জার্মানির এএফডি (AfD) দলের ম্যানিফেস্টো ব্যাখ্যা

Table of Contents

ভূমিকা

জার্মানিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে গত সপ্তাহান্তে জার্মান ডানপন্থী দল আল্টারনাটিভ ফুর ডয়েচল্যান্ড (Alternativ für Deutschland, সংক্ষেপে AfD) স্যাক্সনি (Saxony)-এর রিসে (Riesa) শহরে এক সম্মেলন করে প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি নিয়ে তাদের চূড়ান্ত নির্বাচনী ইশতেহার (Final Manifesto) গৃহীত করে। এই ম্যানিফেস্টোতে অভিবাসন (Immigration) নিয়ে তাদের কঠোর অবস্থান আরও দৃঢ় করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যান্সেলর (Chancellor) পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক গোল্ডম্যান স্যাকস (Goldman Sachs) বিশ্লেষক আলিস ভাইডেল (Alice Weidel)-কে। মনে করা হচ্ছে, কিছু প্রতিনিধি “আলিস ফের ডয়েচল্যান্ড (Alice ver Deutschland)” স্লোগান দিয়েছেন, যার সাথে নিষিদ্ধ নাৎসি স্লোগান “আলেস ফের ডয়েচল্যান্ড (Alles für Deutschland)”-এর মিল রয়েছে।

এই নিবন্ধে আমরা এএফডির নতুন নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর মূল বিষয়গুলো, নীতিসমূহ (Policies) এবং সেগুলো বাস্তবে কতটা কার্যকর হতে পারে তা বিশ্লেষণ করব।

ড্রাফট ও চূড়ান্ত ম্যানিফেস্টো

এই লেখাটি তৈরির সময়, এএফডির ম্যানিফেস্টোর (Manifesto) একমাত্র সরকারি ড্রাফট (Draft) সংস্করণই জার্মানির বুন্ডেসটাগের (Bundestag) ওয়েবসাইটে আছে। মূলত সেটিকেই তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছি এবং জার্মান বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের (German News Sources) প্রতিবেদন দিয়ে উদ্ধৃত অংশগুলো মিলিয়ে দেখেছি। সকল সূত্র রেফারেন্সে দেয়া হবে।

অভিবাসননীতি: সীমান্ত বন্ধ থেকে ‘রিমাইগ্রেশন’ পর্যন্ত (Immigration Policy)

এএফডি (AfD) জার্মানি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মূলত কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ (Strict Closed Border) ও অভিবাসনবিরোধী (Anti-Asylum) অবস্থানের জন্য পরিচিত। তাদের নতুন ম্যানিফেস্টোতে জার্মানির “আশ্রয় স্বর্গ” (Asylum Paradise) বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে—

“রিপ্যাট্রিয়েশন অফেন্সিভ” (Comprehensive Repatriation Offensive): এ উদ্যোগের আওতায় অপরাধী (Criminals), বিপজ্জনক ব্যক্তি (Dangerous Persons) এবং যেসব সিরীয় নাগরিক (Syrian Citizens) আর সুরক্ষা পাওয়ার উপযুক্ত নন, তাদের জার্মানি থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অন্য দেশ থেকেও একই পদ্ধতি: এএফডি বলে, সিরিয়ানদের পর এভাবে অন্যান্য দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের (Asylum Countries) সঙ্গেও একইরকম আচরণ করা হবে।
অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ-সুলভ: যেমন, জার্মানির বাইরে অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া (Processing Claims Outside Germany), অভিবাসন কোটাকে (Immigration & Asylum Quotas) পুরোপুরি বাতিল, আফগান উদ্বাস্তুদের (Afghan Refugees) পুনর্বাসন (Resettlement Scheme) বাতিল, বিদেশি শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ-সুবিধা কমানো ইত্যাদি।
সুবিধা (Benefits) হ্রাস: যারা ডিপোর্টেশন বা বহিষ্কারের অপেক্ষায় আছেন, তাদের ন্যূনতম ভরণপোষণ (Minimum Subsistence Level) কমিয়ে দেওয়া, শরনার্থী সহায়তা সংস্থা ও এনজিওকে (NGOs) সরাসরি সরকারি অর্থায়ন বন্ধ করার প্রস্তাবও রেখেছে।

