২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৭: নিরাপত্তা বাহিনী মাটিরাঙা, গুইমারা, মানিকছড়ি এবং লক্ষ্মীছড়ি এলাকায় নৃশংস হামলা চালায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে এতে ৫৪ জন পাহাড়ী ব্যক্তি নিহত হয়। প্রায় ৫,০০০ পাহাড়ী পরিবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে যায় (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ১৯৮০; জনসংহতি সমিতি ১৯৮০; সাপ্তাহিক দি স্টেটসম্যান, ১০ মে ১৯৮০)। এর ফলে ১,০০০ মারমা নিহত হয় এবং ৫,০০০ পরিবার ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় (অগ্রভংশ মহাথেরো, ১৯৮১)।
২২ ডিসেম্বর, ১৯৭৮: নিরাপত্তা বাহিনী দুমদুমিয়া মৌজার ৫০টি গ্রামের মধ্যে ২২টি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় (সাপ্তাহিক দি স্টেটসম্যান, ১০ মে ১৯৮০; জনসংহতি সমিতি, ১৯৮০)। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসকল গ্রাম কর্ডন করে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত গ্রামবাসীদের উপর মর্টার হামলা চালায় এবং ঘরবাড়ীগুলো জ্বালিয়ে দেয়। প্রায় ৩৫ জন অধিবাসী জীবন্ত দগ্ধ হয়। প্রায় ২৫,০০০ পাহাড়ী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখান থেকে তারা বিতাড়িত হয় (অগ্রভংশ মহাথেরো, ১৯৮১)। (সূত্র: Amnesty International 1986, Bangladesh: Unlawful Killings & Torture In The Chittagong Hill Tracts, London, pp 13-19.)
২৫ মার্চ ১৯৮০ (কলমপতি বা কাউখালি গণহত্যা): সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত বর্বরতার অভিযোগসমূহের মধ্যে এটি অত্যন্ত গুরুতর। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে, সেনাবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার ১৯৮০ সালের ২৫শে মার্চে কলমপতি ইউনিয়নের একটি বাজারে একটি বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত সভা আহবান করেন। এই সভায় পাহাড়ী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় পাহাড়ীরা উপস্থিত ছিল। সেনাসদস্যরা অকস্মাৎ তাদেরকে লাইনে দাঁড়াতে বলে এবং পাহাড়ীরা লাইনে দাঁড়ানো মাত্রই তাদের উপর ব্রাশ ফায়ার করা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনশ জন নিহত হয়। প্রায় ত্রিশজন মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর পরই উত্তেজিত বাঙালীরা কাউখালী, মৌখালী বাজার, তং পাড়া এবং হেডম্যানপাড়ায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। সেই সাথে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। পথিমধ্যে তারা পাহাড়ী যাকেই পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। এসময় নয়টি মন্দির ধ্বংস হয় এবং নয়জন বৌদ্ধ ভিক্ষু আহত হয়। (সূত্র: Amnesty International 1986, Bangladesh: Unlawful Killings & Torture In The Chittagong Hill Tracts, London, pp 13-19.)
২৬-২৮ জুন ১৯৮১: সরকারী বাহিনীর প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় বাঙালী ও পাহাড়ীদের মধ্যে সৃষ্ট দাঙ্গায় গরগরিয়ানল, গোমতি, মহালছড়ি, চংগ্রাকাবা, বেলছড়ি, অযোধ্যা, খেদারছড়ি, আলুটিলা, ধল্যা, তৈকাতং, ডালডলি, মাটিরাঙা এবং ওজাচু মৌজা ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। প্রায় তিনহাজার পাহাড়ী পরিবার একরাতেই গৃহহীন হয়ে পড়ে। এসকল এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতেই বাঙালীরা পাহাড়ীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। বাঙালীরা তিনদিন ধরে হামলা অব্যহত রাখে। শত শত পাহাড়ী বাড়ীঘর লুট হয় এবং ভস্মীভূত হয়। নারী, শিশু ও বৃদ্ধ সহ প্রায় ৫০০ পাহাড়ী নিহত হয়। তাদের মধ্যে অনেককে জীবন্ত পুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। (সুত্র: Amnesty International 1986, Bangladesh: Unlawful Killings & Torture In The Chittagong Hill Tracts, London, pp 13-19)
