Table of Contents
ভূমিকা
গত সপ্তাহে, ওইসিডি (OECD) তাদের বিশ্বখ্যাত সার্ভে অফ অ্যাডাল্ট স্কিলস (Survey of Adult Skills) বা প্রাপ্তবয়স্ক দক্ষতা সমীক্ষার প্রথম ধাপের ডেটা প্রকাশ করেছে। এটি একটি বহু দেশের অংশগ্রহণে গঠিত জরিপ, যেখানে শত-সহস্র মানুষ অংশ নিয়েছে এবং যা প্রতি ১০ বছর পরপর পরিচালিত হয়। প্রতিবেদনটির ফলাফল সবসময়ই বেশ আগ্রহজনক হয়, তবে এবার যুক্তরাজ্যের (UK) দৃষ্টিকোণ থেকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে, তা হলো ইংল্যান্ডে (England) মানুষ তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেন—অর্থাৎ, অন্য যেকোনো ওইসিডি (OECD) দেশের তুলনায় ইংল্যান্ডের লোকেরা বেশি শিক্ষাগত স্বীকৃতি বা ডিগ্রি নিয়ে কাজ করছেন।
অর্থাৎ, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে বেশি। এই সংক্ষেপে যুক্তরাজ্যের (UK) ওভারকয়ালিফিকেশন (Overqualification) সংকট নিয়ে আলোচনা করা হবে, সেই সাথে কেন এটি ভুক্তভোগী এবং সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, এবং কীভাবে এটি সমাধান করা যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।
ওইসিডি (OECD) প্রতিবেদনের বিস্তৃত ফলাফল (Wider Findings)
যুক্তরাজ্যের ডেটায় যাওয়ার আগে, এটির প্রেক্ষাপট বোঝার জন্য প্রতিবেদনের বিস্তৃত ফলাফলগুলো দেখা যাক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইসিডি (OECD) দেশগুলোতে মোটামুটি এক-তৃতীয়াংশ কর্মী কোনো না কোনো ভাবে তাদের কাজের সঙ্গে বেমানান (Mismatch) বা অমিল হওয়া সমস্যার সম্মুখীন। নির্দিষ্ট করে বললে, প্রায় ২৩% কর্মী ওভারকয়ালিফাইড (Overqualified), যা ১০ বছর আগের ২১% থেকে বেড়েছে। অন্যদিকে, ৯% আন্ডারকয়ালিফাইড (Underqualified), যা ১০ বছর আগে ছিল ১৩%।
নিশ্চিতভাবেই, যারা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করেছেন, তাদের ওভারকয়ালিফাইড (Overqualified) হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আরও মজার বিষয় হচ্ছে, বিদেশি কর্মীদের (Foreign Workers) ওভারকয়ালিফাইড হওয়ার প্রবণতাও বেশি। পাশাপাশি তরুণ কর্মীরা (Young Workers) কিছুটা বেশি ঝুঁকিতে থাকলেও পার্সেন্টেজের হিসাবে পার্থক্য খুব বেশি নয়—মাত্র কয়েক পয়েন্টের ব্যবধানে।
ওইসিডি (OECD) দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মিসম্যাচ (Mismatch) রয়েছে পোল্যান্ডে (Poland), যেখানে মাত্র ১৮% কর্মী ওভারকয়ালিফাইড বা আন্ডারকয়ালিফাইড, আর সবচেয়ে বেশি মিসম্যাচ রয়েছে যুক্তরাজ্যে (UK) বা সুনির্দিষ্ট করে বললে ইংল্যান্ডে (England)। কারণ ইংল্যান্ডেই ওইসিডি (OECD) এই জরিপ পরিচালনা করেছে।
