ভারত কি তার বিশাল ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধে সক্ষম?

ভূমিকা

ভারত (India) এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। কিন্তু পাশাপাশি দেশটির জাতীয় ঋণের (national debt) পরিমাণও বেশ বেশি। সরকারিভাবে হিসাব করা “ঋণ-জিডিপি অনুপাত” (debt-to-GDP) দেখায়, এ হার প্রায় ৮৭%—যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বেশ উঁচু। এমনকি চীনের (China) তুলনায়ও বেশি; কারণ চীনের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ৭৭.১%। এর ফলে একটাই প্রশ্ন জাগে—এই উচ্চ ঋণের পেছনে কি ভারতের সরকারের আর্থিক দায়-দায়িত্ব পরিচালনায় অদক্ষতা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ কাজ করছে?

এই নিবন্ধে আমরা অনুসন্ধান করব—কেন ভারতের ঋণ (debt) এত বড়, কীভাবে এটি তৈরি হয়েছে, কী কী ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান, এবং আদৌ ভারত কি এই বিশাল ঋণ বহন করতে পারবে কিনা।

ভারতে উচ্চ ঋণ-থেকে-জিডিপি: পটভূমি ও কারণ

ভারতের ঋণ-থেকে-জিডিপি অনুপাত কেন এত উঁচু, তা বুঝতে হলে কয়েকটি বিষয় জানা জরুরি।

১) সরকারের উচ্চাভিলাষ (Government’s Ambition): ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। তখন ভারতের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ছিল ৬৬.৫%। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৭০.৫%, এবং ২০১৯ সালে ৭৫%। এই হার কিন্তু কোভিড-১৯ (COVID-19) মহামারি শুরুর আগের। মহামারির পর স্বাভাবিকভাবেই ভারতসহ বহু দেশকে অতিরিক্ত ঋণ নিতে হয়েছে। কিন্তু কোভিডের আগেই ভারতের ঋণ-জিডিপি বাড়ছিল। এর পেছনে বড় একটি কারণ হলো মোদির “উচ্চাভিলাষী” প্রকল্পগুলো। মোদি দায়িত্ব নেবার পর নানা বড় মাপের প্রকল্প হাতে নেন। উদাহরণ—“Smart Cities Mission” ও “Bharatmala” সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়, যা আংশিকভাবে ঋণ নিয়ে মেটানো হয়েছে।

    • Smart Cities Mission: ১০০টি শহরকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা।
    • Bharatmala: সারা দেশে রাস্তা নেটওয়ার্কের মান ও সংযোগ (connectivity) উন্নয়ন, অর্থাৎ মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়ন।

এ ধরনের অবকাঠামো (infrastructure) ও উন্নয়ন প্রকল্প লম্বা সময়ে অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু স্বল্পমেয়াদে সরকারের ব্যয় (expenditure) ও ঋণকে বাড়ায়।

২) নোটবন্দি (Demonetization) নীতি ও প্রভাব: ২০১৬ সালে ভারত সরকার হঠাৎ করে বড় মূল্যমানের মুদ্রা নোট বাতিল করে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি ও কালো টাকার (black money) প্রবাহ কমানো। কিন্তু হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে অস্থায়ী ধাক্কা দেয়, বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতে (informal sector), যা ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ধাক্কা সামলে ওঠার জন্য সরকারকে পরবর্তীতে আরও ঋণ নিতে হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। (অনানুষ্ঠানিক খাত (Informal Sector) বলতে অর্থনীতির সেই অংশকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত সরকার-নিয়ন্ত্রিত নয়, যেখানে কর আদায় বা নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয় না এবং যা আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত হয় না। এ খাতে সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসা, অস্থায়ী কাজ, দৈনিক মজুরিতে কাজ করা শ্রমিক, রিকশাচালক, হকার, গৃহকর্মী, নির্মাণশ্রমিক প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত হয়।)

৩) সামরিক ব্যয় (Military Expenditure): গত এক দশকে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে সামরিক ব্যয় (military expenditure) বাড়াও ভূমিকা রেখেছে। ভারতের ভৌগোলিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে—চীন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ থেকে শুরু করে আরও নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি। ফলে সামরিক খাতে ব্যয় অনেক সময় যুক্তিযুক্ত হতে পারে, কিন্তু এটি দেশের ঋণকে একই সঙ্গে বাড়িয়ে তুলছে।

অতিরিক্ত সরকারি ঋণের সম্ভাব্য ঝুঁকি

সরকার যখন বেশি ঋণ নেয়, তখন কিছু বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। ভারতেও এখন সেই ঝুঁকিগুলো মাথাচাড়া দিচ্ছে।

