Table of Contents
ভূমিকা
যুক্তরাজ্য (UK) বর্তমানে উন্নত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ আঞ্চলিক বৈষম্যের (regional inequality) মুখোমুখি। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (Southeast), বিশেষ করে লন্ডন (London) ও তার আশপাশের অঞ্চল, বাকি দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ধনী এবং যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) এর একটি বিশাল অংশই তারা উপার্জন করে। এমন খুব কম অর্থনীতি রয়েছে যারা এভাবে মাত্র একটি শহরের উপর এতটা নির্ভরশীল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে লন্ডনের ওপর এই নির্ভরতাটাই আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে লন্ডন শুধু দেশের অর্থনীতিতে নয়, উচ্চ মজুরির চাকরির ক্ষেত্রেও ক্রমবর্ধমান শেয়ার দখল করে নিচ্ছে।
এই লেখায় আমরা পুনরায় যুক্তরাজ্যের এই ‘লন্ডন সমস্যা’ (London Problem) বিশ্লেষণ করবো—কীভাবে এটি একটি ধরনের চাকরির সংকট তৈরি করছে এবং কেন এটি লেবার (Labour) দলের জন্য একটি জটিল দ্বিধা সৃষ্টি করছে।
আঞ্চলিক বৈষম্য ও লন্ডনের প্রাধান্য
যুক্তরাজ্যে আঞ্চলিক বৈষম্য দীর্ঘদিনের সমস্যা। লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আশপাশের এলাকাগুলি দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় বহুগুণে ধনী। সাম্প্রতিক এক দশকে এই ফারাক কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু এখনো লন্ডনে মজুরি দেশের গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ONS) এর সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, লন্ডনে মাধ্যমিক সাপ্তাহিক মজুরি দাঁড়ায় ৮৫৩ পাউন্ড, যা জাতীয় গড় ৭২৮ পাউন্ডের চেয়ে প্রায় ২০% বেশি।
আঞ্চলিক মজুরি ব্যবধানের পাশাপাশি রয়েছে আঞ্চলিক সম্পদ বৈষম্য। সর্বশেষ ONS তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে লন্ডনে মাধ্যমিক পারিবারিক সম্পদ ছিল আনুমানিক ৩৪০,০০০ পাউন্ড, যা জাতীয় গড় ৩০০,০০০ পাউন্ডের চেয়ে প্রায় ১৩% বেশি। ১৩% খুব বেশি মনে নাও হতে পারে, কিন্তু লন্ডনে সম্পদের বণ্টনে প্রচণ্ড অসাম্য বিরাজ করে। ফলে মধ্যম মানটি সবচেয়ে সম্পদশালী লন্ডন পরিবারগুলোর বিশাল সম্পদের প্রতিফলন সেভাবে দেখাতে পারে না। যখন আমরা গড় (mean) সম্পদ দেখি, তখন দেখা যায় যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী অঞ্চলগুলির প্রায় সবই লন্ডন বা তার আশপাশের এলাকায়। পুরো দেশের মধ্যে গড় সম্পদে সবচেয়ে এগিয়ে ‘ইনার ওয়েস্ট লন্ডন’ (Inner West London), যেখানে গড় সম্পদ ৬২২,০০০ পাউন্ড।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস (Financial Times)-এর জন বার্ন-মারডক (John Byrne Murdoch)-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মাথাপিছু জিডিপিতে (GDP per capita) লন্ডন ম্যানচেস্টারের (Manchester) চেয়ে প্রায় ৭০% বেশি উন্নত, মূলত লন্ডনের উৎপাদনশীলতা (productivity) এত বেশি যে, যদি লন্ডনকে যুক্তরাজ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে ইউকের মাথাপিছু জিডিপি (GDP per capita) যুক্তরাষ্ট্রের (US) সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলের চেয়েও কম হবে, এমনকি তা নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) দরিদ্রতম অঞ্চলের চেয়েও নিচে নেমে যাবে।
ক্রমবর্ধমান নির্ভরতাঃ অন্যান্য দেশের তুলনা
অনেক দেশেই কিছুটা আঞ্চলিক বৈষম্য থাকে, কিন্তু যুক্তরাজ্যের সমস্যা হল, দেশের অর্থনীতি শুধু একটি শহরের উপর যে এতটা নির্ভরশীলই তাই নয়, সেই নির্ভরতাও সময়ের সাথে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য বেশ কয়েকটি দেশে আঞ্চলিক বৈষম্য বিগত বছরগুলোতে কিছুটা কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে (US) সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতির কেন্দ্রকীয় ভার কিছুটা সরেছে নিউইয়র্ক (New York) ও সান ফ্রান্সিসকো (San Francisco) থেকে টেক্সাসের (Texas) অস্টিন (Austin) বা কলোরাডোর (Colorado) ডেনভারের (Denver) মতো উদীয়মান শহরগুলোর দিকে।
কিন্তু যুক্তরাজ্যে ঘটছে ঠিক উল্টোটা। লন্ডন এখনো যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির কেন্দ্রে অবস্থান করছে ঠিক আগের মতোই, বরং আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ‘উচ্চ মজুরি ও জ্ঞানভিত্তিক কাজের’ (well paid, knowledge intensive jobs) পারসেন্টেজ ২০০০-এর দশকে যেখানে ইউকের মোট ভালো চাকরির ৫০%-এর নিচে ছিল, এখন তা প্রায় ৭৫%-এ গিয়ে পৌঁছেছে।
