নার্ড (Nerd)

ভূমিকা

নার্ড (Nerd) হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান, আবেগপ্রবণ, অন্তর্মুখী (introverted) বা সামাজিক দক্ষতার অভাবে ভোগেন। এই ধরনের ব্যক্তি সাধারণত অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন অপরিচিত, অল্প পরিচিত বা মূলধারার বাইরের কর্মকাণ্ডে, যা সাধারণত খুবই প্রযুক্তিগত (technical), বিমূর্ত (abstract) বা নীচ টপিক (niche topics) যেমন সায়েন্স ফিকশন (science fiction) বা ফ্যান্টাসি (fantasy) সম্পর্কিত। এই সব কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার ফলে তারা মূলধারার কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকেন।

এছাড়াও, অনেক তথাকথিত নার্ডদের লাজুক (shy), অদ্ভুত (quirky), পাণ্ডিত্যপূর্ণ (pedantic) এবং অআকর্ষণীয় (unattractive) হিসাবে বর্ণনা করা হয়।

মূলত অবমাননাকর (derogatory) অর্থে ব্যবহৃত হওয়া সত্ত্বেও, “নার্ড” শব্দটি একটি রূপকল্প ছিল। তবে অন্যান্য অপমানজনক শব্দের মতো এটি কিছু মানুষের মধ্যে গর্ব এবং দলগত পরিচয়ের (group identity) প্রতীক হিসেবে পুনরুদ্ধার (reclaimed) এবং পুনঃসংজ্ঞায়িত (redefined) করা হয়েছে।

শব্দের ব্যুৎপত্তি

নার্ড (Nerd) শব্দটির প্রথম প্রামাণিক উপস্থিতি ড. সিউসের বই If I Ran the Zoo (১৯৫০) এ দেখা যায়, যেখানে বর্ণনাকারী জেরাল্ড ম্যাকগ্রিউ তার কল্পনার চিড়িয়াখানার জন্য “একটি নার্কল (Nerkle), একটি নার্ড (Nerd), এবং একটি সিয়ার্সকার (Seersucker)” সংগ্রহ করার কথা বলে। শব্দটির স্ল্যাং অর্থ ১৯৫১ সালে ব্যবহৃত হয়। সেই বছর, নিউজউইক ম্যাগাজিন জানায় যে এটি ডেট্রয়েট, মিশিগানে ড্রিপ বা স্কয়ার (drip or square) এর সমার্থক হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছিল। ১৯৬০ এর দশকের প্রথম দিকে, শব্দটির ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এবং এমনকি স্কটল্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময়ের মধ্যে, শব্দটি বইপ্রেমী (bookishness) এবং সামাজিক অদক্ষতার (social ineptitude) অর্থ অর্জন করে।

বিকল্প বানান nurd বা gnurd ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি বা ১৯৭০ এর দশকের শুরুর দিকে দেখা দিতে শুরু করে। লেখক ফিলিপ কে. ডিক দাবি করেন যে তিনি ১৯৭৩ সালে “নার্ড” বানানটি উদ্ভাবন করেছিলেন, তবে এর প্রথম প্রামাণিক ব্যবহার দেখা যায় ১৯৬৫ সালে রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (RPI) এর শিক্ষার্থীদের একটি প্রকাশনায়। সেখানকার মৌখিক ঐতিহ্য অনুসারে, শব্দটি knurd থেকে উদ্ভূত (যা “মাতাল” শব্দটির উল্টো বানান), যা তাদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যারা পার্টি করার পরিবর্তে পড়াশোনা করতেন। ১৯৬৫ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) এ gnurd শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৯৭১ সাল নাগাদ MIT এ “নার্ড” শব্দটির ব্যবহারও দেখা যায়।

অনলাইন এটিমোলজি ডিকশনারি অনুযায়ী, শব্দটি ১৯৪০-এর দশকের “নার্ট” (nert) (যার অর্থ “মূর্খ বা পাগল ব্যক্তি”), যা নিজেই “নাট” (nut) (পাগল ব্যক্তি) শব্দটির পরিবর্তিত রূপ।

১৯৭০-এর দশকে সিটকম Happy Days এ ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

