স্যাফরন (Saffron), জাফরান বা গেরুয়া

ভূমিকা

স্যাফরন (Saffron) হলো হলুদ বা কমলা রঙের একটি শেড (shade), যা স্যাফরন ক্রোকাস (saffron crocus) ফুলের সূতার ডগার রঙের মতো। এ থেকেই স্যাফরন মসলা (saffron spice) উৎপন্ন হয়।[2] স্যাফরন মসলার রং মূলত ক্যারোটিনয়েড (carotenoid) যৌগ ক্রোসিন (crocin) থেকে আসে।

উৎপত্তি (Etymology)

“স্যাফরন” (saffron) শব্দটি আরবির (Arabic) মাধ্যমে মধ্য-ইরানীয় (Middle Iranian) ‘ja’far-’ শব্দ থেকে এসেছে। আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মধ্য ইংরেজি (Middle English) ভাষায় স্যাফরন নামটি মসলা বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। রং হিসেবে ‘স্যাফরন’ শব্দটির প্রয়োগ ১৪শ শতকের শেষদিকে পাওয়া যায়।[3]

গাঢ় স্যাফরন (Deep saffron) ভারতীয় স্যাফরন (India saffron), যা ভাগওয়া (bhagwa) বা কেসারি (kesari) নামেও পরিচিত, সেই রঙের কাছাকাছি।[4][5] রাজস্থানি (Rajasthani) ভাষায় এই রঙকে কেসারিয়া (kesariya) বলা হয়। এটি এসেছে ‘কেসর’ (kesar) শব্দ থেকে, যা হিন্দুস্তানি ভাষায় স্যাফরন মসলার নাম। কাশ্মীরে স্যাফরন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল।

ধর্ম (Religion)

স্যাফরন (Saffron) রঙ (হিন্দি: भगवा, উচ্চারণ: Bhagawā) হিন্দুধর্মে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। হিন্দু পুরাণ মতে, স্যাফরন বা কেসারিয়া (Kesariya) হলো সূর্যাস্ত (Sunset – Sandhya) ও আগুন (Fire – Agni)-এর রঙ, যা ত্যাগ, আলো এবং মোক্ষের সন্ধানের প্রতীক।[6] হিন্দু সন্ন্যাসী ও সাধুরা ধর্মীয় নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে স্যাফরন রঙের পোশাক পরিধান করেন।[7] মারাঠা সাম্রাজ্য (Maratha Empire)-সহ বহু হিন্দু রাজ্য ও সাম্রাজ্যের পতাকায় সনাতন ধর্ম (Sanātana Dharma)-এর প্রতীক হিসেবে স্যাফরন রঙ ব্যবহৃত হতো।

হিন্দুধর্ম (Hinduism), জৈনধর্ম (Jainism) ও বৌদ্ধধর্মে (Buddhism) স্যাফরন রঙকে জাগতিক জীবন ত্যাগের পবিত্র প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।[8][9][10]

থেরবাদ (Theravada) বৌদ্ধ ঐতিহ্যের সন্ন্যাসীরা সাধারণত স্যাফরন রঙের পোশাক পরেন (মাঝে মাঝে বজ্রযান (Vajrayana) বৌদ্ধদের মতো মারুন (maroon) রঙের পোশাকও পরতে দেখা যায়)। থেরবাদ সন্ন্যাসীরা সাধারণত হালকা শেডের স্যাফরন ব্যবহার করেন।

শিখধর্মে (Sikhism) স্যাফরন রঙ আত্মা ও ত্যাগের প্রতীক।[11] মূলত বাসন্তী (basanti) নামে পরিচিত হলুদাভ শেড থেকে আধুনিক নিশান সাহিব (Nishan Sahib)-এর মূল রঙ স্যাফরন হয়েছে।[11][12] শিখরা সাধারণত নীল বা সাদা পাগড়ি (turban) পরেন,[13] তবে বাসন্তী রঙও প্রচলিত।[11][14]

রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যবহার (Political & religious uses)

ভারতের পতাকা (Flag of India)

