Table of Contents
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তদন্তের মুখে (সংক্ষিপ্ত) (৩০ জানুয়ারি, ২০২৫)
ইতালীয়-জার্মান অক্ষ: ইউরোপের নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা (২৯ জনুয়ারি, ২০২৫)
ইতালিতে লিবিয়ান “ওয়ারলর্ড” গ্রেপ্তার, আবার ছাড়া (সংক্ষিপ্ত) (২২ জানুয়ারি, ২০২৫)
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ট্রাম্প-সাক্ষাৎ ও ইরান সংক্রান্ত টানাপোড়েন (সংক্ষিপ্ত) (৬ জানুয়ারি, ২০২৫)
ইতালির অভিবাসন নীতি: মেলোনির কঠোর অবস্থান, সাম্প্রতিক সাফল্য ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ (২ অক্টোবর, ২০২৪)
ভূমিকা
গত দুই বছর ধরে ইতালির (Italy) প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি (Giorgia Meloni) তার সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে “অভিবাসন (Immigration) কমিয়ে আনা”-কে চিহ্নিত করেছিলেন। শুরুর দিকে তার প্রয়াস তেমন ফলপ্রসূ না হলেও, সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে উত্তর আফ্রিকা (North Africa) থেকে ছোট নৌকায় সমুদ্রপথে ইতালিতে প্রবেশের হার (Small boat crossings) উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এ সাফল্যের জন্য মেলোনি ইউরোপীয় নেতাদের (European leaders) কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, মেলোনি কেন অভিবাসন সংখ্যা এতটা কমানোর প্রতি আগ্রহী? কীভাবে তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো কার্যকর হলো, এবং কেন বলা হচ্ছে এই সাফল্যগুলো বাস্তবে অতটা মনোরম বা পূর্ণ সমাধান নয়? এই নিবন্ধে আমরা এসব বিশ্লেষণ করব—অভিবাসন সম্পর্কিত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, মেলোনির নীতির কার্যকারিতা এবং ইতালির দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ।
পটভূমি: ইতালিতে অভিবাসন “গরম” ইস্যু হয়ে ওঠা: ইউরোপীয় অভিবাসন সঙ্কট ও এর প্রভাব
২০১০-এর দশকের শেষ দিকে ইউরোপের তথাকথিত “অভিবাসন সঙ্কট” (European migration crisis) ইতালি তথা দক্ষিণ ইউরোপের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। ২০১৮ সালের দিকে, কড়া অভিবাসনবিরোধী (Tough approach) অবস্থান ইতালির জনপ্রিয়তাবাদী (Populist) দলগুলোর মধ্যে একপেশে জনপ্রিয়তা এনে দেয়, সে বামপন্থী ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (Five Star Movement) হোক বা ডানপন্থী লিগ (League)। এই দলগুলো ক্ষমতায় এসে অভিবাসন কমাতে কঠোরতা আরোপ করে:
- শরণার্থী মর্যাদা (Refugee status) পাওয়া কঠিন করে তোলা
- NGO উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর (NGO rescue ships) ইতালির বন্দরগুলোতে ভিড়তে বাধা
- অধিক সংখ্যক আটককেন্দ্র (Detention centres) নির্মাণ ইত্যাদি।
এ দলগুলো ইতালীয়দের “নেতিবাচক মনোভাব” (Negative attitudes) থেকে সুবিধা নিয়েছে। ২০১৯ সালের এক পিউ (Pew) জরিপ অনুযায়ী, ৫৪% ইতালীয় মনে করতেন অভিবাসন “একটা বোঝা,” যখন পশ্চিম ইউরোপের অন্য বেশ কিছু দেশে অভিবাসনকে “শক্তি” হিসেবে দেখা হয়েছিল।
২০১৮ সালের পর নতুন সরকারগুলোর নেওয়া এসব নীতির ফলে সাগরপথে (By sea) অনিয়মিত অভিবাসন (Irregular migration) কিছুটা হ্রাস পায়। কিন্তু কোভিড-১৯ (COVID-19) মহামারিকাল ও পরবর্তী সময়ে ফের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২২ সালের নির্বাচনে (Election 2022) দেখা গেল, অভিবাসন আবার আলোচ্যসূচির শীর্ষে উঠে এসেছে।
তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে, অনেক অনিয়মিত অভিবাসী ইতালিতে এসেও পরবর্তীতে ইউরোপের অন্য দেশে (Other countries in Europe) পাড়ি দেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত দশকে ইতালিতে অভিবাসন—নিয়মিত ও অনিয়মিত দুটোই—তেমন “বিশাল লাফ” দেয়নি। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় ইতালিতে বর্গফুট বা জনসংখ্যার অনুপাতে অভিবাসী প্রবেশ কমই বলা চলে।
