ডেক্লাইনিজম ও রোজি রেট্রোস্পেকশন বায়াস

ডেক্লাইনিজম

পরিচিতি

ডেক্লাইনিজম (Declinism) হলো এমন একটি বিশ্বাস যেখানে ভাবা হয় যে, একটি সমাজ বা প্রতিষ্ঠান অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে, এটি হল রোজি রেট্রোস্পেকশন (rosy retrospection) এর মতো জ্ঞানগত বা কগনিটিভ বায়াস (cognitive biases) দ্বারা সৃষ্ট এমন প্রবণতা, যেখানে অতীতকে বর্তমানের তুলনায় বেশি অনুকূল এবং ভবিষ্যতকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়। এডাম গোপনিকের (Adam Gopnick) মতে, “ডেক্লাইনিজমের মহান শীর্ষস্থান” (“The great summit of declinism”) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১৮ সালে, সেই বইটি থেকে যা ডেক্লাইন (decline) শব্দটিকে প্রকাশনার জগতে ভালো নাম দিয়েছিল : জার্মান ইতিহাসবিদ অসওয়াল্ড স্পেংলারের বেস্ট-সেলিং, হাজার পৃষ্ঠার কাজ দ্য ডিক্লাইন অফ দ্য ওয়েস্ট।”

ইতিহাস

এই বিশ্বাসের শেকড় খুঁজে পাওয়া যায় এডওয়ার্ড গিবনের কাজ দ্য হিস্ট্রি অফ দ্য ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অফ দ্য রোমান এম্পায়ার (The History of the Decline and Fall of the Roman Empire) এ, যা ১৭৭৬ থেকে ১৭৮৮ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়। এই কাজের মধ্যে তিনি যুক্তি দেন যে রোমান সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়েছিল তাদের নাগরিকদের মাঝে ক্রমাগত নৈতিকতার বা সিভিক ভারচু (civic virtue) এর ক্ষতির  কারণে, যারা অলস, বিলাসী হয়ে গিয়েছিল এবং রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য বিদেশি ভাড়াটে সৈন্য (foreign mercenaries) নিয়োগ করেছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ইউরোপের মহান শক্তিগুলিকে রোমান সাম্রাজ্যের মতো একই পরিণতি থেকে বাঁচাতে যুক্তির বিজয়কেই (triumph of reason) সুপারিশ করতে হবে।

ডেক্লাইনিজমকে (Declinism) জনপ্রিয় করা স্পেংলারের বই দ্য ডিক্লাইন অফ দ্য ওয়েস্ট (The Decline of the West) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মুক্তি পায় এবং সেই সময়ের হতাশাগ্রস্ত মানসিকতাকে (pessimistic spirit) ধারণ করে। স্পেংলার লিখেছিলেন যে ইতিহাসে বেশ কিছু “সভ্যতার” (civilizations) উত্থান এবং পতন ঘটেছে (এর মধ্যে রয়েছে মিশরীয়, ধ্রুপদী, চীনা এবং মেসোআমেরিকান সভ্যতা)। তিনি দাবি করেছিলেন যে, এটি চক্রাকারে চলে (cycles), সাধারণত ১,০০০ বছরের চক্রে। স্পেংলার বিশ্বাস করতেন যে পশ্চিমা সভ্যতা (Western civilization) এক অবনতির (decline) দিকে যাচ্ছে যা অনিবার্য।

পশ্চিমা সভ্যতা অবনতির (decline) পথে আছে এই ধারণাটি একটি সাধারণ ঐতিহাসিক ধারণা (historical constant), যা প্রায়ই একই থিমগুলির (themes) পুনরাবৃত্তি করে। ইতিহাসবিদ আর্থার এল. হারমান তাঁর বই দ্য আইডিয়া অফ ডিক্লাইন ইন ওয়েস্টার্ন হিস্ট্রি (The Idea of Decline in Western History) এর ভূমিকায় লিখেছেন: “…বুদ্ধিজীবীরা গত দেড় শতাব্দী ধরে পশ্চিমা সভ্যতার অবিলম্বে পতনের পূর্বাভাস দিয়ে আসছে…তবুও যখন আমি মার্ক টোয়েনের উক্তি অনুসারে পশ্চিমের পতনের খবরগুলি অত্যন্ত অতিরঞ্জিত হতে পারে বলে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করি, তখন আমি সাধারণত শক্তিশালী সংশয়ের মুখোমুখি হই।”

কারণ

ডেক্লাইনিজমকে (Declinism) বর্ণনা করা হয়েছে “মনের একটি কৌশল” (trick of the mind) এবং “একটি আবেগপূর্ণ কৌশল, যা বর্তমান সময়কে অসহনীয় মনে হলে স্বস্তি খুঁজে পাওয়ার একটি উপায়” (an emotional strategy) হিসেবে।

