ইউরোপের কি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে পরিত্যাগ করার সময় এসে গেছে?

Table of Contents

ভূমিকা

দীর্ঘ সময় ধরেই পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক বন্ধন (বিশেষত ন্যাটোর (NATO) মাধ্যমে) এ দু’পক্ষকে সংযুক্ত রেখেছে, এবং সাময়িক কয়েকটি মতবিরোধ সত্ত্বেও তারা গত কয়েক দশকে অনেকটা একই ধারায় (Ideological Lockstep) এগিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক (Transatlantic Relationship) নজিরবিহীন চাপে পড়েছে, আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদে এই সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এই প্রতিবেদনে আমরা ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যকার বিভিন্ন দ্বন্দ্বের দিকে নজর দেব, আর বিশ্লেষণ করব—এর ফলে সত্যিই ইউরোপ ও আমেরিকা স্থায়ীভাবে দূরত্বে চলে যেতে পারে কিনা সে সম্পর্কে।

স্বল্পমেয়াদি বনাম দীর্ঘমেয়াদি চাপ: মূল চিত্র

বর্তমানে আমরা দেখছি, ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্কে দুই ধরনের চাপ বিদ্যমান—

  1. স্বল্পমেয়াদি, ট্রাম্প-কেন্দ্রিক চাপ (Short-Term, Trump-Related Pressures): ট্রাম্পের সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদকে ঘিরে কিছু বিশেষ বিষয় যেমন গ্রিনল্যান্ড দখলের আগ্রহ, ইলন মাস্কের (Elon Musk) ইউরোপীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং ইউক্রেন (Ukraine) নিয়ে আমেরিকার অবস্থান পরিবর্তন – এসব নিয়ে ইউরোপের অস্বস্তি।
  2. দীর্ঘমেয়াদি, কাঠামোগত বিরোধ (Long-Term, Structural Tensions): এমন কিছু ইস্যু যা ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, অদূর ভবিষ্যতেই এই সম্পর্ককে কাঁপিয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে আছে চীনের (China) ব্যাপারে আমেরিকার আগ্রাসী নীতি বনাম ইউরোপের তুলনামূলক নমনীয় অবস্থান, আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাবাদ (Protectionism) বনাম ইউরোপের মুক্ত বাণিজ্য আগ্রহ, এবং মধ্যপ্রাচ্যে (Middle East) নীতিগত অমিল।

এই লেখায় আমরা প্রথমে ট্রাম্পকেন্দ্রিক স্বল্পমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করব, তারপর দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ট্রাম্প-কেন্দ্রিক স্বল্পমেয়াদি চ্যালেঞ্জ

১) গ্রিনল্যান্ড নিয়ে আগ্রহ ও আন্তর্জাতিক সীমানাকে অগ্রাহ্য

সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হল ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড (Greenland) কেনার ইচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সীমানা (Internationally Recognized Borders) নিয়ে তার একধরনের “অবহেলা” (Disdain)। সপ্তাহের গোড়াতেই তিনি ঘোষণা দেন যে, ডেনমার্কের (Denmark) কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান। এর পর মঙ্গলবার এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি সামরিক শক্তি (Military Force) ব্যবহার করে গ্রিনল্যান্ড দখলের সম্ভাবনাকেও খারিজ করেননি—যুক্তি দিয়েছেন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা (Economic Security) ও জাতীয় নিরাপত্তার (National Security) স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দরকার।

  • ইউরোপের প্রতিক্রিয়া (European Reaction): স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপে কূটনৈতিক অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (France’s Foreign Minister) ঘোষণাও দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি গ্রিনল্যান্ড আক্রমণের চেষ্টা করে তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এটি প্রতিহত করবে।
  • অন্যান্য বিতর্কিত মন্তব্য: ট্রাম্প ইতোমধ্যে কানাডা (Canada), পানামা (Panama) নিয়ে উসকানিমূলক কথা বলেছেন। আবার শোনা যাচ্ছে তিনি মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে (Northern Mexico) অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করছেন, মেক্সিকান সরকারের অনুমোদন ছাড়াই।

কেন এটি ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্কে চাপ বাড়ায়?:

  • ইউরোপীয় দেশগুলো সাধারণত আন্তর্জাতিক আইন (International Law) আর স্বীকৃত সীমানার (Territorial Integrity) ব্যাপারে খুবই সংবেদনশীল। কারণ তারা রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ইউক্রেনের (Ukraine) সীমানা লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।
  • যদি ট্রাম্প নিজেও কোনো দেশের ভূখণ্ডের প্রতি এতখানি আগ্রাসী মনোভাব দেখান, ইউরোপের পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলা কঠিন হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে তারা দ্বিচারিতা (Hypocrisy) দেখাচ্ছে বলে মনে হতে পারে।

এই ব্যাপারে আরও পড়তে পারেন এখানে – ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার সীমানা বিস্তার: সম্ভাবনা ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

