Table of Contents
ভূমিকা
একটিভিস্ট বিনিয়োগ (Activist Investing) সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত একটি ধারণা। আধুনিক বিনিয়োগ পরিবেশে যেখানে বহু মূলধন প্যাসিভ ইনডেক্সে (Passive Index) বিনিয়োগ করা হয়, সেখানে একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা কোন একটি কোম্পানির শেয়ার বড় পরিমাণে ধরে রেখে সেই প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। এর ফলে একদিকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা হয়, অন্যদিকে কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই লেখায় আমরা একটিভিস্ট বিনিয়োগের মৌলিক ধারণা, এর পটভূমি, প্রভাব ও সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবো।
একটিভিস্ট বিনিয়োগ (Activist Investing) কী?: প্যাসিভ বনাম একটিভিস্ট বিনিয়োগ
একটিভিস্ট বিনিয়োগ হল এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো বিনিয়োগকারী কোনো কোম্পানিতে উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব নিয়ে শুধু চুপচাপ শেয়ার ধরে রাখে না, বরং সেই কোম্পানির ভেতরে সংস্কার, উন্নয়ন বা রূপান্তরে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, প্যাসিভ ইনডেক্স (Passive Index) ফান্ডের মতো নিঃশব্দভাবে মালিকানা ধরে রাখার পরিবর্তে, একটিভিস্ট বিনিয়োগকারী কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ (Board) বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সরাসরি আলাপ-আলোচনা করে, কখনো পর্ষদে আসন গ্রহণ করে, এবং প্রয়োজনে বড় ধরনের পরিবর্তনের আহ্বান জানায়।
বর্তমান বিশ্বে পুঁজিবাজারের বেশিরভাগ মূলধন প্যাসিভ ইনডেক্স ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। ইনডেক্স ফান্ড (Index Fund) সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সূচকের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ (Securities) কিনে রাখে নির্দিষ্ট অনুপাতে। এখানে মানবিক বিচারবোধ বা সক্রিয় সিদ্ধান্তগ্রহণের সুযোগ থাকে না, এবং এসব ফান্ড সাধারণত কোম্পানির উন্নয়ন বা পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা নেয় না।
অন্যদিকে, একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা বেশ কয়েকটি নির্বাচিত কোম্পানিতে বড় পরিমাণ বিনিয়োগ করে। যেহেতু কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে তারা মোট সম্পদের ২০% পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে, তাই সেই কোম্পানি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করে এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেই কোম্পানিকে আরো মূল্যবান বা কার্যকর করে তুলতে পদক্ষেপ নেয়।
সূচনা পর্ব
শুরুর দিকে একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীদের পরিচিতি বা মূলধন কম থাকায় বড় কোম্পানিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি “শোরগোল” তুলতে হত। একটি বাস্তব উদাহরণ পারসিং স্কয়ারের (Pershing Square) প্রথম একটিভিস্ট বিনিয়োগ ওয়েন্ডি’স (Wendy’s) কোম্পানিতে। ওই সময় ওয়েন্ডির অধীনে টিম হরটন্স (Tim Hortons) নামে একটি কফি ও ডোনাট চেইন ছিল যা নিজেই খুব মূল্যবান ছিল। ওয়েন্ডি’স-এর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার, অথচ তাদের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন টিম হরটন্সের মূল্য ছিল ঐ পাঁচ বিলিয়নের চেয়েও বেশি। অর্থাৎ ওয়েন্ডি’স কিনলে টিম হরটন্স আলাদা করলে ওয়েন্ডি’সকে কার্যত নেতিবাচক মূল্যে পাওয়া যেত। এটি ছিল বিনিয়োগের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
পার্থক্য হল, ওয়েন্ডি’স-এর সিইও (CEO) বা ব্যবস্থাপনা প্রথমে ফোন রিটার্ন করে না, কথাও বলে না। তখন একটিভিস্ট দল ব্ল্যাকস্টোন (Blackstone)-এর মতো একটি প্রতিষ্ঠানে অর্থ দিয়ে ফেয়ারনেস ওপিনিয়ন (Fairness Opinion) করিয়ে সেই পরামর্শপত্র ওয়েন্ডি’স কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। এতে দেখানো হয়েছিল যে তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে ওয়েন্ডি’স-এর মূল্য প্রায় ৮০% বেড়ে যাবে। মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানি সেই পরামর্শ বাস্তবায়ন করে। এটি একটিভিস্ট বিনিয়োগের প্রাথমিক সাফল্যের একটি উদাহরণ।
মিডিয়া-জনমতের ভূমিকা, বোর্ডে আসন গ্রহণ ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পৃক্ততা
