ইউকে ও তার এক্স-কলোনিগুলোর ইলেকটোরাল সিস্টেম, ও ইউকে-তে সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা

বর্তমান যুক্তরাজ্যে যে ইলেকটোরাল সিস্টেম বা ভোটিং সিস্টেমটা প্রচলিত তা হচ্ছে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (FPTP)। সাধারণত প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলি, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বাংলাদেশ, ভারত সহ ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো, এবং কিছু ক্যারিবিয়ান এবং আফ্রিকান রাষ্ট্র সহ বেশ কিছু রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যেরই মতো এই ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী ব্যবস্থা বা ইলেকটোরাল সিস্টেমকে এই এফপিটিপি থেকে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করার জন্য সমর্থন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও লেবার পার্টির নেতৃত্ব এখনও এটিকে সমর্থন করেনি, লেবার সদস্যরা এই ধারণাটির প্রতি ক্রমশ আগ্রহী হয়ে উঠছে এবং যদি লেবাররা পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভ করে, যেটার সম্ভাবনা এখন বেশ ভালোই, সেক্ষেত্রে ইলেকটোরাল সিস্টেমে এই পরিবর্তনটা ঘটে  যাবার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই লেখায় ব্যাখ্যা করা হবে, এই ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট আর প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে, কেন ভোটাররা এফপিটিপি পরিবর্তন করতে চাচ্ছে, এবং এই পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা আদৌ আছে কিনা।

ভোটিং সিস্টেম দুটো কিভাবে কাজ করে?

প্রথমেই ভোটিং সিস্টেম দুটো ব্যাখ্যা করে শুরু করা যাক। যুক্তরাজ্য বর্তমানে একটি ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করে যা ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট বা এফপিটিপি নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থায়, দেশটি নির্বাচনী এলাকা বা কনষ্টিটুয়েন্সি বা আসনে বিভক্ত, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে যা হচ্ছে ৬৫০টি  প্রতিটি আসনে, সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী জয়ী হন এবং সংসদ সদস্য হন, যার অর্থ প্রতি আসনে মাত্র একজন এমপি নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে জয়ীদের হাতে সব সিস্টেম চলে যায়, আর ক্যান্ডিডেটরা সকল ভোটের ৫০% এরও কম ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারে ও হয়ও। যেমনটা বলা হল, প্রাক্তন ব্রিটিশ কলোনি সহ বিভিন্ন দেশে এই সিস্টেম আছে, কিন্তু ইউরোপে এই ভোটিং সিস্টেমটি যুক্তরাজ্য প্রায় একাই ব্যবহার করে। ইউরোপের অংশ হিসাবে বিবেচিত ৪৩ টি দেশের মধ্যে ৪০ টিই তাদের এমপি নির্বাচনের জন্য কিছু আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবহার করে, কিন্তু যুক্তরাজ্য সহ তিনটি দেশ এটা করেনা। যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য দেশ দুটির একটি হল বেলারুশ, যা একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র, এবং আরেকটি হলো ফ্রান্স, যার সিস্টেম অনুসারে একজন বিজয়ী পুরো সিস্টেমই দখল করে নেয়, তবে এটায় একটি দুই রাউন্ডের প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) বা পিআর ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। এই পিআর হচ্ছে এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা, যেখানে আসন বণ্টন সেই দলের জন্য প্রদত্ত মোট ভোটের অনুপাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