ডেক্লাইনিজমের একটি কারণ হল রিমিনিসেন্স বাম্প (reminiscence bump), যেখানে প্রবীণ ব্যক্তিরা সাধারণত “১০-৩০ বছর বয়সে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি সবচেয়ে ভালোভাবে মনে রাখেন।” একটি সূত্র অনুযায়ী, “যৌবনের উজ্জ্বলতা এবং প্রথমবারের মতো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লাভের উত্তেজনা একটি ‘স্মৃতি বাম্প’ (memory bump) তৈরি করে, যার তুলনায় পরবর্তী জীবনকে কিছুটা ম্লান মনে হয়।” গোপনিক বলেছেন যে “আমাদের অবনতির ধারণা আবেগগতভাবে চৌম্বকীয় (emotionally magnetic), কারণ জীবন একটি দীর্ঘ স্লাইডের মাধ্যমে নিচে নেমে আসে এবং ঠিক পেরিয়ে যাওয়া প্ল্যাটো (plateau) আগতটির তুলনায় ভালোভাবে মনে রাখা সহজ।” তিনি “পুরানো গানের” ব্যাপক ভালবাসার উদাহরণ দিয়ে লিখেছেন: “দীর্ঘ পথ পেড়িয়ে ফিরে তাকানোটা ঘরে ফেরার দীর্ঘ যাত্রার অংশ। আমরা সবাই গতকালের প্রতি বিশ্বাস করি।” (“The long look back is part of the long ride home. We all believe in yesterday.”)

আরেকটি কারণ হল পজিটিভিটি ইফেক্ট (positivity effect), যেখানে “মানুষ বয়স বাড়ার সাথে সাথে কম নেতিবাচক আবেগ (negative emotions) অনুভব করে, এবং তারা ইতিবাচক ঘটনাগুলি নেতিবাচক ঘটনাগুলির চেয়ে বেশি মনে রাখে।”

উভয় কারণেই মানুষ ডেক্লাইনিজম অনুভব করতে পারে, কিন্তু এর বিপরীতে, নেতিবাচক বায়াস (negativity bias) ও কাজ করতে পারে, যেখানে “আবেগগতভাবে নেতিবাচক ঘটনাগুলি (emotionally negative events) আপনার চিন্তা এবং আচরণের উপর ইতিবাচক ঘটনাগুলির তুলনায় বেশি প্রভাব ফেলে।”

কার্যকারিতা

অ্যালান ডব্লিউ. ডাওড স্যামুয়েল পি. হান্টিংটনকে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে ডেক্লাইনিজম “একটি কার্যকর ঐতিহাসিক কার্য সম্পাদন করে” (useful historical function) যা “সতর্কবার্তা দেয় এবং কর্মে উদ্দীপনা প্রদান করে (warning and goad to action) যাতে সামনে আগত পতনকে প্রতিরোধ করা যায় এবং পরিস্থিতি ওল্টানো যায়।” ডাওড (Dowd) নিজেই এতে সম্মত হয়ে বলেন, ডেক্লাইনিজম তার সেরা রূপে “আমেরিকান প্রবণতার আত্ম-সমালোচনা (self-criticism) এবং অব্যাহত উন্নতির (continual improvement) একটি প্রকাশ।”

বিপরীতে জোসেফ জফে (Josef Joffe) জোর দিয়ে বলেন যে “আপনার সম্ভাব্য পতন সম্পর্কে অবসেসিভলি বা আবেশগত হয়ে চিন্তা করার ফলে সেই পতনটাকেই সত্যিকার অর্থে নিয়ে আসার ভাল উপায় হতে পারে।” অনুরূপভাবে, রবার্ট কাগান (Robert Kagan) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, আমেরিকানরা “নিজেদের ক্ষমতার পতনের ভুল ভীতি থেকে আত্মহত্যার আশঙ্কায় (pre-emptive superpower suicide) পড়ে যাচ্ছে।”

১৮০০-এর শতকের শেষাংশ

১৮০০-এর দশকের শেষাংশকে (যা ফিন দে সিয়েক্লে নামে পরিচিত) “পশ্চিমা পতনের প্রথম স্পষ্ট চিত্র গ্রহণের সময়” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি একটি সামাজিক অবক্ষয়ের (social degeneracy) সময় হিসেবে ব্যাপকভাবে ধরা হয়েছিল, যেখানে মানুষ নতুন সূচনার আশায় ছিল। ফিন দে সিয়েক্লে-র (fin de siècle) “আত্মা” প্রায়ই ১৮৮০ এবং ১৮৯০-এর দশকের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে ennui (অবসাদ), সিনিসিজম (cynicism), পেসিমিজম (pessimism), এবং “একটি বিস্তৃত বিশ্বাস যে সভ্যতা (civilization) ডেকাডেন্স (decadence) বা অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়।” ব্রিটেনে এটি সরকারি অর্থনৈতিক নীতিতে “প্রথম গুরুতর ডেক্লাইনিজমের (declinism) প্রাদুর্ভাব” তৈরি করেছিল।

এই সময়ের প্রধান রাজনৈতিক থিম ছিল বস্তুবাদ (materialism), যুক্তিবাদ (rationalism), পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ (positivism), বুর্জোয়া সমাজ (bourgeois society), এবং উদার গণতন্ত্রের (liberal democracy) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। ফিন দে সিয়েক্লে (fin de siècle) প্রজন্ম আবেগবাদ (emotionalism), অযৌক্তিকতাবাদ (irrationalism), বিষয়ীবাদ বা সাবজেক্টিভিজম (subjectivism), এবং প্রাণশক্তিবাদ বা ভাইটালিজম (vitalism) সমর্থন করেছিল, যেখানে সময়ের মানসিকতা দেখেছিল যে সভ্যতা একটি সংকটে আছে যা একটি বৃহৎ এবং সম্পূর্ণ সমাধানের প্রয়োজন। ফিন দে সিয়েক্লে (fin de siècle) রাজনৈতিক সংস্কৃতির থিমগুলি অত্যন্ত বিতর্কিত ছিল এবং ফ্যাসিবাদের (fascism) উপর প্রধান প্রভাব হিসেবে এবং এর মাধ্যমে  জীবনীশক্তি বা লেবেনস্রম তত্ত্ব (theory of Lebensraum) সহ ভূ-রাজনীতির (geopolitics) বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটে।