৩১ মে এবং ১ জুন ১৯৮৪ (বরকল এলাকা ও ভূষণছড়া গণহত্যা): ৩১ মে ১৯৮৪ তারিখে শান্তিবাহিনীর একটি দল কতিপয় পাহাড়ী সহযোগী সহ ভোর বেলায় রাঙামাটি শহরের ১৫ মাইল পূর্বে অবস্থিত বরকল উপজেলার গোরস্থান, ভূষণছড়া এবং ছোটহরিণা গ্রামের বাঙালী অধিবাসীদের উপর হামলা চালায়। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ১০০ জনেরও অধিক বাঙালী নিহত হয় এবং তাদের ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া হয় ও লুটপাট করা হয়। একই সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্পগুলোতেও হামলা চালানো হয় যাতে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভূষণছড়া গ্রাম। দেশের পত্রপত্রিকাগুলোতে এই সংক্রান্ত খবর বেশ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হয় এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদ ৫ জুন ১৯৮৪ তারিখে আক্রান্ত এলাকায় সফর করেন। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ উত্তেজিত বাঙালীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ৩১ মে এবং তার পরদিন ১ জুন তারিখে হেটবাড়িয়া, সুগুরীপাড়া, গোরস্থান, তারেংগ্যা ঘাট, ভূষণছড়া এবং ভূষণবাগ গ্রামে পাহাড়ী পরিবারগুলোর উপর হামলা চালায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগ রয়েছে, বাঙালীদের হামলার সময় সেনাবাহিনীর ৩০৫ ব্রিগেড, ২৬ ইষ্ট বেঙল রেজিমেন্টের কতিপয় সদস্য এবং বাংলাদেশ রাইফেল এর ১৭ ব্যাটালিয়নের কতিপয় সদস্যও অংশ নেয়। অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল এর সংগৃহীত তালিকা অনুযায়ী এই হামলার সময় ৬৭ জন পাহাড়ী ব্যক্তি নিহত হয় যাদের মধ্যে ২১ জন শিশুও ছিল। (সূত্র: Amnesty International 1986, Bangladesh: Unlawful Killings & Torture In The Chittagong Hill Tracts, London, pp 13-19.)
১ মে ১৯৮৬ এবং তার পরবর্তী কয়েকদিন (খাগড়াছড়ি-পানছড়ি এলাকা): পুনর্বাসিত বাঙালীদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করার প্রতিবাদে, তাদেরকে পার্বত্য অঞ্চল থেকে বহিস্কার না করার প্রতিবাদে এবং ৮ মে ৮৬ তে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচন বর্জন করার আহবান জানিয়ে জনসংহতি সমিতি ১৯৮৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী জরুরী ঘোষণা নামে একটি পুস্তিকা প্রচার করে। জনসংহতি সমিতির এই আহবান উপেক্ষা করে কিছু নেতা বিশেষতঃ বাঙালী নেতাগণ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উদ্যোগ নেয়। ঐসময় জনপদগুলিতে নির্বাচনী বা নির্বাচনের মেজাজ বিদ্যমান ছিল। ঐ বছরের ২৯ এপ্রিল তারিখে শান্তিবাহিনী খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি এবং মাটিরাঙা উপজেলার বিভিন্ন পুনর্বাসিত বাঙালী গ্রামসমূহে হামলা চালায়। এতে সরকারী হিসাব মতে, ৩৮ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয় (বাংলাদেশ অবজার্ভার, ২ মে ১৯৮৬)। অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রদত্ত তথ্য মতে, শান্তিবাহিনীর তিনটি বৃহৎ দল সীমান্তে অবস্থিত আসালং, ছোট আসালং এবং তাইনডং বিডিআর ক্যাম্পে হামলা চালায়। একই সময়ে পাহাড়ীরা তাদের পার্শ্ববর্তী বাঙালী গ্রামগুলোতে হামলা চালায়। পাল্টা হামলা হিসেবে ১ মে ৮৬ তারিখে এবং তার পরবর্তী দিনগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বাঙালীদের সমন্বয়ে পানছড়ি এবং খাগড়াছড়ি উপজেলায় অবস্থিত গোলকপ্রতিমাছড়া, কালানাল, ছোট কার্মাপাড়া, শান্তিপুর, মির্জিবিল, খেদারছড়া, মুখপাড়া, পুজগাং, লোগাং, হাতিমুখপাড়া, সর্বেশ্বরপাড়া, নাপিদাপাড়া এবং দেওয়ানবাজার গ্রামের পাহাড়ী বসতির উপর হামলা চালানো হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসকল হামলায় ৫০ জন পাহাড়ী ব্যক্তি নিহত হয় বলে উল্লেখ করে। (সূত্র: Amnesty International 1986, Bangladesh: Unlawful Killings & Torture In The Chittagong Hill Tracts, London, pp 13-19.)
