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও (Security Services) উদ্বিগ্ন হতে পারে—গুপ্তচরবৃত্তি ও বিদেশি দমন-পীড়নের ঝুঁকি যে বাড়বে না, তার নিশ্চয়তা দেওয়া কঠিন।
এই সুপার এম্বাসি বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্কে (UK-China Relations) এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে। লেবার সরকার একদিকে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে চাইবে, অন্যদিকে স্থানীয় নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও জনমতের চাপ সামলাতে হবে। চূড়ান্তভাবে কীভাবে ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন –
ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক ও যুক্তরাজ্যের যুক্তরাষ্ট্র বনাম ইইউ দোটানা (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫)
যুক্তরাজ্য সম্পর্কে আরও সংবাদ ও বিশ্লেষণ জানতে দেখুন – যুক্তরাজ্য সংবাদ
চীন সম্পর্কে আরও সংবাদ ও বিশ্লেষণ জানতে দেখুন – চীন সংবাদ
তথ্যসূত্র
UK-China Relations
https://www.eiu.com/n/uk-china-relations-are-set-for-a-pragmatic-restart/
https://www.ft.com/content/804175d0-8b47-4427-9853-2aded76f48e4
https://ecfr.eu/article/britains-risky-re-engagement-why-its-china-policy-could-strain-the-eu-uk-reset/
Chinese Superembassy
https://www.towerhamlets.gov.uk/News_events/2024/December/Tower-Hamlets-refuses-Chinese-Embassy-planning-applications.aspx
https://www.bbc.co.uk/news/articles/cdd6yydmd03o
https://www.ft.com/content/8ce42840-8d8d-4c2f-b242-e3e803eee64d
https://www.reuters.com/world/china-resubmits-application-build-contested-big-embassy-london-2024-08-14/
https://www.voanews.com/a/china-resubmitted-plans-for-a-super-embassy-in-london/7741975.html
Chinese Transnational Repression
https://freedomhouse.org/report/transnational-repression/china
https://drive.google.com/file/d/1y2-ckTOAE76YVkBILEa-W8RbxkCNuwFa/view
https://uhrp.org/transnational-repression/
Leave a Reply