১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের জাতীয় পতাকায় স্যাফরন, সাদা ও সবুজ রঙ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ভাগওয়া ধ্বজ (Bhagwa Dhwaj) মারাঠা সাম্রাজ্যের পতাকা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

রাজনীতিতে স্যাফরন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর ভারতের জাতীয় পতাকার তিনটি রঙের একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও ব্যবহৃত হয়।[15] ভারতের জাতীয় পতাকায় সাহস ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে স্যাফরন (India saffron) রঙ বাছাই করা হয়েছে। অন্যদিকে সাদা রঙ শান্তি ও সত্যের প্রতীক এবং সবুজ রঙ এখন ইন্ডিয়া গ্রিন (India green) নামে পরিচিত, যা বিশ্বাস ও বীরত্বের প্রতীক।[16][17] ভারতের পতাকা কোড (Flag Code of India) অনুযায়ী:

“উপরের অংশের রঙ হবে ইন্ডিয়া স্যাফরন (Kesari) এবং নিচের অংশ হবে ইন্ডিয়া গ্রিন (India green)। মাঝের অংশ হবে সাদা, যার কেন্দ্রে নেভি ব্লু (navy blue) রঙের অশোক চক্র (Ashoka Chakra) থাকবে, যাতে ২৪টি সমান দূরত্বে স্পোক (spokes) আছে।”[18]

সার্ভেপল্লী রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan), যিনি পরে ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হন, ভারতের জাতীয় পতাকার তাৎপর্য এভাবে ব্যাখ্যা করেন:

“ভাগওয়া বা স্যাফরন রঙ ত্যাগ বা নিরাসক্তির প্রতীক। আমাদের নেতাদের জাগতিক স্বার্থ থেকে মুক্ত থেকে তাদের কাজে নিবেদিত হতে হবে। মাঝের সাদা রঙ আলো ও সত্যের পথকে নির্দেশ করে যা আমাদের আচরণ পরিচালিত করে। সবুজ রঙ মাটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বোঝায়, উদ্ভিদজগতের সঙ্গে আমাদের সংযোগ প্রতিফলিত করে, যার ওপর সব জীব নির্ভরশীল। সাদা অংশের মাঝখানে অশোক চক্র (Ashoka Chakra) হলো ধর্মের নিয়মের চাকা। সত্য (satya) ও ধর্ম (dharma) হওয়া উচিত এই পতাকার অধীনে কাজ করা সবার পরিচালন নীতি (controlling principle)। চাকা গতির প্রতীক; স্থবিরতায় মৃত্যু, গতিতে জীবন। ভারত আর পরিবর্তনকে প্রতিহত করবে না, এগিয়ে যাবে। চাকা শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের গতিশীলতা প্রকাশ করে।”[19]

জাতীয় পতাকায় বা রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে স্যাফরনের ব্যবহার নিয়ে বিরোধিতা রয়েছে।[8] একদল মনে করে এ রঙ পবিত্র এবং একে রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়।[8] আবার অন্যদল, বিশেষ করে ইসলামপন্থীরা (Islamists), দাবি করে ইসলাম ধর্মে পুরুষদের জন্য এ রঙ নিষিদ্ধ।[8][20]

বাসন্তী (basanti) পাগড়িকে পাকিস্তান ও ভারতের পাঞ্জাবে খালিস্তান আন্দোলনের (Khalistan movement) সঙ্গে জড়ানো হয়।[11] তবে সাধারণভাবে বাসন্তী পাগড়ি শিখদের মধ্যে বহুল প্রচলিত, এবং এ পাগড়ি পরা সকলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবা ঠিক নয়।

২০০৭ সালের বার্মিজ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে থেরবাদী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা সামনের সারিতে ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ আন্দোলনকে “স্যাফরন বিপ্লব” (Saffron Revolution) নামে অভিহিত করা হয়েছে।[21][22]

হিন্দু জাতীয়তাবাদ (Hindu nationalism)

undefined
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath), ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) স্যাফরন বস্ত্রে
undefined
ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party – BJP) একটি নির্বাচনী সমাবেশে স্যাফরন পতাকা