লন্ডনকেন্দ্রিকতার ফলাফল
লন্ডনের ওপর এই অতিরিক্ত নির্ভরতায় অন্তত চারটি সমস্যা তৈরি হয়েছে।
- প্রথমত, এটি রাজনৈতিকভাবে খুবই সংবেদনশীল বিষয়। যুক্তরাজ্যের অন্য অঞ্চলগুলো স্বাভাবিকভাবেই মনে করে যে তারা পিছিয়ে পড়েছে। ২০১৯ সালে বরিস জনসনের (Boris Johnson) ‘লেভেলিং আপ’ (levelling up) ধারণা এত জনপ্রিয় হওয়ার এটি একটি বড় কারণ।
- দ্বিতীয়ত, এটি যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান আবাসন সংকট (housing crisis) আরও তীব্র করে তোলে। যখন সব ভালো চাকরি লন্ডনেই কেন্দ্রীভূত, তখন জীবনে উন্নতি করতে ইচ্ছুক যেকোনো তরুণ-তরুণীর রাজধানীতে চলে আসা প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু লন্ডনে আবাসন খরচ অত্যন্ত বেশি এবং উচ্চ মজুরি থাকা সত্ত্বেও সেগুলো সামঞ্জস্য করা কঠিন। তাছাড়া তরুণ কর্মপ্রার্থীদের এই ক্রমাগত আগমন লন্ডনের আবাসন বাজারের উপর আরও চাপ তৈরি করে।
- তৃতীয়ত, উচ্চ বেতনবিশিষ্ট কাজ প্রায় শুধু লন্ডনেই সৃষ্টির ফলে যুক্তরাজ্যে এক ধরনের ‘ওভার-কোয়ালিফিকেশন’ (overqualification) সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ, প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক উচ্চ দক্ষতার চাকরির অভাবে নিম্ন দক্ষতা বা কম মজুরির চাকরিতে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওঈসিডি (OECD) সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সী যুক্তরাজ্যের কর্মীদের ৩৭% অভিযোগ করছে যে তারা তাদের কাজের জন্য ‘ওভার-কোয়ালিফাইড’—অর্থাৎ, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সেই চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। এটি আগের তুলনায় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
- চতুর্থত, লন্ডনের ওপর এই নির্ভরতায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি নির্দিষ্ট কিছু পেশাদারী সেবা খাতে (professional service industries)—যেমন ফাইন্যান্স (finance), আইন (law), ও পরামর্শক সেবা (consulting)—অত্যন্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এগুলো অত্যন্ত লাভজনক ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির খাত ঠিকই, কিন্তু তারা তুলনামূলক কম সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থান দেয়। অনেকে আশঙ্কা করে যে যুক্তরাজ্য এই পরিষেবা খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে এক ধরনের ‘ডাচ রোগ’ (Dutch disease)-এ ভুগছে।
‘ডাচ রোগ’ (Dutch Disease) ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ঝুঁকি
‘ডাচ রোগ’ (Dutch disease) হলো একটি অর্থনৈতিক ঘটনা, যেখানে কোনো দেশ মাত্র একটি রপ্তানি নির্ভর খাতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় তার মুদ্রার মান বেড়ে যায়, ফলে অন্য রপ্তানি খাতগুলো প্রতিযোগিতা করতে না পেরে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। সাধারণত এটি ঘটে যখন কোনো দেশ কেবলমাত্র একটি পণ্য (commodity), যেমন তেল (oil), রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। এর পেছনে কাজ করে মূলত দুটি প্রভাব:
- মুদ্রার মান বৃদ্ধি: কোনো দেশ যদি তেল, গ্যাস বা অন্যান্য মূল্যবান পণ্যের মতো কোনো একক পণ্য রপ্তানিতে ব্যাপক আয় করতে থাকে, তাহলে সেই দেশের মুদ্রার মান আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যায়। একে মুদ্রাস্ফীতি (currency appreciation) বলা হয়। মুদ্রার মান বেড়ে গেলে অন্যান্য রপ্তানি পণ্য তুলনামূলকভাবে বেশি দামে পড়ে, ফলে এগুলোর চাহিদা হ্রাস পায়।
- অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা: যেহেতু একক খাতে বিশাল আয় হয়, তাই সরকার ও বিনিয়োগকারীরা সেই খাতেই আরও বেশি বিনিয়োগ করে। এর ফলে অন্যান্য খাতগুলো, যেমন উৎপাদনশীল শিল্প (manufacturing) বা কৃষি খাত, অবহেলিত হয়ে পড়ে। একে খাতচ্যুতি (sectoral imbalance) বলা হয়।
