Table of Contents
ভূমিকা
“সিরিয়ার কুর্দিদের (Kurds) ভবিষ্যৎ কী?” – বর্তমান আন্তর্জাতিক আলোচনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করলে শিরোনামগুলো দেখে মনে হবে যে বিদ্রোহীরা (Rebels) সিরিয়ার (Syria) সমস্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে, আসাদ (Assad) ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ বড় শহরগুলো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, আর বিদ্রোহীদের প্রকৃত নেতা আবু মোহাম্মদ আল জিলানি (Abu Mohammed Al Jilani) দামেস্ক (Damascus)-এ বিজয়ী ভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। কিন্তু বাস্তবতা এতটা সরল নয়। যদিও বিদ্রোহীরা এখন সিরিয়ার বেশিরভাগ জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা ভূখণ্ডের (Territory) মাত্র অর্ধেকের সামান্য বেশি দখলে রেখেছে। বাকি বড় একটা অংশ — বিশেষ করে ইউফ্রেটিস (Euphrates) নদীর পূর্বদিকে — এখনও কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এই প্রবন্ধে আমরা সিরিয়ার ক্ষমতার বর্তমান বিভাজন, উত্তরপূর্বাঞ্চলে গড়ে ওঠা কুর্দি রাষ্ট্রের (de facto Kurdish state) পরিস্থিতি, এবং সিরিয়া সত্যিই কি দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখব।
সিরিয়ার ভূগোল: একটি প্রেক্ষাপট
সিরিয়া ভূখণ্ডের দিক থেকে বেশ বড় — প্রায় গ্রেট ব্রিটেনের (Great Britain) সমান — কিন্তু জনসংখ্যা তুলনামূলক কম, মাত্র ২ কোটি ২০ লাখের সামান্য বেশি। একটি জনবিভাগ মানচিত্রে চোখ বোলালে দেখা যাবে, সিরিয়ার বেশিরভাগ মানুষ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। বিদ্রোহী আক্রমণ (Rebel Offensive) মূলত এই পশ্চিমাঞ্চলেই সংঘটিত হয়: এটি শুরু হয় উত্তর-পশ্চিমের শহর আলেপ্পো (Aleppo) থেকে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজধানী দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয়। বাকি জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাস করে ইউফ্রেটিস (Euphrates) নদীর ধারে — যেখানে রাক্কা (Raqqa) ও ডেইর এযর (Deir Ezur) শহরগুলি অবস্থিত — অথবা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খাবর (Khabr) নদীর তীরে। খাবর হচ্ছে ইউফ্রেটিসের একটি উপনদী, এবং এই অঞ্চলের প্রধান শহরগুলি হল আল হাসাকা (Al Hasaka) ও কামিশলি (Qwamishli), যা সিরিয়া-তুরস্ক (Turkey) সীমানার কাছাকাছি।
সিরিয়ার সুন্নি (Sunni) সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মোটামুটি সমানভাবে সারা দেশে বিস্তৃত থাকলেও, সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় কেন্দ্রীভূত। যেমন, আলাওয়াইট (Alawites) সম্প্রদায় (যে গোষ্ঠী থেকে আসাদ পরিবারের উত্থান) মূলত আনসুরিয়া (Ansuria) পর্বতমালার পশ্চিমদিক, অর্থাৎ তর্তুস (Tartus) ও লাতাকিয়া (Latakia) বন্দরনগরীগুলিতে বসবাস করে। ড্রুজ (Druze) সম্প্রদায় মূলত দক্ষিণে, সিরিয়া-জর্দান (Jordan) সীমান্তের আশপাশে বাস করে। অন্যদিকে, সিরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ১০% কুর্দি জনগোষ্ঠী প্রধানত উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীভূত।
কুর্দিদের স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষা
সিরিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও কুর্দিরা বরাবরই বেশি রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন চেয়েছে। আরব বসন্তের (Arab Spring) পরে যখন সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, তারা এই সুযোগটি কাজে লাগায় এবং দ্রুতই ইউফ্রেটিস নদীর পূর্বদিকে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি নতুন স্বশাসিত রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়। এই রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক নাম ছিল “অটোনোমাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ নর্থ অ্যান্ড ইস্ট সিরিয়া (Autonomous Administration of North and East Syria)”, তবে সাধারণভাবে এটি রোজাভা (Rojava) নামে পরিচিত।
রোজাভা (Rojava) সরাসরি কুর্দি রাষ্ট্র না হলেও, এটি স্পষ্টতই কুর্দি প্রভাববলয়ভুক্ত। এর সামরিক বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (Syrian Democratic Forces, সংক্ষেপে SDF) মূলত কুর্দি যোদ্ধাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। আবার এই অঞ্চলের প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি (Democratic Union Party, সংক্ষেপে PYD) একটি কুর্দি ভিত্তিক সংগঠন। যদিও ২০১২ সাল থেকেই রোজাভা কার্যত স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে, এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সরকার বা প্রতিষ্ঠান এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি, কাতালান (Catalan) সংসদ (Parliament) ২০২১ সালে এককভাবে স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, রোজাভার প্রধান রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো জোর দিয়ে বলছে তারা স্বাধীনতা চায় না; বরং ফেডারেল সিরিয়ার (Federal Syria) মধ্যে একটি স্বয়ত্ত্বশাসিত (Autonomous) অঞ্চল হিসাবে থাকতে চায়। ইরাকের (Iraq) কুর্দিস্তান (Kurdistan) অঞ্চলের মতো একটি মডেল তাদের পছন্দ।
