শেষ পর্যন্ত চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রকাশিত হলো উইঘুর-নির্যাতন নিয়ে ইউএন-এর প্রতিবেদন

বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড ন্যাশনস বা জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রপুঞ্জ এর হিউম্যান রাইটস কমিশনার শিনচিয়াং-এ (Xinjiang) শ্রম শিবির (labor camps) নিয়ে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে চীনা সরকারের দ্বারা উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের মূল্যায়ন করা হয়েছে, আর চীন সেটা অস্বীকার করেছে। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি, সিসিপি গত দুই বছর ধরে প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার জন্য ইউএনকে চাপ দিয়ে আসছিল। যাই হোক, ইউএন এর তদন্ত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে উইঘুরদের ওপর চীনা নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে, আর তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধেই জায়গা পাবে।

একটি দ্রুত রিক্যাপ দিয়ে শুরু করা যাক। শিনচিয়াং চীনের একটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল যেখানে ঐতিহাসিকভাবে উইঘুররাই প্রধান অধিবাসী, জাতিগতভাবে এরা তুর্কী ভাষাগোষ্ঠী এবং বেশিরভাগই মুসলিম। শিনচিয়াং চীনের পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে একটি। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলোকে জাতিগত সংখ্যালঘুদের থাকার জন্য তৈরি আধা-বিকশিত অঞ্চল হিসাবে রাখা হয়েছে, এই অঞ্চলগুলো কিছু স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে, তবে শেষ পর্যন্ত এগুলোকে পেইচিংয়ের (Beijing) কাছেই জবাবদিহি করতে হয়। ১৯৫৫ সালে শিনচিয়াংকে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল কারণ সেই সময় এদের জনসংখ্যার ৭৫% ছিল উইঘুর (এখন ৪৫%) এবং এই অঞ্চলের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। এখানে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল কিন্তু ৯০-এর দশকে পরিস্থিতি অশান্ত হতে শুরু করে। তখন সিসিপি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক খনিজ ও তেল মজুদ ব্যবহার করার জন্য শিনচিয়াং-এ তথাকথিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (special economic zones) তৈরি করেছিল। এই স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলো বৈষম্যমূলকভাবে ঐ অঞ্চলের উইঘুরদের নিয়োগ না দিয়ে নিয়োগ দিত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হান চাইনিজদের। আর এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সুযোগগুলো হান চাইনিজদের একটি বিশাল প্রবাহকে আকৃষ্ট করে। উল্লেখ্য, হান চাইনিজরা চীনের জনসংখ্যার ৯২%। ২০০৮ সালের মধ্যে, হান চাইনিজরা শিনচিয়াং এর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০% হয়ে যায়। বেশিরভাগ হান চাইনিজ উত্তর শিনচিয়াং-এর রাজধানী উরুমকির আশেপাশে বসতি স্থাপন করে, আর উইঘুররা দক্ষিণের গ্রামাঞ্চলে অবস্থান করে।