এখন বিভিন্ন ধরণের পিআর রয়েছে, তবে যুক্তরাজ্যে পিআরের বেশিরভাগ সমর্থক একক স্থানান্তরযোগ্য বা সিংগল ট্রান্সফারেবল ভোট মডেলের পক্ষে, যা ইতিমধ্যে স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়। এই সিংগল ট্রান্সফারেবল ভোট বা STV অনুসারে, কোন নির্বাচনী এলাকা বা কনস্টিটিউয়েন্সিগুলোতে সেখানকার দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একাধিক সংসদীয় আসন থাকে, মানে একই নির্বাচনী এলাকা বা কনষ্টিটুয়েন্সি থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচিত হয়। এটি করার জন্য, ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে এক নম্বর, দুই নম্বর এভাবে রেংকিং করে, মানে প্রথম পছন্দকে এক নম্বরে রাখে, দ্বিতীয় পছন্দকে দুই নম্বরে রাখে, এভাবে চলতে থাকে। এখন কতজন প্রার্থীকে ভোটার এই রেংকিং-এ ফেলবে সেটা তার ব্যাপার। এক্ষেত্রে ভোটাদেরকে এটা ঠিক করবার সুযোগ দেয়া হচ্ছে যে, আপনার পছন্দের ক্যান্ডিডেট যদি আপনার এলাকার একটি আসন পেয়ে যায়, তবে পরের আসনের জন্য আপনি কাকে নির্বাচন করবেন, এরপর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে যাকে নির্বাচন করছেন সেও যদি আরেকটি আসন পেয়ে যায়, তবে তৃতীয় আসনের জন্য কাকে বাছাই করবেন, এরপর ৪র্থ, ৫ম ইত্যাদি। চাইলে তিনি তার রেংকিং-এ কেবল একজনকেই রাখতে পারেন, চাইলে যতজন প্রার্থী আছে সবাইকেই রাখতে পারেন। এবারে নির্বাচিত হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীকে কোটা নামে পরিচিত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পেতে হবে। আর সেই কোটার ভোট সংখ্যা কত হবে সেটা ঠিক হবে এলাকার মোট সংখ্যাকে সেই নির্বাচনী এলাকার উপলব্ধ আসনের সংখ্যাকে ভাগ করলে যত হয় ততো। কোটার চেয়ে বেশি প্রথম পছন্দের ভোট থাকলে প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়, আর এরপর অতিরিক্ত দ্বিতীয় পছন্দের ভোটগুলি অন্য প্রার্থীদের মধ্যে পুনর্বণ্টন করা হয়। প্রতিটি আসন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে নির্বাচিতদের দ্বিতীয় পছন্দের ভোটগুলোকে পুনর্বণ্টন করার করার প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি হতে থাকে।

কেন ভোটাররা এফপিটিপি পরিবর্তন করতে চাচ্ছে?

এখন, এসটিভি যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় কারণ এটি এমপি এবং ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী সংযোগ বজায় রাখে যা এফপিটিপির অধীনেও বিদ্যমান, কিন্তু সেই সাথে এটি ভোটারদের অধিকতর চয়েস এবং মোটের ওপর উন্নততর প্রতিনিধিত্ব প্রদান করে, এমনকি যদি তা পুরোপুরি আনুপাতিক নাও হয়। বিপরীতে, এফপিটিপি বেশ কয়েকটি কারণে যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে –

প্রথমত, এফপিটিপি আর সিদ্ধান্তমূলক সরকার বা ডিসিসিভ গভর্নমেন্ট  প্রদান করে না। এফপিটিপির পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তিগুলির মধ্যে একটি হ’ল এর ফলে দুর্বল জোট সরকার বা কোয়ালিশন গভর্নমেন্টের বদলে শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে সহায়তা করে। কিন্তু স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির উত্থানের পর থেকে এটি আর সত্য নয়, এবং শেষ চারটি নির্বাচনের মধ্যে দুটিতে মাইনোরিটি গভর্নমেন্ট এসেছে (মাইনোরিটি গভর্নমেন্ট অর্থ যেখানে রুলিং পার্টি বা কোয়ালিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন বা মেজরিটি, মানে অর্ধেকের বেশি সিট পায় না। ২০১০ ও ২০১৭ এর নির্বাচনে রুলিং পার্টি মেজরিটি পায়নি ও এর ফলে বিজয়ী কনজারভেটিভ পার্টিকে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হয়।)। তাছাড়া, এমনও নয় যে গত চার ইলেকশনের বাকি দুটিতে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার বা মেজরিটি গভর্নমেন্ট এসেছিল, সেগুলোও খুব একটা স্থিতিশীল ছিল। উদাহরণস্বরূপ, বরিস জনসনের ৮০ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও কনজারভেটিভদের একটি স্থায়ী বিশৃঙ্খল অবস্থায় নেমে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