রোজাভার সীমানা সম্প্রসারণ ও বর্তমান অবস্থা
গৃহযুদ্ধ চলাকালীন রোজাভার সীমানা ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়। এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্রের (US) সাথে SDF-এর জোট, যেটি আইএস (ISIS) কে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চল থেকে হটিয়ে দিতে কাজ করেছে। আইএস-কে পরাজিত করার ফলে রোজাভার ভূখণ্ড বেড়ে যায়।
২০১৯ সালে তুরস্ক (Turkey) উত্তর সিরিয়ায় একটি বাফার জোন (Buffer Zone) গঠনের লক্ষ্যে অভিযান চালায়, যাতে রোজাভা-তুরস্ক সীমান্তের কুর্দি উপস্থিতি দুর্বল করা যায়। এতে রোজাভা কিছু ভূখণ্ড হারায়। তবু বিগত কয়েক বছর ধরে, এসডিএফ ইউফ্রেটিস নদীর পূর্বদিকে অবস্থিত প্রায় পুরো সিরিয়া, এবং নদীর পশ্চিমে অবস্থিত কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণ করছে, যেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মানবিজ (Manbij) ও ডেইর এযর (Deir Ezur)।
আসাদের পতনের পরের প্রশ্ন
আসাদ পতন হওয়ার আগে কেউ রোজাভার স্বাধীনতা নিয়ে খুব বেশি আলোচনায় যায়নি। কারণ তখন সিরিয়াকে অন্তত চারটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত বলা যেত, যার মধ্যে সীমানা পুনর্লিখন করা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করত। পাশাপাশি তখনো আশা ছিল আসাদ হয়তো ধীরে ধীরে পুরো দেশ পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
কিন্তু এখন, আসাদ ক্ষমতা হারিয়েছে, এবং বিদ্রোহীরা (যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে হায়াত তাহরির আল-শাম (Hay’at Tahrir al-Sham), সংক্ষেপে এইচটিএস (HTS)) ধারণা মতে সিরিয়ার বাকি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রোজাভার ভবিষ্যৎ এখন এক অজানা প্রশ্ন। সম্ভাব্য তিনটি দৃশ্যপট এখানে দেখা যেতে পারে:
তিনটি সম্ভাব্য দৃশ্যপট (Three Potential Outcomes)
- বিদ্রোহী সরকার রোজাভাকে বলপূর্বক যুক্ত করা: প্রথম সম্ভাবনা হল নতুন বিদ্রোহী সরকার (Rebel Government) রোজাভাকে জোর করে নিজেদের সাথে যুক্ত করতে চাইতে পারে। এর ফলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। এটি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান (Recep Erdogan) সর্বোচ্চ সমর্থন দেবে, কারণ তিনিই বিদ্রোহীদের প্রধান আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষক। আসাদের পতনের পর থেকে তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (Syrian National Army, সংক্ষেপে SNA) ইতোমধ্যে মানবিজে এসডিএফ অবস্থানের ওপর একটি ব্যর্থ আক্রমণ চালিয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক অস্ত্রবিরতির (Ceasefire) মাধ্যমে থামে। প্রসঙ্গত, এরদোয়ান কখনই তুরস্কের সীমান্তে একটি স্বতন্ত্র কুর্দি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব পছন্দ করে না। কারণ এটি তুরস্কের অভ্যন্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদকে (Kurdish Separatist Sentiment) উসকে দিতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের রাজনীতিতে স্পর্শকাতর ইস্যু। পাশাপাশি এটি তুরস্কে সক্রিয় কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর (Kurdish terror groups) ঘাঁটি হিসাবে কাজ করতে পারে। আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এরদোয়ান বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে বটে, তবে মূল লক্ষ্য ছিল কুর্দিদের শক্তি খর্ব করা। তিনি ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (EU) রোজাভার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে এরদোয়ান ও বিদ্রোহীদের ইচ্ছা সত্ত্বেও রোজাভার ওপর পূর্ণাঙ্গ সামরিক আক্রমণের সম্ভাব্যতা এখন কম, কারণ তাতে এইচটিএস (HTS) এর “সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা” সম্পর্কিত সাম্প্রতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে এবং আবার এক গৃহযুদ্ধের পথ খুলে যেতে পারে।
