রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা স্যাংকশন কি আদৌ কার্যকর নয়?

গত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বা স্যাংকশনের প্রতি মানুষের উৎসাহ কমে গেছে।  অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে স্যাংকশনগুলো যতটা কার্যকর হতে পারতো, ততটা কার্যকর হচ্ছে না, এবং কিছু ক্ষেত্রে স্যাংকশনগুলো বরং ব্যাকফায়ার করছে। স্যাংকশনের ব্যাকফায়ার করার ব্যাপারটা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে একটি জনপ্রিয় মিমে পরিণত হয়েছে এবং পুতিন ও রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী উভয়েই দাবি করেছেন যে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের স্যাংকশনগুলো আসলে রাশিয়াকে সাহায্য করছে। এই লেখায় স্যাংকশনের এই কার্যকারিতা নিয়েই আলোচনা করা হবে। প্রথমেই বলে রাখি, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াটা একটু জটিল, কারণ কেবল শর্ট টার্ম নিয়ে ভাবলেই হবেনা, লং টার্ম নিয়েও ভাবতে হবে। কারণ স্যাংকশনের উদ্দেশ্য যে কেবল শর্ট টার্মে রাশিয়াকে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সামর্থ কমিয়ে দেয়া তা নয়, সাথে ভবিষ্যতেও যাতে রাশিয়া বা অন্য কোন দেশ এরকমটা না করে সেই দিক নিয়েও ভাববার আছে। আমি এখানে স্যাংকশনের পক্ষে ও বিপক্ষে দু দিক থেকেই আলোচনা করব। পক্ষ নিয়েই আগে আলোচনা শুরু করা যাক। আর তা শুরু করছি স্যাংকশনের বিরুদ্ধে দুটো যুক্তির অসঙ্গতি দেখিয়ে…

প্রথমত, স্যাংকশনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে এই যে, স্যাংকশনগুলো ব্যর্থ হয়েছে কারণ এগুলো রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বা এই স্যাংকশন পুতিনকে ইউক্রেনে তার আগ্রাসন শুরু করা বা চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে…