- ২০১৩ থেকে ২০২৩ সময়ে ইতালির বিদেশী জনসংখ্যা (Foreign population) মাত্র ৭ লক্ষ (700,000) বেড়েছে।
- একই সময়ে ফ্রান্স (France) ১১ লক্ষ (1.1 million) বেড়েছে, জার্মানি (Germany) প্রায় ৬৩ লক্ষ (6.3 million) বেড়েছে।
- আশ্রয়প্রার্থীর (Asylum seekers) সংখ্যায়ও ইতালিতে তুলনামূলক কম। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে ইতালিতে ৮০ হাজার প্রথমবারের মতো অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে জার্মানিতে ২৪৪ হাজার ও ফ্রান্সে ১৪৫ হাজার হয়েছে।
সে হিসেবে, ইতালিতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% বিদেশে জন্ম নেওয়া (Foreign-born) — যেখানে ফ্রান্স ও স্পেনে ১৩%, যুক্তরাজ্যে ১৪%, আর জার্মানিতে ১৬%। তবে অনেক ইতালীয় মনে করেন এই হার আরও বেশি, ২০১৮ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, তারা গড়ে ২৮% বলে অনুমান করেন।
মেলোনির উত্থান ও তার অভিবাসনবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি
২০২২ সালের নির্বাচনে জয় (2022 Election Victory): এরকম প্রেক্ষাপটে, জর্জিয়া মেলোনির “ব্রাদার্স অব ইতালি” (Brothers of Italy) দল ২০২২ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়, যেখানে অভিবাসন নিয়ে জনপ্রিয় অসন্তোষের বিস্তার ছিল অন্যতম সহায়ক উপাদান। মেলোনি আগে থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) পরিমণ্ডলে “মাইগ্রেশন-স্কেপটিক” (Migrant-skeptic) কণ্ঠ ছিল। বিরোধী রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি অভিযোগ করেন, জর্জ সোরোস (George Soros) “শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়দের” জাতিগত পরিবর্তন (Ethnic replacement) ঘটানোর পরিকল্পনা করছেন বলে “অর্থায়নে” মেতে উঠেছেন। মেলোনি কথিতভাবে একটি “নৌবহর অবরোধ” (Naval blockade) গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে আসা অভিবাসীদের থামানো যায়। ক্ষমতায় এসে তিনি জোর গলায় বলেন, “ইতালি ইউরোপের শরণার্থী শিবির (Refugee camp) হয়ে উঠবে না।”
প্রাথমিক ব্যর্থতা (Initial Failures): কিন্তু বাস্তবে, প্রথম বছরেই তিনি “অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে” সাফল্যের মুখ দেখেননি। ২০২২ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে, উত্তর আফ্রিকা থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে (Central Mediterranean route) অনিয়মিত অভিবাসীর প্রবাহ দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়ে যায়, ফলে ইতালির উপকূলে আগত অভিবাসীর সংখ্যা “ইউরোপীয় অভিবাসন সঙ্কট” (২০১৫-১৭) সময়ের কাছাকাছি চলে যায়। একই সময়ে, স্পেন (Spain) ও গ্রীস-সহ (Greece) অন্যান্য ফ্রন্টলাইন দেশে আগমনের হার কমে বা স্থিতিশীল ছিল। এর ফলে ইতালির জনমনে আবার মেলোনির প্রতিশ্রুতি নিয়ে হতাশা তৈরী হয়। সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর এক জরিপে ৭১% ইতালীয় বলেছেন, মেলোনি যতটা বলেছিলেন, তার চেয়ে কম বাস্তবায়ন করেছেন। তার ডানপন্থী মিত্ররাও বিরক্তি প্রকাশ করেন। মেলোনি নিজেও স্বীকার করেন, তিনি “আরও ভালো ফল” আশা করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সাফল্য: হঠাৎ অনিয়মিত অভিবাসন কমে যাওয়া
নতুন চুক্তির (Deals) ফল ও পর্যালোচনা: তবে ভাগ্যের মোড় কিছুটা ঘুরেছে, কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামুদ্রিক পথে ইতালিতে প্রবেশ প্রায় ৬০% কমেছে (Year-on-year)। এটি মূলত মেলোনির গতবছর করা চুক্তির (Agreements) দেরিতে পাওয়া ফলাফল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তিনি উত্তর আফ্রিকার (North Africa) কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছেন—সরকারি সহায়তার (Government support) বিনিময়ে এই দেশগুলো অভিবাসী বোঝাই নৌকার (Migrant boats) যাত্রা রোধ করতে সম্মত হয়েছে। প্রথম দিকে দৃশ্যমান সাফল্য না আসলেও, এখন মনে হচ্ছে এই কৌশল কাজ করছে। মেলোনি সম্প্রতি তিউনিসিয়া (Tunisia) ও লিবিয়া (Libya) সফর করে এই চুক্তিগুলো আরও জোরদার করেছেন। তার আশা, এবার সংখ্যা আরও কমবে।