এসব বাস্তবায়ন করতে গেলে জার্মানির ইইউ (EU) থেকে সদ্য গৃহীত নতুন অভিবাসন চুক্তি (EU’s New Migration Pact) থেকে বেরিয়ে আসতে হতে পারে, কেননা এই নীতিগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদ্যমান নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ড্রাফট থেকে চূড়ান্ত ম্যানিফেস্টো: আরও কঠোর অবস্থান

প্রাথমিক খসড়ায় (Draft) ইউরোপীয় শ্রমিকদের (European Workers) গতিশীলতার পক্ষে কিছু কথা ছিল, যা চূড়ান্ত ম্যানিফেস্টো থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, ‘রিমাইগ্রেশন’ (Remigration) শব্দটি নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে।

রিমাইগ্রেশন (Remigration) কী? এটি সাধারণত কট্টর ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী (Ethno-Nationalist) ধারণাকে বোঝায়—যেখানে “ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নয়” এমন ব্যক্তিদের (নাগরিকত্ব যাই থাকুক) তাদের “জাতিগত উৎসস্থলে” ফেরত পাঠানো হবে।
সচেতনতা ও বিতর্ক: ২০২২ সালের শুরুর দিকে জার্মান সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে যে, এএফডির কিছু অনুগামী গোপন সভায় জার্মানি থেকে বহুল পরিমাণ “রিমাইগ্রেশন” পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে, যেখানে জার্মানিতে জন্মানো অভিবাসী-ব্যাকগ্রাউন্ডের নাগরিকদেরও টারগেটে রাখা হতে পারে। তখন ব্যাপক নিন্দার মুখে এএফডি জানায় যে তারা “জার্মান নাগরিকদের মধ্যে অভিবাসী-ব্যাকগ্রাউন্ডওয়ালা ও না-থাকা”—এ দু’পক্ষের মধ্যে কোনো বিভাজন চায় না।
আবারও ‘রিমাইগ্রেশন’ দাবি: এখন দলটি স্পষ্টতই একই শব্দ ব্যবহার করছে। দলনেত্রী ভাইডেল (Weidel) নিজেও বলেছেন, “বড় পরিসরে ফেরত পাঠাতে হবে… যদি একে রিমাইগ্রেশন বলা হয়, তবে তাই বলা হোক।”

এমন অবস্থানের কারণে জার্মানির অন্য সব প্রধান দল এএফডির সঙ্গে কোয়ালিশনে (Coalition) যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ফলে ফেডারেল নির্বাচনে এএফডি ভালো করলেও এই বিষয়টি তাদের ক্ষমতার বাইরে রাখার সম্ভাবনাকে উজ্জীবিত করবে।

অর্থনৈতিক নীতি: বাজারমুখী, কম কর ও কম আমলাতন্ত্র

এএফডি স্পষ্টভাবেই ডানপন্থী, বাজারমুখী (Pro Market) ও “ডিরেগুলেশন” (Deregulation) এর পক্ষে। তারা কম কর (Lower Taxes), কম সরকারি হস্তক্ষেপ (Minimum State Interventions) ও ছোট আকারের ওয়েলফেয়ার ব্যয় (Smaller Welfare State) চায়।

আমলাতন্ত্রে কাটছাঁট (Cutting Bureaucracy):
- ইইউর সাপ্লাই চেইন আইন (EU’s Supply Chain Act) বাতিল করার কথা বলে, যেখানে এখন কোম্পানিগুলোকে মানবাধিকার (Human Rights) ও পরিবেশগত (Environmental) ঝুঁকি চিহ্নিত করতে হয়।
- জার্মান প্যাকেজিং আইন (German Packaging Act) বাদ দিতে চায়, যাতে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্ব্যবহার (Recycling) উন্নত করার চেষ্টা হয়।
- জিডিপিআর (GDPR) সরল করা, কৃষকদের ওপর আরোপিত নানা বিধিনিষেধ কমানো ইত্যাদি।

তাদের ধারণা, কম আমলাতন্ত্র ও ও কর ব্যবস্থার ফলে অর্থনীতি (GDP) বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে—যা সমাজের নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য ক্ষতি হলেও সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি তা পুষিয়ে দেবে। কিন্তু এ প্রশ্ন রয়েই যায়—চীন (China) ও যুক্তরাষ্ট্র (US)-এর মতো সুরক্ষাবাদী (Protectionism) জায়গায় জার্মানির রপ্তানি কীভাবে টিকবে, যেখানে তারা নিজেদের উৎপাদন খাতকে ব্যাপক ভর্তুকি দেয়?