সংস্কৃতি

স্টেরিওটাইপ

নার্ড (Nerd) স্টেরিওটাইপের (stereotype) কারণে অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে প্রায়ই নার্ড হিসেবে মনে করা হয়। এই বিশ্বাস ক্ষতিকারক হতে পারে, কারণ এটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নার্ড হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ভয় “তাদের আলো নিভিয়ে” দিতে পারে, অথবা আকর্ষণীয় ব্যক্তিদেরকে কেবলমাত্র তাদের বুদ্ধিমত্তার জন্য নার্ড হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। একসময় মনে করা হতো বুদ্ধিজীবীরা নার্ডি কারণ তারা ঈর্ষা করা হয়। তবে, পল গ্রাহাম তার প্রবন্ধ “Why Nerds are Unpopular” এ উল্লেখ করেছেন যে, বুদ্ধিমত্তা নিরপেক্ষ, অর্থাৎ আপনি এর জন্য ভালোবাসা বা ঘৃণা পান না। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শুধুমাত্র সম্পর্কের কারণে বুদ্ধিমান কিশোর-কিশোরীদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নার্ডি মনে হয়, এবং একজন নার্ড সেই ব্যক্তি যে সামাজিকভাবে দক্ষ নয়। এছাড়াও, তিনি বলেন যে অনেক বুদ্ধিমান শিশুদের অজনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো তারা জনপ্রিয়তার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সময় পায় না।

নার্ডের প্রচলিত চেহারাকে প্রায়ই ব্যঙ্গচিত্রে উপহাস করা হয়। এই চেহারার মধ্যে রয়েছে খুব বড় চশমা, ডেন্টাল ব্রেসেস (dental braces), বেরিয়ে থাকা দাঁত, তীব্র ব্রণ এবং কোমরের উপরিভাগে পরিহিত প্যান্ট। জনপ্রিয় ইমোটিকন (emoticons) ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে, ইউনিকোড (Unicode) ২০১৫ সালে তার “Nerd Face” চরিত্রটি মুক্তি দেয়, যেখানে কিছু স্টেরিওটাইপ অন্তর্ভুক্ত ছিল: 🤓 (কোড পয়েন্ট U+1F913)। মিডিয়ায়, অনেক নার্ড পুরুষ, শারীরিকভাবে অযোগ্য, অতিরিক্ত ওজন বা শারীরিক ব্যায়ামের অভাবে পাতলা হিসেবে চিত্রিত হয়। কতিপয় পণ্ডিত, যেমন ভাষাবিদ মেরি বুকল্টজ মনে করেন যে নার্ড হওয়া মানে “হাইপারহোয়াইট” (hyperwhite) বা অতি-শেতাঙ্গ হওয়ার একটি অবস্থা, যেখানে নার্ডরা আফ্রিকান-আমেরিকান সংস্কৃতি এবং ভাষার (slang) ব্যবহার এড়িয়ে চলে, যা সাধারণত “কুল” (cool) সাদা শিশুরা ব্যবহার করে। তবে, Revenge of the Nerds সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি (multicultural nerds) এবং টেলিভিশন সিরিজ Family Matters এর স্টিভ উরকেল চরিত্রের পর, নার্ডদেরকে সব বর্ণ এবং রঙের হতে দেখা গেছে এবং সম্প্রতি উত্তর আমেরিকায় তরুণ পূর্ব এশীয় বা ভারতীয় পুরুষ স্টেরিওটাইপ হিসেবে নার্ড চরিত্রায়ন আরও দেখা যায়। “নার্ড গার্লস” (nerd girls) এর চিত্রায়ন, যেমন She’s Out of Control, Welcome to the Dollhouse, এবং She’s All That সিনেমাগুলোতে দেখা যায় যে বুদ্ধিমান কিন্তু নার্ডি নারীরা যদি তাদের শারীরিক আকর্ষণীয়তা উন্নত করার দিকে মনোযোগ না দেন তবে তারা পরবর্তী জীবনে ভুগতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে, ২০১০ সালে Journal of International and Intercultural Communication এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এশিয়ান আমেরিকানদের নার্ড হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়, তারপরে সাদা আমেরিকানদের, যখন অ-সাদা হিস্পানিক এবং আফ্রিকান আমেরিকানদের নার্ড হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম বলে মনে করা হয়। এই স্টেরিওটাইপগুলো ওরিয়েন্টালিজম (Orientalism) এবং প্রিমিটিভিজম (Primitivism) ধারণা থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা রন এগলাশের প্রবন্ধ “Race, Sex, and Nerds: From Black Geeks to Asian American Hipsters” এ আলোচনা করা হয়েছে।

