ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও চীনা অর্থনীতির মন্দা: সংকট, প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণের দ্বিধাদ্বন্দ্ব

ভূমিকা

চীনা অর্থনীতি (Chinese economy) বর্তমানে সুখকর সময় পার করছে না। টানা দীর্ঘ মন্দা ও মূল্যস্ফীতি-জনিত স্থবিরতার মধ্যে থেকেও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিসিপি (CCP) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ (IMF) এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসা পরামর্শ (যা মূলত সরকারি ব্যয়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর সুপারিশ করে) শুনতে চাইছে না। কারণ, তারা মনে করে অতিরিক্ত খরচ করলে বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাবলগুলো (bubbles) আবার ফুলে উঠতে পারে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পুনর্নির্বাচন চীনের অর্থনীতির জন্য পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা ট্রাম্পের শুল্ককেন্দ্রিক চীন নীতি (tariff centric China policy), কেন তা চীনের বর্তমান উদ্দীপনা-পদ্ধতি বা স্টিমুলাস (stimulus) সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলছে, এবং সামনের দিনে কী ঘটতে পারে—সেই বিষয়ে বিশদ আলোচনা করব।

ট্রাম্পের চীনা-বিরোধী অবস্থান ও শুল্কনীতি

ট্রাম্প (Trump) ২০১৫ সালে রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশের পর থেকেই চীনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তিনি জোর গলায় বলে আসছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র (US) ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি (trade deficit) খুব বেশি। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র চীনের থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি (import) করে, চীন তার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক কম আমদানি করে। ৮০’র দশক থেকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশের পর থেকেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিবাচক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত (trade surplus) বজায় রেখে আসছে। বিশেষ করে ২০০০ সালের পর এটি ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলার।

২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি এই ‘বাণিজ্য বৈষম্য’ ঘোচাতে শুল্ক আরোপ করবেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে নিউইয়র্ক টাইমসের (New York Times) সম্পাদকীয় বোর্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি পর্যন্ত বলেছিলেন, সমস্ত চীনা আমদানির ওপর ৪৫% হারে শুল্ক (tariff) আরোপ করবেন। তার যুক্তি ছিল, চীনা পণ্যের (Chinese imports) দাম বাড়িয়ে দিলে, সেগুলো আমেরিকান ভোক্তাদের কাছে কম আকর্ষণীয় হবে এবং তারা মার্কিন পণ্য (American made stuff) কিনতে উৎসাহী হবে। এতে করে একই সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমবে এবং মার্কিন উৎপাদন খাত পুনরুজ্জীবিত হবে। অবশ্য ভোক্তাদের জন্য এর মূল্যও কিছুটা বাড়বে, কারণ স্বল্পমূল্যের চীনা পণ্যের জায়গায় তুলনামূলক ব্যয়বহুল মার্কিন পণ্য ব্যবহারের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প নির্বাচিত হয়ে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চীনা পণ্যের তালিকা ক্রমাগত বাড়িয়ে এর ওপর ৭.৫% থেকে ২৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে থাকেন। প্রেসিডেন্সির (presidency) শেষ দিকে এসে ট্রাম্প প্রায় ২০% গড় হারে শুল্ক আরোপ করেছিলেন চীনা পণ্যের মোট ৩৮০ বিলিয়ন ডলারের ওপর, যা ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র যে ৫৪০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানি করেছিল, তার প্রায় ৭৫%।

কিন্তু চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, আর যুক্তরাষ্ট্র কিছু ভিন্ন ভিন্ন পণ্য আমদানি করতে শুরু করে যেগুলোর ওপর শুল্কের হার কম বা নেই। ফলে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। বরং এটি ২০১৭ সালে ৩৭৫ বিলিয়ন ডলার থেকে কিছুটা বেড়ে যায়। পরে আমরা দেখব, এটি সামান্য কমেও গিয়েছিল কিছু সময়ের জন্য।

ট্রাম্পের আমলে বাণিজ্য ঘাটতির ওঠানামা ও বাইডেন প্রশাসনের সময় নতুন শুল্ক

ট্রাম্পের ট্যারিফ আরোপের সময়কাল ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতির (bilateral trade deficit) ওঠানামা দেখা গেছে।

  • এটি ২০১৭ সালে প্রায় ৩৭৫ বিলিয়ন ডলারে ছিল।
  • পরে কিছুটা বেড়ে ২০১৮ সালে প্রায় ৩৮০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায় (অনুমানভিত্তিক সংশোধন)।
  • ২০১৯ সালে তা সামান্য কমে প্রায় ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ‘ফেজ ওয়ান (phase one) ট্রেড ডিল (trade deal)’ স্বাক্ষর করে, যেখানে চীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য আমদানি করার জন্য সক্রিয়ভাবে অঙ্গীকার করতে হয়। কিন্তু চীন প্রকৃতপক্ষে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারির (pandemic) কারণে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমে ৩০৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। কিন্তু মহামারি-পরবর্তী সময়ে আবার তা বাড়তে শুরু করে এবং ২০২২ সালে এটি ৩৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। ২০২৩ সালে কিছুটা কমলেও বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫% বেড়েছে। আর সামগ্রিকভাবে চীনের বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত (overall trade surplus) ২০২৩ সালে প্রায় ৯৫৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