২) ইলন মাস্ক ফ্যাক্টর

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে ইলন মাস্কের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি নিজেকে ইউরোপে ডানপন্থী (Right Wing) ও অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট (Anti-Establishment) রাজনীতিকদের সমর্থক হিসেবে প্রচার করছেন—যেমন যুক্তরাজ্যের টমি রবিনসন (Tommy Robinson), ইতালির জর্জিয়া মেলোনি (Giorgia Meloni), জার্মানির এএফডি (AfD) দলের সাথে সম্পৃক্ততা।

  • সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাব (Social Media Influence): মাস্ক টুইটার (বর্তমান নাম X) ব্যবহার করে ইউরোপের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রভাব বিস্তার করছেন, অনেক সময় ভুল তথ্যও (Disinformation) প্রচারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
  • ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্ভাব্য পদক্ষেপ (Possible EU Action): ইউরোপে অনেক নেতা ভাবছেন এই ডানপন্থী উগ্রবাদকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাস্কের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইউরোপের দ্বন্দ্ব বেড়ে যেতে পারে, কারণ ট্রাম্প প্রায়ই মাস্কের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন বা “মেডলিং” (Meddling) বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।

এই ব্যাপারে আরও জানতে দেখুন – কেন ইলন মাস্ক ব্রিটেন নিয়ে এত অবসেসড?

৩) ইউক্রেন: সহযোগিতা বনাম বিরোধ

ইউক্রেন (Ukraine) ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান আরও একটি বড় চাপের কারণ। ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনে মার্কিন সমর্থন কমিয়ে দিতে পারেন (Winding Down American Support)। ইউরোপে অনেক দেশ এখনো ইউক্রেনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ; সুতরাং আমেরিকার সহযোগিতা সরে গেলে সংকট তীব্র হতে পারে।

  • ইউরোপীয়রা এই মুহূর্তে বেশ দৃঢ়ভাবে প্রো-ইউক্রেন অবস্থানে আছে।
  • যুক্তরাষ্ট্র যদি সাহায্য কমিয়ে দেয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন একা হয়তো পুরোপুরি সামলাতে পারবে না, আর এ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেও বিরোধ বাড়তে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ

কেবল ট্রাম্পের কারণেই যে ইউএস-ইইউ সম্পর্ক (US-EU Relations) খারাপের দিকে যাচ্ছে, তা নয়। কিছু গভীর সমসাময়িক বিষয় আছে, যা ট্রাম্পের পরেও রয়ে যাবে।

১) চীন নিয়ে মতপার্থক্য (China Discrepancies)

চীনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান দল (Democrats & Republicans) একইসঙ্গে আগ্রাসী (Hawkish) অবস্থান রাখে। জো বাইডেন (Joe Biden) মূলত ট্রাম্পের চীনবিরোধী নীতি অব্যাহত রেখেছেন, বরং তাইওয়ানের (Taiwan) প্রশ্নে আরও কঠোর সুরে কথা বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, একাধিকবার তিনি বলেছেন, চীন তাইওয়ান দখল করতে এলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে (Abandoning Strategic Ambiguity)।

  • ইউরোপের দৃষ্টিভঙ্গি: ইউরোপ চীনের স্বৈরাচারী প্রবণতা ও বাণিজ্যিক অনিয়ম (Trade Practices) নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও তারা এতটা আগ্রাসী নয়। তাইওয়ানের মতো ইস্যুতে ইউরোপের সরাসরি অভিযোজনের আগ্রহ কম।
  • ম্যাক্রোঁর (Macron) বক্তব্য: তিনি বেইজিং সফর শেষে বলেছেন, “ইউরোপের বড় ঝুঁকি হলো এমন সংকটে জড়ানো যা আমাদের নিজেদের নয়”—এখানে তাইওয়ান ইস্যুকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। ওয়াশিংটনে (Washington) এ মন্তব্য নিয়ে শোরগোল হলেও ইউরোপীয় নেতারা খুব একটা বিরোধিতা করেননি।

২) আমেরিকার নতুন রূপের সংরক্ষণবাদ (Newfound American Protectionism)

অপর দীর্ঘমেয়াদি বিরোধের ক্ষেত্র হলো আমেরিকার সাম্প্রতিককালের সুরক্ষাবাদী (Protectionist) নীতি—

  • দ্বিদলীয় ঐক্যমত্য (Bipartisan Consensus): চীনের সরবরাহ শৃঙ্খলে (Supply Chain) আধিপত্যের ভয় থেকে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয়েই সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাইডেন ট্রাম্পের সময়ের অধিকাংশ শুল্ক (Tariffs) রেখেছেন এবং “ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট” (Inflation Reduction Act) এর মাধ্যমে আমেরিকান উৎপাদনকারীদের জন্য বিশাল ভর্তুকি দিচ্ছেন।
  • ইউরোপের অসন্তোষ (European Displeasure): ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউরোপ ‘মুক্ত বাণিজ্য’ (Open Global Trade Environment) রক্ষায় বেশি আগ্রহী।
    • ইউরোপের নেই পর্যাপ্ত নিজস্ব জ্বালানি (Domestic Energy Supply), নেই বড়সড় ভোক্তা-বাজার (Wealthy Consumer Base) যা মার্কিন ভোক্তাবহুল বাজারের মতো।
    • ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টের মতো ব্যয়বহুল ভর্তুকি দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্যও (Fiscal Space) ইউরোপের অনেক দেশের নেই। ফলে বিশ্বময় সুরক্ষাবাদ বাড়লে ইউরোপ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৩) মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে অমিল