আমেরিকান ডেক্লাইনিজম

বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পতন পূর্বাভাস দেওয়ার একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপন থেকে শুরু হয়েছিল। তথাকথিত “আমেরিকান ডেক্লাইনিজম” (American declinism) ১৯৫০-এর দশক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি বারবার ফিরে আসা বিষয়।

“আমেরিকা ‘ডেক্লাইনিজম’-এর দিকে,” দ্য ইকোনমিস্ট এমনটাই উল্লেখ করেছে। আমেরিকান ইতিহাসবিদ ভিক্টর ডেভিস হ্যানসন আমেরিকান ডেক্লাইনিজমের (American declinism) বিভিন্ন ধারাবাহিক স্তর চিহ্নিত করেছেন। মহামন্দা বা গ্রেট ডিপ্রেশনের (Great Depression) সময়, বেকার আমেরিকানরা গর্বিত গতিশীল “নতুন জার্মানিকে” (New Germany) ঈর্ষা করেছিল। ১৯৫০-এর দশকে, স্পুটনিক ১ (Sputnik 1) এর সাফল্য এবং কমিউনিজমের (communism) বিস্তৃতি আমেরিকানদের সোভিয়েত ইউনিয়নের পিছনে পড়ার ভয় তৈরি করেছিল। ১৯৭০-এর দশকে, আমেরিকানরা জাপানের অর্থনৈতিক উত্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল; দুই দশক পরে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ভবিষ্যতের ঢেউ মনে হয়েছিল। ২১ শতকে, আমেরিকার উদ্বেগ চীনের উত্থানকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়, তার বিশাল রপ্তানি এবং নতুন মেগাসিটিগুলোকে ভয় পেয়ে। তবে, হ্যানসন নির্দেশ করেছেন, সেই উদ্বেগগুলি একের পর এক ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছিল: “ফ্যাসিজম (fascism) চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে; কমিউনিজম (communism) ভেঙে পড়েছে; জাপান বয়স্ক এবং সংকুচিত হচ্ছে; ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফাটল ধরছে।”

২০১১ সালের একটি বইয়ে, থমাস এল. ফ্রিডম্যান এবং মাইকেল ম্যান্ডেলবাউম যুক্তি দিয়েছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “তার পঞ্চম ডেক্লাইনিজমের (fifth wave of Declinism) তরঙ্গের মধ্যে রয়েছে।” প্রথমটি এসেছিল “১৯৫৭ সালের স্পুটনিক শক (Sputnik Shock) সঙ্গে,” দ্বিতীয়টি ভিয়েতনাম যুদ্ধের (Vietnam War) সাথে, তৃতীয়টি প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের “মালাইস” (malaise) এবং জাপানের উত্থানের সাথে, চতুর্থটি চীনের উত্থানের সাথে।

আমেরিকান ডেক্লাইনিজম (American declinism) হঠাৎ করে সেই ভাষ্যকারদের আঘাত করতে পারে যারা পূর্বে দেশের সম্ভাবনার প্রতি স্নিগ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, রবার্ট কাগান উল্লেখ করেছেন যে ভাষ্যকার ফরিদ জাকারিয়া, যিনি ২০০৪ সালে “যুক্তরাষ্ট্রকে ‘রোমের পর এমন কিছুই দেখা যায়নি এমন একটি ব্যাপক একমুখী ক্ষমতা’ ভোগ করছে” বলে বর্ণনা করেছিলেন, তিনি ২০০৮ সালের মধ্যে “পোস্ট-আমেরিকান বিশ্ব” এবং “অন্যদের উত্থান” (rise of the rest) সম্পর্কে লিখতে শুরু করেছিলেন।

১৩ জুন ২০১৭-এ দ্য ন্যাশনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে, লেখক টম এঙ্গেলহার্ড দাবি করেছিলেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার “প্রথম ডেক্লাইনিস্ট প্রার্থী” (first declinist candidate for president)।

ইউরোপীয় ডেক্লাইনিজম

যুক্তরাজ্যে ডেক্লাইনিজমের (Declinism) তত্ত্ব লক্ষ করা গেছে। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায়, ৭০% ব্রিটিশরা এই বক্তব্যের সাথে একমত হয়েছিল যে “বর্তমানে পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ,” যদিও সেই সময় ব্রিটিশরা প্রকৃতপক্ষে “যেকোনো সময়ের তুলনায় ধনী, স্বাস্থ্যবান এবং দীর্ঘজীবী” ছিল। তবে, সমীক্ষায় এটিও উল্লেখ করা হয়েছিল যে বয়স্ক লোকেরা তাদের যৌবনের সময় যে জিনিসগুলি স্মরণ করত তা আর আধুনিক সমাজে বিদ্যমান ছিল না।

ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ রবার্ট টম্বস উল্লেখ করেছেন যে যুক্তরাজ্য ১৮৮০-এর দশক থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ‘ডেক্লাইনিজমের’ (Declinism) প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে, যখন জার্মান প্রতিযোগিতা প্রথম অনুভূত হয়েছিল, এবং তারপর আবার ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে, অর্থনৈতিক উদ্বেগ, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্রুত পতন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষমতা ও প্রভাব হ্রাসের ধারণার সাথে। তবে, টম্বস উপসংহারে বলেছেন যে “ডেক্লাইনিজম বাস্তবতার একটি বিকৃতি” এবং উল্লেখ করেছেন যে আধুনিক মানদণ্ড অনুসারে ব্রিটেন এখনও একটি মহান শক্তি হিসাবে বিবেচিত হয়, এমনকি সাম্রাজ্যের পতনের পরেও। ১৯৬০-এর দশকে, সামাজিক ভাষ্যকাররা দ্য বিটলসকে (The Beatles) সামাজিক অবক্ষয়ের প্রকাশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।

আলেকজান্ডার স্টিলের মতে, ফ্রান্সে ১৮ শতকের প্রথম দিক থেকেই এর পতন বা মৃত্যু ঘোষণা করে বই প্রকাশের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। ডেক্লাইনিজমকে (Declinism) একটি “বর্ধিষ্ণু শিল্প” বা বুমিং ইন্ডাস্ট্রি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যেখানে মিশেল অনফ্রে (Michel Onfray) এর মতো জনপ্রিয় লেখকরা ফ্রান্স এবং পশ্চিমের ব্যর্থতাগুলি অন্বেষণ করে বই এবং প্রবন্ধ লিখছেন। ফরাসি ডেক্লাইনিজম (French declinism) ১৯ শতকের প্রারম্ভিক সময়ের কাউন্টার-এনলাইটেনমেন্টের (counter-Enlightenment) সাথে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিন দশকের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সমাপ্তির সাথে সম্পর্কিত। আধুনিক সময়ে, এই ঘটনাটি গতি অর্জন করেছে এবং রাজনৈতিক বর্ণালীর (political spectrum) মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে “ডেক্লাইনিজম” এর বেশ কয়েকটি বৈচিত্র্য আবির্ভূত হয়েছে, ক্যাথলিক প্রতিক্রিয়াশীলদের (Catholic reactionaries) থেকে শুরু করে অ-ধর্মীয় চিন্তাবিদরা জাতীয় পরিচয় এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছে।

এরিক জেমুরের (Éric Zemmour) ২০১৪ সালের প্রবন্ধ দ্য ফ্রেঞ্চ সুইসাইড (The French Suicide) (যা ফ্রান্সে ৫,০০,০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল) ফরাসি জাতি-রাষ্ট্রের (French nation-state) পতনের কথিত বিবরণ দেয় এবং এটি ডেক্লাইনিস্ট সাহিত্য (declinist literature) এর সাথে সম্পর্কিত হয়েছে।

ডেক্লাইনিস্ট সাহিত্য

ডেক্লাইনিস্ট সাহিত্যে রয়েছে :

  • অসওয়াল্ড স্পেংলার (১৯১৮)। দ্য ডিক্লাইন অফ দ্য ওয়েস্ট (The Decline of the West)। অক্সফোর্ড ইউপি। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫০৬৭৫১-৪।
  • পল কেনেডি (১৯৮৭)। দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ দ্য গ্রেট পাওয়ারস (The Rise and Fall of the Great Powers)। পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম। আইএসবিএন ০-৩৯৪-৫৪৬৭৪-১।
  • ফরিদ জাকারিয়া (২০০৮)। দ্য পোস্ট আমেরিকান ওয়ার্ল্ড (The Post American World)। ডব্লিউ. ডব্লিউ. নর্টন অ্যান্ড কোম্পানি। আইএসবিএন ৯৭৮০৩৯৩০৬২৩৫৯।
  • থিলো সারাজিন (২০১০)। ডয়েচল্যান্ড schafft sich ab। আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৭৮৪৪-৩৫৯২-৩।
  • থমাস এল. ফ্রিডম্যান; মাইকেল ম্যান্ডেলবাউম (২০১১)। দ্যাট ইউজড টু বি আস: হাউ আমেরিকা ফেল বিহাইন্ড ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ইট ইনভেন্টেড অ্যান্ড হাউ উই ক্যান কাম ব্যাক (That Used to Be Us: How America Fell Behind in the World It Invented and How We Can Come Back)। ম্যাকমিলান। আইএসবিএন ৯৭৮১৪২৯৯৯৫১১৫।
  • এডওয়ার্ড লুস (২০১২)। টাইম টু স্টার্ট থিঙ্কিং: আমেরিকা ইন দ্য এজ অফ ডিসেন্ট (Time to Start Thinking: America in the Age of Descent)। গ্রোভ প্রেস। আইএসবিএন ৯৭৮০৮০২১৯৪৬১৯।
  • এরিক জেমুর (২০১৪)। দ্য ফ্রেঞ্চ সুইসাইড (The French Suicide)। হ্যাশেট। আইএসবিএন ৯৭৮-২-২২৬-২৫৪৭৫-৭।