কিন্তু এই সমালোচনাটি পুরোপুরি সঠিক কিনা তা স্পষ্ট নয়। স্যাংকশনগুলো প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করেছে কিনা তা নির্ভর করে স্যাংকশনগুলো চালু না করা হলে কী হত তার ওপর। কিন্তু স্যাংকশন না দেয়া হলে কী হতো না নির্ণয় করাটা কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, এটা সম্ভব যে, যদি পশ্চিমারা মৃদু স্যাংকশন আরোপ করত বা কোন স্যাংকশন আরোপ না করত, তাহলে পুতিন হয়তো এটা দেখে আরও বড় সেনা সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিতেন, কেননা সেক্ষেত্রে তিনি নিশ্চিত থাকতেন যে, যুদ্ধে যেকোন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মিলিটারি বা অন্যান্য ইকুইপমেন্টকে তিনি চাইলেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনতে পারবেন। যেহেতু এখন তিনি তা পারছেন না, তাই হয়তো তিনি অত বড় সেনা সমাবেশেও যেতে পারছে না, তাকে আক্রমণ সীমিত করতে হচ্ছে। অর্থাৎ পয়েন্ট হলো যে স্যাংকশন স্পষ্টতই টোটাল ডেটারেন্ট হিসেবে কাজ করেনি, কারণ পুতিন তাও আক্রমণ করেছে, কিন্তু স্যাংকশন একটি পারশাল ডেটারেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকতেই পারে। অর্থাৎ যদি স্যাংকশন না দেয়া হতো তবে রাশিয়া আরও বেশি সেনা সমাবেশ ঘটাতে পারত ও ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেক বেশি সাফল্য লাভ করতে পারত। তাছাড়া দেখা যাচ্ছে, স্যাংকশনগুলো রাশিয়ার ক্ষয়িষ্ণু সেনাবাহিনীকে পুনরায় রিস্টকিং করা, অর্থাৎ নতুন সেনা নিয়ে আসাকে আরও কঠিন করে তুলেছে, কারণ, প্রথমত, এটার জন্য যে প্রযুক্তি দরকার তা স্যাংকশনের কারণে ব্যানড, এবং দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার সামনে যে রিসেশন বা অর্থনৈতিক মন্দা আসতে চলেছে সেটাও পুতিনকে রাজনৈতিকভাবে সীমাবদ্ধ করবে। এখনও পর্যন্ত জনসাধারণের মধ্যে র‍্যালি এফেক্ট কাজ করতে দেখা যাচ্ছে, অর্থাৎ স্যাংকশনের ফলে রাশিয়ার জনগণের অন্তত একাংশের মধ্যে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব কিছুটা বেড়েছে, তাই পুতিনের জন্যেও ইউক্রেইনে সেনা পাঠাতে তার সেনাবাহিনীতে নতুন ভলান্টিয়ার নিয়োগ করাটা সহজ হয়েছে, কিন্তু এটা কতদিন থাকে তা বলা যায়না, বিশেষ করে যখন দীর্ঘায়িত যুদ্ধ ব্যয়বহুল, এবং এই ব্যয়বহুল যুদ্ধের সাথে অর্থনৈতিক মন্দা বা রিসেশনও যুক্ত হবে। রিসেশনের কথা বলছি কারণ, এই বছরে রাশিয়ায় ৭ থেকে ১৫ পয়েন্ট জিডিপি হ্রাস পেতে যাচ্ছে, সেই সাথে হিউম্যান ক্যাপিটালেরও একটা মেসিভ এক্সোডাস হতে যাচ্ছে, তার ওপর সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও পোটেনশিয়াল লস আছে। আর এগুলোর কোনটাকেই যুদ্ধ শুরুর আগে ভাবা হয়নি। আর এই জায়গাটিতেও দেখা যায়, আপাতত স্যাংকশন পুতিনকে টোটাল ডেটার বা পূর্ণভাবে যুদ্ধ থেকে আটকাতে না পারলেও এর যে ফল দেখা যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে একই রকম আচরণ থেকে পুতিন বা তার মত এক্টরদের ডেটার করবে, যেমনটা চীনের বেলায় তাইওয়ানের ক্ষেত্রে, বা পুতিনের বেলায় দ্বিতীয়বারের মত ইউক্রেইনে আক্রমণের ক্ষেত্রে ভাবা যেতে পারে। এই স্যাংকশনগুলোর স্কোপ ও সেভারিটি অবশ্যই নতুন করে যুদ্ধ শুরুর আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য করবে।

দ্বিতীয়ত, স্যাংকশনের বিরুদ্ধে আরেক যুক্তি হল এই যে, স্যাংকশন ব্যর্থ হয়েছে কারণ রুবলের শক্তি প্রমাণ করে যে রাশিয়ার অর্থনীতি ফুলে ফেঁপে উঠছে, আর বলা হচ্ছে যে, রুবলের শক্তি প্রমাণ করে যে স্যাংকশনগুলো কাজ করছে না।

এখানেও অসঙ্গতি আছে। আপনি হয়তো শুনে থাকতে পারেন, রুবলের দাম ফেব্রুয়ারির নিম্ন পর্যায় থেকে আবার বেড়ে গেছে, এবং প্রতি ডলারে এখন প্রায় ৬০ রুবল পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১৩৯ ডলার হয়ে গেছিল। রুবলের শক্তি নির্ভর করে মূলত রাশিয়ান সরকার দ্বারা আরোপিত মূলধন নিয়ন্ত্রণের ওপর। রাশিয়ার অর্থনীতি এখন পর্যন্ত বিস্ময়করভাবে ভাল হয়েছে, কিন্তু এর কারণ হচ্ছে রাশিয়ার ব্যবসাগুলো বর্তমানে তাদের রিজার্ভের উপর নির্ভর করছে। কিন্তু রাশিয়ার নিজস্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বীকার করেছে যে এই বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সত্যিই অর্থনৈতিক ক্ষতি শুরু হবে এবং এই অর্থনৈতিক ক্ষতিটা গুরুতর হবে। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে ২০২২ সালে রাশিয়ার জিডিপি ৮.৫ শতাংশ হ্রাস পাব, এরপর ২০২৩ সালে তা ২.৩% হ্রাস পাবে। এদিকে বিশ্ব ব্যাংক আরও বাড়িয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে যে রাশিয়ার জিডিপি ২০২২ সালেই ১১.২% হ্রাস পাবে। এটা সত্য যে, গত কয়েক মাসে রুবলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ মূলত রাশিয়া একটি হেভি ট্রেড সারপ্লাসে চলছে। ২০২১ সালে রাশিয়ার এই ট্রেড সারপ্লাস বা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত জিডিপির ৭.৫ শতাংশ থেকে এ বছর প্রায় ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত, রাশিয়া আমদানির চেয়ে বেশি রপ্তানি করছে, যা রুবলের মূল্যকে বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু রাশিয়ার প্রচুর জিনিস বিক্রি করছে বলে এর মানে এই নয় যে তার অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে। একটি অর্থনীতির স্বাস্থ্য কেবল রপ্তানি নয়, আমদানির ওপরও নির্ভর করে, মানে ভাল জিডিপি এর জন্য রপ্তানি এবং আমদানি উভয়ই ভাল হতে হবে। কিন্তু রাশিয়ার আমদানি এত ভাল কাজ করছে না।