- ফেডারেল কাঠামোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সমন্বয়: দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি, যা সম্ভবত সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল, তা হল এইচটিএস নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার রোজাভার সাথে একটি ফেডারেল কাঠামোতে একমত হবে। এতে রোজাভাকে যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে, যেন তারা ফেডারেল সিরিয়ার অঙ্গ হিসাবে শান্তিপূর্ণভাবে যুক্ত হতে পারে। এই মুহূর্তে এটি অসম্ভব নয়, কারণ এইচটিএস সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে কুর্দি জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা নিয়ে কথাবার্তা বলছে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক এসএনএ (SNA) আক্রমণ স্পষ্ট করেছে যে সামরিক বলপ্রয়োগে রোজাভাকে দখল করাও সহজ হবে না। ফলে ফেডারেল কাঠামোর মাধ্যমে ঐক্য একটি বাস্তবসম্মত সমাধান হতে পারে।
- সমঝোতা ব্যর্থ হলে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত রোজাভা:তৃতীয় দৃশ্যপট হল নতুন বিদ্রোহী সরকার ও রোজাভার মধ্যে গ্রহণযোগ্য কোনো ফেডারেল চুক্তি না হওয়া। বিদ্রোহীরা বুঝতে পারবে যে শক্তি প্রয়োগ করে রোজাভাকে দখল করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে রোজাভা স্বাধীনতার দিকে যেতে পারে। এটি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত হবে না। এখন এইচটিএস সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে ইতিবাচক কথা বললেও, তারা ইসলামি আইন (Islamic Law) প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা রোজাভার গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ (Secular) সংবিধানের সাথে সুসংগত নয়। রোজাভা কি বাস্তবিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারবে, তা অনেকটাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করবে। অন্য দেশগুলো যদি রোজাভার রাষ্ট্রত্ব (Statehood) মেনে নেয়, তবে সেটি চূড়ান্ত রূপ নিতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ধারণা করা হয় ট্রাম্প সিরিয়ায় অবস্থানরত প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা (US troops) সরিয়ে নেবেন, যারা এতদিন কুর্দিদের জন্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি হিসেবে কাজ করেছে। যদি ট্রাম্প সত্যিই সৈন্য প্রত্যাহার করেন, তবে কুর্দিরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে, বিশেষ করে যদি তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
তবে মনে রাখতে হবে, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি তুরস্ক কুর্দিদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা করলে, ট্রাম্প তুরস্কের ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা (Massive Sanctions) আরোপ করে এরদোয়ানকে অস্ত্রবিরতিতে বাধ্য করেছিলেন।
আবার যদি ট্রাম্প (বা যুক্তরাষ্ট্র) তুরস্ককে কুর্দিদের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়া থেকে নিবৃত্ত করতে পারেন, তবে রোজাভার ভবিষ্যৎ তুলনামূলক উজ্জ্বল হতে পারে।
উপসংহার
সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী সংকটের মাঝে কুর্দিদের ভবিষ্যৎ এক অনিশ্চিত অধ্যায়। আসাদের পতনের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নতুন রূপ নিয়েছে। রোজাভা হয় ফেডারেল কাঠামোর মধ্যে থেকে স্বায়ত্তশাসিত হবে, নয়তো বলপ্রয়োগের আশঙ্কা থেকে আবার গৃহযুদ্ধের জন্ম দিতে পারে, অথবা স্বাধীনতার পথে হাঁটতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে বিদ্রোহী সরকার, তুরস্কের অবস্থান, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি ও হস্তক্ষেপের ওপর। সময়ই বলে দেবে, সিরিয়ার কুর্দিরা ভবিষ্যতে ঠিক কোন পথে এগোবে।
সূত্র –
1 – https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_and_dependencies_by_area
2 – https://www.heritageforpeace.org/syria-country-information/geography/
3 – https://en.wikipedia.org/wiki/Autonomous_Administration_of_North_and_East_Syria
4 – https://en.wikipedia.org/wiki/Syrian_Democratic_Forces
5 – https://www.greenleft.org.au/content/catalan-parliament-officially-recognises-rojava-administration
6 – https://x.com/vonderleyen/status/1866514863100703018
7 – https://www.bbc.co.uk/news/world-middle-east-50157439
8 – https://recognizemeproject.org/what-is-aanes/
9 – https://www.noemamag.com/inside-the-feminist-revolution-in-northern-syria/
10 – https://www.opendemocracy.net/en/north-africa-west-asia/journalism-rojava-ii-independent-media-between-freedom-and-control/
Leave a Reply