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই একধরনের অস্বস্তিকর তারতম্য রয়েছে—

  • মার্কিন প্রভাব বনাম ইউরোপের ক্ষতি: মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব বেশি, কিন্তু যুদ্ধ বা অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে ইউরোপের ওপর শরণার্থী প্রবাহ (Migration) ও সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) আশঙ্কা বেড়ে যায়।
  • ইসরায়েল (Israel) প্রশ্নে ফারাক: সাম্প্রতিক গাজা সংকট বা ইসরায়েলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত আরও সহানুভূতিশীল, যেখানে ইউরোপ বরাবরই ‘ডি-এস্কালেশন’ (De-escalation) চায়, আন্তর্জাতিক আইনের (International Law) লঙ্ঘন নিয়ে আরো কড়া সমালোচনা করে।
  • ইরান (Iran) প্রসঙ্গ: ট্রাম্প হলে হয়তো একতরফাভাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে (Nuclear Facilities) আগাম হামলা (Preemptive Strike) চালাতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, তিনি এই বিকল্প নিয়ে ভাবছেন। ইউরোপ অবশ্য বরাবরই চায় আরও মিতব্যয়ী (Conciliatory) অবস্থান, কারণ ইরান থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি করলে ইউরোপের জ্বালানি সংস্থান বাড়তে পারে। আরেকটি বড় উদ্বেগ হল মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সংঘাত বাড়লে অভিবাসন ও জ্বালানির দামে (Energy Price) বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, যা সরাসরি ইউরোপকে আক্রান্ত করবে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: বিচ্ছেদ নাকি সময়োচিত সামঞ্জস্য?

কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না আগামীতে কী ঘটবে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী—দুই ক্ষেত্রেই ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্কে শিগগির উন্নতি আশা করা যাচ্ছে না। বরং ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সম্ভাব্য উত্তেজনা ও কাঠামোগত দ্বন্দ্বের কারণে এই সম্পর্ক আরও অবনতি হতে পারে।

  • ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ: গ্রিনল্যান্ড কাণ্ড, ইলন মাস্কের ইউরোপীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে আনার সম্ভাবনা—এসবই ইউরোপকে ভাবিয়ে তুলছে।
  • কাঠামোগত দ্বন্দ্ব দূর হওয়া কঠিন: চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কৌশল, সুরক্ষাবাদী অর্থনীতি, মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসী নীতি—এগুলো রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, মোটামুটি একই ধারায় চলছে।
  • ইউরোপের বিকল্প সঙ্গী ও কৌশল: ইউরোপ কি চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হবে নাকি নিজস্ব কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোর দেবে? কিছু বিশ্লেষক বলছেন, হয়তো ইউরোপ একটা ‘আরও স্বাধীন পথ’ (Strategic Autonomy) বেছে নিতে পারে। তবে এখনও বড় জটিলতার মুখে রয়েছে, যেমন: জ্বালানিনির্ভরতা, সামরিক সক্ষমতা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি।

মোটাদাগে বলা যায়, খুব শিগগিরই মার্কিন-ইউরোপীয় বন্ধনে পুরোপুরি চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ঘটবে বলে মনে হয় না। কিন্তু সামনের চার বছরে (বা আরও পরেও) যে চ্যালেঞ্জগুলো বাড়ছে, তা বেশ স্পষ্ট। ট্রাম্প আসলে যা করছেন, তা একমাত্র কারণ নয়—মোটাদাগে বলা যায়, আমেরিকা ও ইউরোপের ভৌগলিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ দিন দিন ভিন্ন দিকে এগোচ্ছে। এবং উভয় পক্ষকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নতুনভাবে ভাবতে হতে পারে যে, সত্যিই কী পরিমাণে আর পুরনো সেই ‘একাত্মতা’ বজায় রাখা সম্ভব।

সার্বিকভাবে ইউরোপ ও ইইউ সম্পর্কে আরও সংবাদ ও বিশ্লেষণ জানতে যান এখানে – ইইউ ও ইউরোপ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আরও সংবাদ ও বিশ্লেষণ জানতে চাইলে দেখুন – যুক্তরাষ্ট্র সংবাদ

তথ্যসূত্র

1 – https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_treaties_unsigned_or_unratified_by_the_United_States
2 – https://www.bbc.co.uk/news/articles/crmngpvv08lo
3 – https://www.theguardian.com/technology/2025/jan/06/emmanuel-macron-joins-growing-criticism-elon-musk-europe
4 – https://www.politico.eu/article/donald-trump-elon-musk-european-meddling/
5 – https://www.nytimes.com/2022/05/24/briefing/biden-taiwan-china-strategic-ambiguity.html
6 – https://www.politico.eu/article/emmanuel-macron-china-america-pressure-interview/
7 – https://twitter.com/ianbremmer/status/1730900883054149706/photo/1
8 – https://www.cato.org/blog/inflation-reduction-act-after-two-years-spending-estimates-reach-new-heights-green-new-deal

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.