আলবেনিয়া-চুক্তি: একই সঙ্গে, তিনি নতুন একটি আলবেনিয়া (Albania) চুক্তিতে গিয়েছেন, যেখানে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ সাগরে ধরা পড়া অভিবাসীদের “আলবেনিয়ায়” নিয়ে গিয়ে আটকে রাখবে, সেখানেই তাদের আশ্রয়ের আবেদন (Asylum claims) প্রক্রিয়া করা হবে। মেলোনির দাবী, এই কেন্দ্রগুলো প্রতি বছর প্রায় ৩৬ হাজার আশ্রয়প্রার্থী সামলাতে পারবে। এছাড়া “আলবেনিয়ায় পাঠানো” হবে জেনে অনেক অভিবাসী হয়ত শুরুতেই আসতে নিরুৎসাহিত হবে—এমনটাই তার যুক্তি।
মেলোনির অভিবাসন কঠোরতা ও ইতালির শ্রমবাজার সংকট
ইতালির জনসংখ্যা সংকট (Italy’s Demographic Crisis): মেলোনি যেভাবে কঠোর অভিবাসন নীতির ফলে অনিয়মিত অভিবাসীদের থামাচ্ছেন, সেটির আরেকটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে: ইতালির শ্রমবাজারে (Worker shortage) ঘাটতি বেড়ে গেছে। কারণ, ইতালি জনসংখ্যা হ্রাসের (Aging population) এক গুরুতর সমস্যায় জর্জরিত। ইতালির জন্মহার (Fertility rate) দীর্ঘদিন ধরেই ১.৩/১.৪-এর নিচে, যা স্থিতিশীল জনসংখ্যা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নয়। ১০৭টি প্রদেশের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায় অবসরপ্রাপ্ত (Retirees) মানুষের সংখ্যা কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে বেশি। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ইতালির জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ কমে যাবে, আর তখনের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে ৬৫ বছরের ওপরে। পাশাপাশি, হাজার হাজার তরুণ শিক্ষিত ইতালীয় (Educated Italians) কাজের জন্য জার্মানি (Germany), ফ্রান্স (France) বা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ফলে যে পরিমাণ কর্মী প্রয়োজন, তা পাওয়া কঠিন।
সরকারী কোটা বাড়ানো (Increased Work Visa Quotas): এই সমাধানে, মেলোনি সরকার “নীরবে” অ-ইইউ (Non-EU) কর্মীর (Work visa) কোটা ৪৫০,০০০-এর ওপরে তুলেছে, যা আগের চেয়ে প্রায় ১৫০% বেশি। খুব নীরবে হলেও এটি কিন্তু অভিবাসনের পথ খোলে—বিশেষত যারা কয়েক বছর আগে ইতালিতে অনিয়মিতভাবে প্রবেশ করেছিলেন, তারাই এখন স্থায়ী আইনি মর্যাদা (Legal status) পেতে পারেন। এরপর ইতালির পরিবার পুনর্মিলন (Family reunification) নীতি অনুসারে, এইসব নতুন আইনি অভিবাসীর পরিবারও আসতে পারবে, যা পরবর্তী দশকে প্রায় ১৫ লক্ষ (1.5 million) অতিরিক্ত অভিবাসী আনতে পারে।
দ্বৈত নীতি: “বৈধ” বনাম “অনিয়মিত” (Dual Policy: “Legal” vs. “Irregular”): মেলোনি দাবি করতে পারেন, তিনি “অবৈধ” (Illegal) অভিবাসন কমাচ্ছেন কিন্তু “বৈধ” (Legal) অভিবাসন বাড়াচ্ছেন—যাতে দেশের অর্থনীতি (Economy) চাঙা হয়। কিন্তু বাস্তব হলো, অনেক “নতুন কোটা”ই (New quota) সেই অনিয়মিত অভিবাসীদের হাতেই যাবে, যারা ইতিমধ্যে দেশে রয়েছেন। এটি আসলে “অবৈধ” ও “বৈধ” অভিবাসনের বিভাজনকে ঝাপসা করে দেয়। ফলে প্রশ্ন রয়ে যায়: মেলোনির ডানপন্থী ভোটাররা (Migration skeptic voter base) কীভাবে এই “জটিল” নীতিকে গ্রহণ করবে? কারণ মুখে অভিবাসন রোধের কথা বললেও, অন্য পথে অভিবাসী বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
উপসংহার
জর্জিয়া মেলোনির জন্য অভিবাসন কমানোর প্রতিশ্রুতি ছিল ভোটে জয় পাওয়ার অন্যতম হাতিয়ার। প্রথম বছরে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হচ্ছিল—কারণ ভূমধ্যসাগরের মধ্যাঞ্চলীয় রুটে আগমনের হার দ্বিগুণ ছুঁয়ে ফেলেছিল। তবু সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, “কাগজে কলমে” অনিয়মিত প্রবেশ বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, হয়ত উত্তর আফ্রিকার সঙ্গে করা চুক্তি সফল হতে শুরু করেছে।
