প্রচুর গবেষণার পর গবেষকগণ ব্রেস্ট ক্যানসার সেলের সম্পূর্ণ জিনোমকে স্ক্যান করেছেন এবং জেনেটিক মিউটেশনের এপর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পরিষ্কার ছবিটির ম্যাপ প্রস্তুত করেছেন যেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য দায়ী সকল জেনেটিক মিউটেশনের উল্লেখ আছে। নেচার ও নেচার কমিউনিকেশন জার্নাল দুটোটে এগুলো নিয়ে দুটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল সকল জেনেটিক দুর্ঘটনার একটি নেয়ার পারফেক্ট বা প্রায় নিখুঁত ইমেজ ডেভলপ করেছেন যেই জেনেটিক দুর্ঘটনাগুলোর ফলে কোন স্বাস্থ্যকর টিস্যু ক্যান্সারাস হয়ে ওঠে (বা ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়)।
পূর্বের গবেষণাগুলোতে কেবল ডিএনএ এর রেজিয়নে হওয়া মিউটেশনগুলোতেই নজর দেয়া হয়েছিল যেগুলো সরাসরি প্রোটিনকে কোড করে। কিন্তু এই ডিএনএ মানুষের সম্পূর্ণ জিনোমের কেবল ১ থেকে ২ শতাংশের জন্যই দায়ী। এর অর্থ হল ক্যান্সারাস কোষের বেশিরভাগ ডিএনএ-ই অপরীক্ষিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক এই গবেষণাটি এই শূন্যস্থানটি পূরণ করেছে। এই গবেষণায় পরবর্তী ৩ বিলিয়ন অক্ষরের জেনেটিক নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তারা মোট ৯৩টি জিন আবিষ্কার করেছে যেগুলোর মিউটেশন ঘটলেই ব্রেস্ট ক্যান্সার হবে।
গবেষণাটির অনেক কোঅথরের মধ্যে একজন, স্যানগার ইনস্টিটিউটের প্রফেসর স্যার মাইক স্ট্রাটন বলেন, “হিউম্যান জিনোমে মোট ২০,০০০টি জিনোম আছে। এখন আমরা জানি এগুলোর ৯৩টি জিনের মিউটেশনের ফলে একটি সাধারণ ব্রেস্ট সেল বা স্তন কোষ একটি ব্রেস্ট ক্যানসার কোষে রূপান্তরিত হতে পারে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আমরা এই লিস্টটিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ফারমাসিউটিকলস, বায়োটেক কোম্পানিতে পাঠিয়ে দিয়েছি যাতে তারা নতুন ধরণের ওষুধ উৎপাদন করতে পারে কারণ এই মিউটেটেড জিনগুলো এবং তাদের প্রোটিনগুলো এখন নতুন থেরাপিউটিকস এর টারগেট”।
এরকম ওষুধ বা ড্রাগ তৈরি করতে তাদের কয়েক দশক লেগে যেত কিন্তু অন্তত এখন তাদের কাছে পরিষ্কারতম ছবিটি আছে যেখান থেকে তারা জানতে পারবেন যে কোন অঞ্চলকে টারগেট করতে হবে। আশা করা যাচ্ছে, কোন মিউটেশনগুলো টিউমারগুলো তৈরি করছে সেটা জেনে ডাক্তারগণ একদিন প্রত্যেকটি রোগীর ক্যানসার জিনোমের প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন এবং প্রতিটি আলাদা আলাদা রোগীর জন্যই সেই অনুযায়ী পারসোনালাইজ মেডিসিন প্রদান করতে পারবেন। যদি একবার চিকিৎসক জেনে যান যে কোন জিনটি মিউটেটেড হয়েছে, তিনি তাহলে সেই জিনের বিরুদ্ধে ওষুধ দিতে পারবেন।
কিভাবে প্রথম মিউটেশনটি ঘটে এর উত্তর দেয়াটা একটু কঠিন এবং এখনও এর অনেকাংশেই অজানা। গবেষকগণ ১২ ধরণের ড্যামেজ সনাক্ত করতে পেরেছেন যেগুলোর কারণে জিনগুলোর মধ্যে পরিবর্তন সংঘটিত হয়। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু আছে যেগুলো ফ্যামিলি হিস্টোরির সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং অন্তত একটি আছে যা শরীর কোন ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ফলে তৈরি হয়। যাই হোক এগুলো সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হবার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
http://www.nature.com/articles/nature17676.epdf?referrer_access_token=Wb8NOwu79cqvKvAsEJuhUNRgN0jAjWel9jnR3ZoTv0PLm4Ym-NBg__dACWXIzQPG_wRbWr8qonEc_y4GwPBBac8-kbQvbcDJzQIoB5WCMLYzxg0y3w3P15q5FxtZxxfn8GX4hY48xLAfNqIqCGx4IfKIKOw0n-AC6j1xDPuxwF0%3D&tracking_referrer=www.bbc.co.uk
http://www.nature.com/ncomms/2016/160502/ncomms11383/abs/ncomms11383.html
http://www.theguardian.com/society/2016/may/02/study-points-personalised-treatment-breast-cancer
– বুনোস্টেগস
Leave a Reply