১৯৬০-এর দশকে নেদারল্যান্ডসে (Netherlands) গ্যাসের বড় মজুদ আবিষ্কারের পর এটি প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে। গ্যাস রপ্তানির ফলে দেশটির মুদ্রার মান বেড়ে যায়, কিন্তু অন্যান্য শিল্প খাত (যেমন উৎপাদন খাত) প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এখান থেকেই “ডাচ রোগ” নামটি এসেছে। এই “ডাচ রোগ” সমস্যার ফলে বৈচিত্র্যময় রপ্তানি খাতের সংকোচন ঘটে, অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থান কমে যায়, ও দীর্ঘমেয়াদে একক খাতের উপর নির্ভরশীলতা দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে। এখান থেকে বের হবার জন্য রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে অর্জিত মুদ্রা সরাসরি অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রবেশ না করানো, বিভিন্ন শিল্প ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা, অতিরিক্ত আয়কে বিশেষ সঞ্চয়ী তহবিলে (sovereign wealth fund) রেখে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করার মতো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
যাই হোক, একইভাবে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে যুক্তি দেয়া হচ্ছে যে, অত্যন্ত লাভজনক পেশাগত সেবা খাত (যেমন ব্যাংকিং (banking), আইনগত সেবা (legal services)) পাউন্ডের (the pound) মান বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং এর ফলে ব্রিটিশ উৎপাদন খাত (British manufacturing) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। এই কারণেই যুক্তরাজ্যের মোট জিডিপিতে (GDP) উৎপাদনশীলতার (manufacturing) অংশ ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিক থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে এবং এখন তা আন্তর্জাতিক গড়ের চেয়েও নিচে।
লেবার (Labour) দলের জন্য সমস্যাগুলো
এই পরিস্থিতি লেবার দলের নেতা কিয়ার স্টার্মারের (Keir Starmer) জন্য অন্তত দুটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করছে।
- প্রথম সমস্যা হলো লন্ডনকেন্দ্রিক অর্থনীতি লেবার দলের ঘোষিত লক্ষ্য—যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতকে পুনরুজ্জীবিত (rejuvenating British manufacturing) করা—কঠিন করে তুলছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্র্যাটেজি ইনভেস্ট ২০৩৫’ (Industrial Strategy Invest 2035) প্রতিবেদনে লেবার দল উন্নত উৎপাদনশীলতা (advanced manufacturing) এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি (clean energy) খাতে যুক্তরাজ্যকে বিশ্বনেতা বানানোর কথা বলেছে। কিন্তু এর জন্য লন্ডনের বাইরের এলাকাগুলোতে উচ্চ-উৎপাদনশীল শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। ডাচ রোগের মতো গতিশীলতা থাকায় এই শিল্পগুলোর কার্যকারিতা ও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে।
- দ্বিতীয় ও আরও সাধারণ সমস্যা হলো এটি লেবার দলের জন্য একটি রাজস্ব বা অর্থনৈতিক কৌশলগত উভয়-সংকট (fiscal dilemma) তৈরি করছে। বর্তমানে লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উৎপাদনশীল অঞ্চল। দ্রুত এবং সহজ পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চাইলে লন্ডন, কেমব্রিজ (Cambridge) ও অক্সফোর্ডে (Oxford) আরও আবাসন নির্মাণ করে বেশি মানুষের ওই এলাকাগুলোতে বসবাস ও কাজের সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। এতে করে মানুষ ভালো বেতনের চাকরি পাবে এবং অর্থনীতি বাড়বে।
কিন্তু এর ফলে আঞ্চলিক বৈষম্য আরও পোক্ত হবে। দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাজ্যের পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করে তাদের উন্নত করা হয়তো বেশি টেকসই হবে। কিন্তু এটি ব্যয়বহুল এবং স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আঘাত হানবে—যা না লেবার দল, না ব্রিটিশ ভোটাররা (British electorate) সহজে মেনে নিতে চাইবে।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও উপসংহার
সুতরাং, যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন সমস্যা’ দেশটিকে বহুমুখী দ্বিধার মধ্যে ফেলেছে। একদিকে রয়েছে লন্ডনের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতায় রাজস্ব ও উৎপাদনশীলতার মসৃণ পথ, অন্যদিকে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ, স্থিতিশীল ও ভারসাম্যমূলক আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা। লন্ডনে কেন্দ্রীভূত অবস্থান মানুষের কর্মসংস্থান, বাসস্থান এবং সাধারণ জীবনমানকে প্রভাবিত করছে। এর পাশাপাশি, লেবার দলের মতো যারা দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনশীলতা ও সবুজ জ্বালানি শিল্প গড়ে তোলার কথা ভাবছে, তাদের জন্য লন্ডন-কেন্দ্রিক অর্থনীতির কাঠামো ডাচ রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এই সমস্ত বিষয়ের সমন্বয়ে যুক্তরাজ্যকে আসন্ন বছরগুলোতে বেশ কঠিন অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
Leave a Reply