হান চাইনিজদের দ্বারা শিনচিয়াং-এ এরকম বসতি স্থাপন উইঘুরদের সাথে কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং ২০০৮ সালে শুরুর দিকে একটি উইঘুর জাতীয়তাবাদী দল ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ETIM, পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামী আন্দোলন) নামে একটি উইঘুর এবং জাতীয়তাবাদী দল শিনচিয়াং-এ হান চাইনিজ আধিক্যের অঞ্চলগুলোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা শুরু করে। সবচেয়ে গুরুতর ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে, যখন ছুড়িধারী ইটিআইএম জঙ্গিরা একটি ট্রেন স্টেশনে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। এই আক্রমণগুলো শিনচিয়াং-এ বসবাসকারী সিসিপি এবং হান চাইনিজ উভয়ের জন্যই হুমকির সৃষ্টি অরে। আর তখনই চীনে শুরু হয় উইঘুর বিরোধী দমন-পীড়ন। ৭,০০০-এরও বেশি লোক ভর্তি স্পোর্টস স্টেডিয়ামে উইঘুর জঙ্গিদের প্রকাশ্যে বিচার করা হয়েছিল। কয়েক মাস পরে, সিসিপি তথাকথিত শিনচিয়াং রেগুলেশন পাশ করায়, যা শিনচাইয়াং-এ সিসিপি কর্তৃপক্ষকে সীমাহীন ক্ষমতা দান করে। তখনই প্রথম তথাকথিত রি-এডুকেশন ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। তবে এই কর্মসূচী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয় ২০১৭ সাল থেকে। সেই বছর নিরাপত্তা-সম্পর্কিত ফ্যাসিলিটিগুলোতে সরকার প্রচুর ব্যয় করে, এবং জননিরাপত্তা বিষয়ক জব অ্যাডভার্টাইসমেন্টও প্রচুর বেড়ে যায়। এর পর ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস এই রি-এডুকেশন ক্যাম্পগুলো নিয়ে বিশাল পরিমাণে লিকড বা ফাঁস হওয়া খবরাখবর পেলে ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্বব্যাপী হইচই শুরু হয়। এরপর জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের অ্যাড্রিয়ান জেনজের ২০২০ সালের অক্টোবরের রিপোর্ট শুরু করে আরেক দফা হইচই। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, উইঘুর নারীদেরকে জোর করে স্টেরিলাইজ করা হচ্ছে (মাতৃত্বের ক্ষমতা নষ্ট করা হচ্ছে)। এই ইতিহাসে আর বেশি এগোচ্ছি না। মূল বিষয়ে ফেরত আসা যাক…

যাইহোক, এই রিএডুকেশন ক্যাম্পগুলো নিয়ে গত বৃহঃস্পতিবারে আবারও হইচই শুরু হয়েছে। কেননা এবারে ইউনাইটেড ন্যাশনস অবশেষে এই বিষয়ে তাদের বহু প্রতীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইউএন প্রথম ঘোষণা করেছিল যে এটি রিএডুকেশন ক্যাম্পগুলোতে তদন্ত করবে, কিন্তু চীন ইউএন এর মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাশেলেটকে সিসিপি তাদের কড়া নজরদারি ছাড়া ক্যাম্পগুলোতে ভ্রমণ করার অনুমতি দেয়নি। অবশেষে এই বছর মে মাসে চীন তাদেরকে উইঘুর ক্যাম্পগুলোতে যেতে দিতে রাজি হয়, কিন্তু কোন উইঘুরের সাথে তাদের কথা বলা নিষিদ্ধ ছিল, সেই সাথে তাদের সফরটিকে সিসিপি ঘনিষ্ঠভাবে তত্ত্বাবধান করে। যাই হোক, সিসিপির কয়েক মাস ধরে চলা ক্ষুব্ধ বক্তব্যের পর ইউএন অবশেষে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার।