মধ্যযুগীয় হিন্দু যোদ্ধা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের (Chhatrapati Shivaji Maharaj) স্যাফরন পতাকাকে (bhagwa dhwaj) ১৯২০-এর দশকে হিন্দু মহাসভা (Hindu Mahasabha) ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Rashtriya Swayamsevak Sangh – RSS) হিন্দু পুনরুজ্জীবন ও সামরিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিল। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ার (Hedgewar) এই স্যাফরন পতাকাকেই “সত্যিকারের গুরু” বলে মান্য করতেন। তিনি বলেন, “গেরুয়া পতাকাই হবে হিন্দু জাতির পতাকা। ওম (Om), স্বস্তিক (Swastik) ও তরবারি (Sword)-সহ এটি বৈদিক যুগ থেকে আমাদের জাতির লালিত অনুভূতিগুলোকে জাগিয়ে তোলে।”[23]

ভারতীয় জনসংঘ (Bharatiya Jana Sangh) ও তার উত্তরসূরি ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party – BJP) দু’টিই স্যাফরন রঙ ব্যবহার করেছে। বিজেপি তাদের পতাকায় স্যাফরন পদ্ম (lotus) ও সবুজ একটি পাশের ব্যান্ড ব্যবহার করেছিল, যা সম্ভবত ইসলামের সঙ্গে সহাবস্থান বোঝায়।[24] আরএসএস-সংলগ্ন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad – VHP)-ও স্যাফরনকে প্রধান রঙ হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের সন্ন্যাসী নেতারা স্যাফরন বস্ত্র পরেন এবং সাধারণ নেতারা স্যাফরন স্কার্ফ পরেন।[25] ১৯৯০-এর দশকের রাম জন্মভূমি আন্দোলনে (Ram Janmabhoomi movement) ভিএইচপি (VHP) ও বজরং দল (Bajrang Dal) লক্ষ লক্ষ অনুসারীকে স্যাফরন পতাকা ও স্যাফরন হেডব্যান্ড বিতরণ করেছিল।[26][27][28]

বিজেপি ও তার মিত্রদের মধ্যে স্যাফরন প্রতীকবাদের আধিক্যের কারণে ১৯৯০-এর দশকে বিজেপিকে “স্যাফরন পার্টি” বলা হতো এবং ‘স্যাফরণাইজেশন’ (saffronisation) শব্দটি হিন্দু জাতীয়তাবাদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হত। এসময়ে “উপকূলীয় অঞ্চলের স্যাফরণাইজেশন”,[29] “কর্ণাটকের স্যাফরণাইজেশন”[30] এবং “কংগ্রেস (আই)-এর স্যাফরণাইজেশন”[31] শব্দগুচ্ছ শোনা যেত। একাডেমিক ও অনন্যায়িক গবেষকরা ‘স্যাফরন’ অন্তর্ভুক্ত শিরোনামে বই রচনা করেছেন যাতে হিন্দু জাতীয়তাবাদ বোঝানো হয়: “Brotherhood in Saffron”,[32] “Khaki Shorts and Saffron Flags”,[33] “The Saffron Wave”,[34] এবং “The Saffron Swastika”।[35]

পোশাক (Clothing)

গ্যালিক-আইরিশ (Gaelic-Irish) সম্প্রদায়ে স্যাফরন রঙের পোশাক ব্যবহারের ঐতিহ্য আছে। কিছু আইরিশ রেজিমেন্টের পাইপার (pipers) ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে স্যাফরন কিল্ট (saffron kilt) পরে, আর আইরিশ প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী (Defence Forces of the Republic of Ireland)-তে স্যাফরন লেইনে (léine) ব্যবহার করা হয়। কিছু আইরিশ ও আইরিশ-আমেরিকান পুরুষ এটি জাতীয় পোশাক হিসেবে পরিধান করেন (যদিও বেশিরভাগই কিল্টকে আইরিশ মনে করে পরেন)। এর রঙ খাঁটি স্যাফরন কমলা থেকে শুরু করে মলিন সরিষা ও হলদে-বাদামি বিভিন্ন শেডে পাওয়া যায়।