তো এই গেল মোটামুটি স্যাংকশন আরোপের পক্ষে যুক্তি। আর এগুলো দেখায় যে লংটার্মে এই স্যাংকশন রাশিয়ার যুদ্ধের ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্যাপাসিটি কমিয়ে তাকে ডেটার করতে পারে। সেই সাথে বর্তমানেও তার সামর্থকে অনেকটাই কমিয়ে রাখতে পারে, যা স্যাংকশন না দেয়া হলে আরও খারাপ হতো। কিন্তু স্যাংকশনের আরেকটি দিক আছে, যা বর্তমানে রাশিয়ার উঠতি রেভিনিউ এর দ্বারা প্রতীয়মান হচ্ছে, আর এটা স্যাংকশনের বিপক্ষে যায়। বর্তমান রাশিয়ার অভূতপূর্ব জ্বালানি রপ্তানির ও তার থেকে আসা অভূতপূর্ব লাভের ব্যাপারে তাহলে কিছু বলা যাক…

রাশিয়ার রপ্তানির এই অব্যাহত শক্তি আসলেই ইঙ্গিত করে যে, স্যাংকশন আশানুরূপ কাজ করছে না। এর কারণ হল যে সম্পর্কিত সাপ্লাই চেইন ডিজরাপশন বিশ্বজুড়ে দাম বাড়িয়েছে, যার ফলে রাশিয়ার লাভ হয়ে তার লসের চেয়ে বেশি। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়া আগ্রাসনের প্রথম ১০০ দিনে প্রায় ৯৩ বিলিয়ন মূল্যের এনার্জি বিক্রি করেছে, যা সর্বকালের জন্য সর্বোচ্চ এবং গত বছরের প্রায় একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এর অর্থ দাঁড়ায় যে দেশটি প্রতিদিন প্রায় ৯১৩ মিলিয়ন ইউরো আয় করছে, যেখানে আগ্রাসনের জন্য দেশটির প্রতিদিনের ব্যয় ৮৪০ মিলিয়ন ইউরোর চেয়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো বেশি। এর কারণ মূলত এই যে, জীবাশ্ম জ্বালানীর জন্য রাশিয়ার রপ্তানি মূল্য গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি হয়েছে, এমনকি রাশিয়ান তেল আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কমে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ভলিউমের দিক থেকে রাশিয়ার রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে, কারণ মূলত ইইউ তার আমদানি ২৩ শতাংশ হ্রাস করেছে, কিন্তু ভারত ও চীন বেশি করে এদের জ্বালানি আমদানি করে রাশিয়ার এই রপ্তানির আয়তন হ্রাস অনেকটাই পুরণ করে দিয়েছে। আর এ কারণেই রাশিয়া এখন ইউরোপেও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। হ্যা, এই যে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম ১-এ গ্যাস পাঠানো পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে ইউরোপকে চাপে ফেলল, এর কারণ এই যে চীন ও ভারতে জ্বালানি রপ্তানি করেই এখন রাশিয়ার দিব্যি চলে যাচ্ছে। এছাড়া তারা জানে যে জ্বালানির দাম এখন এতই বেশি যে, রাশিয়ার রপ্তানি যদি শর্টফলেও যায়, তবুও সেই জ্বালানির উচ্চমূল্য দিয়েই তার ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। আর রাশিয়া তা জানে বলেই সে নর্ড স্ট্রিম ১ এ গ্যাস প্রবাহ প্রথমে কমিয়ে ক্যাপাসিটির ৪০%-এ নিয়ে এসেছিল, তখন ইউরোপে গ্যাসের দাম লাফ দিয়ে ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছিল, যার মানে হলো রাশিয়া বিক্রি কমিয়ে দিয়েও বেশি লাভ করতে শুরু করে। আর তারপর তো দেশটি গ্যাস প্রবাহ কমিয়ে ২০% ও এখন একেবারে ০% করে দিয়েছে।