প্রথম কয়েকটি পৃষ্ঠায় চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর ইতিহাসের আলোচনা রয়েছে। পৃষ্ঠা ৫ এর শুরুতে চীনের এন্টাই-টেরোরিজম আইনগুলোর একটা ইন্টারেস্টিং ওভারভিউ আছে, যেগুলোকে শিনচিয়াং-এর পলিসিগুলোকে জাস্টিফাই করতে ব্যবহার করা হয়েছে। বেশিরভাগ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের মতো এগুলোতেও সন্ত্রাসবাদের একটি বিস্তৃত এবং অস্পষ্ট সংজ্ঞার উল্লেখ করেছে। এই সংজ্ঞায় “সামাজিক আতঙ্ক বা সোশ্যাল প্যানিক” তৈরি করতে পারে এমন যেকোন কিছুকেই টেরোরিজম বলা হচ্ছে, যা একটি অস্পষ্ট সংজ্ঞায়ন। রিলিজিয়াস এক্সট্রিমিজমের মধ্যে পড়েছে “এক্সট্রিমস অফ থট”। এখানেও আছে প্রচুর অস্পষ্টতা। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারী পলিসি ও আইনের বিরোধিতাকে, সরকারী প্রোপাগান্ডার বিরোধিতা, সাধারণ টিভি নেটওয়ার্ক ও চলচ্চিত্র দেখা – এসবকেও এক্সট্রিমিজমের সম্ভাব্য চিহ্ন ধরা যেতে পারে। তাই প্রতিবেদনের এই অংশটিতে বলা হয়েছে, চীনা সন্ত্রাস-বিরোধী আইনী ব্যবস্থায় সাবজেক্টিভিটি বেশি (মানে অবজেক্টিভিটি বা বস্তুনিষ্ঠতা কম) এবং “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে এর সঙ্গতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে”। পৃষ্ঠা ১১ থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০টি পৃষ্ঠায় ইউএন এর মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির এই অংশটিকে চারটি ভাগে ভাগ করেছে – (১) কারাবাস এবং বিভিন্ন রকমের স্বাধীনতার অভাব, (২) বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর অবস্থা ও উইঘুরদের সাথে আচরণ, (৩) অন্যান্য মানবাধিকার উদ্বেগ এবং (৪) পারিবারিক বিচ্ছেদ এবং প্রতিশোধের বিষয়গুলো।

(১) কারাবাস এবং বিভিন্ন রকমের স্বাধীনতার অভাব বা বঞ্চনা দিয়ে শুরু করা যাক। ইউএন এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিকে তার সম্মতি ছাড়াই আটকে রাখা হলে তার ডেপ্রিভেশন অফ লিবার্টি বা স্বাধীনতার বঞ্চনা ঘটে। যেকোন স্বাধীনতার বঞ্চনাই বিধিবহির্ভূত। এখন যে আইনের ভিত্তিতে উইঘুরদেরকে বন্দী করা হয়েছে সেটাই নড়বড়ে, আর বন্দীরাও ক্যাম্পগুলোকে চাইলেই ত্যাগ করতে পারেনা। রিপোর্টে উপসংহার টানা হয়, এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যুক্তিসঙ্গত যে শিনচিয়াং-এ বড় আকারের বিধিবহির্ভূতভাবে ও অনৈচ্ছিকভাবে মানুষকে আটক করা হয়েছে ও শিনচিয়াং এর এথনিক মাইনোরিটির ওপর এই স্বাধীনতার বঞ্চনাকে প্রয়োগ করা হয়েছে।

(২) বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর অবস্থা ও উইঘুরদের প্রতি আচরণ নিয়ে বিভাগটি আরও বেশি সমালোচনামূলক। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২৬ জন প্রাক্তন বন্দীর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই রিপোর্ট করেছেন যে তারা এমন আচরণের শিকার হয়েছেন যা নির্যাতন এবং বা অন্যান্য ধরণের খারাপ আচরণের সমান হবে, যেগুলো অনেকগুলো আন্তর্জাতিক আইনকেই লঙ্ঘন করবে। এই প্রতিবেদনে ধর্ষণ, যৌন অবমাননা, জোরপূর্বক নগ্নতাসহ যৌন নিপীড়নের অভিযোগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই রিপোর্টটি উপসংহারে বলা হয়েছে যে, বন্দীত্বের বিবরণগুলো থেকে নির্যাতন বা টরচারের বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে।

(৩) তৃতীয় অংশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মীয় অভিব্যক্তি নিয়ে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ হিজাব ও ‘অস্বাভাবিক’ দাড়িসহ ধর্মীয় মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ইসলামী চর্চা নিষিদ্ধ করেছে এবং বিভিন্ন ইসলামী ভবন ধ্বংস করেছে। প্রতিবেদনে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, উইঘুর জনসংখ্যার উপর নজর রাখার জন্য যে বিশাল নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে তা গোপনীয়তার অধিকারের লঙ্ঘন হতে পারে। সম্ভবত এই বিভাগের সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশটি তথাকথিত পরিবার পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কিত। পৃষ্ঠা ৩২ এর শুরুতে উঠে এসেছে কিভাবে খুব দ্রুত উইঘুরদের জন্মের হার হ্রাস পেয়েছে। উপসংহারে বলা হয়েছে যে “চীনা সরকার কর্তৃক দমনমূলক পদক্ষেপগুলোর মধ্যে জোরপূর্বক নির্বীজন বা ফোর্সড স্টেরিলাইজেশন এবং আইইউডি (ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস) স্থাপন অন্তর্ভুক্ত” থাকার বিশ্বাসযোগ্য ইঙ্গিত রয়েছে।

