বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্যাতিক দল বাদামের যে জিনের কারণে কিছু মানুষের মধ্যে এলার্জিক রিয়েকশন তৈরি হয় তা আবিষ্কার করেছেন। হয়তো একদিন তাদের এই আবিষ্কারটি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারড বাদাম তৈরি করতে সহায়তা করবে যা খেলে এলার্জি হবে না।
বাদাম একটি জনপ্রিয় উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য। বিশ্বে বাদামের এতই কদর যে প্রতিবছর সারা বিশ্ব জুড়ে প্রচুর পরিমাণে বাদাম আমদানি রপ্তানি হয়। কিন্তু এই বাদামে যথেষ্ট পরিমাণে হেলথ রিস্কও থাকে। দেখা গেছে প্রতি একশো জনে ১ জন আমেরিকান এবং ৩ জন অস্ট্রেলিয়ান এই বাদামের প্রতি এলার্জিক। আর এই পরিসংখ্যানই বাদামকে বিশ্বের একটি অন্যতম ফুড এলার্জি তৈরি করা খাদ্যে পরিণত করেছে।
বাদাম খেলে কেন এলার্জি হয় তা বের করার জন্য একটি গবেষণায় গবেষকগণ বর্তমান পিনাটের পূর্বপুরুষ Arachis duranensis এর সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন। এতে তারা ৫০,০০০টিরও বেশি প্রোটিনের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট সনাক্ত করেছেন। এগুলোর সাথে পরিচিত এলার্জিক প্রোটিনের তুলনা করে গবেশকগণ এলার্জি্র জন্য দায়ী প্রোটিন বা এলার্জেনকে এনকোড করা ২১টি জিন সনাক্ত করেন। এগুলোর মধ্যে ৯টি বর্তমান বাদামে আছে। এই গবেষণাটি “প্রোসিডিং অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস” জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকগণ বলছেন, এলার্জির জন্য দায়ী এই জিনগুলোকে লোকেট করার ফলে এখন খুব শীঘ্রই এই এলার্জি থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় আবিষ্কার হবে। এর সাহায্যে মোডিফাইড পিনাট তৈরি করা হবে যাতে এই জিনগুলো নেই। গবেষনার কো-অথর রাজিব ভারশনি বলেন, “এই গবেষণাটি আমাদের এমন একধরণের বাদাম তৈরির দিকে নিয়ে যাবে যাতে সারা বিশ্বই উপকৃত হবে”। বাদামে ভর হিসেবে ২৪ শতাংশ প্রোটিন থাকে। আর এটা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডায়েটারি এলিমেন্টের একটি অসাধারণ উৎস্য। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে খাদ্যের ঘাটতি আছে সেইসব অঞ্চলে বাদাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এছাড়াও বাদামে উচ্চমাত্রায় ফাইবার, ফলিক এসিড এবং রেসভেরাট্রল আছে যা ক্যান্সার, নিউরাল ডিফ্রেডেশন এবং কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
http://www.pnas.org/content/early/2016/05/25/1600899113.full
http://phys.org/news/2016-06-closer-non-allergenic-super-peanuts.html
– বুনোস্টেগস
Leave a Reply