তো বলা যায়, পশ্চিমা স্যাংকশনগুলো রাশিয়ার মজুদ হ্রাস করতে ব্যর্থ হয়েছে, আর এমনকি তা রাশিয়ার মজুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই না যে, স্যাংকশন ব্যর্থ হয়েছে, বা পশ্চিমের এই স্যাংকশনকে তুলে নেয়া উচিৎ। না, এই যুক্তি দেয়া যেতেই পারে যে, স্যাংকশনের ফলে রাশিয়ার শক্তির উপর ইউরোপীয় নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে যা উচিৎ ছিল, বা লাভ-ক্ষতি যাই হোক না কেন, রাশিয়ার জ্বালানি না আমদানি করার পক্ষে পাশ্চাত্যের একটি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে। কিন্তু আমি সেই দিকটায় যাচ্ছিনা। স্যাংকশনের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার অর্থনৈতিক সামর্থকে কমিয়ে দেয়া। তাই আমার মতে সবার আগে স্যাংকশনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে ভাবতে হলেও দেখতে হবে এটি রাশিয়াকে যুদ্ধ থেকে ডেটার করতে কতটুকু কার্যকর হচ্ছে বা রাশিয়ার যুদ্ধ করার ক্ষমতাকে কতটা কমিয়ে দিচ্ছে সেটা। পাশ্চাত্য যদি এটাই চায় তাহলে একে ক্রুড অয়েলের ওপর পরবর্তী রাউন্ডের স্যাংকশনের ওপরও কেয়ারফুলি চিন্তা করতে হবে। মানে, ধরুন ইইউ নতুন করে স্যাংকশন আরোপ করল এবং এর জন্য তারা তাদের নিজেদের পলিটিকাল ও ইকোনমিকাল ক্যাপিটাল খরচ করল। কিন্তু এটার জন্য রাশিয়া তার ট্রেড ফ্লোকে রিডিরেক্ট করার জন্য মিনিমাম ৬ মাস সময় পেল আর গ্লোবাল এনার্জি প্রাইস আরও বাড়িয়ে দিল, আর এর মাধ্যমে রাশিয়া আরও বেশি রেভিনিউ কামালো, আর তা সেই যুদ্ধে ও ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ডে রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টিতে খরচ করল। এতে তো হিতে বিপরীত হচ্ছে। মানে যে কারণে স্যাংকশন আরোপ, স্যাংকশন উলটে তার বিরুদ্ধেই কাজ করছে। কিন্তু একই সাথে আবার এও বলতে হবে যে, এর মানে এই নয় যে স্যাংকশন দেয়া একটি ব্যাড আইডিয়া, এর কারণও উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, শর্টটার্মে রাশিয়া হয়তো রেভিনিউ বাড়াতে পারে, কিন্তু লংটার্মে এটি যুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ইকোনমিক ক্যাপাসিটি কমিয়ে দিয়ে তাকে ডেটার করতে পারে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে, এখনও পর্যন্ত এনার্জিতে স্যাংকশন আরোপ রাশিয়ার রেভিনিউকে কমিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর স্যাংকশনের বদলে ইইউ তার পলিটিকাল ক্যাপিটালকে যদি অন্যান্য অ্যান্টাই-ওয়ার খাতে ব্যবহার করে তাহলে হয়তো তা তাদের জন্য ভাল সিদ্ধান্ত হবে। আবার বলছি, “হয়তো” ভাল হবে। কারণ ব্যাপারটা এত সহজ নয়, অনেকটাই জটিল, এখানে অনেক রকম ফ্যাক্টর কাজ করছে। তাই মাত্র একটি, দুটি ফ্যাক্টরের কথা বলে সাংকশনের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.