রোজি রেট্রোস্পেকশন

পরিচিতি

রোজি রেট্রোস্পেকশন (Rosy retrospection) হল একটি প্রস্তাবিত মানসিক ঘটনা যেখানে অতীতকে প্রকৃত অভিজ্ঞতার চেয়ে বেশি ইতিবাচকভাবে স্মরণ করা হয়। মানব স্মৃতি যে অত্যন্ত অস্থির প্রকৃতির তা মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং গ্রহণযোগ্য। কিছু গবেষণা সুপারিশ করে যে নেতিবাচক আবেগগুলি যেমন স্মৃতিতে অতিরঞ্জিত হয়, তেমনি ইতিবাচক আবেগও অতিরঞ্জিত হয়। যদিও এটি একটি জ্ঞানগত বা কগনিটিভ বায়াস (cognitive bias) যা বাস্তবতার দৃশ্যকে বিকৃত করে, তবুও এটি সুপারিশ করা হয়েছে যে রোজি রেট্রোস্পেকশন আত্মসম্মান (self-esteem) এবং ভাল থাকার অনুভূতি (sense of well-being) বৃদ্ধিতে একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। স্মৃতির সরলীকরণ এবং অতিরঞ্জন (যেমনটি রোজি রেট্রোস্পেকশনে ঘটে) সম্ভবত মস্তিষ্কের জন্য দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি বা লং টার্ম মেমোরিকে সংরক্ষণ সহজ করে তোলে, কারণ ডিটেইলগুলো অপসারণ করলে সম্ভবত কম স্নায়বিক সংযোগের প্রয়োজন হয়।

ডেক্লাইনিজম (Declinism) – অতীতকে বেশি অনুকূল এবং ভবিষ্যতকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখার প্রবণতা, অর্থাৎ রোজি রেট্রোস্পেকশনের মতো জ্ঞানগত বা কগনিটিভ বায়াসের (cognitive biases) সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। রোজি রেট্রোস্পেকশন খুব ঘনিষ্ঠভাবে নস্টালজিয়ার (nostalgia) ধারণার সাথে সম্পর্কিত; যদিও নস্টালজিয়া একটি বিস্তৃত ফেনোমেনা, এবং একে সাধারণত বায়াসড পারস্পেক্টিভ থেকে দেখা হয় না। ইংরেজি প্রবাদ “rose-colored glasses” বা “rose-tinted glasses” এর অর্থ হল কোন কিছুকে বাস্তবের তুলনায় কিছু বেশি ইতিবাচকভাবে উপলব্ধি করা। রোমানরা মাঝে মাঝে এই ঘটনাকে ল্যাটিন বাক্যাংশ “memoria praeteritorum bonorum” দিয়ে উল্লেখ করত, যা ইংরেজিতে আনুমানিক “memory of good past” বা আরও বেশি বাগধারার দিকে গেলে “good old days” হিসাবে অনুবাদ করা যায়।

গবেষণা

একগুচ্ছ গবেষণায়, তিনটি ভিন্ন ভ্রমণে যাওয়া তিনটি দলকে তাদের ছুটির আগে, ছুটির সময় এবং ছুটির পরে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরা ছুটি নিয়ে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক প্রত্যাশা ধারণ করে, আর পরে সামান্য হতাশা প্রদর্শন করে। সাধারণভাবে, বেশিরভাগ লোক ঘটনার সময়কালের চেয়ে কিছু সময় পরে ঘটনাগুলিকে আরও ইতিবাচকভাবে পর্যালোচনা করেছিল। (Mitchell et. al, 1993)

২০০৩ সালের একটি জোড়া গবেষণায় ৬৮ এবং ১১৭ জন স্নাতক শিক্ষার্থীদের ট্র্যাক করা হয়েছিল, যা রোজি রেট্রোস্পেকশন উচ্চ আত্মসম্মানের (high self-esteem) কারণে ঘটে বলে সুপারিশ করে। অংশগ্রহণকারীরা সাত রাতের জন্য প্রতিদিনের ঘটনাগুলি এবং সংশ্লিষ্ট আবেগগুলি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেছিল। পরে তাদের সেই ঘটনাগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা তাদের আবেগগুলি স্মরণ করেছিল। যাদের আত্মসম্মান বেশি ছিল তারা তাদের ইতিবাচক আবেগগুলিকে বেশি ভাল করে স্মরণ করেছিল। তারা তাদের নেতিবাচক আবেগগুলিকেও অত ভালোভাবে স্মরণ করেনি। তবে, একেকজনের ক্ষেত্রে সেই আবেগগুলো স্মরণের কোয়ালিটি একেকরকম ছিল ও এটি নিয়মিতভাবে ঘটেনি। (Conner, 2003)