অ্যান্ট্রিম জিএএ (Antrim GAA) দলের ডাকনাম “দ্য স্যাফরনস” (The Saffrons) তাদের স্যাফরন রঙের খেলার পোশাকের কারণে। প্রাচীন আইরিশে স্যাফরনকে “ক্রোক” (cróc)[36] বলা হতো, যা ল্যাটিন “Crocus sativus” থেকে উদ্ভূত। ১৪ থেকে ১৭ শতাব্দীর মধ্যে আয়ারল্যান্ডে পুরুষরা লেইন্টে (léinte, একবচনে léine) নামের ঢিলেঢালা স্যাফরন রঙের শার্ট পরতেন যা উরু বা হাঁটু পর্যন্ত লম্বা হত।[37][38]

সাহিত্য (Literature)

ফ্রেডেরিক লেইটন (Frederic Leighton)-এর “সাইমন অ্যান্ড ইফিজেনেইয়া” (Cymon and Iphigeneia) চিত্রকর্মে সূর্যোদয়ে স্যাফরন আলো ক্যানভাসজুড়ে ছড়িয়ে আছে।

প্রাচীন সাহিত্যে স্যাফরন রঙ ভোরের দেবীর সঙ্গে যুক্ত (গ্রিক পুরাণে ইওস (Eos), রোমান পুরাণে অরোরা (Aurora)):

হোমারের “ইলিয়াড” (Homer’s Iliad):[39]
“যখন স্যাফরন বস্ত্র পরিহিত ভোর ওকেয়ানোসের (Okeanos) স্রোত থেকে মনুষ্য ও দেবতাদের কাছে আলো আনতে এগিয়ে আসছিল, তখন থেটিস (Thetis) দেবতার দেয়া বর্ম নিয়ে জাহাজে পৌঁছাল।” (১৯.১)

ভার্জিলের (Virgil) “অ্যানিয়েড” (Aeneid):[40]
“অরোরা (Aurora) তার স্যাফরন শয্যা ত্যাগ করে,
প্রভাতের আলো আকাশজুড়ে ছড়িয়ে দিল,
এমন সময় এক মিনার থেকে জাগ্রত চোখে রানী দেখলেন
গোলাপী আকাশে ভোরের আগমনী আভা।”

(Aurora now had left her saffron bed,
And beams of early light the heav’ns o’erspread,
When, from a tow’r, the queen, with wakeful eyes,
Saw day point upward from the rosy skies.)

অন্যান্য মাধ্যম (Other media)

  • ডোনোভান (Donovan)-এর ১৯৬৬ সালের গান “মেলো ইয়েলো” (Mellow Yellow)-তে লাইনটি বারবার শোনা যায়: “I’m just mad about Saffron”।[41]
  • পোকেমন (Pokémon) ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কান্টো (Kanto) অঞ্চলে স্যাফরন সিটি (Saffron City) নামে একটি শহর রয়েছে।
  • “দ্য গেটস” (The Gates) নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্কে (Central Park) ক্রিস্টো (Christo) ও জ্যান-ক্লড (Jeanne-Claude) নির্মিত সাইট-স্পেসিফিক আর্ট ইনস্টলেশন। এখানে ২৩ মাইল (৩৭ কিমি) পথে ৭,৫০৩টি ধাতব “গেট” স্থাপন করা হয়েছিল, প্রতিটির ওপর ঝোলানো ছিল গাঢ় স্যাফরন রঙের নাইলন কাপড়ের পতাকা। এই প্রদর্শনী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ পর্যন্ত চলেছিল।
  • স্যাফরন মনসুন (Saffron Monsoon) “অ্যাবসোলিউটলি ফ্যাবুলাস” (Absolutely Fabulous)-এর একটি চরিত্র।

প্রকৃতিতে (In nature)

উদ্ভিদ (Plants)

ইরান থেকে সংগৃহীত স্যাফরন সূতা – স্যাফরন ক্রোকাস (saffron crocus – Crocus sativus)-এর ফুলের গর্ভমুণ্ডের সূতা হাতে ছেঁড়া, স্তূপীকৃত ও শুকানো হয়।