জ্বালানি ও জলবায়ু: ‘বাম-সবুজ অ্যাজেন্ডা’ বিরোধিতা

এএফডি (AfD) স্পষ্টভাবে ‘সবুজ’ (Green) ও জলবায়ুবিষয়ক (Climate) নীতি-বিরোধী। তাদের ভাষায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গৃহীত অনেক উদ্যোগ “আদর্শিক” (Ideologically Driven) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের “গ্রিন ডিল” (Green Deal) ও জার্মানির “এনার্জি ট্রানজিশন” (Energy Transition) মূলত “বাম-সবুজ উদ্যোগ” বলে চিহ্নিত করেছে।

প্রস্তাবিত পদক্ষেপ:
- পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ (Environmental Regulations) শিথিল বা বাতিল করা।
- জ্বালানি তেলের ওপর আরোপিত সিও২ ট্যাক্স (CO2 Tax) প্রত্যাহার।
- জ্বালানি রূপান্তর বা কম্বাশন ইঞ্জিন (Combustion Engine) বন্ধের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
জার্মান শিল্প রক্ষা: এএফডি মনে করে জার্মানি “ডিনডাস্ট্রিয়ালাইজড” (Deindustrialization) হয়ে যাচ্ছে। তারা পরমাণু শক্তি (Nuclear Power) ফিরিয়ে আনা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (Coal-Fired Power Plants) মেয়াদ বাড়ানো, রাশিয়ান গ্যাস (Russian Gas) পুনঃসূচনা এবং উইন্ড এনার্জি (Wind Energy) সম্প্রসারণ বন্ধের পক্ষে।
“উইন্ডমিলস অফ শেইম” (Windmills of Shame) – এটি ভাইডেলের ভাষায় উইন্ড টারবাইনগুলোর প্রসারের বিরুদ্ধে খুব কঠোর বক্তব্য।

বৈদেশিক নীতি: রাশিয়া-চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও ইইউ বিরোধিতা

এএফডি চায় রাশিয়া (Russia), চীন (China) ও যুক্তরাষ্ট্রের (US) সঙ্গে ‘ভালো সম্পর্ক’। কিছু মূল দিক—

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা (Sanctions) প্রত্যাহার: এএফডি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা (Economic Sanctions) তুলে নিতে চায় এবং নর্ড স্ট্রিম ২ (Nord Stream 2) পাইপলাইন সারিয়ে তুলতে চায়।
ইউক্রেন প্রসঙ্গ: তারা ইউক্রেনের (Ukraine) সামরিক নিরপেক্ষ অবস্থান (Neutral State) চায়, যদিও ম্যানিফেস্টোতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি এ নিয়ে তারা কীভাবে কাজ করবে।
ইইউ (EU) ত্যাগের সম্ভাবনা: দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কড়া সমালোচক (Eurosceptic)। ম্যানিফেস্টোতে লেখা, “জার্মানির ইইউ ত্যাগ (Germany to leave the European Union) করা প্রয়োজন,” এবং সুইজারল্যান্ডের মতো (Swiss Model) গণভোট-ভিত্তিক ব্যবস্থার দাবি করে। ইইউ-তে থাকা অবস্থায় এ দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
ন্যাটো (NATO) থেকে বের হয়ে নিরপেক্ষতা: এএফডি মনে করে জার্মানিকে ন্যাটোর বাইরে থাকতে হবে, তবে এ বিষয়টিকে তারা কতটা জোর দিচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়।
ইউরো মুদ্রা (Euro) পরিহার ও ডয়েচ মার্ক ফিরিয়ে আনা: দলটি জার্মানির পুরনো ডয়চমার্ক (Deutschmark) ফিরিয়ে আনার পক্ষে, যা ইইউর ভাঙন (Breakup of the EU) ডেকে আনতে পারে।