১৯৯৫ সালের একটি গবেষণায় ৩০ জন কর্মরত প্রাপ্তবয়স্কদের ২টি কর্ম সপ্তাহ ধরে ট্র্যাক করা হয়েছিল, তাদের কাজ করার সময়ে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর তাদের মেজাজ রিপোর্ট করার পাশাপাশি দিনের শেষে এবং সপ্তাহের শেষে এগুলো নিয়ে বলতে বা প্রতিফলন করতে দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি রোজি বায়াস (rosy bias) নির্দেশ করে যা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। ইতিবাচক আবেগের জন্য, এটি দেখা গেছে যে দিনের শেষে প্রতিফলনগুলি ঐ দিনের ২ ঘণ্টার রেটিংগুলির গড়ের চেয়ে শক্তিশালী ছিল; একইভাবে সপ্তাহের শেষে প্রতিফলনগুলি দিনের শেষগুলির গড়ের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। কিন্তু নেতিবাচক আবেগের জন্য, দিনে দিনে এবং সপ্তাহে সপ্তাহে গড় রেটিংগুলির মধ্যে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য ছিল না। (Parkinson, 1995)

ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় আবেগের অতিরঞ্জন

কিছু গবেষণায় নেতিবাচক আবেগের অতিরঞ্জনের (exaggeration) প্রমাণ পাওয়া গেছে – যা ‘ব্লু’ রেট্রোস্পেকটিভ (blue retrospective) নামেও পরিচিত – পাশাপাশি ইতিবাচক আবেগগুলিও অতিরঞ্জিত হয়।

২০১৬ সালের একটি গবেষণায় ১৭৯ জন প্রাপ্তবয়স্কদের ১০ দিনের অন্তর অন্তর নিয়মিত তাদের আবেগগত অবস্থা ট্র্যাক করা হয়েছিল, এরপর একদিন পরে সেগুলোর প্রতিফলন নেয়া হয় বা স্মরণ করতে বলা হয়, এবং আবার ১-২ মাস পরে প্রতিফলন নেয়া হয়। এটি দেখা গেছে, ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় আবেগের ক্ষেত্রেই, শক্তিশালী শীর্ষ আবেগ (peak emotions) (দিনের সবচেয়ে শক্তিশালী রেটিং) প্রতিফলনের সময় অতিরঞ্জিত স্মৃতির সম্ভাবনা বেশি ছিল। তবে পূর্বে উল্লিখিত গবেষণার মতো সময়ের সাথে এর প্রভাব বৃদ্ধি পায়নি। এটি গড় রেটিং এবং অতিরঞ্জিত স্মৃতির সাথে নেতিবাচক সম্পর্কও খুঁজে পায়; যারা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী আবেগ অনুভব করেছিল তারা অধিকতর সঠিকভাবে স্মরণ করেছিল। এছাড়াও, এটি দেখা গেছে যে বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব (extraverted personalities) এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ‘রোজি’ বায়াস (rosy bias) এর সম্ভাবনা বেশি ছিল, যেখানে নিউরোটিক ব্যক্তিত্ব (neurotic personalities) এর ক্ষেত্রে নেতিবাচক ‘ব্লু’ বায়াস (blue bias) এর সম্ভাবনা বেশি ছিল। (Lay, 2016)

২০২১ সালের একটি গবেষণায় ১২০ জন সুইস শিশুদের একটি গ্রুপের উপর কাজ করা হয়েছিল, যাদের বয়স প্রায় ১২ বছর ছিল, পরে একই গ্রুপের বয়স ১৫ বছর হওয়ার পরে পুনরায় গবেষণা করা হয়। এক সপ্তাহের জন্য, শিশুরা তাদের স্কুলের দিনের এলোমেলো পয়েন্টে ছোট আবেগগত প্রশ্নাবলীর উত্তর দিয়েছিল। পরে, তাদের সপ্তাহের আবেগগুলি প্রতিফলনে স্মরণ করতে বলা হয়েছিল। উল্লেখ্য যে তাদের শুধুমাত্র পূর্ববর্তী সপ্তাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: ১৫ বছর বয়সীদেরকে তাদের বয়স যখন ১২ বছর ছিল তখন তাদের আবেগ কেমন ছিল তা স্মরণ করতে বলা হয়নি। গবেষণায় ১২ বছর বয়সীদের জন্য একটি ‘রোজি’ ইতিবাচক বায়াসের (positive bias) প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু এটি ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়, যারা পরিবর্তে একটি ‘ব্লু’ নেতিবাচক বায়াস (negative bias) দেখিয়েছিল। (Zurbriggen, 2021)