  • বাইজান্টাইন মেডো স্যাফরন (Byzantine meadow saffron – Colchicum × byzantinum) একটি হাইব্রিড ফুলের উদ্ভিদ।
  • কেপ স্যাফরন (Cape saffron – Cassine peragua) স্যাফরন রঙের বাকলযুক্ত একটি ফুলের গাছ।
  • কোবরা স্যাফরন (Cobra saffron – Mesua ferrea) দক্ষিণ এশিয়ার একটি গাছ।
  • মেডো স্যাফরন (Meadow saffron – Colchicum autumnale) ইউরোপে পাওয়া যায়।
  • মেডিটেরেনিয়ান মেডো স্যাফরন (Mediterranean meadow saffron – Colchicum cupanii) ভূমধ্যসাগরীয় মধ্য অঞ্চলে পাওয়া এক ধরনের ফুলের উদ্ভিদ।
  • স্যাফরন বাকহুইট (Saffron buckwheat – Eriogonum crocatum) কোনিজো ভ্যালিতে (Conejo Valley) পাওয়া যায়।
  • স্যাফরন মসলা (Saffron spice) স্যাফরন ক্রোকাস (Crocus sativus) নামের উদ্ভিদের ফুল থেকে আসে।
  • স্যাফরন প্লাম (Saffron plum – Sideroxylon celastrinum) উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়।
  • স্যাফরন থিসল (Saffron thistle – Carthamus lanatus) ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্থানীয় একটি থিসল।
  • স্প্রিং মেডো স্যাফরন (Spring meadow saffron – Colchicum bulbocodium) ইউরোপের আলপাইন অঞ্চলে পাওয়া যায়।
  • স্টিভেন’স মেডো স্যাফরন (Steven’s meadow saffron – Colchicum stevenii) পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া এক প্রকারের উদ্ভিদ।

পাখি (Birds)

  • স্যাফরন-বিল্ড স্প্যারো (Saffron-billed sparrow – Arremon flavirostris) দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়।
  • স্যাফরন-ব্রেস্টেড প্রিনিয়া (Saffron-breasted prinia – Prinia hypoxantha) দক্ষিণ আফ্রিকা ও সোয়াজিল্যান্ডে পাওয়া ছোট পাসারিন পাখি।
  • স্যাফরন-ক্রেস্টেড টাইরান্ট-ম্যানাকিন (Saffron-crested tyrant-manakin – Neopelma chrysocephalum) গায়ানা, দক্ষিণ ভেনেজুয়েলা ও উত্তর-পশ্চিম আমাজনে পাওয়া যায়।
  • স্যাফরন-ক্রাউনড ট্যানাজার (Saffron-crowned tanager – Tangara xanthocephala) দক্ষিণ আমেরিকার পর্বত অরণ্যে পাওয়া পাখি।
  • স্যাফরন-হেডেড প্যারট (Saffron-headed parrot – Pyrilia pyrilia) দক্ষিণ আমেরিকার পর্বত অরণ্যে পাওয়া তোতাপাখি।
  • স্যাফরন ফিঞ্চ (Saffron finch – Sicalis flaveola) দক্ষিণ আমেরিকার ট্যানাজার প্রজাতির পাখি, আমাজন অববাহিকার বাইরের নিম্নভূমির উন্মুক্ত ও আধা-উন্মুক্ত অঞ্চলে সাধারণ।
  • স্যাফরন সিস্কিন (Saffron siskin – Spinus siemiradzkii) ইকুয়েডর ও পেরুতে পাওয়া ফিঞ্চ প্রজাতির পাখি।
  • স্যাফরন টুকানেট (Saffron toucanet – Pteroglossus bailloni) দক্ষিণ আমেরিকার আটলান্টিক বনাঞ্চলের টুকান।

জলজ প্রাণী (Aquatic animals)

  • স্যাফরন কড (Saffron cod – Eleginus gracilis) উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে বাণিজ্যিকভাবে আহরণ করা হয়।
  • স্যাফরন-ক্ল্যাম (Saffron-coloured clam – Tridacna crocea) ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া দ্বিপাত্র শামুক।
  • স্যাফরন শাইনার (Saffron shiner – Notropis rubricroceus) টেনেসি নদীর অববাহিকায় পাওয়া যায়।

উভচর (Amphibians)