জো বাইডেন (Biden) প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও ট্রাম্প আরোপিত সব শুল্ক বহাল রেখেছিলেন এবং বছরের শুরুর দিকে কিছু নতুন শুল্কও যোগ করেছেন। এগুলোকে ‘কৌশলগত শুল্ক (strategic tariffs)’ বলা হয়ে থাকে এবং এর আওতায় বৈদ্যুতিক যানবাহন (electric vehicles), সৌর প্যানেল (solar equipment), ব্যাটারি (batteries) ইত্যাদি পড়েছে।

অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই; বারাক ওবামা (Obama) ও বাইডেন (Biden) যুগেও চীনের বাণিজ্য কৌশল নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। ওবামা আমলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) চীনের বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়, যা ছিল এক রকমের নজিরবিহীন। ২০০৯ সালে চীনা টায়ারের (Chinese tire) ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক (anti-dumping tariff) আরোপ করার সিদ্ধান্তও ওবামা প্রশাসনেরই ছিল।

ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আবার নির্বাচনে নেমে ট্রাম্প নতুন করে বলছেন যে তিনি বাইডেনের ‘কৌশলগত শুল্ক’কে আরও বিস্তৃত করতে চান। এর মধ্যে নাকি একটি ‘বিশাল শুল্ক (Ring around the collar tariff)’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং সমগ্র চীনা পণ্যের ওপর একটি সমতল হারে (flat tariff) শুল্ক আরোপ করা হবে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। মিডিয়া বিভিন্ন হারে শুল্কের কথা বলেছে—ওয়াশিংটন পোস্ট (Washington Post) প্রথমে ৬০% বললেও ট্রাম্প নিজে এক সাক্ষাৎকারে ৫০% বলেছেন, আবার ফক্স নিউজে (Fox News) বলেছেন ৬০%-এর বেশি হতে পারে।

চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে এটি স্বল্পমেয়াদে দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের (LSE) এক গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, সব চীনা আমদানির ওপর ৬০% হারে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জিডিপি (GDP) প্রায় ০.৮%-১% হ্রাস পেতে পারে।

চীনের অর্থনীতির বর্তমান মন্দা, দুর্বল অভ্যন্তরীন চাহিদা ও ট্রাম্পের শুল্ক বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব

চীনা অর্থনীতি বর্তমানে একটা দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ চাহিদা (domestic demand) বেশ দুর্বল এবং ভোক্তাদের আস্থাও (consumer confidence) কম। কিন্তু এই অবস্থায় জিডিপি গ্রোথ বাধাগ্রস্ত হয়। কাজেই এই দুর্বল অভ্যন্তরীন চাহিদার সংকট মেটাতে চীন ক্রমশ রপ্তানিনির্ভর হয়ে পড়ছে, যার ফলে তাদের বাণিজ্য উদ্বৃত্তই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু ট্রাম্পের সম্ভাব্য নতুন শুল্ক বাস্তবায়ন হলে চীনের রপ্তানিমুখী উন্নয়ন আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব –

  • ১. রপ্তানি হ্রাস (Less Demand for Chinese Exports): চীন যদি দ্রুত নতুন বাজার খুঁজে না পায়, তবে মার্কিন বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে চীনের রপ্তানি কমে যাবে। এখন যেহেতু রপ্তানিই তাদের অর্থনীতির মূল অবলম্বন, এটি অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে।
  • ২. আস্থা সংকট আরও বাড়বে (Exacerbated Confidence Problem): ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। ফলে বিনিয়োগ ও ভোগ ব্যয় কমে যেতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে আরো দুর্বল করে তুলবে এবং মূল্যস্তরকে (deflation) নিচের দিকে নামিয়ে দিতে পারে।

চীনের নীতিনির্ধারকগণের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও সীমিত মধ্যপন্থা

চীনা কর্তৃপক্ষের মূল প্রশ্ন হলো—তারা কি রাজস্ব ব্যয় (fiscal stimulus) বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা উজ্জীবিত করবে, নাকি অর্থনৈতিক বাবল (bubbles) এড়াতে সতর্ক থাকবে? এখন পর্যন্ত সিসিপি (CCP) বিপুল সরকারি ব্যয় করা থেকে বিরত থেকেছে, কারণ তারা আবাসন খাত (housing bubble) সহ বিভিন্ন খাতে বড়সড় বাবল সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছে। তবে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হলে চীনের রপ্তানি কমতে পারে এবং ব্যবসায়িক আস্থা আরও দুর্বল হয়ে গিয়ে একটি জাপান-শৈলীর (Japan style) দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতিহীন মন্দা বা মূল্যপতন (deflationary crisis) দেখা দিতে পারে। ফলে এটি তাদের জন্য আরও কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়াবে।