“নার্ড” স্টেরিওটাইপের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রচলিত আচরণ আসপারগার সিনড্রোম (Asperger syndrome) বা অন্যান্য অটিজম স্পেকট্রাম (autism spectrum) অবস্থার বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত।

গর্ব

সিলিকন ভ্যালির উত্থান এবং বৃহত্তর আমেরিকান কম্পিউটার শিল্প অনেক তথাকথিত “নার্ডি লোকদের” জন্য বিপুল সম্পদ সংগ্রহ এবং মিডিয়া সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ তৈরি করেছে। অনেক নার্ডি স্টেরিওটাইপিক্যাল (stereotypical) আগ্রহ, যেমন সুপারহিরো, ফ্যান্টাসি এবং সায়েন্স ফিকশন কাজগুলো এখন আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় সংস্কৃতি বা পপুলার কালচারে হিট। নার্ডনেসের কিছু বিষয়কে এখন কথিতভাবে আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হয়, কারণ এটি অনেকের কাছে এমন একজনকে নির্দেশ করে যিনি বুদ্ধিমান, সম্মানজনক, আকর্ষণীয় এবং ভাল বেতন উপার্জন করতে সক্ষম। নার্ড-এর প্রচলিত গুণাবলী ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে। আগে নার্ডদের মধ্যে যে অস্বস্তি এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা দেখা যেত, এখন তা অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে নার্ডদের বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরও ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই ভিন্নতাকে উদযাপন করা হচ্ছে। অর্থাৎ, নার্ডরা এখন আগের মতো সামাজিকভাবে বর্জিত নয়, বরং তাদের বিশেষ আগ্রহ এবং দক্ষতাগুলোকে সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নার্ড ডকুমেন্টারি Traceroute এর পরিচালক এবং স্ব-ঘোষিত নার্ড গবেষক, ইয়োহানেস গ্রেন্জফুর্থনার, নার্ডদের এবং নার্ড সংস্কৃতির উদ্ভব নিয়ে বলেছেন : “আমার মনে হয় যে নার্ডের চিত্রটি শৃঙ্খল সমাজ (disciplinary society) থেকে নিয়ন্ত্রণ সমাজে (control society) রূপান্তরকে বিশ্লেষণ করার জন্য একটি সুন্দর টেমপ্লেট প্রদান করে। নার্ড, তার ক্লিশে (cliche) রূপে, প্রথম বিশ্ব মঞ্চে পা রেখেছিল ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন আমরা তথ্য সমাজের ক্যাম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণের প্রথম গুঞ্জন শুনতে শুরু করি। নার্ডকে পশ্চিমা সমাজের ভবিষ্যত-উদ্বেগের জন্য কমিক রিলিফ (comic relief) হিসাবে কাজ করতে হবে। …বর্ধিষ্ণু নার্ডিজমের অঙ্কুর কোষ হল পার্থক্য (difference)। নিজেকে বোঝাবার আকাঙ্ক্ষা, অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ খুঁজে পাওয়া, নিজের অদ্ভুত আগ্রহের সাথে একা না থাকা। একই সময়ে একজন প্রায় বিকৃত আনন্দের উৎস পায় এই ঘাটতিতে ডুবে থাকার মাধ্যমে। নার্ডরা ঘাটতি ভালোবাসে: অন্যের, কিন্তু তাদের নিজেদেরও। নার্ডরা আগ্রহী অনুসন্ধানকারী, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে নিজেদের মাপতে উপভোগ করে এবং আক্রমনাত্মকভাবে প্রতিযোগিতা করে। এবং তবুও নার্ডের অস্তিত্বের মধ্যে একটি গুপ্ত, রহস্যময় উপাদান রয়েছে। এই শক্তিটি কীভাবে প্রকাশিত বা কেন্দ্রীভূত হয় সেই ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” — ইয়োহানেস গ্রেন্জফুর্থনার, থমাস ক্যাস্টলের দ্বারা সাক্ষাৎকার, Boing Boing, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