  • স্যাফরন-বেলিড ফ্রগ (Saffron-bellied frog – Chaperina fusca) মালয় উপদ্বীপ, বোর্নিও ও ফিলিপাইনে পাওয়া এক প্রজাতির ব্যাঙ।

পোকামাকড় (Insects)

  • স্যাফরন-উইংড মেডোহক (Saffron-winged meadowhawk – Sympetrum costiferum) উত্তর আমেরিকায় পাওয়া ফড়িং।
  • স্যাফরন বিটল (Saffron beetle – Calosoma schayeri) অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া এক প্রজাতির পোকা।
  • স্যাফরন স্যাফায়ার (Saffron sapphire – Iolaus pallene) আফ্রিকায় পাওয়া এক প্রজাতির প্রজাপতি।
  • স্যাফরন স্কিপার (Saffron skipper – Poanes aaroni) উত্তর আমেরিকায় পাওয়া স্কিপার প্রজাপতি।

ছত্রাক (Fungi)

  • ফলস স্যাফরন মিল্কক্যাপ (False saffron milkcap – Lactarius deterrimus) ইউরোপ ও এশিয়ায় পাওয়া ছত্রাক।
  • স্যাফরন মিল্ক ক্যাপ (Saffron milk cap – Lactarius deliciosus) ইউরোপে পাওয়া এক প্রকার ভোজ্য ছত্রাক।
  • স্যাফরন রিংলেস আমানিতা (Saffron ringless amanita – Amanita crocea) ইউরোপে পাওয়া এক প্রকার আমানিতা ছত্রাক।

ভাইরাস (Viruses)

  • “স্যাফরন স্কার্জ” (The Saffron Scourge) হল হলুদ জ্বরের (yellow fever) আরেকটি নাম।[42]