ইংল্যান্ডের ওভারকোয়ালিফিকেশন পরিস্থিতি
ইংল্যান্ডে ৬% কর্মী আন্ডারকয়ালিফাইড (Underqualified), যা ওইসিডির গড় থেকে খানিকটা কম। কিন্তু ৩৭% কর্মী ওভারকয়ালিফাইড (Overqualified)—এটি এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি, এবং ১০ বছর আগে এটি ছিল প্রায় ৩০%। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের ডেটায় আরও কিছু আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
- প্রথমত, বেশিরভাগ ওইসিডি (OECD) দেশের তুলনায় ইংল্যান্ডে স্থানীয়ভাবে জন্মগ্রহণকারী (Native Born) কর্মীরা বিদেশি জন্মগ্রহণকারী (Foreign Born) কর্মীদের তুলনায় ওভারকয়ালিফাইড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- দ্বিতীয়ত, একজন ব্যক্তি যত বছর শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তার সঙ্গে ওভারকয়ালিফাইড হওয়ার সম্ভাবনার সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে কম। অন্য কথায়, আপনি যত বেশি বছর পড়াশোনা করেন, তার ফলে ওভারকয়ালিফাইড হওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই বাড়ে।
প্রাথমিকভাবে শুনতে ভালো লাগতে পারে—যেন যুক্তরাজ্যে (UK) পড়াশোনার মূল্য এখনও রয়ে গেছে। কিন্তু আসলে এর মানে হলো, যুক্তরাজ্যে ওভারকয়ালিফিকেশন (Overqualification) সংকট এতটাই জোরালো যে শুধু পোস্টগ্র্যাড (Post-Grad) ডিগ্রি নয়, অনেকে ব্যাচেলরস ডিগ্রি (Bachelor’s Degree) নিয়েও এমন কাজে ঢুকে যাচ্ছেন যেখানে তারা ওভারকয়ালিফাইড বলে গণ্য হচ্ছেন। ফলে পিএইচডি (PhD), মাস্টার্স (Master’s), ব্যাচেলরস (Bachelor’s)—সব স্তরের ডিগ্রিধারীরাই একটি “রাবিশ (Rubbish) জব” বা অনুন্নত ধরনের কাজে ঢুকে যাচ্ছেন, এবং একইসঙ্গে সবাই ওভারকয়ালিফাইড হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। এই কারণে যারা বেশি বছর পড়াশোনা করেন তাদের মধ্যে ওভারকয়ালিফাইড হওয়ার সম্ভাবনা কতটা সেটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল সম্পর্কের নির্দেশ করে।
অন্যান্য গবেষণাও একই রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। যেমন, ২০২২ সালে সিআইপিডি (CIPD) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্নাতক (Undergraduates) ডিগ্রিধারীদের ওভারকয়ালিফাইড হওয়ার হার আসলে পোস্টগ্র্যাড (Postgraduates) ডিগ্রিধারীদের তুলনায় বেশি। সেখানে ৩৬% স্নাতক (Undergraduates) নিজেদের ওভারকয়ালিফাইড বলে জানিয়েছেন, তুলনায় ২৯% পোস্টগ্র্যাড (Postgraduates) এবং ২৭% যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই।
ওভারকোয়ালিফিকেশন (Overqualification) কেন ক্ষতিকর?