  • ১) উচ্চ সুদের হার (High Interest Rates): সরকারের ঋণ যত বাড়ে, ঋণদাতারা (lenders) ঝুঁকি বেশি অনুভব করে। ফলে তারা সুদের হার (interest rates) বাড়াতে পারে। এতে করে সরকার তথা অর্থনীতিতে সুদের বোঝা বেড়ে যায়। বেসরকারি খাতের (private sector) জন্যও ঋণ পেতে সুদের হার বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধিকে (economic growth) শ্লথ করে দিতে পারে।
  • ২) সম্পদের অপব্যবহার (Misallocation of Resources): বড় অর্থের প্রকল্পে অতিরিক্ত বিনিয়োগ হলেও সেগুলো যদি সঠিক পরিকল্পনা বা বাস্তবায়ন পদ্ধতি না পায়, তবে দরকারি সুফল আসবে না। এতে নির্মাণ হয়ে উঠতে পারে “white elephant” প্রকল্প, যেগুলো অনেক টাকা ব্যয় করে গড়ে তোলা হলেও পর্যাপ্ত লাভ বা সুবিধা আনে না। দুর্নীতি, পরিকল্পনার অপূর্ণতা কিংবা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ বদলে যাওয়ার মতো কারণে এসব ঝুঁকি থাকে।
  • ৩) মূল্যস্ফীতির (Inflation) ঝুঁকি: সরকারি ব্যয় বাড়লে অর্থনীতিতে চাহিদাও (aggregate demand) বাড়ে। যদি সেই চাহিদা সরবরাহকে (supply) ছাড়িয়ে যায়, মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ওপর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। (সরকারি ব্যয় বাড়লে অর্থনীতিতে চাহিদা (aggregate demand) বাড়ে, কারণ এ ব্যয়ের মাধ্যমে জনগণের হাতে আরও অর্থ প্রবেশ করে, যা তারা বিভিন্ন পণ্য ও সেবার কেনাকাটায় ব্যয় করে। উদাহরণস্বরূপ, অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ শ্রমিকদের আয় বাড়ায়, যা ভোগব্যয় বৃদ্ধি করে; সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও কর্মসংস্থান প্রকল্প সরাসরি নিম্ন ও মধ্যবিত্তের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেয়, যা বাজারে চাহিদা বাড়ায়। এছাড়া সরকারি কেনাকাটা কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধি করে, ফলে তাদের কর্মীদের আয়ও বাড়ে। এই প্রক্রিয়াগুলোর ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে ভোগব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা সরবরাহের চেয়ে বেশি হলে মূল্যস্ফীতি ঘটাতে পারে।)
  • ৪) বহিরাগত ঝুঁকি (External Risks): বিশ্বব্যাপী আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন, সুদের হার ওঠানামা, বা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের (investor sentiment) পালাবদল ভারতের ঋণের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। হঠাৎ যদি বৈদেশিক মূলধন প্রবাহ (capital inflows) কমে যায় বা আন্তর্জাতিক সুদের হার বেড়ে যায়, দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় চাপ বাড়তে পারে। চরম পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকট (financial crisis) দেখা দিতে পারে।

আইএমএফ (IMF) ও অন্যান্য মূল্যায়ন

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) সতর্ক করেছে যে, ভারতের সরকারি ঋণ (general government debt) মধ্যমেয়াদে (medium term) জিডিপির ১০০% ছাড়াতে পারে, বিশেষত পরিবেশগত ঝুঁকি (climate stresses) ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ (natural disasters)-সংক্রান্ত ব্যয় মেটাতে দেশকে বড় বিনিয়োগ করতে হবে। আইএমএফ, তাই “ambitious fiscal consolidation”—অর্থাৎ দ্রুত ও সুস্পষ্টভাবে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। ভারত সরকার পাল্টা যুক্তি দিয়েছে, তাদের ঋণের বড় অংশ দেশীয় মুদ্রায় (domestic currency) নেওয়া, তাই ঝুঁকি সীমিত। গত দুই দশকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ধাক্কা সত্ত্বেও ভারতের ঋণ-থেকে-জিডিপি মোটের ওপর স্থিতিশীল থেকেছে বলে সরকারের দাবি।

দ্বিতীয়দিকে, মুডি’স ইনভেস্টরস সার্ভিস (Moody’s Investors Service) জানিয়েছে, ভারতের ঋণ বহনযোগ্যতার (debt affordability) তেমন উন্নতি তারা দেখছে না। সুদের পরিশোধে যে বড় অংকের বাজেট বরাদ্দ লাগে, তা দেখায় যে ঋণ বহনযোগ্যতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। মুডি’স বলে, ভারত ২০২৫/২৬ সাল নাগাদ ৪.৫% রাজস্ব ঘাটতি (fiscal deficit) লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চায়, তবে এর জন্য আয়ের (revenue) পথে আরও উদ্যোগী হওয়া দরকার। খরচ-সাশ্রয় (expenditure management) করে উন্নতি করা কঠিন, তবে ভারতের মজবুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (robust economic growth) রাজস্ব বাড়ানোয় সহায়তা করতে পারে। ২০২৪/২৫ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫.১%-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।