তথ্যসূত্র

  1. Maerz, A., & Paul, M. (1930). A dictionary of colour. New York, NY: McGraw-Hill.
  2. Webster’s New World Dictionary of the American Language. (1962). Cleveland, OH: The World Publishing Company. (Retrieved from Oxford Living Dictionaries Online)
  3. Maerz, A., & Paul, M. (1930). A dictionary of colour. New York, NY: McGraw-Hill. (See p. 203; saffron sample p. 43 Plate 10 Colour Sample K8)
  4. History of Indian Flag. (n.d.). (Archived December 11, 2011). Retrieved December 17, 2011, from [URL not provided]
  5. Bureau of Indian Standards. (n.d.). Indian Standards [PDF]. (Archived September 11, 2008). Retrieved November 2, 2011, from [URL not provided]
  6. Why do Indian saints wear saffron colour? Science tells us! (2018, March 22). The Times of India. Retrieved August 24, 2022, from [URL not provided]
  7. Significance of Saffron color in Hinduism. (2018, June 9). Beauty of India. [URL not provided]
  8. Sen, R., Wagner, W., & Howarth, C. (2013). Secularism and religion in multi-faith societies: The case of India. Springer Science & Business Media. ISBN 978-3-319-01922-2
  9. Froerer, P. (2019). Religious division and social conflict: The emergence of Hindu nationalism in rural India. Taylor & Francis. ISBN 978-1-351-37812-3
  10. Colour Symbolism in Hinduism. (2021, July 18). [Webpage]. (Archived August 11, 2021). Retrieved July 18, 2021, from [URL not provided]
  11. Takhar, O. K. (2016). Sikh identity: An exploration of groups among Sikhs. Taylor & Francis. ISBN 978-1-351-90010-2
  12. Bhalla, K. S. (2002). Let’s know Sikhism: A religion of harmony, brotherhood and tolerance. Star Publications. ISBN 978-81-7650-055-5
  13. Learn How to Tie Different Sikh Turbans. (2008, May 21). [Webpage]. [URL not provided]
  14. Singh, P. (2019). A dictionary of Sikh studies. OUP Oxford. ISBN 978-0-19-250843-0
  15. Krishna, S. (2020, July 19). Salvation by Lord Shri Krishna. Notion Press. ISBN 978-1-64587-108-8
  16. Flag of India. (2009). Encyclopædia Britannica. Encyclopædia Britannica Online. Retrieved July 2, 2009, from [URL not provided]
  17. My India My Pride – Indian Tricolor – Know India: National Portal of India. (n.d.). (Archived August 13, 2017). [URL not provided]
  18. Flag Code of India [PDF]. (n.d.). Mha.gov.in. (Archived January 23, 2013). Retrieved February 27, 2016, from [URL not provided]
  19. Ministry of Home Affairs (India). (n.d.). Flag Code of India [PDF]. (Archived January 21, 2013). Retrieved November 2, 2011, from [URL not provided]
  20. Imaam Ahmad & Ibn Maajah (n.d.). Hadith No. 3591. [No further publication info available]
  21. Burmese Days. (n.d.). Timesonline.co.uk. Retrieved February 27, 2016, from [URL not provided] (subscription required)
  22. Lloyd Parry, R. (2007, September 24). Nuns join monks in Burma’s Saffron Revolution. The Times (London). (Archived May 11, 2008). Retrieved April 10, 2009, from [URL not provided]
  23. Bapu, P. (2013). Hindu Mahasabha in colonial North India, 1915–1930: Constructing nation and history. Routledge. ISBN 978-0415671651
  24. Marty, M. E., & Appleby, R. S. (1994). Fundamentalisms observed. University of Chicago Press. ISBN 978-0-226-50878-8
  25. Katju, M. (2003). Vishva Hindu Parishad and Indian politics. Orient Blackswan. ISBN 978-81-250-2476-7
  26. Basu, A. (2015). Violent conjunctures in democratic India. Cambridge University Press. ISBN 978-1-107-08963-1
  27. Varadarajan, S. (2002). Gujarat, the making of a tragedy. Penguin Books India. ISBN 978-0-14-302901-4
  28. Dossani, R., & Rowen, H. S. (2005). Prospects for peace in South Asia. Stanford University Press. ISBN 978-0-8047-5085-1
  29. Assadi, M. (1996). [No additional information provided. If source known, list as: Assadi, M. (1996). [Title of work]. [Publisher].]
  30. Assadi, M. (1998, March). Karnataka: Saffronisation with upper castes support. Economic and Political Weekly, 33(12), 626–628. JSTOR 4406542
  31. Ramakrishnan, V. (1997, November 1). A Pyrrhic victory? Frontline, 14(22). Retrieved November 8, 2014, from [URL not provided]
  32. Andersen, W. K., & Damle, S. D. (1987). The brotherhood in saffron: The Rashtriya Swayamsevak Sangh and Hindu revivalism. Delhi: Vistaar Publications.
  33. Basu, T., & Sarkar, T. (1993). Khaki shorts and saffron flags: A critique of the Hindu right. Orient Longman. ISBN 0863113834
  34. Hansen, T. B. (1999). The saffron wave: Democracy and Hindu nationalism in modern India. Princeton University Press. ISBN 9781400823055
  35. Elst, K. (2001). The saffron swastika: The notion of “Hindu fascism.” Voice of India. ISBN 978-81-85990-69-9
  36. Saffron – Translation to Irish Gaelic. (n.d.). New English–Irish Dictionary. Retrieved January 5, 2021, from [URL not provided]
  37. Shirt – Translation to Irish Gaelic. (n.d.). New English–Irish Dictionary. Retrieved January 5, 2021, from [URL not provided]
  38. An Leine Crioch — The Irish Leine in the 16th century – Reconstructing History. (n.d.). (Archived March 12, 2016). Retrieved January 5, 2021, from [URL not provided]
  39. The Iliad – Free Online Book. (n.d.). Publicliterature.org. (Archived March 16, 2010). Retrieved February 27, 2016, from [URL not provided]
  40. Virgil. (1995, March 1). The Aeneid [Free Ebook]. Project Gutenberg. Retrieved February 27, 2016, from [URL not provided]
  41. Donavan. (n.d.). Mellow Yellow. (Archived April 23, 2008). Retrieved May 20, 2008, from [URL not provided]
  42. Carrigan, J. A. (2015). The saffron scourge: A history of yellow fever in Louisiana, 1796-1905. University of Louisiana at Lafayette Press. ISBN 978-1-935754-48-0

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.