১৯৮৪ সালের চলচ্চিত্র Revenge of the Nerds এ, রবার্ট ক্যারাডিন নার্ড স্টেরিওটাইপটিকে মূর্ত করার জন্য কাজ করেছিলেন; এর মাধ্যমে, তিনি নার্ডদের একটি নির্ধারিত চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়াও, এটি হয়তো ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে উদ্ভূত “নার্ড প্রাইড” কে অনুপ্রাণিত করেছিল। আমেরিকান স্প্লেন্ডর (American Splendor)-এ নিয়মিত আসা টোবি রাডলফ দাবি করেন যে এটি ছিল সেই চলচ্চিত্র যা তাকে “ক্লিভল্যান্ড, ওহায়ো থেকে সত্যিকারের নার্ড” হতে অনুপ্রাণিত করেছিল। আমেরিকান স্প্লেন্ডর (American Splendor) ছবিতে, টোবির বন্ধু এবং আমেরিকান স্প্লেন্ডর লেখক হার্ভি পিকার ছবিটি পছন্দ করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ছবিটি বাস্তবতার চেয়ে বেশি আদর্শবাদী ছিল। তার মতে, টোবি একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিম্ন আয়ের ফাইল ক্লার্ক, যার জীবন ছবিতে দেখানো মধ্যবিত্ত বাচ্চাদের জীবনের সাথে মেলে না। ছবির মধ্যবিত্ত বাচ্চারা শেষ পর্যন্ত কলেজ ডিগ্রি অর্জন করবে, সফল হবে এবং আর নার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে না। অন্যদিকে, টোবির জীবনের বাস্তবতা আলাদা এবং ছবির সাথে তার জীবনের কোনো মিল নেই। তবে, অনেকে রাডলফের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেন, কারণ “নার্ড প্রাইড” পরবর্তী বছরগুলোতে আরও বিস্তৃত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এমআইটি (MIT) এর অধ্যাপক জেরাল্ড সাসম্যান, নার্ডদের মধ্যে গর্ব স্থাপন করতে চান: “আমার ধারণা হলো শিশুদের মধ্যে এই বিশ্বাস তৈরি করা উচিৎ যে বুদ্ধিমান হওয়া একটি ভালো গুণ। তাদের যেন সহপাঠীদের চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে হয় যারা বুদ্ধিবৃত্তিকতা (intellectualism) বিরোধী। আমি চাই প্রতিটি শিশু নার্ডে পরিণত হোক – যেখানে নার্ড হওয়ার অর্থ হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামাজিক আধিপত্যের জন্য প্রতিযোগিতা করার চেয়ে পড়াশোনা এবং শেখাকে অগ্রাধিকার দেন। যদিও এটি কখনও কখনও সামাজিক প্রত্যাখ্যানের (social rejection) কারণ হতে পারে, তবুও বুদ্ধিমত্তা এবং জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব বোঝানো উচিত।” — জেরাল্ড সাসম্যান, কেটি হাফনার দ্বারা উদ্ধৃত, The New York Times, ২৯ আগস্ট ১৯৯৩

বুলিং (Bullying)

যারা “নার্ড” (nerds) হিসেবে চিহ্নিত হন তারা প্রায়ই বুলিং (bullying) এর শিকার হয়। এর কারণ হতে পারে তাদের শারীরিক চেহারা বা সামাজিক পটভূমি। পল গ্রাহাম প্রস্তাব করেছেন যে নার্ডদের প্রায়ই বুলিং এর লক্ষ্য করা হয় কারণ তারা জনপ্রিয়তা বা সামাজিক প্রেক্ষাপটের প্রতি উদাসীন থাকেন, যেখানে যুব সংস্কৃতি জনপ্রিয়তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তবে গবেষণার ফলাফলগুলো ইঙ্গিত দেয় যে বুলিরা (bullies) প্রায়ই তাদের একাডেমিকভাবে ভালো পারফর্ম করা শিকারদের মতোই সামাজিকভাবে অদক্ষ হয়, এবং জনপ্রিয়তা বুলিং থেকে সুরক্ষা দেয় না। অন্যান্য ভাষ্যকাররা উল্লেখ করেছেন যে বুদ্ধিভিত্তিক তরুণদের ব্যাপক হয়রানি শুধুমাত্র বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