২০০৩ সালের একটি গবেষণায় ৪১ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে তাদের ছুটির সময়ের আশেপাশে জরিপ করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা ছুটিতে যাওয়ার আগে ছুটিতে তাদের আবেগ কেমন থাকবে তা রিপোর্ট করে, ছুটির সময় তাদের আবেগ কেমন রিপোর্ট করে, এবং ছুটির পর ছুটির সময় তাদের আবেগ কেমন ছিল তা নিয়ে রিপোর্ট করে। এই গবেষণায় আসলেই একটি রোজি প্রভাব (rosy effect) পাওয়া যায়, কারণ অংশগ্রহণকারীরা তাদের ছুটির সময় যেরকম ইতিবাচক আবেগ বা পজিটিভ ইমোশন আসলেই যা কাজ করছিল ছুটির পর সেটাকে আরও জোরালোভাবে স্মরণ করে ও ছুটির আগে সেগুলোর উপর আরও জোরালোভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে, মানে ছুটির সময় আসলে যেটুকু খুশি ছিল, ছুটির পর স্মরণ করেছে ছুটির সময় তার চেয়ে বেশি খুশি ছিল, আর ছুটির আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে তার চেয়ে বেশি খুশি থাকবে। এই গেল ইতিবাচক আবেগের কথা। কিন্তু নেতিবাচক আবেগের বেলায়? গবেষণায় দেখা গেল ইতিবাচক আবেগের মত নেতিবাচক আবেগের ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ হচ্ছে। তারা তাদের ছুটির সময়ের নেতিবাচক আবেগকে ছুটির পর বেশি জোরালোভাবে স্মরণ করে ও ছুটির আগে বেশি জোরালোভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে। (গবেষণায় আরও দেখা যায়, পুনরায় ছুটি পাবার ইচ্ছার ক্ষেত্রে ছুটি নিয়ে আবেগীয় স্মৃতি একটি প্রেডিক্টর হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ ছুটি নিয়ে স্মৃতি কেমন তার উপর পুনরায় ছুটি পাবার ইচ্ছা নির্ভর করে। কিন্তু ভবিষ্যতে ছুটিতে ইমোশনের পূর্বাভাস বা ছুটির সময় কেমন ইমোশন কাজ করছে তার উপর নির্ভর করেনা।) (Wirtz, 2003)

সীমাবদ্ধতা

উপরে উল্লিখিত গবেষণাগুলি অংশগ্রহণকারীদের সাবজেক্টিভ রেটিং (subjective ratings) উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ডিমান্ড ক্যারেক্টারিস্টিক্সের (demand characteristics) শিকার হতে পারে। সামাজিক গবেষণায়, বিশেষত মনোবিজ্ঞানে, ডিমান্ড ক্যারেক্টারিস্টিকস (demand characteristic) শব্দটির দ্বারা একটি পরীক্ষামূলক কৃত্রিম অবস্থা বোঝায় যেখানে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা গঠন করে এবং অচেতনে তাদের আচরণ পরিবর্তন করে যাতে তা সেই ব্যাখ্যার সাথে মিলে যায়। এক্ষেত্রেও তাই ঘটতে পারে। অংশগ্রহণকারীরা গবেষণার লক্ষ্য এবং প্রত্যাশিত ফলাফলগুলি অনুমান করতে পারে এবং তাদের উত্তরগুলি অজান্তেই পরিবর্তন করতে পারে এই ভেবে যে তারা আসলে যেভাবে নিজেদের আবেগকে স্মরণ করছে তার থেকে ভিন্নভাবে, অর্থাৎ ‘ভুলভাবে’ সেগুলোকে স্মরণ করা উচিৎ।

এই গবেষণাগুলি স্যাম্পল বায়াসের (sample biases) প্রতিও সংবেদনশীল হতে পারে। গবেষকগণ ছোট নমুনাগুলির উপর নির্ভর করে গবেষণাগুলো পরিচালনা করেছে যা সাধারণ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব নাও করতে পারে। অনেক স্যাম্পল বিভিন্ন মাত্রায় একরকম, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা প্রায়ই অপেক্ষাকৃত কমবয়সী, স্টুডেন্ট, এবং পশ্চিমা। গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও অনুরূপ স্যাম্পল বায়াস (sample bias) এর বশবর্তী হতে পারেন। যারা গবেষণায় সাবজেক্ট হয়েছে তারা তুলনামূলকভাবে অধিকতর ফ্রি টাইম, ভাল শিক্ষা, ভাল সম্পদ, ইনকাম ইত্যাদির লোক ছিল। তবে এই গবেষণাগুলোতে স্যাম্পল বায়াস দূর করতে বিভিন্ন প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে, যেমন এইজ, সেক্স, এথনিসিটিতে ব্যালেন্স করা হয়েছে।

এই গবেষণাগুলি সাধারণত একটি ঘটনাটি ঘটার কয়েক দিন বা সপ্তাহ পরে বিষয়গুলিকে তাদের আবেগগুলি স্মরণ করতে বলেছে। সুতরাং মাস, বছর এবং দশকের সময়কালের ক্ষেত্রে রোজি রেট্রোস্পেকশন (rosy retrospection) এর ব্যাপারে এই গবেষণা পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের ভাষাগত রীতিও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি অংশগ্রহণকারী পুরোপুরিভাবে তাদের স্মৃতি স্মরণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সামাজিক রীতির কারণে তারা উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করতে পারে।