দ্বিতীয়ত, কনজারভেটিভ সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বৈরাচার নিয়ে ভোটাররা ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন। কনজারভেটিভরা এখন ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, যদিও তারা কখনও ৪৪% এর বেশি ভোট পায়নি, এবং সাধারণত তারা ৪০% এরও কম ভোট পেয়েছে। এবং আরও বিস্তৃতভাবে, একটি ধারণা রয়েছে যে ভোটাররা দুটি প্রধান দলের উপস্থিতি নিয়েও বিরক্ত। এর একটি লক্ষণ ফুটে ওঠে যখন পার্টিগুলোর সদস্য হ্রাসের দিকে তাকানো যায়। ১৯৫০ সালে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষ, আর লেবার পার্টির সদস্য সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে দেখা যায়, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য প্রায় ১.৫ লক্ষ, আর লেবার পার্টির সদস্য প্রায় ২.৭ লক্ষ।

তৃতীয়ত, এফপিটিপির ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা হ’ল নিরাপদ আসন। মূলত, এফপিটিপি দুই ধরণের আসন তৈরি করে: নিরাপদ আসন, যার হাত পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম থাকে এবং সুইং আসন, যা হাত পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি থাকে আর এই সুইং আসনগুলোই আসলে নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে দেয়। এই তথাকথিত নিরাপদ আসনগুলোই সমস্ত আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ, আর এই আসনগুলোর ভোটাররা তাদের ভোটের রিপ্রেজেন্টেশন না থাকার জন্য (যেহেতু সুইং আসনগুলোর ভোটই কেবল ম্যাটার করছে) ক্রমশ বিরক্ত হয়ে উঠছে, বিশেষ করে যখন রাজনীতিতে এংগেজমেন্ট এবং আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা কি আদৌ আছে?

প্রশ্ন হল, এভাবে এফপিটিপি পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের হতাশা বাড়তে থাকায় যুক্তরাজ্য কি কখনও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতিকে গ্রহণ করবে? কনজারভেটিভরা আশ্চর্যজনকভাবে দৃঢ়ভাবে এফপিটিপি-র সমর্থক কারণ এটির মাধ্যমেই তারা চমৎকারভাবে বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। একইভাবে আশ্চর্যজনকভাবে, রিফর্ম ইউকে, লিব ডেমোক্র্যাটস এবং গ্রিনস সহ বেশিরভাগ ছোট দলগুলি জনসংযোগপন্থী, মূলত এই কারণে যে, এর মাধ্যমে তারা আরও বেশি আসন জিতবে। কিন্তু বাস্তবে, এই দলগুলির কোনওটিই কখনও নির্বাচনে জিততে পারবে না, বিশেষত এফপিটিপির অধীনে, যার অর্থ তারা কখনই সিস্টেমটি পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে না।

আর তাই যদি ভোটিং সিস্টেমে পরিবর্তন ঘটেই তবে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেটা হবে লেবার পার্টির মাধ্যমে। তবে লেবার প্রতিনিয়ত পিআর নিয়ে দোলাচলে থেকেছে। লেবার পার্টি যখন বিরোধী দল হয় তখন এটি এফপিটিপি কীভাবে টরি বা কনজারভেটিভদের সুবিধা দেয় সে সম্পর্কে উচ্চবাচ্য করে ও তখন তারা প্রায়শই পিআর এর পক্ষে আওয়াজ তোলে। কিন্তু যখন তারা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় থাকে, অর্থাৎ সেই এফপিটিপি-র মাধ্যমেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তখনই তারা পিআর নিয়ে হঠাৎ চুপ করে যায়। টনি ব্লেয়ার ১৯৯৭ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এফপিটিপির মাধ্যমে তিনি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার পর আর সেদিকে যাননি।

তাই, যদিও ১৩ বছর বিরোধী দলে থাকার পর লেবার পার্টির সদস্যরা পিআর সিস্টেমের বিশাল ফ্যান হয়ে উঠেছে, কেননা তারা এরকম দীর্ঘ দিনের জন্য বিরোধী দলে থাকতে খুব একটা আগ্রহী নয়। উদাহরণস্বরূপ, গত বছরের পার্টি সম্মেলনে, লেবার সদস্যরা পিআরের পক্ষে প্রচুর ভোট দিয়েছিলেন, কমপক্ষে ১৪০টি লোকাল পার্টি এটিকে সমর্থনও করেছিল। জরিপে দেখা গেছে যে লেবার সদস্যদের ৮৩% এবং লেবার ভোটারদের ৬০% পিআর এর পক্ষে। আর পার্লামেন্টে কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ লেবার এমপিও পিআরকে সমর্থন করেন। গুরুত্বপূর্ণভাবে, ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ইউনাইট ও  ইউনিসন, যারা অতীতে পিআর এর বিরুদ্ধে ছিল, তারাও এখন পিআর এর পক্ষে। আর এটা গুরুত্বপূর্ণ কেননা এই দুটো মিলে ইউনিয়ন কনফারেন্স ভোটের অর্ধেকেরও বেশি পায়।