  • “White & Nerdy” গানটি “Weird Al” Yankovic এর দ্বারা গাওয়া এবং Chamillionaire এর “Ridin'” গানের প্যারোডি হিসেবে পরিচিত। এই গানটি নার্ড সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে প্রধানত উপস্থাপন এবং উদযাপন করে।
  • Slashdot এর ট্যাগলাইন হলো “News for nerds. Stuff that matters.” (নার্ডদের জন্য খবর। যা গুরুত্বপূর্ণ)। চার্লস জে. সাইকস এর উদ্ধৃতি “Be nice to nerds. You may end up working for them.” (নার্ডদের সাথে ভালো ব্যবহার করো। তোমাকে হয়তো একদিন তাদের জন্য কাজ করতে হবে।) ইন্টারনেটে জনপ্রিয় হয়েছে এবং ভুলভাবে বিল গেটসের সাথে যুক্ত হয়েছে।
  • স্পেনে, নার্ড প্রাইড ডে (Nerd Pride Day) ২০০৬ সাল থেকে ২৫ মে পালন করা হয়, একই দিন টাওয়েল ডে (Towel Day), আরেকটি কিছুটা নার্ডি ছুটি পালন করা হয়। এই তারিখটি স্টার ওয়ার্স (Star Wars) মুক্তির বার্ষিকী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
  • অস্ট্রেলিয়ার ইভেন্ট যেমন ওজ কমিক-কন (Oz Comic-Con), যা একটি বড় কমিক বই এবং কসপ্লে কনভেনশন (cosplay convention), সান দিয়েগো কমিক-কন ইন্টারন্যাশনালের (San Diego Comic-Con International) মতো এবং সুপারনোভা (Supernova) নার্ড সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১৬ সালে, পার্থে ওজ কমিক-কন প্রায় ২০,০০০ কসপ্লেয়ার এবং কমিক বইয়ের ভক্তদের একত্রিত করেছিল, ফলে এটি “geeks এর জন্য পেশাগতভাবে সংগঠিত Woodstock” হিসেবে পরিচিত হয়েছিল।
  • Vlogbrothers (জন এবং হ্যাঙ্ক গ্রিনের একটি ইউটিউব চ্যানেল) এর ভক্তরা নিজেদেরকে “নার্ডফাইটারস” (nerdfighters) এবং পুরো ভক্তগোষ্ঠীকে “নার্ডফাইটেরিয়া” (Nerdfighteria) বলে ডাকে।

