গত সোমবার পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে এক হাজার ইসরায়েলি সৈন্য হামলা চালায়। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর এটিই ছিল এই আকারের প্রথম আক্রমণ। আর এটা ছিল ইজরায়েলের নতুন সরকারের আসার পর তার সম্প্রসারণবাদী বসতি স্থাপননীতির কারণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি দ্বন্দ্বের অংশ। আর এখন যা ঘটল তা ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ সংঘাত, আর এটা সম্ভবত তৃতীয় ইন্তিফাদার দিকে ধাবিত হওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তাই এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে, সোমবার কী ঘটেছিল, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্কের অবনতি, এবং পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে।
সোমবার কী ঘটেছিল?
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রায় ১,০০০ ইসরায়েলি সৈন্য জড়িত ছিল, সেই সাথে তাদের সাথে ছিল ড্রোন, এবং কমপক্ষে আগামী কয়েক দিন এই সংঘর্ষ অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সোমবারের অভিযানটি পরিচালনা করা হয়, যার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি জঙ্গির গোষ্ঠীর একটি জয়েন্ট অপারেশন কমান্ড সেন্টার। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র বলেছেন যে এই অভিযানটি একটি ফোকাসড ব্রিগেড আকারের অভিযান ছিল এবং তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইসরায়েলের এই অঞ্চল ধরে রাখার ইচ্ছা ছিল না। আরেকজন বলেন, এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ‘শিবিরটির সেইফ হ্যাভেন মাইন্ডসেটটা ভেঙে ফেলা’। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক, সোমবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে আট জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৫০ জন আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের পূর্বে একটি স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। এটি আর গাজা উপত্যকা মিলেই বলতে গেলে বর্তমান ফিলিস্তিনি অঞ্চল। জেনিন এই অঞ্চলের উত্তরের প্রধান শহর যার জনসংখ্যা প্রায় ৫০,০০০। এখন ইসরায়েলি গোয়েন্দারা মনে করে যে, শহরটির শিবির বা ক্যাম্পটি জঙ্গিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তবে অঞ্চলটিতে প্রায় ১৪,০০০ লোক থাকে ও এটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ, যার কারণে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
২০০২ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় জেনিনের যুদ্ধে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ও ২৩ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার পর এটি এই ধরনের প্রথম হামলা। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এই সাম্প্রতিক আক্রমণটি সম্পূর্ণ সারপ্রাইজ হিসাবে আসেনি, মানে এরকমটা হবে তা প্রেডিক্ট করা যাচ্ছিল। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনের ওপর হেলিকপ্টার হামলা চালিয়ে পাঁচজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে এবং আরও ৯১ জনকে আহত করে। প্রকৃতপক্ষে, সোমবারের অভিযানটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে থাকা উত্তেজনার একটি বড় প্যাটার্নের অংশ। গত ডিসেম্বরে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন এবং বিশেষ করে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্কের অবনতি
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর ইসরায়েল প্রথম পশ্চিম তীর দখল করে নেয়, যেখানে ইসরায়েল মূলত মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক এবং সৌদি আরব সহ আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোটকে পরাজিত করে। সেই সময়, এগুলি মূলত এই অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে তৈরি সামরিক বসতি ছিল। কিন্তু তারপরে এগুলি বেসামরিক বসতিতে পরিণত হয়েছিল, যদিও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং এমনকি ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত বেসামরিক বসতিগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেই সাথে এটি চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনেরও লঙ্ঘন, যেখানে বলা হয়েছে যে, দখলদার শক্তি কোন অঞ্চল দখল করার নিজ অঞ্চলের পর নিজ অঞ্চলের বেসামরিক জনসংখ্যার কোন অংশকেই সেই অঞ্চলে নির্বাসিত বা স্থানান্তর করতে পারবে না। কিন্তু এরপরও ইতিমধ্যে বিদ্যমান বসতিগুলিকে প্রসারিত করা হয়েছে এবং সেখান থেকে নতুন বসতি তৈরি করা হয়েছে, আর বসতিগুলোর উন্নয়নের হার ইসরায়েলি প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম তীরে প্রায় পাঁচ লক্ষ ইসরায়েলি এই বসতিগুলোতে বাস করে, আর পূর্ব জেরুজালেমে আরও ২.২ লক্ষ ইসরায়েলি বাস করে, যেখানে পূর্ব জেরুজালেমকে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করে। কিন্তু অঞ্চলটি কার্যত ইসরায়েল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