বিরোধী দল (Congress) ও অন্যান্য সমালোচনা

ভারতের বিরোধী দল, বিশেষ করে কংগ্রেস (Congress), সরকারের ঋণব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের ভাষায়, ২০১৪ সালে যখন মোদি ক্ষমতায় আসেন, তখন দেশের মোট ঋণ ছিল ৫৫ লাখ কোটি রুপি; এখন ৯ বছরে তা প্রায় ১৫৫ লাখ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে—যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি। কংগ্রেসের মুখপাত্র বলছেন, এই বিশাল ঋণ বৃদ্ধির পেছনে “অর্থনৈতিক দুর্ব্যবস্থাপনা” (economic mismanagement) কাজ করেছে, যার ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস একটি শ্বেতপত্র (white paper) প্রকাশের দাবিও তুলেছে।

কংগ্রেস আরও বলেছে যে, জিএসটি (GST) আদায়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে—জনসংখ্যার নিম্ন ৫০% (যাদের হাতে দেশের মোট সম্পদের মাত্র ৩%) তারা জিএসটির বড় অংশ পরিশোধ করে, কিন্তু শীর্ষ ১০% সম্পদশালীদের জিএসটির বোঝা অনেক কম। পাশাপাশি, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের ঋণ-থেকে-জিডিপি অনুপাত ৮৪%-এ পৌঁছেছে, যা গড় উন্নয়নশীল দেশের চেয়েও বেশি।

মোদি সরকারের অবস্থান

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিচ্ছেন ভারতের “ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা” (future growth powerhouse) ও সম্ভাব্য উন্নয়নের ওপর। তিনি বলছেন, তার সরকার দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি ও প্রবৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে—যেমন অবকাঠামো খাতে (infrastructure sector) ব্যয় বাড়ানো ও অর্থনীতিকে আরো উন্মুক্ত করা। তিনি বিশ্বাস করেন, এসব পদক্ষেপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের জন্য ফলদায়ক হবে। বিরোধী অভিযোগকে পাশ কাটিয়ে তিনি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলে (long-term economic strategies) অটল থাকতে চান।

ঋণ কমানোর পথ: ভারতের করণীয়

শেষে আসা যাক, কীভাবে ভারত এই বিপুল ঋণের বোঝা কমাতে পারে—দুইটি মুখ্য উপায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ:

  1. অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি (Economic Growth) ত্বরান্বিত করা: যদি অর্থনীতি (GDP) ঋণের হারের চেয়ে দ্রুত বাড়ে, তবে ঋণ-থেকে-জিডিপি অনুপাত স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়। অবকাঠামো উন্নয়ন, উৎপাদন খাত সম্প্রসারণ, রপ্তানি বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ এসব সহায়ক হতে পারে।
  2. সরকারি রাজস্ব (Government Revenues) বাড়ানো:
    • ট্যাক্স ব্যবস্থার সংস্কার (tax system reform): আরও বেশি মানুষ ও খাতকে করের আওতায় আনা, কর ফাঁকি (tax evasion) কমানো, বর্তমান কর কাঠামোর ফাঁকফোকর বন্ধ করা—এসব জরুরি। ভারতে এখনো অনেক মানুষ কর দিতে পারে না বা দেয় না; ফলে রাজস্ব ঘাটতি থাকে।
    • উচ্চতর করহার (higher tax rates): ইউরোপ বা উন্নত দেশগুলোতে ব্যক্তিগত আয়ের সর্বোচ্চ কর ৫০% বা তার বেশি, সেখানে ভারতে সর্বোচ্চ ৩০% (২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য)। চাইলে ভারত করের হার বাড়িয়ে আয় বাড়াতে পারে। তবে এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে, ভোক্তা ব্যয় (consumer spending) কমে অর্থনীতি শ্লথ হতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগ (foreign investment) নিরুৎসাহিত হতে পারে। এছাড়া মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বাড়বে।

উপসংহার

সামগ্রিকভাবে, ভারতের বিশাল ঋণ কিছুটা উদ্বেগজনক হলেও দেশটি একাধারে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিও বটে। বিগত বছরগুলোর উচ্চাভিলাষী অবকাঠামো প্রকল্প, সামরিক ব্যয়, নোটবন্দির মতো কঠোর পদক্ষেপ—এসব মিলিয়ে ঋণ বেড়েছে। সরকারের যুক্তি, এসব দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়নের ভিত গড়তে সাহায্য করবে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো (যেমন আইএমএফ, মুডি’স) সতর্ক করছে যে, ঋণ অত্যধিক হলে সুদের বোঝা বাড়বে, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে, এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিরোধী দলগুলোও বলছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার ফলেই ঋণ এত দ্রুত বেড়েছে।

ভারত সরকার চায়, প্রবৃদ্ধি (growth) ও করসংগ্রহ (revenue) বাড়ানোর মাধ্যমে এই ঋণের চাপ সামলাতে। তবে কর বাড়ালে আবার ভোগ (consumption) ও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ফলে ভারসাম্য খুঁজে বের করাই বড় চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত ভারতের স্থায়ী সমাধান নির্ভর করবে, কতটা দ্রুত অর্থনীতি বাড়ে এবং সরকার রাজস্ব বাড়াতে ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে কতটা সুদক্ষ হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.