ওয়েন্ডি’স-এ সাফল্যের পর পারসিং স্কয়ার মিডিয়ার মনোযোগ পায়। ফলে পরবর্তীতে অন্য কোম্পানিগুলিতেও বিনিয়োগ করে, প্রকাশ্যে পরামর্শ দেয়, মিডিয়ার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে, এবং শেষ পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারদের (Shareholders) সমর্থন পেয়ে কোম্পানির কাঠামো বা নেতৃত্ব পরিবর্তনে প্রভাব ফেলে। গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকায় আসে, এবং কখনো “লজ্জা” বা “সুযোগের” দিক থেকে ব্যবস্থাপনা দলের উপর চাপ সৃষ্টি করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।
সময়ের সাথে সাথে একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা কেবল বাইরের থেকে পরামর্শ দেওয়ার পরিবর্তে সরাসরি বোর্ডের (Board) আসনও গ্রহণ শুরু করে। জেনারেল গ্রোথ (General Growth) নামের একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে প্রথমবার তারা বোর্ডে আসন পায়, যেখানে আর্থিক পুনর্গঠন ও পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এটি ছিল পারসিং স্কয়ারের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ, যা বুঝিয়ে দেয় যে বোর্ডের ভেতর থেকে কাজ করে কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
পরবর্তীতে, এই ধরনের সরাসরি সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায়। আর ধীরে ধীরে একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা ওই কোম্পানিগুলোর কাছেই বিশ্বাসযোগ্য অংশীদারে পরিণত হয়। আগে যেখানে দরজা বন্ধ থাকত, পরে সেখানে বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ শুনতে কোম্পানিগুলো স্বেচ্ছায় দরজা খুলে দেয়, বোর্ডের আসন অফার করে এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা করে।
মালিক (শেয়ারহোল্ডার) ও সিইও বা ব্যবস্থাপনা ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা
একটিভিস্ট বিনিয়োগের ভাবনা নতুন নয়। ১৫০ বছর আগে অ্যান্ড্রু কার্নেগি (Andrew Carnegie), জেপি মরগান (J.P. Morgan)-এর যুগে বিশাল বিনিয়োগকারীরা ইউএস স্টিল (U.S. Steel)-এর মতো বড় কোম্পানিতে বড় আকারের শেয়ার ধরতেন। যখন সমস্যা দেখা দিত, তারা নিজে বোর্ড ও ব্যবস্থাপনা বদলে ব্যবসাকে ঠিকঠাক করতেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund), ইনডেক্স ফান্ড (Index Fund) ইত্যাদির উত্থানের ফলে কোম্পানির প্রকৃত মালিক থেকে শেয়ারহোল্ডাররা অনেক দূরে সরে গেছেন। এতে করে মালিকের ক্ষমতা ব্যাহত হয়, এবং কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট শক্তিশালী মালিকানার অভাবের কারণে দুর্বল পারফরমেন্স দেখাতে পারে। একটিভিস্ট বিনিয়োগ এই ভারসাম্য ফিরিয়ে এনেছে।
একটিভিস্ট বিনিয়োগ কোম্পানি মালিক (শেয়ারহোল্ডার) ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। মালিকানার প্রকৃত স্বার্থ ও ব্যবস্থাপনার পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এসব বিনিয়োগকারী কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে। এর ফলে মার্কিন পুঁজিবাজারের সামগ্রিক পারফরম্যান্স উন্নত হয়েছে।
একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা সাধারণত কোনো কোম্পানির ৫ থেকে ১০ শতাংশ মালিকানার বেশি রাখে না। তাই তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। যেন তারা যৌথভাবে একটি শক্তিশালী মালিকানার মতামত তৈরি করতে পারে। এই পদ্ধতিটি অনেকটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মতো—শেয়ারহোল্ডারদের সমর্থন পেলে একটিভিস্টরা বোর্ড পরিবর্তন অথবা ম্যানেজমেন্ট বদলাতে পারে।
বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও ঝুঁকি
একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীদের সাফল্য নির্ভর করে তাদের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাসযোগ্যতার উপর। একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা কখনো কখনো কৌশলগতভাবে ব্যবস্থাপনাকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো নতুন সিইও (CEO) যদি দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানিকে উন্নত করতে চায়, কিন্তু তাতে স্বল্পমেয়াদে মুনাফা কমে যায়, তখন একটিভিস্ট বিনিয়োগকারী বোর্ডে উপস্থিত থেকে অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করতে পারে যে এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ভবিষ্যতে কোম্পানিকে আরো মূল্যবান করবে। এভাবে তারা গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D), নতুন ফ্যাক্টরি তৈরির মতো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে সিইওকে সমর্থন জোগায়, যা সামগ্রিকভাবে শেয়ারহোল্ডারদের মঙ্গল সাধন করে।
কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যদি তারা স্বল্পমেয়াদী লাভের আশায় কোম্পানিকে ভুল পথে চালিত করতে চায়। সেক্ষেত্রে অন্যান্য বড় শেয়ারহোল্ডার—যেমন ব্ল্যাকরক (BlackRock), ভ্যানগার্ড (Vanguard), স্টেট স্ট্রিট (State Street)—যারা ইনডেক্স ফান্ড পরিচালনা করে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ দেখে, তারা এটি রুখতে পারে। তাই বাস্তবে স্বল্পমেয়াদী স্বার্থে ক্ষতিকর একটিভিস্ট চালনা করা বেশ কঠিন। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দেখা গেছে এক্টিভিস্ট বিনিয়োগকারীদের স্বল্পমেয়াদী স্বার্থকে ব্যালেন্স করা হয়নি, আর এর ফলে বিভিন্ন কোম্পানি এর স্বার্থের সাথে মানিয়ে না নিতে পারায় অনেক সিইও-কে পদত্যাগ করতে হয়েছে বা সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিছু নতুন আইন ও নিয়মকানুন অ্যাকটিভিস্ট বিনিয়োগকারীদের হাতে অনেক স্বাধীনতা দান করে। অনেক অ্যাকটিভিস্ট বিনিয়োগকারী আবার হেজ ফান্ড (Hedge Funds) থেকে উঠে এসেছে, যা এখন রেকর্ড পরিমাণ মূলধন রাখে। এর ফলে এদের হাতে বিলিয়ন বিলিয়ন অতিরিক্ত ডলার হাতে এসেছে। এই সম্পদ এখন তাদেরকে প্রচারণা চালিয়ে প্রকৃত পরিবর্তন আনার ক্ষমতা দিয়েছে। সিইওদের উদ্দেশ্যে তাদের বার্তা স্পষ্ট: “মূল্য (Value) তৈরি করুন, নাহলে কঠোর পর্যালোচনার মুখোমুখি হবেন।” আর এখানেই তৈরি হয়েছে নতুন রকমের ঝুঁকি। বোর্ডকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে যাতে স্বল্পমেয়াদী ফলাফলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও স্থায়িত্ব (Sustainability) বিসর্জন না দেওয়া হয়। অনেক কোম্পানি স্বল্পমেয়াদী শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির জন্য সিইও আনে, তারা বড় বোনাস নিয়ে চলে যায়, আর কোম্পানি পরে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন অ্যাকটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদী সাফল্যের দিকে আরও জোর দেওয়ায়, এমন ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
তাই যদি এক্টিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা ব্যবস্থাপনা বা সিইওদের ক্ষমতা খর্ব করে ভারসাম্য নিয়ে আসতে গিয়ে নিজেরাই ভারসাম্য ধ্বংস করে বেশি ক্ষমতাবান হয়ে যায়, তবে তাদের ক্ষমতাকে দমন করেও পুনরায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন আছে বৈকি। সংশয় থাকে যে কোনো একটিভিস্ট বিনিয়োগকারী যদি খাটো সময়ের মুনাফার জন্য কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা নষ্ট করে, তখন সেটি ক্ষতিকারক হতে পারে। এক্ষেত্রে ইনডেক্স ফান্ডগুলো সহায়ক হতে পারে, কারণ ইন্ডেক্স ফান্ডগুলো দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের কথা ভাবে এবং সন্দেহজনক স্বল্পমেয়াদী কৌশলকে সমর্থন করে না। এগুলোর উপস্থিতিতে এদের স্বার্থপর চালনা প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের সব কিছু বিজনেসের হাতে ছেড়ে না দিয়ে রাষ্ট্রেরও উচিৎ এখানে নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করার।
উপসংহার
একটিভিস্ট বিনিয়োগ (Activist Investing) মূলত মালিকানার ক্ষমতা ও দায়িত্বকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। প্যাসিভ বিনিয়োগের যুগে এটি একটি সক্রিয় হাতিয়ার যা ব্যবসা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে, কোম্পানিকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। ঝুঁকি ও সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক রয়েছেই। তবুও বিশ্বাসযোগ্য একটিভিস্ট বিনিয়োগকারীরা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করে এবং কোম্পানিকে আরও টেকসইভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায় তৈরি করে। যেটা দরকার সেটা হচ্ছে মালিক (শেয়ারহোল্ডার) ও ব্যবস্থাপনার (সিইও ইত্যাদি) মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা, এবং প্রয়োজনে সেই ভারসাম্য রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইন ও রেগুলেশন নিয়ে আসা।
Leave a Reply