তথ্যসূত্র

ডেক্লাইনিজম

  • Barrett, G. (Ed.). (n.d.). The Oxford Dictionary of American Political Slang. p. 90.
  • Donadio, R. (2017, February 3). France’s obsession with decline is a booming industry. The New York Times. Retrieved April 20, 2018.
  • Dowd, A. (2007, August 1). Declinism. Hoover. Retrieved December 21, 2016.
  • Engelhardt, T. (2017, June 13). Donald Trump might set a record—for the biggest decline of American power in history. The Nation. Retrieved June 14, 2017.
  • Etchells, P. (2015, January 16). Declinism: is the world actually getting worse? The Guardian. Retrieved December 20, 2016.
  • Funnell, A. (2014, November 4). American Declinism: has collective fear finally become reality? ABC Radio National. Retrieved June 29, 2015.
  • Gopnik, A. (2011, September 12). Decline, fall, rinse, repeat. The New Yorker. Retrieved December 20, 2016.
  • Hanson, V. (2011, November 14). Beware the boom in American “declinism”. CBS News. Retrieved December 20, 2016.
  • Herman, A. (2010). The Idea of Decline in Western History. Free Press. ISBN 978-1-4516-0313-2. Retrieved August 1, 2022.
  • Joffe, J. (2011, December 9). Declinism’s fifth wave. The American Interest. Retrieved December 20, 2016.
  • Kagan, R. (2012, January 10). Not fade away. New Republic. Retrieved December 20, 2016.
  • Kern, S. (1983). Culture of Time and Space, 1880–1918. Massachusetts & London: Harvard University Press.
  • Kwong, L. (2020, August 1). The White Album as Neo-Victorian Fiction of Loss. Interdisciplinary Literary Studies, 22(1–2), 52–77. doi:10.5325/intelitestud.22.1-2.0052. ISSN 1524-8429. S2CID 226601738.
  • Lewis, J. (2016, January 16). Why we yearn for the good old days. The Telegraph. Retrieved December 20, 2016.
  • Lilla, M. (n.d.). France: A Strange Defeat. ISSN 0028-7504. Retrieved December 5, 2021.
  • McCormick, T. (2012, October 8). Declinism is America and Mitt can too. Foreign Policy. Retrieved June 29, 2015.
  • Meštrović, S. G. (1992 [1991]). The Coming Fin de Siecle: An Application of Durkheim’s Sociology to modernity and postmodernism. Oxford; New York: Routledge.
  • Miller, L. (2015, June 14). Culture is dead — again. Salon. Retrieved April 17, 2018.
  • Payne, S. G. (1995, 2005). A History of Fascism, 1914–1945. Oxford: Routledge.
  • Pireddu, N. (2006). Primitive marks of modernity: cultural reconfigurations in the Franco-Italian fin de siècle. Romanic Review, 97(3–4), 371–400.
  • Pocock, J. G. A. (1976). Between Machiavelli and Hume: Gibbon as civic humanist and philosophical historian. Daedalus, 105(3), 153–169; and in Further reading: Pocock, EEG, 303–304; FDF, 304–306.
  • Quartz, S. R. (n.d.). The state of the world isn’t nearly as bad as you think. Edge Foundation, Inc. Retrieved February 17, 2016.
  • Schaffer, T. (2007). Literature and Culture at the Fin de Siècle. New York: Longman.
  • Sternhell, Z. (1998). Crisis of fin-de-siècle thought. In International Fascism: Theories, Causes and the New Consensus (p. 169). London and New York.
  • Stille, A. (2014, December 11). The French obsession with national suicide. The New Yorker. Archived from the original on December 18, 2014. Retrieved December 5, 2021.
  • Tombs, R. (2017, July 8). The myth of Britain’s decline. The Spectator. Retrieved April 17, 2018.
  • “Declinism resurgent”. (2012, May 12). The Economist. Retrieved March 28, 2019.

রোজি রেট্রোস্পেকশন

  • “A Theory of Temporal Adjustments of the Evaluation of Events” (PDF). MIT. Archived from the original (PDF) on 2023-12-15. Retrieved 2017-04-22.
  • “Rosy Retrospection: A Psychological Phenomenon”. Southeastern University. 2016-02-23. Archived from the original on 2020-02-21. Retrieved 2017-04-22.
  • Conner, T. (2003, February). Remembering everyday experience through the prism of self-esteem. Personality and Social Psychology Bulletin, 29(1), 51-62. doi:10.1177/0146167202238371. PMID 15272959. S2CID 7813916 – via The Pennsylvania State University.
  • Etchells, P. (2015, January 16). Declinism: Is the world actually getting worse? The Guardian. Retrieved December 20, 2016.
  • Lay, J. (2016, November). Neuroticism and extraversion magnify discrepancies between retrospective and concurrent affect reports. Journal of Personality, 85(6) – via Research Gate.
  • Mitchell, T. R., Thompson, L., Peterson, E., & Cronk, R. (1997). Temporal adjustments in the evaluation of events: The “rosy view”. Journal of Experimental Social Psychology, 33(4), 421-448. doi:10.1006/jesp.1997.1333. PMID 9247371.
  • Parkinson, B. (1995). Time frames for mood: Relations between momentary and generalized ratings of affect. Personality and Social Psychology Bulletin, 21(3), 331-339. doi:10.1177/0146167295214003. S2CID 144210410 – via Research Gate.
  • Quartz, S. R. (n.d.). The state of the world isn’t nearly as bad as you think. Edge Foundation, Inc. Retrieved February 17, 2016.
  • “The Meaning of Nostalgia”. Psychology Today. Retrieved 2017-04-22.
  • Wirtz, D. (2003, September). What to do on spring break? The role of predicted, on-line, and remembered experience in future choice (PDF). Psychological Science, 14(5), 520-524. doi:10.1111/1467-9280.03455. PMID 12930487. S2CID 38682592. Archived from the original (PDF) on 2023-12-15 – via CORE.
  • Zurbriggen, C. (2021). Rosy or blue? Change in recall bias of students’ affective experiences during early adolescence (PDF). American Psychological Association – Emotion, 21(8), 1637-1649. Archived from the original (PDF) on 2023-12-15 – via APA PsycNet.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.