পাঁচশ বছর আগে, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কবিতা থেকে শুরু করে গণিত, ইঞ্জিনিয়ারিং, এনাটমি, বিজ্ঞান, এস্ট্রোনমি এবং জিওলজি সহ প্রায় প্রতিটি বিষয়েরই অগ্রদূত ছিলেন। তিনি চিত্রকর্মেও খুব একটা খারাপ ছিলেন না। তার সৃজনশীলতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানীরা একটি খ্যাপাটে পরিকল্পনা করেছেন। তারা ভিঞ্চির অবিশ্বাস্য জীবন সম্পর্কে জানার জন্য তার জিনোম সিকোয়েন্স করতে চান!
এই লিওনার্দো প্রোজেক্টটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ, আর্কিওলজিস্ট এবং আর্ট এক্সপার্টকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি তারা তাদের পরিকল্পনাটি হিউম্যান ইভোল্যুশন জার্নালের স্পেশাল এডিশনে প্রকাশ করেছেন। দলটি লিওনার্দোর বই, নোটপ্যাড, প্রিন্টিংস এবং ইকুইপমেন্টগুলোতে তার ডিএনএ সনাক্ত করার চেষ্টা করবে। তারপর তারা এই তথ্যগুলোকে তার অতীত ও বর্তমান আত্মীয়দের চুল, হাড়, ফিংগারপ্রিন্ট এবং স্কিন সেলের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। বুঝতেই পারছেন, এগুলো খুব একটা সহজ কাজ নয়। এই কাজটির জন্য ১৪০০ শতক থেকে আজ পর্যন্ত লিওনার্দোর পরিবারের লোকজনের ইতিহাস জানতে হবে এবং তাদের সমাধিগুলোকেও খুঁজে বের করতে হবে।
এই প্রোজেক্টের একজন জেনেটিসিস্ট রোন্ডা রবি বলেন, “মানুষের স্পর্শ করা বস্তুগুলো থেকে ডিএনএ উদ্ধার করার অনেকগুলো টেকনিক আবিষ্কার করা হচ্ছে। আমি এও চিন্তা করছি, চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে বায়োলজিকাল মেটারিয়াল পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কি করে তার চিত্রকর্মের কোন ক্ষতি না করে এই বায়োলজিকাল মেটারিয়ালগুলোকে উদ্ধার করা যায়”।
বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সংস্কৃতিতে দা ভিঞ্চির লেগেসি কোন সুপারহিউম্যানের চেয়ে কম ছিল না। কিন্তু এর পরেও এই লোকের জীবন সম্পর্কে অনেক কমই জানা যায়। লিওনার্দোর জিনোম সিকোয়েন্স করে গবেষকগণ তার এপিয়ারেন্স কিরকম ছিল তা বের করতে সক্ষম হবেন। এখান থেকে তার চোখের রং, স্কিন টোন, চুলের রং, ওজন, উচ্চতা এবং মুখের গড়ন সম্পর্কে জানা যাবে। এছাড়া তারা লিওনার্দোর দৈনন্দিন আহার, স্বাস্থ্য এবং তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
তবে এখনও এই অসাধারণ প্রতিভাধারী ব্যক্তির ক্লোন তৈরির কোন পরিকল্পনা করা হয় নি অবশ্য!
http://www.pontecorboli.com/digital1/vol-31-3-2016/
– ভেলোসিটি হেড
Leave a Reply