ইতিহাস

(এই নিবন্ধটি ১৪শ শতকে ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি কারণে ঘটে যাওয়া বিপর্যয় ও এর ফলে পশ্চিম ইউরোপে ঘটে যাওয়া কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প ইত্যাদি ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। তাই এই নিবন্ধটি পড়ার পাশাপাশি “ব্ল্যাকডেথ-দুর্ভিক্ষাদি কারণে ১৪শ শতকে ইউরোপের বিপর্যয় ও এর ফলে সৃষ্ট পরিবর্তনসমূহ” শীর্ষক নিবন্ধটিও পড়তে পারেন। সামন্ততন্ত্র্যের উদ্ভব […]

অর্থনৈতিক জীবন রেনেশাঁস-ইউরােপের অর্থনৈতিক জীবন আলােচনা প্রসঙ্গে জে. আর. হেল লিখেছেন যে কোনাে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেনি (this was not a time of dramatic change)। যুদ্ধ, প্লেগ ও মুদ্রাস্ফীতি ছিল, স্থানীয়ভাবে খাদ্য ও ভােগ্যপণ্যের অভাব ছিল। তা সত্ত্বেও সাধারণভাবে ইউরােপে এক ধরনের অনুজ্জ্বল সমৃদ্ধি ছিল (muted over all prosperity)। এ যুগে […]

আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৭৭৫-১৭৮৩) ভূমিকা ইউরোপীয় দেশগুলি মধ্যে স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ঔপনিবেশিক শক্তি হিসেবে আমেরিকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। কালক্রমে উত্তর আমেরিকায় ইংল্যান্ডের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। ইংল্যান্ড আমেরিকার ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ইংল্যান্ডের শাসন কায়েম করে। আমেরিকার অভিবাসীদের অধিকাংশ ছিল ইংরেজ। তারা ইংল্যান্ডকে মাদারল্যান্ড মনে করত এবং স্পেন ও ফরাসি […]

জ্ঞানদীপ্তি (Enlightment) যুক্তিবাদ পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে রেনেসাঁস বা নবজাগৃতির ফলে ইউরোপে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাজনীতি, ধর্ম, রাজধর্ম ও অর্থনীতি সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসার সৃষ্টি হয়। এ অনুসন্ধিৎসা থেকে জাগত হয় যুক্তিবাদ। যুক্তিবাদের প্রভাবে মধ্যযুগীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস মানুষের মন থেকে অনেকটা দূরীভূত হয় এবং মানুষের মধ্যে উদারতা ও মানবতা বিকশিত হয়। […]

অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপে অস্ট্রিয়া একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল। অস্ট্রিয়া ক্যাথলিক ধর্ম অধ্যুষিত রাজ্য এবং বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর লোক নিয়ে অস্ট্রিয়ার জনশক্তি তৈরি হয়েছিল। অস্ট্রিয়ার রাজা ও পবিত্র রোমান সম্রাট ষষ্ঠ চার্লসের (১৭১১-১৭৪০) কোনো পুত্র সন্তান ছিল না। একমাত্র কন্যা মেরিয়া থেরেসা কীভাবে উত্তরাধিকারের নিরাপত্তা লাভ করতে পারে […]

ষোড়শ শতকে পোল্যান্ড ইউরোপে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ছিল। এক সময় পোল্যান্ড রাশিয়া ও সুইডেনের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই যে, অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধে পোল্যান্ড ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি হারিয়ে ফেলে এমনকি তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিনষ্ট হয়। পোল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী রাশিয়া, প্রাশিয়া ও সুইডেন পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে […]

বৃহত্তর প্রাশিয়া সাম্রাজ্য গড়ে ওঠার ভিত্তি সপ্তদশ শতাব্দীর ইউরোপের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল ব্রান্ডেনবার্গ প্রাশিয়ার উত্থান। বাল্টিক সাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রাশিয়া এক শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম দিকে এই অঞ্চলের জনবিরল অঞ্চল, অনুর্বর ভূমি, খনিজ সম্পদের অভাব সবদিক বিবেচনা করলে এই অঞ্চলটি সেক্সনি অথবা বোহেমিয়ার চেয়ে পশ্চাৎপদ ছিল। দক্ষিণ […]

সুইডেন উত্তর ইউরোপের একটি সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্র। চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিকে সুইডেন ডেনমার্কের অধীনে ছিল। পরবর্তী প্রায় ১৫০ বছর ডেনমার্ক সুইডেনের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ষোড়শ শতকে সুইডেনের অবস্থার পরিবর্তন আসে। ১৫২৩ সালে গুস্টাভাস ভ্যাসা নামে একজন নেতার নেতৃত্বে সুইডেনের জাতীয় পুনরুজ্জীবন দেখা দেয় এবং সুইডেন ডেনমার্কের অধীনতা ছিন্ন […]

সপ্তদশ শতকের সামাজিক অবস্থা সপ্তদশ শতকে ইউরোপের সমাজব্যবস্থা ছিল সামন্তকেন্দ্রিক। তবে এ সময়ে সামন্ততন্ত্র অনেকটা দুর্বল থাকায় শক্তিশালী রাজতন্ত্র গড়ে ওঠেছিল। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া প্রভৃতি রাজ্যে শক্তিশালী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে সামন্তরা রাজতন্ত্রের সহকারী হিসেবে অভিজাত শ্রেণির ভূমিকা পালন করত। সমাজে রাজতন্ত্রের খুবই প্রভাব ছিল। রাজতন্ত্রের নিম্নস্তরে সমাজ সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত […]

প্রাথমিক জীবন ও নীতি প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা : চতুর্দশ লুই (১৬৪৩-১৭১৫) সপ্তদশ শতাব্দীর ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নরপতি ছিলেন। ১৬৩৮ সালে চতুর্দশ লুই জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব অল্প বয়সে (৫ বছরেরও কম বয়স) ফ্রান্সের সিংহাসন লাভ করেছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দী ছিল ইউরোপে জ্ঞানদীপ্তির যুগ এবং সে যুগে প্রত্যেক যুবরাজকে সিংহাসনের যোগ্য […]