১. জীবনমান (Life Satisfaction) ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা
অবশ্যই, ওভারকয়ালিফাইড হওয়া মজার বিষয় নয়। যারা ওভারকয়ালিফাইড হিসেবে বিবেচিত, তারা সাধারণত জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি (Life Satisfaction) কম অনুভব করেন। আর যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এটি নিরসন করা না যায়, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদে “ক্রনিক (Chronic)” সমস্যায় পরিণত হতে পারে। যারা প্রথমে তাদের যোগ্যতার তুলনায় কম দক্ষতার কাজে ঢুকে পড়েন, তারা প্রায়ই ক্যারিয়ারে ওপরে ওঠার সুযোগ হারান এবং ক্রমান্বয়ে একের পর এক কম দক্ষতার কাজের সঙ্গেই আটকে থাকেন, যার ফলে তারা দীর্ঘমেয়াদি ওভারকয়ালিফাইড থাকেন।
এই কারণেই বয়সভেদে ওভারকয়ালিফিকেশনের হার প্রায় একই রকম। সিআইপিডি (CIPD)-এর গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৮% ওভারকয়ালিফাইড, আবার ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যেও ৩৮%।
২. মজুরি কমে যাওয়া (Wage Penalty)
ওভারকয়ালিফাইড কর্মীরা মজুরি কমে যাওয়ার (Wage Penalty) শিকার হন। ওইসিডি (OECD)-এর গড় হিসাবে, ওভারকয়ালিফাইড কর্মীরা সাধারণত ১২% কম বেতন পান। কিন্তু এটি আরও খারাপ হতে পারে—ইংল্যান্ডে এই ব্যবধান প্রায় ১৬% পর্যন্ত উঠে যায়। এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৭% ওভারকয়ালিফাইড কর্মীর বার্ষিক আয় ৪০,০০০ পাউন্ডের (Pounds) বেশি, যেখানে সঠিকভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন (Correctly Qualified) কর্মীদের মধ্যে ৫০% এ পরিমাণ আয় করেন।
এটি তথাকথিত “গ্র্যাজুয়েট প্রিমিয়াম (Graduate Premium)”—অর্থাৎ, স্নাতক ডিগ্রি থাকলে যেটুকু বাড়তি আয় হয়—তার নাটকীয় পতন ব্যাখ্যা করে। হেসা (HESA)-র গবেষণা বলছে, ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণকারী স্নাতকরা (Graduates) বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পর নন-গ্র্যাজুয়েটদের (Non Graduates) চেয়ে প্রায় ১৭% বেশি উপার্জন করতেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণকারীরা, যারা সাধারণত ২০১০-এর শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই গ্র্যাজুয়েট প্রিমিয়াম (Graduate Premium) ১০%-এ নেমে আসে এবং ২:২ (2:2) ফলাফলের গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রে এটি কার্যত বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
অবশ্যই কম মজুরি মানে শিক্ষার্থী ঋণ (Student Loan) শোধ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যে (UK) এখন গড়ে একজন স্নাতকের প্রায় ৪৫,০০০ পাউন্ড ঋণ থাকে, আর সন্তান থাকলে তাদের মার্জিনাল ট্যাক্স রেট (Marginal Tax Rate) ৭০% পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। এটা যেমন নতুন গ্র্যাজুয়েটদের আর্থিক চাপে ফেলে, তেমনি এটি “রিগ্রেসিভ (Regressive)” কারণ কম সুবিধাপ্রাপ্ত, পিছিয়ে থাকা ব্যাকগ্রাউন্ডের (Disadvantaged Backgrounds) শিক্ষার্থীরা বেশি ওভারকয়ালিফাইড হয়ে থেকে ঋণ শোধে আরো পিছিয়ে পড়েন। এছাড়া সরকারের পক্ষেও এটি খারাপ খবর, কারণ ভবিষ্যতে জনসাধারণের অর্থনীতি (Public Finances) স্থিতিশীল রাখতে শিক্ষার্থী ঋণের সুদ ও পরিশোধের ওপর সরকারের নির্ভরতা রয়েছে।
৩. সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রভাব (Impact on the Economy)
সবশেষে, এটি পুরো অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর। ৯০-এর দশকে সরকার যখন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেয়, তখন ধরে নেওয়া হয়েছিল যে বেশি শিক্ষিত কর্মী বাহিনীর ফলে আরও বেশি হাই-স্কিলড (Highly Skilled) কাজ তৈরি হবে এবং উৎপাদনশীলতা (Productivity) বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি পর্যাপ্ত হাই-স্কিলড (High-Skilled) কাজ তৈরি করতে পারেনি, ফলে বহু ডিগ্রি কার্যত নষ্ট হচ্ছে। এটি যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি উৎপাদনশীলতা (Productivity Growth) দুর্বল হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।
সমাধানের উপায় (Possible Solutions)
এখন বোঝা যাচ্ছে, প্রচুর ব্রিটিশ (Brits) কর্মী ওভারকয়ালিফাইড আর এটি ক্ষতি করছে কর্মীদের, সরকারকে, এবং সার্বিক অর্থনীতিকে। তাহলে সমাধান কী?