দুর্ভাগ্যবশত, গত বছরের শেষের দিকে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য কোনও দল নেতানিয়াহুর সাথে সরকার গঠন করতে চায়নি বলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য তাকে উগ্র ডানপন্থী ইসরায়েলি জাতীয়তাবাদীদের সাথে একটি জোট গঠন করতে হয়েছিল, যারা অভিয়াসলি ইজরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের অনেক সমর্থন করে। এই জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে থেকে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার দুজন সর্বাধিক সুপরিচিত রাজনীতিবিদ হলেন তার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী, যারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও সিনিয়র ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং পশ্চিম তীরের বেসামরিক বিষয়গুলির জন্য এককভাবে দায়বদ্ধ। আর এই দু’জন বেশ কিছু এক্সট্রাঅর্ডিনারি কথা বলেছেন এবং কিছু সমান এক্সট্রাঅর্ডিনারি নীতি বাস্তবায়ন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, গত মাসে, বলা হয়েছিল, “এই অঞ্চলে একটি ফুল সেটেলমেন্ট বা পূর্ণাঙ্গ বসতি হওয়া দরকার। আর কেবল এখানেই নয়, আমাদের চারপাশের সমস্ত পাহাড়ের চূড়ায় এটা হওয়া দরকার। আমাদের ইসরায়েলের ভূমিতে বসতি স্থাপন করতে হবে এবং একই সাথে সামরিক অভিযান শুরু করতে হবে, ভবনগুলি উড়িয়ে দিতে হবে, সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে হবে, কেবল এক বা দুই নয়, কয়েক ডজন, শত শত বা এমনকি যদি প্রয়োজন হয় হাজার হাজার।” তারা আরও বলেছে যে, “সরকারের মূল মিশনগুলির মধ্যে একটি হ’ল পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করা এবং কিছু ফিলিস্তিনি গ্রামকে বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা।”
তবে প্রকৃত নীতির দিক থেকে সরকার ২০২২ সালে যেখানে ৪,৪২৭ টি ইউনিটের স্যাটেলমেন্ট করিয়েছিল, সেখানে এই বছর ১৩,০০০ সেটেলমেন্ট ইউনিটের পরিকল্পনা করেছে। শুধু নতুন ভবনই নয়, এই উইকএন্ডের একটি সংবাদপত্রের তদন্তে দেখা গেছে যে মন্ত্রণালয় মূলত অবৈধভাবে নির্মিত বসতিগুলি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা বন্ধ করে দিয়েছে। উপরন্তু, সরকার নয়টি বসতির আইনও অনুমোদন করেছে যা পূর্বে ইসরায়েলি আইনের অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছিল এবং আরেকটি নতুন বসতিতে একটি ধর্মীয় স্কুল নির্মাণেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যাইহোক, অনেকেই জেনে থাকবেন যে, বর্তমান ইসরায়েলি সরকার দেশে বিচার বিভাগীয় সংস্কার আনার চেষ্টা করে, যা নিয়ে আন্দোলনও হয়। সরকারের সেই নতুন সংস্কার আনার অন্যতম কারণ এই ছিল যে, সরকার জানত যে সুপ্রিম কোর্ট সম্ভবত নতুন কোন সম্প্রসারণবাদী বসতি স্থাপনকারী নীতির বিরুদ্ধে রায় দেবে। তাই তারা কোর্ট সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে চায়, যাতে তারা সহজেই সুপ্রিম কোর্টকে পাশ কাটিয়ে তাদের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে পারে।
জেনিনে কার্যক্রমের সমাপ্তি ও জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া
বুধবার, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি জঙ্গি অবকাঠামো এবং অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করার লক্ষ্যে বড় আকারের অভিযানের পরে তারা শহর থেকে সরে এসেছে। অভিযানে ড্রোন সমেত শত শত ইসরায়েলি সৈন্য জড়িত ছিল এবং এতে কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি এবং একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছিল, সেই সাথে জেনিনের হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছিল। বুধবার ভোরে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হওয়ার সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজা উপত্যকা থেকে ছোড়া পাঁচটি রকেট প্রতিহত করেছে এবং এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এদিকে তেল আবিবে গাড়ি চাপা ও ছুরিকাঘাতে সাত ইসরায়েলি আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস বলেছে, জেনিনে চলমান ইহুদিবাদী গণহত্যার মুখে আত্মরক্ষার্থে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যারা মনে করে এ ধরনের হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে, তারা ভুল করছে। দুই দিনের এই অভিযান ছিল অধিকৃত পশ্চিম তীরে বহু বছর ধরে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অভিযান এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফিলিস্তিনে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের সময় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহত, হাজার হাজার লোকের বাস্তুচ্যুতি, স্কুল ও হাসপাতালের ক্ষতি এবং জল ও বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলি ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি আহতদের চিকিৎসা সেবা পেতে বাধা দেওয়া এবং মানবিক কর্মীদের বাধা দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের সমালোচনা করেন। দুই দিনের অভিযানে কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং জেনিনের হাসপাতালগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাতিসংঘের তিন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের এক বিবৃতির পর জাতিসংঘ মহাসচিব এই নিন্দা জানিয়েছেন, যারা জেনিনে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছেন। সেক্রেটারি জেনারেলকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি এই অভিযানকে যুদ্ধাপরাধ বলে মনে করেন কিনা, তিনি সরাসরি উত্তর দেননি।
পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে
যাই হোক না কেন, এই অঞ্চলে সরকারের পদক্ষেপের অর্থ হ’ল ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক খারাপ হয়েছে, আর এটি সহিংসতা বৃদ্ধি করেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীরে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর হতে যাচ্ছে এই বছর। এবং সেই তথ্যের মধ্যে এই সাম্প্রতিকতম সহিংসতাও অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। ইসরায়েলি বাহিনী এ বছর এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ১১৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা ওই অঞ্চলে ১৬ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর ওই অঞ্চলে ১৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যা ২০০৫ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শেষ হওয়ার পর সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে ভারী অস্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে। ইসরায়েল ২০০৫ এবং ২০০৬ সাল থেকে কখনও হেলিকপ্টার গানশিপ বা ড্রোন ব্যবহার করেনি, যেগুলো গত কয়েক সপ্তাহে ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে এখানে ঝুঁকি বাড়ানো হচ্ছে এবং পরিস্থিতি শীঘ্রই শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, বিশেষত বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের ক্ষেত্রে।
এবং মধ্যেপ্রাচ্যের অঞ্চলে যে ইতিবাচক কূটনৈতিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার সাথে ইসরায়েলের এই ঘটনার তুলনা করলে এটা খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। যেমন দেখুন, সৌদি আরব ইরানের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাচ্ছে, ইয়েমেন যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে, এবং আসাদের ইতিহাসের দিকে তাকালে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও সিরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে পুনরায় পরিচয় হচ্ছে, এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে নিজেদের সম্পর্কের উন্নতি করা হচ্ছে, বিশেষত তুরস্কের সাথে। অতএব, আরেকটি ইন্তিফাদা অনিবার্যভাবেই এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে এবং এই কূটনৈতিক অগ্রগতিকে হ্রাস করবে।
তথ্যসূত্র
1 – https://www.theguardian.com/world/2023/jun/19/sraeli-forces-helicopter-raid-jenin-west-bank-palestinians-killed
2 – https://www.ft.com/content/ff0405ec-cbbb-4a1a-bab7-ca57ffe43d96
3 – https://www.theguardian.com/world/2023/jul/03/palestinians-killed-israeli-strike-west-bank-jenin
4 – https://www.ft.com/content/ff0405ec-cbbb-4a1a-bab7-ca57ffe43d96
5 – https://www.theguardian.com/world/2023/jun/19/sraeli-forces-helicopter-raid-jenin-west-bank-palestinians-killed
6 – https://www.reuters.com/article/us-israel-palestinians-settlements-idUSKBN23G2MI
7 – https://www.economist.com/graphic-detail/2019/02/02/israels-growing-settlements-force-stark-choices-about-its-future
8 – https://www.ft.com/content/588dd08f-e0f9-4cf8-8b12-ad169bad8f7d
9 – https://www.washingtoninstitute.org/policy-analysis/israel-expands-settlements-smotrich-increases-his-authority
10 – https://www.timesofisrael.com/visiting-evyatar-ben-gvir-tells-settlers-to-head-for-the-hilltops-expand-outposts/
11 – https://www.haaretz.com/israel-news/2023-05-18/ty-article/.premium/far-right-israeli-minister-lays-groundwork-for-doubling-west-bank-settler-population/00000188-2de6-d6e4-ab9d-ede74a3e0000
12 – https://www.economist.com/middle-east-and-africa/2023/06/29/settler-vigilantes-are-getting-more-violent-and-israels-government-is-encouraging-them
13 – https://www.timesofisrael.com/demolition-of-illegal-west-bank-settler-construction-said-to-plummet-under-smotrich/
14 – https://www.ft.com/content/5cfebf50-fae0-459e-b304-6d0e3d73563b
15 – https://www.ft.com/content/588dd08f-e0f9-4cf8-8b12-ad169bad8f7d
16 – https://www.ft.com/content/ff0405ec-cbbb-4a1a-bab7-ca57ffe43d96
17 – https://www.ft.com/content/5cfebf50-fae0-459e-b304-6d0e3d73563b
18 – https://www.ft.com/content/ff0405ec-cbbb-4a1a-bab7-ca57ffe43d96
19 – https://www.theguardian.com/world/2023/jun/19/sraeli-forces-helicopter-raid-jenin-west-bank-palestinians-killed
20 – https://www.nytimes.com/2023/07/05/world/middleeast/israel-withdraws-jenin-west-bank.html
21 – https://www.reuters.com/world/middle-east/israel-signals-jenin-operation-close-completion-10-palestinians-dead-2023-07-04/
22 – https://www.bbc.co.uk/news/world-middle-east-66095622
21 – https://www.aljazeera.com/news/2023/7/7/un-chief-guterres-condemns-israels-raid-on-jenin-refugee-camp
Leave a Reply