৪ মে ১৯৮৯ (লংগদু গণহত্যা): লংগদু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ সরকার ৪ মে ৮৯ তারিখ সন্ধ্যায় মাইনীমুখ বাজার থেকে মোটর সাইকেলযোগে লংগদু উপজেলা পরিষদস্থিত তার বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে লংগদু উপজেলা পরিষদের অদূরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সার গুদামের সম্মুখে রাস্তার উপরে দুস্কৃতিকারী কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয় পাহাড়ী ও বাঙ্গালী জনসাধারণের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ আছে যে, শান্তিবাহিনী এ ধরনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে নস্যাৎ করার জন্য তাকে হত্যা করে। তার হত্যার কারণে স্থানীয় বাঙ্গালী জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং বিরাজমান চাপা উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পাহাড়ী ও বাঙ্গালীদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধে যা হত্যাকাণ্ড ও ঘরবাড়ীতে অগ্নিসংযোগে রূপ নেয়। চেয়ারম্যান আবদুর রশীদের নিহত হওয়ার সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে লংগদু উপজেলার বাঙালীরা উত্তেজিত হয়ে কতিপয় ভিডিপি সদস্যদের সহযোগীতায় ঘটনার দিন এবং তার পরদিন আগ্নেয়াস্ত্র, দা, বল্লম, কুঠার ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে করল্লাছড়ি, উল্টাছড়ি, শীলছড়ি, ইয়ারংছড়ি, বগাপাড়া, আর্দ্রকছড়া এবং হরকুমার কার্বারীপাড়ার পাহাড়ীদের ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয়, লুটপাট চালায় এবং লোকজনকে আক্রমণ করে। এতে প্রায় ২৩ জন নিহত হয় এবং বহুসংখ্যক আহত হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১০ মে ৮৯ তারিখে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ছিলেন সভাপতি জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ), রাঙামাটি পার্বত্য জেলা এবং সদস্যগণ ছিলেনঃ ক্যাপ্টেন মোঃ মাহমুদ হোসেন, ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন; জনাব এ এস এম মমতাজুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাঙামাটি ও জনাব উদয় শংকর চাকমা, তিন টিলা মৌজা, লংগদু। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা উক্ত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ছাড়া বাঙ্গালী ও পাহাড়ীদের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পুনর্বাসন ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ী পুর্ননির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়। পুনর্বাসন কমিটির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জনগনের জন্য নগদ ১০,৫২,০০০/= (দশ লক্ষ বায়ান্ন হাজার) টাকা, ১২০০ মণ চাল এবং ৭০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়। এসকল পদক্ষেপের ফলে পাহাড়ী ও বাঙালীদের মধ্যে ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে আসে। (সূত্র: Longadu Incident, Full Enquiry Report, 25 July, 1989.)
১০ এপ্রিল ১৯৯২ (লোগাং গণহত্যা): লোগাং বাজারের নিকটে অবস্থিত বাঙালী গুচ্ছগ্রামের একদল বালক পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে গরু চরানোর সময় শান্তিবাহিনীর সদস্যরা অকস্মাৎ তাদের উপর হামলা চালায় এবং কবির হোসেন নামে একজন বালককে ধারালো দা দ্বারা জবাই করে ও অপর দুঞ্চজনকে আহত করে বলে অভিযোগ আছে। এ ঘটনার পর পর উত্তেজিত বাঙালীরা লাশ নিয়ে নিকটবর্তী বিডিআর ক্যাম্পে যায় এবং তাদেরকেও উত্তেজিত করে। উত্তেজিত বাঙালীরা ভিডিপি ও বিডিআর সদস্যের সমর্থনে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ী গ্রামগুলোতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। বাঙালীদের আক্রমণে ১২ জন পাহাড়ী নিহত হয় এবং অপর ১৩ জন আহত হয়। বেসরকারী সূত্র নিহতের সংখ্যা ১৩৮ বলে দাবী করে। বাঙালীদের দেয়া আগুনে প্রায় ৫৫০টি পাহাড়ী ঘরবাড়ী ভস্মীভূত হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য তৎকালীন সরকার বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। (সূত্র: Logang Disturbances Enquiry Commission Report 1992; The Chittagong Hill Tracts Commission, 1984; Life Is Not Ours.)
১৭ নভেম্বর ১৯৯৩ (নানিয়ারচর গণহত্যা): নানিয়ারচর বাজারে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের একটি শান্তিপূর্ণ র্যালীতে সেনাবাহিনীর মদদে বাঙালী বসতিস্থাপনকারীরা হামলা চালালে ২৯ জন পাহাড়ী নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। পাহাড়ী জনগোষ্ঠির উপর অত্যাচারের অভিযোগ ও তার উত্তর ১৩৫ বলে অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের পাশাপাশি বাঙালীরাও পাল্টা কর্মসূচী গ্রহন করে। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা দেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ পাহাড়ীদের উপর হামলা চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী এসময় যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি বলে অভিযোগ থাকে। অধিকন্তু, বাঙালীরা পশ্চাদপসারণ করার পর হুইসেল দিয়ে সেনাবাহিনী সরাসরি পাহাড়ীদের উপর গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবী করা হয়। জনসংহতি সমিতির পক্ষ হতে দাবী করা হয় যে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আটজন নিহত হয়। আহতদের অনেকেই পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করে। সর্বমোট ২৯ জন নিহত হয় বলে দাবী করা হয়। সরকার ঘটনা তদন্ত করার জন্য বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেন। (সূত্র: The Chittagong Hill Tracts Commission, 1994; Life Is Not Ours.)
Leave a Reply