ট্রাম্পের নির্বাচনের ঠিক দুই দিন পর, চীন একটি নতুন উদ্দীপনা প্যাকেজ (stimulus package) ঘোষণা করে। এর আওতায় স্থানীয় সরকারগুলোকে (local governments) মোট ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার) ঋণ দেওয়া হবে, যাতে তারা তাদের ‘লুকানো ঋণ’ (hidden debts) পুনর্গঠন করতে পারে। আশা করা হয়েছিল, এটি বিনিয়োগকারী ও সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়াবে, কিন্তু বাস্তবে ফলাফল তেমন আশাব্যঞ্জক হয়নি। পরবর্তী সোমবার হংকংয়ের (Hong Kong) হ্যাংসেং সূচক (Hang Seng index) ১.৫% পড়ে যায়।

সামনে কী হতে পারে

এখন মূল প্রশ্ন—সিসিপি (CCP) কি আরও বড় ধরনের স্টিমুলাস (stimulus) আনবে, নাকি তারা আবারও সতর্ক অবস্থান নেবে?

  • ১. স্টিমুলাসবিরোধী অবস্থান অব্যাহত রাখা (Avoid Further Stimulus): চীনা কর্তৃপক্ষ মনে করতে পারে যে বাবল আবার ফুলে উঠলে দীর্ঘমেয়াদে বিপদ আরও বড় হতে পারে। তাই তারা হয়তো ট্রাম্পের শুল্ককে অগ্রাহ্য করে আগের মতোই সতর্ক অবস্থান নেবে।
  • ২. শুল্ক আরোপের পরেই বড় ধরনের স্টিমুলাস (Saving Fiscal Firepower): অন্যদিকে, সিসিপি হতে পারে অপেক্ষায় আছে—যখন ট্রাম্প সত্যি সত্যি বড় শুল্ক আরোপ করবেন, তখনই একটি বড় আকারের সরকারি ব্যয় প্যাকেজ বা উদ্দীপনা প্যাকেজ চালু করা হবে, যাতে অর্থনীতিতে তাৎক্ষণিক গতিশীলতা আসে।

ফলে, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের আগের বা পরের সময়টাই চীনের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। চীনে রপ্তানি কমে যাওয়ার শঙ্কা থাকলে, তারা হয়তো শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের উদ্দীপনা নীতি বাস্তবায়নে বাধ্য হবে।

উপসংহার

সবমিলিয়ে, চীনের অর্থনীতি এখন এমনিতেই দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, রিয়েল এস্টেট সংকট বা হাউজিং বাবল (housing bubble), ও দীর্ঘমেয়াদি মন্দার ঝুঁকি নিয়ে লড়ছে। এর মধ্যে ট্রাম্পের (Trump) সম্ভাব্য পুনর্নির্বাচন এবং তার উচ্চহারের শুল্ক (tariffs) আরোপের হুমকি চীনের জন্য নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করেছে। চীন যদি এখনই বড় ধরনের সরকারি ব্যয় করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চায়, তবে তারা বিদ্যমান ঋণ ও আবাসন খাতের বাবলের ঝুঁকি বাড়ানোর আশঙ্কা করছে। আবার শুল্ক আরোপের চাপে রপ্তানি কমে গেলে চাহিদা আরও দুর্বল হবে, যা অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতায় ফেলে দিতে পারে।

সুতরাং, সামনে কী ঘটবে, তা নির্ভর করছে চীনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এবং ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বাস্তবায়নের ওপর। তারা যদি সতর্ক অবস্থানে থেকে যায়, বাবলের ঝুঁকি হয়তো কম থাকবে, কিন্তু অর্থনীতির স্থবিরতা দীর্ঘায়িত হতে পারে। আর যদি হঠাৎ বিশাল উদ্দীপনা প্যাকেজ নিয়ে আসে, তাহলে হয়তো স্বল্পমেয়াদে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ঋণ ও বাবলের আশঙ্কা আরও বাড়বে। দু’দিক থেকেই ঝুঁকি বিদ্যমান, তাই আমাদের সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে—চীনা সরকার ও মার্কিন প্রশাসন পরবর্তী ধাপে কী করে।

তথ্যসূত্র

1 – https://www.weforum.org/stories/2019/05/more-than-30-years-of-us-trade-with-china-in-one-chart/
2 – https://www.reuters.com/world/china/why-chinas-economy-is-more-vulnerable-trump-tariffs-this-time-2024-11-06/
3 – https://www.bloomberg.com/news/articles/2024-11-11/china-approaches-record-1-trillion-trade-surplus-to-world-s-ire
4 – https://www.lse.ac.uk/granthaminstitute/wp-content/uploads/2024/10/Economic-impacts-of-the-Trump-Tariff-Proposals-on-Europe.pdf
5 – https://www.lse.ac.uk/granthaminstitute/publication/the-economic-impacts-of-trumps-tariff-proposals-on-europe/
6 – https://www.census.gov/foreign-trade/balance/c5700.html

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.