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ইতালি বড় এক শ্রমশক্তির সংকট (Worker shortage) মোকাবেলা করছে—জন্মহার খুব কম, বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তরুণরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, আর অর্থনীতি স্থবিরের কাছাকাছি। এসব মেলিয়ে মেলোনি সরকারকে অভিবাসন নিয়ে একধরনের দ্বৈত পথ অনুসরণ করতে হচ্ছে: মুখে “কঠোরতম অবস্থান” (Crackdown) নিয়ে সমুদ্রপথে আগতদের থামানো, অপরদিকে “আইনি অভিবাসন” (Legal migration) বাড়ানোর পথ খুলে দেওয়া—যাতে অর্থনীতি চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী পাওয়া যায়।
এই দ্বৈতত্ব কতটা টেকসই হবে—এবং বিশেষ করে মেলোনির ডানপন্থী সমর্থকরা (Right-wing base) এটিকে কীভাবে নেবে—এ নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। ইতালি যদি সত্যিই কর্মী আমদানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে অর্থনীতি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার আরও বেশিরভাগ মানুষকে বৈধভাবে সুযোগ দিলে “অভিবাসন কমানোর” প্রতিশ্রুতির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
তাই বলা যায়, ইতালির অভিবাসন সঙ্কট “সমাধান” (Solved) হওয়া দূরের কথা। মেলোনির সাম্প্রতিক সাফল্য কিছুটা হলেও পরিসংখ্যানগত ও স্বল্পমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদে দেশটির জনমিতি (Demographics) ও অর্থনৈতিক বাস্তবতাই নির্ধারণ করবে, ঠিক কতটা কঠোর বা নমনীয় অভিবাসননীতি (Immigration policy) ইতালি অনুসরণ করতে বাধ্য হবে।
তথ্যসূত্র
1 – https://www.economist.com/europe/2023/03/30/a-surge-of-migrants-is-reaching-italy
2 – https://twitter.com/DanielKral1/status/1838497816521429483
3 – https://www.statista.com/statistics/548869/foreign-born-population-of-france/
4 – https://www.statista.com/statistics/886209/foreigner-numbers-germany/
5 – https://www.ipsos.com/sites/default/files/ct/news/documents/2018-12/perils_of_perception_2018_charts_v1_final_041218_1.pdf
6 – https://www.geocurrents.info/blog/tag/italian-fertility-rate/
7 – https://twitter.com/broderly/status/1552247082681081863/photo/1
8 – https://www.theguardian.com/world/2023/sep/20/giorgia-meloni-i-wont-allow-italy-to-become-europe-refugee-camp
9 – https://www.statista.com/statistics/623514/migrant-arrivals-to-italy/
10 – https://www.la7.it/dimartedi/video/sondaggi-secondo-gli-italiani-il-governo-meloni-non-ha-mantenuto-le-promesse-20-09-2023-503884
11 – https://www.lasvolta.it/ultimora/85094
12 – https://www.ft.com/content/6b6945a7-f45d-4767-8804-4b4474f16596
13 – https://www.theguardian.com/world/2024/sep/19/shapeshifter-who-is-the-real-giorgia-meloni-italy-prime-minister
14 – https://www.reuters.com/world/europe/births-italy-heading-new-record-low-2023-stats-office-2023-10-26
15 – https://www.politico.eu/article/italy-far-right-leader-giorgia-meloni-migration/
16 – https://www.reuters.com/world/europe/italys-meloni-talks-tough-migrants-while-opening-up-foreign-workers-2023-12-06/
17 – https://www.reuters.com/markets/europe/italys-labour-shortage-is-ticking-time-bomb-generali-chairman-2023-06-09/
18 – https://www.ft.com/content/865c052c-70e5-41a4-9b15-6288f86fbe88
19 – https://www.ft.com/content/1734dc5e-67b2-46f1-b59c-69fbea574c34
Leave a Reply