স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, পিআর এর পক্ষে নির্বাচনী সংস্কারকে এখন আর লেবার পার্টির একটি সামান্য অংশ সাপোর্ট করে না, বরং দলটি পিআর এর সমর্থন বিষয়ে ঐকমত্যে চলে এসেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, লেবার পার্টির প্রধান স্টারমার বলেছেন, তিনি তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে পিআর-কে সমর্থন করতে পারেন, কিন্তু সম্প্রতি তিনি বলেছেন, এটি তার সরকারের জন্য অগ্রাধিকার হবে না, কেননা তার সরকারকে ইতিমধ্যেই অনেক সংকটের মোকাবেলা করতে হবে, যেগুলো নিয়ে তাকে আগে ডিল করতে হবে। স্টারমার অবশ্য এটাও জেনে থাকবেন যে, বর্তমান জরিপে দেখা গেছে যে এফপিটিপি নিয়েই তারা প্রায় ৪২০টি আসন বা সংসদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জয়ের পথে রয়েছে, আর সেক্ষেত্রে তারা পেতে যাচ্ছে সামগ্রিক ভোটের প্রায় ৪৪%। আর এটার কারণে তিনি এফপিটিপিকে একটু সুনজরেও দেখে থাকতে পারেন।

শেষ পর্যন্ত, এখানে একটি ক্লাসিক ইনসেনটিভ প্রবলেম কাজ করে। ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক সে এই এফপিটিপি এর দ্বারাই ক্ষমতায় আসে। আর ক্ষমতায় আসার পর সেই সরকার এই এফপিটিপি সিস্টেমকে সুনজরে দেখতে শুরু করে কেননা এর বদৌলতেই সেই পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। তাই সেই পার্টি সেই সিস্টেমটাককেই রক্ষা করতে চায়, ফলে আর এর পরিবর্তন হয়না। আর লেবার পার্টি আসলেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সংস্কার করে পিআর সিস্টেম চালুর দিকে যাবে কিনা তা হয়তো শেষ পর্যন্ত স্টারমার তার লেবার পার্টির মেম্বারদের এই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেন বা কতটা ইগনোর করতে পারেন তার উপর নির্ভর করবে।

তথ্যসূত্র কমেন্টে

1 – https://www.electoral-reform.org.uk/voting-systems/types-of-voting-system/first-past-the-post/
2 – https://www.electoral-reform.org.uk/voting-systems/types-of-voting-system/first-past-the-post/
2 – https://en.wikipedia.org/wiki/First-past-the-post_voting#Countries_using_FPTP/SMP
3 – https://www.electoral-reform.org.uk/which-european-countries-use-proportional-representation/
4 – https://www.electoral-reform.org.uk/the-2022-welsh-local-elections-and-the-case-for-stv/
5 – https://www.electoral-reform.org.uk/voting-systems/types-of-voting-system/single-transferable-vote/
6 – https://www.electoral-reform.org.uk/which-european-countries-use-proportional-representation/
7 – https://www.parliament.uk/business/publications/research/olympic-britain/parliament-and-elections/partied-out/
8 – https://www.makevotesmatter.org.uk/first-past-the-post
8 – https://www.electoral-reform.org.uk/does-proportional-representation-lead-to-higher-turnout/
9 – https://www.theguardian.com/politics/2001/may/24/uk.election200111
10 – https://www.newstatesman.com/politics/uk-politics/2023/06/humiliation-of-the-populists-andrew-marr
10 – https://labourlist.org/2023/06/proportional-representation-pr-national-policy-forum-labour-keir-starmer/
10 – https://labourlist.org/2021/07/exclusive-83-of-members-say-labour-should-back-proportional-representation/
11 – https://www.electoralcalculus.co.uk/prediction_main.html

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.