সাংস্কৃতিক নীতি: লিঙ্গ রাজনীতি, ‘ওক’ মতাদর্শ ও জাতীয়তাবাদ

এএফডি ম্যানিফেস্টো জার্মানদের উপর “বামপন্থী” (Left Wing) সময়স্রোতের (Zeitgeist) একটা চেপে বসা প্রভাব আছে বলে সমালোচনা করে। তারা বলে, “সন্দেহজনক লিঙ্গ (Gender) ও ওক (Woke) মতাদর্শভিত্তিক প্রকল্প” বন্ধ করতে হবে।

ট্রান্সজেন্ডার (Transgender) বিষয়ে বিরোধিতা: তারা “ট্রান্সজেন্ডার হাইপ” (Transgender Hype) নামক শব্দ ব্যবহার করে ট্রান্সজেন্ডারের ফেনোমেনার বিষয়টিকে সমালোচনা করে।
“ফ্যামিলি” (Family) সংজ্ঞা: সম্মেলনে তারা সংবিধান (বা প্রতিষ্ঠানিকভাবে) “পরিবার মানে একজন পিতা (Father), একজন মাতা (Mother) ও তাদের সন্তান (Children)”—একথা স্পষ্টভাবে যুক্ত করেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী শেখাতে হবে: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিয়ে, পরিবার ও পারিবারিক বন্ধনকে (Marriage, Partnership & Family Cohesion) গুরুত্ব দিতে হবে। আবার ‘রাষ্ট্র পরিবারে হস্তক্ষেপ করবে না’—এই দাবিও আছে।

বিশ্বায়ন, বৈচিত্র্য ও বিজ্ঞান: চরম সংশয় (Globalization, Diversity & Science)

দলটি বলছে—

“গ্লোবালাইজেশন ও বৈচিত্র্য” আসলে “ধ্বংসাত্মক হাতিয়ার” (Instruments of Destruction)।
জলবায়ু গবেষণা (Climate Research), লিঙ্গ গবেষণা (Gender Research) এমনকি অতিমারি সংক্রান্ত গবেষণাকেও (Pandemic Research) “একপাক্ষিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব” (Biased Scientific Theories) হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ (UN) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-কে অভিযুক্ত করা হয়েছে যে, তারা এক “বিশ্ব সরকার” (World Government) গঠন করতে চায়, যার ফলে জাতিরাষ্ট্রগুলো (Nation States) ক্ষমতা হারাবে—এটি এক ধরণের “গ্লোবালিস্ট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব” (Globalist Conspiracy Theories) বলে পরিচিত।

উপসংহার

আল্টারনাটিভ ফুর ডয়েচল্যান্ড (AfD) তাদের চূড়ান্ত ম্যানিফেস্টোতে (Final Manifesto) অভিবাসন, অর্থনীতি, জ্বালানি, বৈদেশিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ে ধারালো অবস্থান নিয়েছে। বিশেষত—

কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতি: ‘রিপ্যাট্রিয়েশন অফেন্সিভ,’ ‘রিমাইগ্রেশন’ প্রভৃতি কঠোর শব্দ ও অবস্থানের মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের (Immigrants) ব্যাপক বহিষ্কার চায়।
ইউরোস্কেপ্টিক ও ন্যাটোবিরোধী সুর: ইইউ ত্যাগের দাবি, ডয়েচমার্ক ফিরিয়ে আনা, ন্যাটোর বাইরের নিরপেক্ষতা ইত্যাদি তাদের চরম জাতীয়তাবাদী (Nationalist) অবস্থানকে তুলে ধরে।
জলবায়ু সংকট ও ওক মতাদর্শের বিরোধিতা: গ্রিন ডিল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি (Renewable Energy), জেন্ডার (Gender) ও বৈচিত্র্য (Diversity) নিয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা বা সংশয় জানিয়েছে।

মুখে-মুখে সমর্থন লাভ করলেও, জার্মানির অন্য সব দলের সঙ্গে এএফডির কোয়ালিশনে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য—বিশেষত ‘রিমাইগ্রেশন’ ধারণা ও কট্টর অভিবাসনবিরোধিতার কারণে। ফলে আগামী নির্বাচনে তারা ভাল ফল করলেও সরকার গঠনে বিঘ্ন ঘটতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, এএফডির সমর্থন যে হারে বাড়ছে, তা ভবিষ্যতে জার্মানির রাজনৈতিক মানচিত্রে (Political Landscape) বড় ধরনের পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে। তবে ক্ষমতার কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।