(৪) পারিবারিক বিচ্ছেদ এবং প্রতিশোধের চতুর্থ বিভাগটি বর্ণনা করে যে কীভাবে ১০,০০০ এরও বেশি উইঘুর আপাতদৃষ্টিতে তাদের পরিবারের সদস্য সমেত অদৃশ্য হয়ে গেছে, আর তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়না। চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের অবস্থান প্রকাশ করতে অস্বীকার করে, এবং বলে, এদের বেশিরভাগই “স্বাভাবিক জীবনযাপন” করছে। কিন্তু একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় উইঘুরকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় উইঘুর “রোগ এবং অন্যান্য কারণে” মারা গেছে বা উদ্বাস্তু হয়ে বিদেশে বসবাস করছে।

পরিশেষে, এই প্রতিবেদনের শেষে এই সিদ্ধান্ত টানা হয়েছে যে, শিনচিয়াং-এ গভীরভাবে সমস্যাযুক্ত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন ব্যবস্থার ফলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন সংঘটিত হয়েছে। নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ এবং পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতিগুলোর জোরপূর্বক ও বৈষম্যমূলক প্রয়োগের মাধ্যমে প্রজনন অধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক ইঙ্গিতও এখানে রয়েছে। এই রিপোর্টের প্রতিবাদে চাইনিজ স্টেটমেন্ট ছিল, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির উচিৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের চীন-বিরোধী অশুভ উদ্দেশ্যগুলোর দিকে নজর দেয়া, এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর উচিৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পাশ্চাত্য রাষ্ট্রগুলোর দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অসংখ্য অপরাধ বিষয়ে তদন্ত করা। এদিকে বিভিন্ন হিউম্যান রাইট গ্রুপ ও ওয়েস্টার্ন অফিশিয়ালরা ইউনাইটেড ন্যাশনস এর মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বাশেলেটের সমালোচনা করে বলছে, ইউএন এই রিপোর্টটি দিতে বারবার দেরি করেছে। আর তিনি তার পদত্যাগের সময়কালের মাত্র ১৩ মিনিট আগে এই রিপোর্টতি প্রকাশ করেছেন। এদিকে মিশেল বাশেলেট বলেছেন, তিনি এই রিপোর্টটি আদৌ প্রকাশ করবেন কি করবেন না তা নিয়ে প্রচুর চাপে ছিলেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইউনাইটেড ন্যাশনস এর এই প্রতিবেদনটি কি কোন পরিবর্তন আনবে? চীন এখন পর্যন্ত শিনচিয়াং নিয়ে তাদের ওপর আসা সমালোচনাগুলোকে অগ্রাহ্য করে এসেছে। সুতরাং হয়তো পরিবর্তন আনবে না। কিন্তু  বন্ধ করে দিয়েছে, সম্ভবত তাই নয়। তবে এটি লক্ষণীয় যে ইউএন হল সিসিপি এর সবচেয়ে পছন্দের আন্তর্জাতিক ফোরাম। তাই পেইচিং-এ এই প্রতিবেদনটির একটি ভাল রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নির্ভর করবে কিভাবে ইউনাইটেড ন্যাশনস এর সদস্যরা এর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার ওপরেই।

রিপোর্টটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে – https://www.ohchr.org/sites/default/files/documents/countries/2022-08-31/22-08-31-final-assesment.pdf

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.