তথ্যসূত্র

  • Anderegg, M. (2008, January 12). In Praise of Nerds. The Economist.
  • American Heritage Dictionary of the English Language, Third Edition, p. 1212, Houghton Mifflin Co., Boston – New York – London, 1992.
  • Charles J. Sykes quote “Be nice to nerds. You may end up working for them.” has been popularized on the Internet and incorrectly attributed to Bill Gates.
  • Cringely, R. Triumph of the Nerds: A History of the Computer. Public Broadcasting Service. Retrieved June 26, 2012.
  • Cross, T. L. (2005). Nerds and Geeks: Society’s Evolving Stereotypes of Our Students With Gifts and Talents. Social/Emotional Needs, 28(4).
  • DA Kinney (1993). From nerds to normals: The recovery of identity among adolescents from middle school to high school. Sociology of Education, 66(1), 21–40. doi:10.2307/2112783. JSTOR 2112783.
  • Definition of NERD. (2011). Merriam-Webster. Retrieved November 23, 2011.
  • Evans, R. J. A Short Illustrated History of the Nerd. Retrieved July 6, 2017.
  • Fantle, D., & Johnson, T. (2003, November). “Nerd” is the Word: Henry Winkler, August 1981. Reel to Real: 25 Years of Celebrity Interviews, Badger Books Inc., 239–242.
  • Gateward, F. K., & Pomerance, M. (2002). Sugar, spice, and everything nice: cinemas of girlhood. Wayne State University Press. ISBN 978-0-8143-2918-4. Retrieved July 23, 2009.
  • Geisel, T. S. (1950). If I Ran the Zoo, p. 47, Random House Books for Young Readers, New York.
  • Glasgow, Scotland, Sunday Mail (1957, February 10).
  • Graham, P. Why Nerds are Unpopular.
  • Gregory J. Marsh in Special Collections at the Swarthmore College library as reported in Humanist Discussion Group Archived 2008-01-31 at the Wayback Machine (1990-6-28) Vol. 4, No. 0235.
  • Harper, D. “nerd”. Online Etymology Dictionary.
  • Hafner, K. (1993, August 29). Woman, Computer Nerd – and Proud. The New York Times. Retrieved June 11, 2011.
  • Helmenstine, A. M. (2012, May 25). Happy Geek Pride Day! About.com. Archived from the original on April 21, 2014. Retrieved April 20, 2014.
  • Hensley, D. (2003, September 2). Revenge of the nerd: American Splendor’s Toby Radloff is out and proud about his sexuality and his nerddom. The Advocate. Archived from the original on November 17, 2007. Retrieved July 22, 2007.
  • High-Functioning Autism vs. Asperger Syndrome.
  • Johnson honors Nurd for saving Institute. (1971, February 3). The Daily Reamer, Volume 69, No. 20, Massachusetts Institute of Technology, p. 6. Archived from the original (PDF) on October 22, 2020. Retrieved May 14, 2014.
  • Kaestle, T. (2016, April 14). The story of Traceroute, about a Leitnerd’s quest: Johannes Grenzfurthner talks about Traceroute. Boing Boing. Retrieved January 1, 2017.
  • Kendall, L. “OH NO! I’M A NERD!”: Hegemonic Masculinity on an Online Forum. Gender Society, 14, 256. (2000)
  • Mannvi, S. (2014, April 1). Becoming More Popular Doesn’t Protect Teens From Bullying. NPR Health Shots – Health News From NPR. Retrieved July 6, 2017.
  • Mikkelson, B., & Mikkelson, D. P. (2000). Some Rules Kids Won’t Learn in School. Retrieved July 22, 2007.
  • More Mathematical People (D.J. Albers, J.L. Alexanderson and C. Reid), p. 105 (1990). Harcourt, Brace, Jovanovich.
  • Newsweek ‘Jelly Tot, Square Bear-Man!’ (1951-10-8), p. 28.
  • Nicholson, C. (2010, July 10). Bully or Victim? More Similar Than We Might Think. Scientific American (Supplemental Podcast). Retrieved July 6, 2017.
  • Nugent, B. (2007, July 29). Who’s a Nerd, Anyway? The New York Times Magazine. Retrieved July 28, 2007.
  • Personal Correspondence (1973-9-4) reported on the web.
  • Price, M. (2010, May 25). Happy Geek/Nerd Pride Day! NewsOK.com. Retrieved April 20, 2014.
  • RPI Bachelor (1965), V14 #1.
  • Ron Eglash. Race, Sex, and Nerds. Social Text, 20, 49 (2002).
  • Singer, J. (2005, August 28). Carradine hits the jackpot as Lewis Skolnick. Lumino. Archived from the original on January 1, 2016.
  • Slashdot uses the tagline “News for nerds. Stuff that matters.”
  • Thanks Always Returns. The origin of nerds. Archived from the original on September 7, 2017. Retrieved July 6, 2017.
  • The many spellings of Nurd, Fall 1970 (revised online 2015).
  • The term gnurd (spelled with the “g”) was in use at the Massachusetts Institute of Technology (MIT) by the year 1965.
  • The term “nurd” was also in use at the Massachusetts Institute of Technology as early as 1971.
  • The Cambridge Companion to Hip-Hop (2015). Williams, J. A., Cambridge University Press. p. 227. ISBN 9781107037465.
  • Tassara-Twigg, N. (2010, May 24). Celebrate Geek Pride Day 2010. Archived from the original on April 21, 2014. Retrieved April 20, 2014.
  • Tracy L. Cross (2005). Nerds and Geeks: Society’s Evolving Stereotypes of Our Students With Gifts and Talents. Social/Emotional Needs, 28(4).
  • White & Nerdy by “Weird Al” Yankovic, a parody of the song Ridin’ by Chamillionaire, prominently features and celebrates aspects of nerd culture.
  • Williams, J. A. (2015). The Cambridge Companion to Hip-Hop. Cambridge University Press. p. 227. ISBN 9781107037465.
  • Woyke, E. (2008, September 19). Celebrity Nerds Come Out. Forbes. Retrieved June 26, 2012.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.