১. শিক্ষানবিশ কর্মসূচি বা অ্যাপ্রেন্টিসশিপ (Apprenticeships) বাড়ানো
অনেকেই মনে করেন, যেসব শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে স্নাতক হতে চান, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে অ্যাপ্রেন্টিসশিপ (Apprenticeships) বা শিক্ষানবিশ কর্মসূচির দিকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাদের যুক্তি হলো, বর্তমান যুগে অ্যাপ্রেন্টিসশিপ থেকে যে কাজগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো বেশ ভালো বেতনের হয়ে থাকে। তাছাড়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্নাতক সংখ্যা (Graduate Population) হয়তো খুব দ্রুতগতিতে বেড়ে গিয়েছে।
২. কী ধরনের ডিগ্রি অধ্যয়ন করা হচ্ছে, তা পরিবর্তন
অনেকেই মনে করেন, কী ধরনের ডিগ্রি (Degrees) শিক্ষার্থীরা পড়ছে, সেটি পরিবর্তন করলে ওভারকয়ালিফিকেশন (Overqualification) সমস্যার সমাধান হতে পারে। ডানপন্থী (Right Wing) বিশ্লেষকরা প্রায়ই পরামর্শ দেন, “দর্শন (Philosophy) বা জেন্ডার স্টাডিজ (Gender Studies)” এর মতো বিষয়গুলো পড়ার চেয়ে “ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) বা অর্থনীতি (Economics)” এর মতো বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বেশি আগ্রহী হতে উৎসাহিত করা উচিত। আবার, ডিগ্রির বাজারমূল্য (Market Value) আরও ভালোভাবে প্রতিফলিত করতে টিউশন ফি-র (Tuition Fee) ওপর ক্যাপ (Cap) তুলে দেওয়ার কথা বলেন কেউ কেউ। কিন্তু এটি জনপ্রিয় সমাধান নয়, কারণ এতে মূল্যবান ডিগ্রি শুধু ধনী শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে থেকে অধিকতর বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
৩. অর্থনীতি পুনরায় বিকাশ করা (Growing the Economy)
সম্ভবত সবচেয়ে ভালো সমাধান হবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে বিশেষ করে লন্ডনের (London) বাইরের এলাকাগুলোতে চাঙ্গা করা। এখন সমস্ত ভালো কাজ বা সুযোগ-সুবিধা লন্ডনেই (London) কেন্দ্রীভূত। কিন্তু যদি সারা দেশে আরও উন্নত ও উচ্চ বেতনের চাকরি তৈরি হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের পরিমাণ বাড়বে এবং ডিগ্রিধারীদের কাজ খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে ওভারকয়ালিফিকেশন (Overqualification) সংকট অনেকটাই লাঘব হবে। অর্থাৎ, গ্র্যাজুয়েট কমিয়ে নয়, বরং ভাল কাজের সংখ্যা বাড়িয়ে মেলবন্ধন (Mismatch) সমাধান করা সম্ভব।
উপসংহার
যুক্তরাজ্যে (UK), বিশেষ করে ইংল্যান্ডে ওভারকয়ালিফিকেশন (Overqualification) সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এতে কর্মীদের ব্যক্তিগত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের আয় কমে যাচ্ছে, শিক্ষার্থী ঋণ শোধ কঠিন হয়ে পড়ছে, সরকারের রাজস্ব আদায় কমছে, এবং সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অ্যাপ্রেন্টিসশিপ (Apprenticeships) প্রোগ্রামে উৎসাহিত করা, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ডিগ্রি বাছাই করা, এবং সবচেয়ে বড় কথা দেশের অর্থনীতিকে লন্ডনের (London) বাইরেও প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করা—এই তিনটি জায়গায় উদ্যোগ নিলেই হয়তো এই সংকট কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply